পড়ছি আলোচনা
হা হা, ঠিক।
@ Atoz | 151.141.85.8 | ২৭ জুন ২০২০ ০৮:১১
অস্বীকার করা কঠিন। :)
@ এলেবেলে | 202.142.96.207 | ২৭ জুন ২০২০ ০৮:০৩
জানি ব্যাপক আবাজ খাব তবুও বলি ফেলুদা বাংলার দুটো ধারাকে এন্ডোর্স করে --- এক, বেম্ভধারা এবং দুই, কলোনিয়াল বাঙালি। টিপিক্যাল বাঙালি লালমোহনবাবু শেষের দিকে প্রায় ক্লাউনে পরিণত। এবং ফেলুদা তাঁর মক্কেলদের জন্য যেসব জায়গায় যায়, সার্কিট হাউসে থাকে এবং আরও নানা আনুষঙ্গিক - সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বোরিং।
তখ কিশোরবেলা। আনন্দমেলায় ভালো ছেলেদের সাক্ষাৎকার বের হত। তো তাদের পছন্দ ছিল সত্যজিৎ আর শংকর। কেন? না অনেক ইনফর্মেশন পাওয়া যায়! আমি চিরকালই শেষ বেঞ্চের ছাত্র, কিছুদিন পর থেকেই আর ফেলুদাতে মন মজেনি। আমারই দোষ নিশ্চয়ই। কিংবা অকালপক্কতার। তবে আনন্দবাজারের পুজোসংখ্যার সঙ্গে যখন আনন্দমেলা প্রকাশিত হত, তখন শঙ্কুর 'কর্ভাস' গপ্পোটা ব্যাপক লেগেছিল। প্লাস সত্যজিতের নিজের ইলাস্ট্রেশন।
আমরা যারা বড় হয়েছি ইন্টারনেট পূর্ব যুগে আর করে খাচ্ছি বর্তমান যুগে, আমরা দেখলাম ইন্টারনেট কি বিপ্লবটা করেছে।
হিসেব করে পা ফেলতেন বলে চলচ্চিত্রগুলি বানাতে পেরেছিলেন। লেখা থেকে তাঁকে উপার্জন করতে হত, যে উপার্জন তিনি চলচ্চিত্র বানানোয় ব্যয় করতেন।
খগম দ্বিতীয়বার পড়ার আমার একটা যথার্থ গা শিরশিরে অভিজ্ঞতা ছিল। মাস্টার্স করছি তখন। হস্টেলে থাকি। আগেরদিন থেকে ছুটি পড়ে গেছে। বেশীরভাগ বাড়ি চলে গেছে। আমার যাওয়া আটকে গেছে কারণ দোতলায় কোণের ঘরে একটি ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত জ্বর বাড়ছে। আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আছে। তার সঙ্গীরা দুদিন আগে চলে গেছে। চেনা শোনা কেউ নেই। আমিও চিনি না। কিন্তু ফেলে যাই কি করে! তাই রয়ে গেছি। এই তলায় আমার চেনা কেউ নেই। নীচের তলায় দু-একজন আছে। আমি রাতের খাওয়া শেষে একটা টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে সত্যজিৎ খুলে বসেছি। শীতের রাত। মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব আওয়াজ আসছে। ল্যাম্পের আলো বই দিয়ে এমন ভাবে আড়াল করা যেন শুধু বইয়ের উপরেই থাকে, না হলে রোগীর কষ্ট হবে। মাঝে মাঝে সে অতি আস্তে কাতর আওয়াজ করছে। রাত ১ টা নাগাদ খগম ধরলাম। কে জানে কেন রোগী তখন জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে, একসময় গল্প শেষ হল। আমার তখন ঐ শীতের মধ্যে ঘাম-ঘাম লাগছে। সাপ নিয়ে আমার নিজের কিছু অল্পের-জন্য-বেঁচে-যাওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। তাই হয়ত প্রভাব-টা বেশী ছিল।
গত রবিবার অভিনেতা সব্যসাচীর আর মীরের গলায় গল্পটি শুনলাম ইউটিউবে সানডে সাসপেন্সে। অভিনেতাদের ত্রুটি ছিল না। আমারই আর সে মন নেই। :)
Priyo guru bondhura, Ishan-er gorur rachanatir (bahu purano) link paoa jabe?
Bhalo thakben.
"ওরে বাবা, এ শহরে কেউ কভু এসো না।" এখানে "ওরে বাবা"-টা একেবারে কিলার।
আর একটা কবিতা ছিল - হত্যাপুরীতে বোধহয় - যেটা শুনে ফেলু বলেছিল, "কবি এখানে নিজেকে সারসের সঙ্গে আইডেন্টিফাই করছেন"। "খাড়া থাকি একা বালুচরে" টাইপের কী একটা লাইন ছিল।
পাপাঙ্গুল, জবরখাকি - এই অনুবাদগুলো তো একেবারে উচ্চকোটির। অরিজিনালও কিছু চমৎকার।
রামফাঁকিবাজ চাকর জোটে সাধনবাবুর ভাগ্যে।
বাবু বলেন, "রোবট রাখি, চাকরগুলো যাকগে।"
রোবট হল কাজে বহাল।
তার ফলে আজ বাবুর কী হাল!
রোবট বলে, "কই রে ব্যাটা -" বাবু বলেন, "আজ্ঞে?"
লিমেরিকে ছেলের হাত, আমাদের তীত্থদার মতন না হলেও, ভালই ছিল।
ইয়েস।