অক্সফোর্ড! তার গপ্পো জানলে কি আর কলোনির মোসাহেব হন!!
In the beginning of the nineteenth century, there were nineteen colleges and five halls in Oxford. There were about 500 fellows in the colleges, a few of whom were engaged in teaching in each college. In addition, there were nineteen professors in 1800. This total had increased to 25 by 1854।
এটা অবশ্য অ্যাডাম সাহেব লেখেননি। অন্য একজন লিখেছেন। কী হবে এবারে!!
বাঃ বাঃ existing native institutions মানে টোল? টোলই আমাদের অক্সফোর্ড ছিল বলছেন? হবেও বা।
বা,বা। চোখ ভিজে আসে।মন ভারী হয়।সকাল সকাল ক্লিয়ার হয়ে যায়।
অমিত, কঠিন কিছু নয়তো। ১৮২ বছর আগে একজন সাহেব ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে এই কথাটা বলেছিলেন "I, however, expressed the opinion that, as far as my information then enabled me to judge existing native institutions from the highest to the lowest, of all kinds and classes, were the fittest means to be employed for raising and improving the character of the people that to employ those institutions for such a purpose would be “the simplest, the safest, the most popular, the most economical, and the most effectual plan for giving that stimulus to the native mind which it needs on the subject of education, and for eliciting the exertions of the natives themselves for their own improvement, without which all other means must he unavailing.”
অথচ মোসাহেবদের নেত্যটা একবার দেখুন।
যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই যাচ্ছে। আপনি হয়তো খ্যাল করেননি।
রেললাইন! হা হা। কী ভক্তি এখনও! তো এখানে কেন? ইংল্যান্ড গেলেই হয়!
রেললাইন পেতে গিয়েছিল। দেখুন টিকে আছে। মোদী বন্দে ভারত না কি একটা নামাল। পরের দিনই ফুটে গেল। হাওড়া ব্রিজ দেখুন। এত লোক হাঁটল, মিনিবাস গেল, পাগল ফাগল উঠে নাচানাচি করল, মাল ইনট্যাক্ট। ওদিকে মমতার উড়ালপুল আর বলে কাজ নেই। চাঁদ না মঙ্গল তাগ করে হাউই ছাড়ল। মোদী সেজেগুজে গেল। সেটাও ফুসস। দ্যাশে কিসু হয় নাই।
নাঃ। নামই শুনিনি। তবে চিন্তার কিছু নাই। আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারত কলোনিমুক্ত হবে। ভারতে ভাল যা কিছু সবই প্রায় সাহেবদের করে যাওয়া। সাতচল্লিশের পরে কেবল পতন। আর কিছুদিন অপেক্ষা করলে বিজেপি দেশকে ব্রিটিশপূর্ব যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। তখন সংস্কৃতে এসব রিপোর্ট পড়ব। মেয়েরা অবশ্য পড়তে পারবে না। সে আর কি করা যাবে।
হতেই পারে তাঁরা অ্যাডাম/ঈভ, অ্যাডামস ফ্যামিলি সব পড়েছেন ও দেখেছেন।
এবং তাঁরা কদাচ অ্যাডাম পড়া তো দূরের কথা নাম অবধি শুনেছেন কি না সন্দেহ। ভালো। আত্মতুষ্টি অতি উপাদেয় জিনিস।
কলোনি এবং তার কোলাবরেটররা চিরটা কাল এই লব্জই আউড়ে গেল! গড সেভ দ্য কুইন।
ঠিক ঠিক।
সাহেবরা ছিল বলে ১৮২ বছর কিছু পড়াশোনা হয়েছে। ভারতের অপদার্থ নেতাগুলোর হাতে পড়লে মহাভারতে ইন্টারনেট শিখে বসে থাকতাম। দেশটা স্বাধীন না হলে এতদিনে আরও কয়েকজন মেঘনাদ সাহা, সত্যেন বোস, সি ভি রামন পাওয়া যেত।
যাঁরা এখানে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁদের কেউ অ্যাডাম সাহেবের রিপোর্ট পড়েছেন? অন্ততপক্ষে তৃতীয় রিপোর্টটা? পড়লে জানতেন ১৮৩৮ থেকে ২০২০ এই ১৮২ বছর ধরে কলোনিয়াল শিক্ষাব্যবস্থা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
রিফান্ড আমি কলেজে থাকতে বাংলায় অনুবাদ করেছিনু। দেশ ও দশকে কাঁদিয়ে আমার সে মাস্টারপিসটি মহাকালের গহভরে চিরদিনের মতন বিলীন হয়েছে। হা হতোস্মি।