যাঁদের ধাক্কা খাওয়ার অভ্যেস তাঁরা এড়িয়ে যাবেন। খুপ এড়িয়ে যাবেন তাঁরাও যাঁরা ফুট কাটা ছাড়া সেখানে আর কিছুই করেন না। সব কিছু সবাইকে পড়তে হবে এমন মাথার দিব্যি দিয়েছেই বা কে আর দিলেও তা শুনছেই বা কে? আমি যেমন আমেরিকার ভোট দেখলেই তিন দিন আসিনাকো এ পাড়ায়।
ম্যানড্রেক এর ইঁদুর মানুষ আর গ্যালাক্সির সম্রাট ম্যাগনন এই দুটি সৃষ্টি দারুন লাগতো।
বেতাল ও নক্ষত্র মানব বলে একটা গল্প বেরিয়েছিল;সেটাও দারুন ছিলো।
কিন্তু গুহ্য কথাটি এড়িয়ে যাওয়া হলো।অজিত,ব্যোমকেশ আর সত্যবতীর সঙ্গে থাকলে কি অসুবিধে?--))
এলেবেলেবাউ, বিদুদা এখন থেকে বেল্ট দেওয়া ধুতি পড়ছেন।
আমি স্কলারলি পোবন্ধো আর নির্মোহ ব - দুইই খুপ এড়িয়ে চলি।
আর ন্যাড়াস্যার সেখানে কতবার ফুট কাটেন তার জন্য অপেক্ষা করব।
বেম্ভদের নিয়ে নির্মোহ ব ওজ্জুনবাবু ছাড়া আর কেউ নামাতে পারবেন্নাকো। কলোনি আর তিন মাস। তারপরে বোলতি বন্ধ করার বন্দোবস্ত করব চিরতরে!
বন্ধু দম্পতির সঙ্গে থাকলে কিসের অসুবিধে?
দীপক চ্যাটার্জি আবার ম্যাজিক রিয়েল গোয়েন্দা। কলোনির ভয়েস। মামু বলে।
দীপক চ্যাটাজ্জিতে কোন বেহ্মপনা নেই। কিরীটীতেও। কলকাতার গরমে ওভারকোট আর টুপি পরে পাইপ খায়।
সইত্যজিতের অবিশ্যি কয়দিন আগে দোসরা মে পেরিয়েছে। একবছরের জন্য ফাঁড়া কেটেছে মনে হয়।
মরেছে! ফেলুতেও কলোনি? এবার এট্টু গোরুর রচনা হয়ে যাচ্ছে না ?
ব্রহ্মদের নির্মোহ ব আসছে। কী মজা!
ফেলুদা, তুমিই তো বলো,টাকা পয়সাই সব নয়!!
এটা তো তোপশের মুখ দিয়ে সত্যজিৎ বলেই দিয়েছেন। সে জন্যই সত্যজিৎ পথের পাঁচালী,পরশপাথর করতে পারেন। পয়সার জন্য নিজের ট্যালেন্ট বিক্রি করতে বোম্বে ছোটেন নি।
বোম্বের ট্যালেন্ট এর দৌড় কতো সেটা,লালমোহনের বন্ধু পুলক রায় কে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আর ব্যোমকেশ তো পারিশ্রমিক এর জন্য শখের বাইরেও কাজ করতো। জাল দলিল এর মতোন কেস নিতো।সংসার চালানোর জন্য।
ফেলুদা অকৃতদার ,তাই কম্প্রোমাইজ কম করেছে।
বেম্ভধারার কতগুলো টিপিক্যাল ক্লু আছে। নারীবিহীন, সেক্সুয়ালিটি (যেটা শরদিন্দুতে যথেষ্ট) পুরো নো নো। ড্রয়িংরুমে যামিনী রায়, ব্রেড-বাটার দিয়ে ব্রেকফাস্ট, কোট-প্যান্টালুন এবং টাকাপয়সার ব্যাপারে অসম্ভব সৎ। মুকুলের বাবার থেকে কিচ্ছুটি নেয় না, কোথাও নেয় পারিশ্রমিক হিসেবে 'ওয়ার্ক অফ আর্ট'। অসম্ভব রুচিশীল এবং আনন্দবাজারীয় বিপণন চাতুরি।
কবে থেকে হিঞ্ছা ছিল সহজে যদি একটা পিএইচডি করা যায়। চেয়েচিন্তে লাকখানেক টাকা হয়ত জোগাড় করে ফেলতে পারি। তবে কি জীবনের এই সায়াহ্ণে এসে পিএইচডি-র মোক্ষলাভ হবে? সরস্বতী যে বর দেননি যদি লক্ষ্মীর কৃপায় জুটে যায় - মা, মা গো!
ফেলুদা বেম্মধারা এন্ডোর্স করে, এটা ঠিক বুঝলাম না। কলোনিয়াল ধারাটা না হয় একটু একটু বুঝলাম। প্রাইভেট ডিটেকটিভ আইডিয়াটা মনে হয় বাইরে থেকে এসেছিল।
লালমোহনবাবুকে একটু ক্লাউনের মত লাগে। তবে টিপিক্যাল বাঙালীর মত লাগে কিনা কে জানে। টিপিক্যাল বাঙালী দ্বিতীয়বার মগনলালের ডেরায় ঢোকার সাহস দেখাত কি? তা ধরুন একেনবাবু বানিয়ে বাঙালী ফেলুদার ওপর শোধ নিয়ে নিয়েছে। একেনবাবুর মধ্যে জটায়ু আছেন, ফেলুদা কোথাও নেই। জটায়ু প্লাস কলম্বো হল একেনবাবু।
সাহিত্য ও কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক সাহিত্য আলাদা জিনিষ।উপন্যাস,ছোট গল্প আর কল্পবিজ্ঞান সব কিছুতেই মাধুরী না থাকলে নুন বিহীন তরকারী হয়ে যাবে।
জাতিস্মর একটি বহু পুরনো কনসেপ্ট।একটা লিঙ্ক দিতে পারি,যেখানে জাতিস্মর শান্তি দেবী কে নিয়ে অনেক আলোড়ন হয়ে ছিলো। সত্যজিৎ হয় তো অল্পবয়সে প্রভাবিত হন।সত্যজিতের ম্যাজিকে আগ্রহ ছিলো।পরাবাস্তব জিনিষ এর প্রতি কৌতূহল ছিলো।থাকতেই পারে।সেটাই তার সাহিত্যে ঘুরে ফিরে এসেছে।
বিজ্ঞান বলছে,একধরনের জেলিফিশ অমর।অর্থাৎ এই জীব বার্ধক্য থেকে শৈশবে ফিরে যাবার ক্ষমতা রাখে। এটাই যদি কবি একটু কল্পনা মিশিয়ে মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন তো রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছাপূরণ গপ্পো হয়ে যাবে। সত্যজিতের অদ্ভুত প্রাণী হতে পারে,যে কিছু ঘণ্টার মধ্যে বিবর্তিত হতে পারে।
চল্লিশ বছর আগে সত্যজিৎ যদি গপ্পো লিখতো আফ্রিকার বনের মধ্যে হিটলার ভ মারণাস্ত্র নিয়ে ইওরোপ জয়ের লক্ষে এগোচ্ছে।পাঠক পরে থমকে যেতো!এ ও কি সম্ভব! আজগুবি আষাঢ়ে গপ্পো। মরা মানুষ ফিরে আসতে পারে!?।কিন্তু খুব সম্ভব যদি,হিটলারের শরীরের সংরক্ষিত সেল থেকে কেউ ক্লোন তৈরী করে।
মৃত সঞ্জীবনী মন্ত্র,স্বর্ণপর্ণী গাছ আমাদের খুব পরিচিত।বিশল্যকরণীর সঙ্গে কি অদ্ভুত মিল!
আমাদের সঙ্গে টরেটম গ্রহের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।পুরো গ্রহ টাই ভাইরাস দিয়ে তৈরি।একটা বড় বলের সাইজ মাত্র। কিন্তু পৃথি বী উজাড় করে দিতে পারে। এই করোনা এপিসোডের সঙ্গে কেমন মিল পাওয়া যাচ্ছে না?
এগুলোই তো সাহিত্য কে অমূল্য করে তোলে।
কে জানে,কোনদিন ভিন গ্রহের থেকে বিচিত্র ফুল ও লতার মতন প্রাণী আসবে আমাদের গ্রহের বুকে।যারা নাকি ইন্টেলিজেন্স শুঁসে নিতে পারে।এটাই তাদের খাদ্য।
করা যেতেই পারে। মানুষের একটু শখ থাকতে পারে না? ইস্ট জর্জিয়া থেকে তো ভালো।
কেউ যদি আগের জন্মে হাতি হয়ে থাকে এবং সে স্মৃতি তার মনে থাকে তাহলে তার কী হবে?
হ্যাঁ