এবড়োখেবড়ো বা এলেবেলে,আপনার দুটো নিক থেকে বুঝা যাচ্ছে, এ ও ব এই দুটি অক্ষর কমন বা পছন্দের।
সবচে ভালো হয় শুধু 'এ '।এটি এখনো কেউ নেয় নি।
মান্যবর এলসিএম ব্লগে লিখি এবড়োখেবড়ো হয়ে, মন্তব্য করি এলেবেলে-র মতো। এখন নিক এলেবেলেতে ফিরতে চাইলে ফের ব্লগ লেখার সময়ে এবড়োখেবড়োতে ফিরে যেতে পারব তো? এমন অস্তিত্ব সংকটে পড়িনি বলে জিগিয়ে নিচ্ছি কারণ আমার টেকনিক্যাল জ্ঞান শূন্য বা প্রায় তার কাছাকাছি।
সে ঠিক আছে। তবে চন্দ্রিল ঋতুপর্ণকে নিয়ে আদৌ কিছু বলে থাকলে ঠিক কী বলেছে, বললে তার যুক্তি কি দিয়েছে? সেসব না জেনে কোন কথার তো মানে নেই। 'চন্দ্রিল নাকি কোন এক বক্তৃতায় বলেছেন' এটা দু'হাজার টাকার নোটের ন্যানো চিপের মত তথ্যসূত্র হয়ে গেল।
অনুরাগ কাশ্যপের ডেভ ডি ভালো লেগেছিল।
উপন্যাসে গভীরতা ~
আমার ধারণা গভীর উপন্যাসগুলির উপরে ইউরোপ তথা ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্ব বিদ্যার চাপ খুব বেশি, সারা বিশ্বের সিরিয়াস উপন্যাসের উপরেই।
এই রকম চাপ থিকা সিরিয়াস উপন্যাসগুলি ক্লান্তিকর ভাবে এক রকমের হওয়ার কথা।
এবং এর চাপও পড়ার কথা গভীর সিনেমাগুলিতেও।
বাস্তবতার বিপরীতে মনস্তত্ত্বকেই একমাত্র স্বাধীনতা বা মুক্তি সাব্যস্ত করার কারণেই কি এই রকম হইতেছে?
যেন গভীরতা মানেই মনস্তত্ত্ব। ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উপলব্ধিকেও মনস্তত্ত্বই ধরতে চাই আমি।
২.
সাহিত্যে মনস্তাত্ত্বিক আড়ম্বর দুই প্রকারে থাকে।
এক, চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বর্ণনা, আর হইতেছে লেখকের মনস্তত্ত্ব উপজাত চিন্তার বর্ণনা, যে চিন্তা বাস্তব বা কল্পনা থেকে আসে না, যতটা বুদ্ধিবৃত্তি থেকে ভাবনা মাধ্যমে পাম্প করা হয়।
৩.
ইনটেন্স অবজারভেশন মনস্তত্ত্বের বিরোধী কিছু না। মানে ইনটেন্স অবজারভেশন থাকলে মনস্তত্ত্ব নাই তা বলা যায় না।
কাফকা ফ্রয়েড দিয়া গভীর ভাবে প্রভাবিত। কাফকায়েস্ক জিনিসটারে মনস্তত্ত্ব বাদ দিয়া আদৌ বোঝাই যাবে না। এক ভদ্রলেখক বলছিলেন, kafka without a psychological approach is not Kafka.
কাফকায় মনস্তত্ত্ব নাই এইটা অতি হাস্যকর বক্তব্য। আমি খুব কাফকা পড়ি নাই, 'মেফামরফসিস' এর অনুবাদ পড়ছিলাম। এইটা তো মনস্তত্ত্বের ডিপো।
আরেক মনস্তাত্ত্বিক আড়ম্বর হইলেন কাফকা প্রভাবিত বোর্হেস।
এই দুই দিকপাল বর্তমান গল্প-উপন্যাস ইত্যাদিরে স্রেফ ভাবনা সাহিত্যে পর্যবসিত করছেন।
— ব্রাত্য #রাইসু ২২-২৩/১০/২০১৭