ABP র খবর
না পড়লে নাকি পিছিয়ে পড়তে হয় ???
লাস্ট লাইন টা দুর্দান্ত
বান্দ্রা: অবসাদ থেকেই কি আত্মহত্যা? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? রবিবার সুশান্ত সিংহ
রাজপুতের মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে একাধিক প্রশ্ন। মাত্র ৩৪ বছরেই নায়কের মৃত্যু, বিষাদে বলিউড। কেন আত্মহত্যা? প্রশ্ন পরিবারেরও। একধাপ এগিয়ে খুনের মতো অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তর পটনার বাড়ির প্রতিবেশী। এমনও প্রশ্ন ওঠে, করোনায় আক্রান্ত হননি তো সুশান্ত?
সম্বিৎ বাবু চার পাতা আগে একটা প্রশ্ন ঠুকেছিলেন
answer: হ্যা, but not american, have no contacts for over five years মনে হয়।
আতোজের অসীম ক্ষমতা। উনি ফেবুর বাংলা বইয়ের গ্রুপগুলোতে থাকেন এবং সেগুলো দেখেন! আমি বেচারা সব ছেড়ে একটাকে সার করেছি, সেখানেও একজনের মন্তব্যে একটি লাল পান দেওয়ায় অ্যায়সান হোয়াটঅ্যাবাউটারি শুরু হল যে আজকাল সে গ্রুপেও নীরব থাকি।
বাবা মা স্ত্রী কে রেখেই গত তিন বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন কৃষ্ণস্বামী। মানুষটার সবকিছুই আছে কিন্তু তার সাথে একটা দুঃখ আছে সন্তান নেই।অবসাদ ঘিরে রেখেছিল মানুষটাকে, এবছর খবর পেলেন তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ,দেশে ফেরার আনন্দে মন উৎফুল্ল ছিল কিন্তু বাধ সাধল লকডাউন। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ভিডিও কলিং এ মুখ দেখলেন সন্তানের। সন্তান হওয়ার আনন্দে তার মনেই নেই গত তিন বছর তিনি দেশেই ফেরেননি।
শোনেন তো চিনতে পারেন কিনা!
সুশান্ত সিং হলেন একজন পারফেকশনিস্ট।ব্যকগ্রাউন্ড শোজ,উনি ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় র্যানক করা ছাত্র।পরবর্তী কালে অভিনয়ে এসে,চেষ্টা করেন ওরকম সাকসেস পেতে।প্রথম দিকে সাকসেস পান।তারপর বুঝতে পারেন,সিনেমার জগৎ পড়াশোনার জগতের চেয়ে একটু আলাদা।পড়াশোনার জগতের হার্ড ওআরক আর সাকসেস এর মধ্যে একটা লিনিয়ার সম্পর্ক আছে।
কিন্তু রুপোলি জগৎ এর বেশির ভাগটাই পর নির্ভর।অর্থাৎ নিজের প্রতিভা থাকলেও,সুযোগ পাওয়া,ভালো রোল পাওয়া,ভালো নির্দেশক পাওয়া --- হাজার ঝামেলা।
এটা ধীরে ধীরে ওঁকে গ্রাস করেছিল। মধ্যমান ছিলো নাওনা নাপসন্দ।
ওগুলো কু সংস্কার নয় , ওদের বলে পোমো আর ম্যাজিক রিয়াল।
@Sonaton Mondol ০২:১৩ - কেন, এতে রঙ্গের কী আছে? নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, শাস্তি চেয়েছিলেন। মৃত্যুকামনা করেছিলেন কি?
(কোন অভিনেত্রী কী ব্যাপার জানি না)
মহম্মদ আলি পার্ক না কোথায় যেন ডাক্তারকে অসুর সাজানো হয়েছিল না? কী কারণে হয়েছিল সেটা? ডাক্তাররা সেলেব বলে?
যারা অ্যাক্টরের আত্মহনন ও মানসিক সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের লেখালেখিকে সমালোচনা করছেন তারাই আবার এখানে সে নিয়ে দিব্যি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
'গুরু'ও সোশ্যাল মিডিয়া । ওটা এখন বাঘের পিঠে চড়ার মত হয়ে গেছে। উঠলে , নামা যায়না ।
An actress, who charged a Me Too against Sushant Singh Rajput, has uploaded a video where she's crying for the sudden demise of the actor..!
Weird world..
feeling kotoi rongo
সেটা কিছুদিনের মধ্যেই 'জাংগু' দিবসে পরিণত হবে ।
আচ্ছা। একজন প্রখ্যাত অভিনেতার মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যম জুড়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজের নিজের মত করে ডিপ্রেশনের সংজ্ঞায়ন ও চিকিৎসাব্যবস্থা শুরু করেছেন। কেউ কেউ ব্যতিক্রমী হয়ে দোষারোপ করছেন, কেউ পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা বলছেন। একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে আমার মনে হয়, আমার কিছু বিষয় এ ব্যাপারে বলা দরকার। ভারতবর্ষে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ আত্মঘাতী হন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ব্যাপারটা হেলাফেলার নয়। মানে আপনাদের কোভিডে কিন্তু এখনও দশ হাজার মানুষও মারা যান নি। এবং এই বিশাল সংখ্যার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী ডিপ্রেশন। এবং এ কথাও জেনে রাখুন, আত্মহননের জন্য কেবল ডিপ্রেশন নয়, আরো কয়েকটি মনোরোগ দায়ী।
ডিপ্রেশন কী তা জানতে গেলে আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে৷ না, ডিপ্রেসিভ ইলনেস মানে মন খারাপ নয়। DSM-5 বলে একটি নির্ণায়ক তালিকা আছে। তা দেখে আমাদের নির্ণয় করতে হয় কে ডিপ্রেশনের রুগী।
কী বলছে এই DSM-5? আসুন, দেখে নিই।
** নিম্নলিখিত নয়টি লক্ষণের মধ্যে যদি অন্তত পাঁচটি বা তার বেশি লক্ষণ কোনও মানুষের মধ্যে টানা দুই সপ্তাহ বা তার বেশি থাকে, তবে তাকে ডিপ্রেসিভ ইলনেসের রোগী বলা যায়।
১)প্রায় সারাদিন ধরে দুঃখ ও হতাশার ভাব, যা রোগী নিজে বুঝতে পারে বা তার ঘনিষ্ঠজনেরা লক্ষ করে৷
২)প্রায় সমস্ত বিষয়ে ও কাজকর্মে উৎসাহ ও আনন্দের অভাব বোধ করা, যা রোগী বুঝতে পারে বা ঘনিষ্ঠজনেরা লক্ষ করে৷
৩)কোনও প্রত্যক্ষ কারণ বা অন্যান্য অসুখ ব্যতিরেকে ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া। একমাসে ওজনের অন্তত ৫% পরিবর্তন।
৪)ঘুম না আসা বা সারাদিন ধরে ঝিমুনিভাব।
৫)সামান্য কারণে অস্বাভাবিক উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ বা গুরুতর কারণে উত্তেজনার অভাববোধ, এটি মূলতঃ রোগীর ঘনিষ্ঠজনের দ্বারা পরিলক্ষিত হয়।
৬)অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ।
৭)নিজেকে প্রতিনিয়ত অপদার্থ ভাবা এবং অস্বাভাবিক বেশি ও যুক্তিহীন অপরাধবোধ।
৮)কোনও বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে বা মনঃসংযোগ করতে অপারগতা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণে দুর্বলতা।
৯)ঘন ঘন মৃত্যুচেতনা, আত্মহননের ইচ্ছা, আত্মহননের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা, বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে তুলনা করা, আত্মহননের প্রচেষ্টা।
সামাজিক, পেশাগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সুষ্ঠু যাপনের পক্ষে যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে রোগীকে ডিপ্রেসিভ ইলনেসের আওতায় ফেলা যাবে৷
*মনে রাখতে হবে কোনও নেশার দ্রব্য, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অন্যান্য অসুখের জন্য উপরোক্ত রোগলক্ষণ উপস্থিত এলে তাকে ডিপ্রেশন বলা যাবে না।
*সিজোফ্রেনিয়া স্পেকট্রাম, ম্যানিক বা হাইপোম্যানিক ডিজ অর্ডার রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যে উপস্থিত থাকলে এই নির্ণায়ক গ্রাহ্য হবে না।
তো, খুব সোজা ভাষায় এই হল DSM-5 নির্ণায়ক, যা দিয়ে ডিপ্রেশন ধরা যায়।
পড়ে নিশ্চয়ই এটুকু বুঝছেন যে আপনি গুরুতে স্ট্যাটাস দিয়ে বা আধঘন্টা কথা বলে ব্যাপারটা বুঝবেন না। এবং এটাও নিশ্চয়ই বুঝছেন এরকম কিছু আপনি আপনার মধ্যে খুঁজে পেলে বা আপনার সঙ্গে প্রায় সারাদিন কাটায় এমন কোনও ঘনিষ্ঠজন বুঝতে পারলে আপনার যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। সত্যি কথা বলতে চিকিৎসকের কাছেও ডিপ্রেশন নির্ণয় বেশ কঠিন ব্যাপার; এবং আপনার ও আপনার ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ বা বারবার কথা বলে এবং বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে অন্যান্য রোগগুলিকে বর্জনপদ্ধতিতে বাদ দিয়ে তবেই ডিপ্রেশনের ডায়াগনসিস সম্ভব। এবং ডায়াগনসিসে আসলে তার চিকিৎসা শুরু হবে। সেই চিকিৎসা তার আকাঙ্ক্ষিত ফল প্রদান করতে খানিকটা সময়ও নেবে; অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক ফলটুকু পেতেও তিনমাস লেগে যায়৷ আপনি কী করবেন? আপনার ঘনিষ্ঠ মানুষটির ডিপ্রেশনের চিকিৎসা চলাকালীন ফল না পাওয়া অবধি তার পাশে পাশে থাকবেন, তাকে উৎসাহ দেবেন, তাকে ওষুধ খেতে মনে করাবেন, তার উপর নজর রাখবেন। আপনার প্রিয় মানুষটির লিম্ফোসারকোমা অফ ইনটেসটাইন হলে যতটা আতুপুতু করে রাখতেন, ঠিক ততটাই আতুপুতু করে রাখবেন। এটাই আপনার কর্তব্য। স্ট্যাটাস দিয়ে বা একদিন ফোন করে দায় সারা নয়। মনে রাখবেন, একটা অসুখ সারাতে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী আর রোগীর ঘনিষ্ঠজনের সুষ্ঠু মিথোজীবিতা প্রয়োজন, অন্যথায় সকলই গরল ভেল৷
লেখাটা অতিরিক্ত বড় হবার জন্য দুঃখিত
হুতো, ভালোলাগার জন্য তো কথাগুলো লিখিনি। লিখেছি ধাক্কা দেওয়ার জন্য। আমাদের মধ্যবিত্ত মানসিকতাকে। আমিও সেই দলেই, ব্যতিক্রম নই।
মানসিক রোগকে মানুষ কীভাবে দেখেন সেটা খুব ভালো করে জানি। প্রচুর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে, আঘাতে ক্ষতবিক্ষত গোপন জায়গাও।
দ্বিতীয়ত সুশান্ত সিং রাজপুত কোনও ব্যতিক্রম নন। প্রায় প্রতি দিন এদেশে মানসিক অবসাদে প্রচুর মানুষ মারা যান। মানে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। মুহূর্তের যাপনও বটে। কিন্তু আলোচনা হয় না কারণ তাঁরা আলোচনার যোগ্যই নন।
দিন কয়েক আগেই এক মহিলার হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে তাঁর হারিয়ে যাওয়া নোবেল নিয়ে চ্যাঁচামেচির ঘটনায় যাঁরা খিল্লি করেছিলেন, আজ তাঁদের অধিকাংশই সুশান্তকে নিয়ে চুক চুকে মত্ত।
একটা 'খারাপ' শব্দ লিখেও মুছে দিলাম। মাফ করবেন।
পদ্য | 2a02:7aa0:1201::7048:4568 | ১৪ জুন ২০২০ ২১:৩১
খুব ভালো মনে করেছেন , আমিও ওটা র সন্ধানে আছি , সেই সৈকত বলে এক তরুণ স্বঘোষিত কমরেড তুর্কি কাকে যেন ধর্ম তুলে খিস্তি করে তারপর ঐসব খিল্লি খেয়ে যাবার টৈ টা তো?
হাতি-ফাতি নিয়ে কিএকটা টৈ বোধ হয় , পেলে এখানে আরেকবার দেবেন তো