এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 2409:4065:30a:c274:4d86:41e7:74ec:***:*** | ০১ জুন ২০২০ ০১:০৯446856
  • প্রাইমাকুইন বা টেফনকুইন শুধু ভাইভ্যাক্সের রিলাপ্স কমাতে দেওয়া হয় গুগল করে জানলেন? তাহলে আরো একটু গুগল করুন। বেটার হয় পেপার পড়লে। বা নিদেনপক্ষে নানা দেশের ড্রাগ পলিসি। এটা ফ্যালসিপেরামেও ম্যানডেটরি। ভাইভাক্সের থেকে ডোজ আলাদা।৷ ১৪ দিন না, এক দিনের, প্রেফারেব্লি দ্বিতীয় দিন। এটা টার্গেট করে প্যারাসাইটের সেক্সুয়াল স্টেজ, গ্যামিটোসাইট কে। এরা আসেক্সুয়াল ব্লাড স্টেজের মত ম্যালেরিয়ার উপসর্গের জন্য দায়ী নয়, কিন্ত মশার মধ্যে এগুলোই যায়, গ্যামেট থেকে মশার বাকি স্টেজ, অর্থাত ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ, ট্রান্সমিশনের জন্য দায়ী এরাই। এবার আর্টেমেসিনিন ডেরিভিটিভ কম্বিনেশন ড্রাগ গ্যামিটোসাইটের সব স্টেজকে মারতে পারেনা, সেজন্যই প্রাইমাকুইন মাস্ট। নইলে লোকের সিম্পটম সারলেও তারা ম্যালেরিয়া ছড়াতে পারবে।
    এবার টেফনকুইন আনার মূল কারণ, ভাইভ্যাক্সের জম্য ১৪ দিনের রেজিমটাকে ছোট করা। এই জে টুক করে গুগল করে বলে দিলেন প্রাইমাকুইন তো দিব্বি ভাল, নিজে ফিল্ডে কাজ করলে বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগে কথা বললে ভাল র নমুনাটি টের পেতেন,১৪ দিন ধরে একটা ড্রাগে আডহায়ার করানো কী কঠিন ব্যাপার, অর্ধেক লোকে খায়না। আরো কারণ হল, ত্ততদিনে লোকের উপসর্গ চলে গেছে। কেন খেতে যাবে। রিলাপ্স টিলাপ্স গ্রামের লোককে বোঝাতে গিয়ে দেখবেন। তিনদিনের
    আর্টেমিথার লুমেফেন্ট্রিন কি এস পি ই খাওয়ানো যায়না, দু'তিন ডোজ পড়ে বেটার হলেই বাকি খায়না! বেশ কিছু পেপার ঘাঁটলে এই সমস্যাগুলির কথাও পড়তে পারবেন।

    এবার এই প্রাইমাকুইন হোক কি টেফনকুইন, তাদের সমস্যা আবার অন্য, জি৬পিডি ডেফিসিয়েন্সি থাকলে নানা সাইড এফেক্ট, মৃত্যু অব্দি হতে পারে। আমাদের দেশে কতজনের তা আছে জামা নেই। সব কম্যুনিটি স্পেসিফিক ডাটা নেই। আর এটা চেক করে যে ওষুঢ দেওয়া যাবে, তার সহজ সুলভ পদ্ধতি এখনো ভাল নেই, যা আছে, তা এখনো পরীক্ষার পর্যায়ে।

    আর হ্যা, ক্লোরোকুইন রেজিস্ট্যান্ট ভাইভ্যাক্সের সমস্যা তেমন নেই, থাকলে তার জন্য আর্টেমেসিনিন ই আছে, সেটা এম্নি দেওয়া হয়না, ড্রাগবপ্রেশার তৈরি করা হিবেনা বলে, ফ্যালসিপেরাম, যা মূলত ক্লোরোকুইন রেসিস্ট্যান্ট, তার জন্য বাঁচিয়ে রাখা হয়।
    আর ওই এস পি থেকে শুরু করে অনেক কিছুই আগে যা ছিল, সেগুলি মবোথেরাপি। আর্টেমেসিনিন ডেরিভেটিভ এর পার্টনার ড্রাগ হিসেবে যে ফর্মুলেশন ও রেজিম, তা অনেক পরে এসেছে। আর এর মধ্যেও নানা কাজ চলছে, কোথায় কোনটা। কোথায় ৩ নং পার্টনার জোড়া। মূল লক্ষ্য যাতে রেজিস্ট্যান্স না আসে।৷ তো তাও গ্রেটার মেকং এ আসছে, অন্য একটা ফর্মে, ডিলেইড ক্লিয়ারেন্স। এবারে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদেরই মত যাই ড্রাগ আসুক না কেন, গ্রেটার মেকং রিজিয়ন মানে কাম্বোডিয়া, থাইলান্ড, বার্মা এরা, এখানিকার প্যারাসাইটে রেজিজট্যান্স আসবেই। অতএব মূল রাস্তা যত তাড়াতাড়ি পারা যায় ডিজিজ এলিমিনেশন।
  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:৫০446855
  • নিচের লিঙ্কটা দেখা যেতে পারে।১২ মিনিট পর থেকে।শেখর গুপ্তার ভিউ/বিশ্লেষণ আছে আই সি এম আর এর ভূমিকা নিয়ে।

  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:৪৭446854
  • এবড়োখেবড়ো | ০১ জুন ২০২০ ০০:৪৩446853
  • গুরুতে যিনি 'আইওয়াশ' শব্দটা কিছুক্ষণ আগে লিখেছেন লকডাউনের ব্যাপারে, সেটি এই দেশ সম্পর্কিত এবং তিনি এখানে পাতি ট্রোল কোনও দিনও করেননি এবং তাঁর এত বছরেও একটা পাসপোর্ট নেই এবং তিনি আপাতত তাঁর নিজের দেশটিকে নিয়েই চিন্তিত।

    একটি মন্তব্য করার পরে গুরুতে তার তিন লাইন ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে নাকি আজকাল? কী অপরাধে? গুরুতে লেখা? কেন সেটা ভাল লাগছে না? নাকি একচেটিয়া অধিকারে ভাগ বসানো মনে হচ্ছে?

  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:২৮446852
  • গুগল করলে কতো কিছুই জানা যায়!

    বলা হয়েছে  আর্টিমিসিনিন (১৯৭২) এর পর ম্যালারিয়া,স্পেশ্যাল ম্যালিগন্যান্ট ম্যালারিয়ার কি যুগান্তকারী ঔষধ বেরিয়েছে। সাল ও মেনশন করা হয়েছে।

    কিছু মেডিসিন এর লিস্ট এলো।দেখা যাক। প্রগুয়ানিল ১৯৪৫, পাইরি মেথামিন ১৯৫২, সালফাডক্সিন১৯৩২, লুমেফান্ট্রিন ১৯৬৭.কোনটা আর্টিমিসিনিণ ১৯৭২ এর পর আবিষ্কার হলো?

    আর্তিমিসিনিন ও প্রায় চল্লিশ বছরের ওপর হতে চললো আবিষ্কার হ।যদিও বাজার জাত হয়েছে অনেক পরে।

    আর্টিসুনেট,আর্টিমেথার এসবের ডেরিভটিভ।ঠিক ই তো।মূল ড্রাগ তো একটাই।

    আর টেফ্লকুইন বলে কোন ঔষধ নেই।টাফেনোকুইন আছে।কিন্তু সেটি তো ভাইভাকস এর রিলাপস কমাতে। যুগান্তকারী কিছু নয়।কারণ  বহু পুরনো ঔষধ প্রাইমাকুইন দিব্যি কাজ করে।

    আর ক্লোরকুইন রেজিস্ট্যান্স ওয়ালা ভাইভাক্স মালারিয়া তো হচ্ছে!

  • ডিলিট | 80.2.***.*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:২১446851
  • what 'can I' (কান আই)do
    কানাই কি করিতে পারে

  • সেবক | 80.2.***.*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:২১446850
  • what 'can I' (কান আই)do
    কানাই কি করিতে পারে

  • Antichaddi | 80.2.***.*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:১০446849
  • সহসা পেছনে দরজা খোলার শব্দে ঘোর থেকে বেরিয়ে এলেন ঠাকুর। ‘কে এলি, রিদে নাকি?’ উত্তর এল, ‘মিত্রোঁওওওও.... আমি নরেন।’ ঠাকুর: হ্যাঁ! (খানিকটা আঁতকে উঠলেন) নরেন এলি?
     

  • সৈকত বোস | 80.2.***.*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:০৫446848
  • ডামাডোল আর হইচইয়ের বাজারে অনেকেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছে - গত মাসের ছাব্বিশ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - সংক্ষেপে হু - তাঁদের ভ্যাক্সিন-বিষয়ক কমিটি - স্ট্র‍্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অফ এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন - সংক্ষেপে সেজ - তাঁরা জানালেন - এই মুহূর্তে প্রতিটি দেশের যাবতীয় ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম স্থগিত রাখা জরুরী। অর্থাৎ দেশজোড়া যে ভ্যাক্সিন প্রোগ্রাম, টীকাকরণ কর্মসূচী - আপাতত বন্ধ।

    গণ-টীকাকরণ কর্মসূচী চালু রাখতে গেলে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধরেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা - অতএব, আপাতত ওসব বন্ধ রাখাই ভালো - মতামত এমনই। করোনা না হয় থামানো গেল - কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের চোটে টীকা দিয়ে আটকানো যায়, সে অসুখগুলোর পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে??

  • বিদূষক | 185.5.***.*** | ০১ জুন ২০২০ ০০:০২446847
  • এর মধ্যে আবার খবর এলো চীনের কারখানায় শ্রমিকেরা দিনরাত খেটে 

    'বয়কট চীন ' লেখা টি শার্ট বানিয়ে চলেছে , জানে যে ভারত থেকে প্রচুর অর্ডার পাবে 

  • বিদূষক | 185.5.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:৫৯446846
  • ২৩ ৫৪ আইওয়াশ 

    জাস্ট চুমু কমেন্ট 

    হা হা 

  • আইওয়াশ | 2405:8100:8000:5ca1::123:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:৫৪446845
  • ১০০টির বেশি দেশ লকডাউন করেছে, সব আইওয়াশ, সব দেশ জালি। কেউ কিস্যু জানে না। জানেন একজন। তিনি গুরুতে লেখেন। গুরুর ভাগ্যি।
  • pi | 2409:4065:30a:c274:4d86:41e7:74ec:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:৪১446844
  • ডিসি, একেবারেই তাই।৷ মানে লকডাউনের মধ্যে এই শ্রমিকরা যেভাবে ছিলেন তাতে আরোই তাঁদের মধ্যে ছড়িয়েছে।

    এই পরিযায়ী শ্রমিক দিয়েই আরো ভাল বোঝা যাচ্ছে। চেন্নাই,মহাঃ থেকে আসা লোকজনের ২০-৩০% বা আরো বেশি পজিটিভ। এবার ভাবুন, ট্রেনে কী গাদাগাদি করে রসেছেন, আরো কত ছড়াবে। আর এখন এই প্রত্যন্ত ট্রাইবাল গ্রামগুলোয় ঢুকে গেল। এখন মনে হচছে এঁদের সবার ইন্সটিটিউশনাল কোয়ারান্টাইন হলে বেটার হত, কিছু রাজ্যে যেমন হচ্ছে? একটু আগে আমাকে ফোন করল, ম্যাডাম তাহলে পুরো এলাকায় ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং বন্ধ করে দি?

    টিবি র কাজ তো খুবই হ্যাম্পারড হচ্ছে। টিকাকরণ ও।
  • pi | 2409:4065:30a:c274:4d86:41e7:74ec:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:৩৪446843
  • বিশুদ্ধ আর্টেমেসিনিন শুধু আর ব্যবহার হয়না। আর্টেইথার আর্রটেমিথার এগুলো হয়। আর্টেসুনেট ইঞ্জেকশন। আর মোনোথেরাপি ব্যান হয়ে গেছে ২০ বছর হল। পার্টনার ড্রাগ লুমেফেন্ট্রিন বেরিয়েছে, তার সংগে দেওয়া হয় বা সাল্ফাডক্সিন পাইরামিথামিন। এই এস পি তে অনেক জায়গায় রেসিস্টান্স আসছে বলে সেটা ব্যান হয়ে লুমেফেন্ট্রিন, নর্থ ইস্টে এই কম্বিনেশন, সারা ভারত থেকে আলাদা। সারা দেশেও বদলাবে।

    ক'দিন আগেই এই ট্রায়াল শেষ হল , সাকসেসফুলি। ত্রিপুরাতেও একটা সাইট ছিল।
    https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(20)30552-3/ফুল্লতেক্সত
    https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(20)30552-3/ফুল্লতেক্সত

    https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(20)30552-3/fulltext

    প্রাইমাকুইনের বিকল্প টেফলোকুইন এসেছে।

    আরো অনেকগুলো ড্রাগ নিয়্র অনেক ট্রায়ালই চলছে। পাইপলাইনে বেশ কিছু আছে।
    ভ্যাক্সিন নিয়েও প্রচুর কাজ। সানারিয়ার টা অনেকদূর গেছে।

    NIH, গোটা পৃথিবী জুড়ে নানা দেশে দশবারোটা International Centre for Excellence in Malaria Research বানিয়ে রেখেছে, হুহা ফান্ডিং তাতে।

    এই কোভিডের জন্য যে আরেকটা ড্রাগ ভাল ল্যাব রেজাল্ট দিচ্ছে বলছে, আইভেরমেক্টিন, সেও ম্যালেরিয়ার জন্য কার্যকরী, বিশেষ করে ট্রান্সমিশন আটকাতে।

    আটোভাকুইনোন - প্রোগুয়ানিল আছে। এটার জন্য বিদেশের এক ভারতীয় বিজ্ঞানী, ডঃ অখিল বৈদ্যর বড়সড় অবদান আছে।

    এই সবই ফ্যালসিপেরাম নিয়ে বললাম।৷ ভাইভ্যাক্সের জন্য তো এখনো ক্লোরোকুইন ই দিব্বি কার্যকর। সেটাই সর্বত্র দেওয়া হয়।
  • এবড়োখেবড়ো | ৩১ মে ২০২০ ২৩:২৫446842
  • চিহ্ন, মন কি বাত কি আপনাকে শুনতে বললাম? ব্যক্তিগতভাবে নিলেন কেন? ও তো আম আদমি শুনবে। রামায়ণ-মহাভারতও তাই। তাঁরা যেহেতু ভগবান ভরসায় বাঁচেন, তাই সরকার তাঁদের জন্য সেই নিদানই দিয়েছে। সিম্পুল।

    লকডাউন যে আই-ওয়াশ ছাড়া কিছু নয় সেটা থালা বাজানোর দিন থেকেই মালুম পাওয়া গিয়েছিল। এই ফাঁকতালে সরকার তার পার্টি ফান্ডে পিএম-কেয়ারসের টাকা ভরে নিল।

    কী করিতে হইবে সেসব তারা আমার-আপনার থেকে ঢের ভালো জানেন। সেটাই করেছেন। এবার নতুন শ্রম আইন চালু হবে। ব্যাপক ছাঁটাই হবে। সুদের হার কমতেই থাকবে। তাতে সরকারের কী বা এসে গেল?

    হ্যাঁ, অনেক দিন পরে পাই এখানে লিখলেন এটা গুড সাইন।

  • dc | 103.195.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:১৭446841
  • পাই ম্যাডাম কথাটা তুললেন বলে বলি, চেন্নাইতে কোভিড ভয়ানক হারে ছড়াচ্ছে, একেবারে এক্সপোনেনশিয়াল রেটে। সবথেকে খারাপ ব্যপার হলো, যাঁরা ইকোনমিকালি চ্যালেঞ্জড তাঁদের মধ্যে সবথেকে বেশী ছড়াচ্ছে। সকারপেট, চুলাই, আয়নাভরম ইত্যাদি কিছু ঘনবসতি জায়গা আছে যেখানে ভয়ংকর ভাবে কোভিড ছড়াচ্ছে আর গরীবরা সবদিক থেকে, সবরকম ভাবে মার খাচ্ছেন।
  • PT | 116.193.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:১১446840
  • ম্যালেরিয়া বা টিবির ওষুধ বেচে লাভ নেই,..... তাই কোম্পানিরা interested নয়। ভারতীয় কোম্পানিরাই কিছু করেনা তো সাহেবদের কি দোষ?

    এদিকেঃ
    Coronavirus May Be a Blood Vessel Disease, Which Explains Everything

    “What we’re saying is that maybe the best antiviral therapy is not actually an antiviral therapy. The best therapy might actually be a drug that stabilizes the vascular endothelial. We’re building a drastically different concept.”
  • Pcl 06:19ff:0:52:9ab2 | 185.5.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:০৮446839
  • টিবি নিয়ে কথা হচ্ছে তাই প্রশ্ন 

    বছরভর টিবির ওষুধ খান যাঁরা, নিয়মিত ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে তো তাঁদের কাছে? যদি তাঁরা ওষুধ না খান - তাহলে অসুখ বেড়ে যেতে পারে তো বটেই, সাধারণ টিবি জটিল ধরণের টিবি-তে পরিণত হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এমডিআর টিবি, এমনকি এক্সটেন্ডেড স্পেক্ট্রাম ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এক্সডিআর টিবি বেড়ে চলেছে চারপাশে - এই বাজারে সংখ্যাটা বেড়ে গেলে??

    অথবা যাঁরা এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত? যাঁরা বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ সংগ্রহ করেন - তাঁরা সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র (অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি সেন্টার, সংক্ষেপে এআরটি সেন্টার) থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন তো নিয়মিত - লকডাউনের চোটে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে?

    এইডস-এর ওষুধ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কিছু মুশকিল আছে। যে দেশে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা করার কারণে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়িছাড়া করা হয় - সে দেশে পাড়ার লোক এইডসের খবর পেলে আক্রান্ত মানুষটির হাল সহজেই অনুমেয়। তাহলে??

  • Tii | 185.5.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:০৪446838
  • কম টেস্টিং-এর পেছনে মৌলিক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যখাতে কম খরেচ (জিডিপির মাত্র এক শতাংশ বা তারও কম), দুর্বল রোগ নজরদারি ব্যবস্থা, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব, উপযুক্ত পরীক্ষাগারের অমিল, এরকম অনেক কিছুই দায়ী। তবে এটাও বলা প্রয়োজন যে মিডিয়া থেকে সোশাল মিডিয়া সবেতেই যেভাবে গড় টেস্টিং কভারেজ (প্রতি মিলিয়নে বা হাজার জনে টেস্টিং এর খতিয়ান) নিয়ে হাহাকার উঠছে তা আসলে বাজার-অর্থনীতির চাহিদা, কিন্তু জনস্বাস্থ্যের আভিধান বহির্ভূত। জনস্বাস্থ্যের প্রেক্ষিতে যুক্তিসঙ্গত টেস্টিং এখনও পর্যন্ত ভারতের কাছে করোনা মোকাবিলার প্রধান কৌশল। ভারতের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যযুক্তি মাস-টেস্টিংকে সমর্থন করেনা বরং পপুলেশনের রিস্ক বিশ্লেষণ করে টেস্টিং রেশনিং নির্ধারণ করে। যেমন ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরুর দিকে দিল্লির তুলনায় কলকাতার মানুষ অনেকটাই কম রিস্ক জোনে ছিল। আবার কলকাতার তুলনায় গুয়াহাটির মানুষ ছিল আরও কম রিস্ক জোনে, কারন সমগ্র বিশ্ব তথা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ গুয়াহাটির মানুষের কলকাতা বা দিল্লির তুলনায় অনেকটাই কম। পরিস্থিতি অবশ্য অনেকটাই পাল্টেছে ইতিমধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলা এখন লাল, কমলা, সবুজ zone এ বিভক্ত । হটস্পট বা হাই রিস্ক zone এ ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগলক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকেও পরীক্ষার নির্দেশ এসেছে। rt-pcr পরীক্ষার পাশাপাশি rapid antibody টেস্টিং নিয়েও চলছে আলোচনা। সহজ কথায়, যতদিন না রোগের ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, টেস্টিং এখনও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র।এখন দেখার বিষয় যুক্তিসঙ্গত টেস্টিং কি দেশে আদৌ হচ্ছে।

  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:০০446837
  • ক্লোরো কুইন, মেফ্লো কুইন,কুইনাইন  আর তার বহু পরে অর্টিমিসিনিন(১৯৭২)।এগুলোর পর আর কি কি যুগান্তকারী ঔষধ বেরিয়েছে ম্যালেরিয়ার?স্পেশ্যাল ম্যালিগন্যান্ট মালারিয়ার?

    রিফামপিসিন  এ(১৯৬৫)পর কি যুগান্তকারী মেডিসিন এসেছে টিবির?

    ভ্যাকসিন এর কথা ছেড়েই দিলাম।

  • aka | 216.186.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২২:৫২446835
  • যেকোন ওষুধ যদি তা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সঠিক ওষুধ হিসেবে বিবেচিত না হয় তাহলে তা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতনই নিধান।

    আবেদন হল এইসব মেসেজে কান দেবেন না। ওষুধ খেলে ভাইরাসের থেকেও মারাত্মক এফেক্ট হতে পারে যতক্ষণ না সেটা প্রুভড আউট করা হচ্ছে সেফটি স্টাডির মাধ্যমে।
  • !@#$%^&* | 2405:201:8805:37c0:6d11:8d8d:688a:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২২:৫০446834
  • এবড়োখেবড়ো, আমি মন কি বাত শুনি না, ইচ্ছেও নেই।

    ম্যালেরিয়া গবেষণার কর্মযজ্ঞে নিয়ে তো বিশেষজ্ঞের বক্তব্যই পড়লেন, এরপর, আমার অন্তত কিছু বলার থাকে না। হতে পারে আরো বেশি ফান্ড দরকার, কিন্তু সেটা নিয়েও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।

    লকডাউন নিয়ে আপনার বক্তব্য আপনার স্যাটায়ারের আড়াল থেকে উদ্ধার করে ভালো করে বুঝতে পারলাম না।

    আমার মত হলো,
    •লকডাউন প্রয়োজনীয় ছিল।
    •লকডাউনের সাপেক্ষে সরকারের কিছু অবশ্যপালনীয় গুরুদায়িত্ব ছিল।
    •সেসব দায়িত্ব সরকার পালন করেনি, করার কোন ইচ্ছেও দেখায়নি।
    •এমন সময় লকডাউন তুলে ('শিথিল করে') দিল, যে লকডাউনের পুরো পারপাসটাই ফেল করলো। এর থেকে লকডাউন না করে জনগণের প্রতি তাদের মনোগত বাসনা, অর্থাৎ তোমরা বাঁচো কি মরো তাতে কিছু আসে যায় না - এইটা পরিষ্কার বলে দিলেই হতো।

    এবং আমার প্রস্তাব হলোঃ
    •যতদিন বিশেষজ্ঞরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় না বলেন যে লকডাউনের আর দরকার নেই, ততদিন লকডাউন চলবে
    •ততদিন সরকার যাঁদের দরকার তাঁদের খাওয়া পরা চিকিৎসা বাড়ি ফেরার ভার নেবে।
    •এইসব ফান্ড নানান অন্যান্য নানান খাতের বাজেট থেকে, কর্পোরেট ট্যাক্স বাড়িয়ে জোগাড় করা হবে।
  • pi | 2409:4065:30a:c274:4d86:41e7:74ec:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২২:৩৭446832
  • ম্যালেরিয়ার ভ্যাক্সিনের অন্য অনেক সমস্যা আছে। একেবারেই প্যারাসাইট বায়োলজির প্রতিবন্ধকতা। বহু ভাল ল্যাব বহু টাকা খরচ করে বহু দিন ধরে কাজ করে চলেছে। অনেক কিছু অনেক দূর এগিয়েওছে, লাস্ট ফেজে আছে। কিন্তু এর সমস্যা অন্য। বুঝিয়ে লিখতে গেলে অনেক সময় লাগবে।

    এসব গরীব লোকের রোগ বলে ফান্ডিং সমস্যআ অবশ্যই আছে কিন্তু সেজন্য বহু বিজ্ঞানীদের বহু কন্সর্টিয়াম গড়ে বহু আডভোকেসির এফর্ট ছিল, বহুদিনের। যা ফল দিয়েছে।৷ ও হ্যাঁ, গেটস ফাউন্ডেশন ও এখন ম্যালেরিয়া এলিমিনেশনের জন্য প্রচুর ফান্ড করে।

    এই কন্ট্রোল ভার্সেস এলিমিনেশন, কীকরে সরকার ও নানা ফান্ডিংং এজেন্সির কাছে দরবার করে বোঝাতে হবে কেন এলিমিনেশন দরকার, তার জন্য বেশি ফান্ড, তাও হেলথ ইকনমিক্স দিয়ে, হু থেকে হার্ভার্ড নানা হেলথ ইকন্মিস্ট ইনভলভড তাতে, সেই এডভোকেসি রীতিমত করে ফান্ড আনা হয়, তাই না, কর‍তে শেখানো হয়।
    NIH হপকিন্সের হেলথ পলিসি কোর্সে শেখানো হত। হার্ভার্ড বার্সিলোনা সুইস ট্রপিকাল ইন্সটিটিউট, লিডারস ফর ম্যালেরিয়া এলিমিনেশন তৈরি করার জন্য সায়েন্স অব এলিমিনেশন কোর্স করায়, আমি বার্সিলোনা, হার্ভার্ড দু'জায়গাতেই এটায় ছিলাম, এই আডভোকেসি করা শেখায়, সারা পৃথিবীতে কোথায় এতে কত ফান্ড যাচ্ছে, আরো কত কী চাওয়া হচ্ছে মোটামুটি জানা যায়।
    দেশ এলিমিনেশনে রাজি হয়ে গেলে সেই বাবদ ফান্ডে কার্পণ্য করতে পারবেনা, এটাই মোটামুটি দস্তুর। কারণ এলিমিনেশন আচিভ করতেই হবে।তার সার্টিফিকেট পেতে হবে হু র থেকে। অনেক চক্কর।
    তাই ফান্ডিংং নেই, এসব ঠিক ঠিক না।

    হ্যাঁ, এই কোভিডের মত আটেনশন পাচ্ছেনা। সেতো কিছুই পাচ্ছেনা। ক্যান্সারের রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে!
  • Pi | 2409:4065:30a:c274:4d86:41e7:74ec:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২২:১২446831
  • না লিখে আর পারা গেল না। ম্যালেরিয়া টিবি নিয়ে যথেষ্টই কাজ হচ্ছে।
    ম্যালেরিয়ার অনেক ভাল শস্তা ওষুধ আছে, আরো অনেক ওষুধ পাইপলাইনে। বিজ্ঞানীরা অনেক ফাইট দিয়ে এসব রিসার্চের অনেক ফান্ড আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে নিয়েছেন, তাই দিয়ে অনেকই কাজ হচ্ছে। বহু দেশেই এলিমিনেশন টার্গেট। এলিমিনেশন মানে দেশে ০ কেস। তারপর ইরাডিকেশন। টার্গেট মানে সিরিয়াস টার্গেট। ভারতে টিবির টার্গেট ২০২৫, ম্যালেরিয়ার ২০৩০। যদিও এমনিতেই এই টার্গেট বেশ ভালমতন দুরূহ ছিল, এখন এই কোভিডের ধাক্কায় তো ভালমতন পিছোল। যদিও উপরতলার নির্দেশ সব কাজই চালিয়ে যেতে হবে, কিছু নেগকেক্ট করা যাবেনা। কিন্তু প্রাক্টিকালি সেটা অসম্ভব। এই ম্যালেরিয়া টিবি স্ক্রিন করা এম্পিডাব্লু আশা সিএইচও এমটিএস রাই সারাদিন এখন, সারাদিন ও না, সারারাত সার্ভেলেন্স করছে, হাইওয়ের প্রতিটা গাড়ি, ট্রেন থেকে নামা প্রতিটা লোক, গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে থার্মাল স্ক্রিন, কোয়ারান্টাইন করা। এর মধ্যেই ম্যালেরিয়ার মাস স্ক্রিনিংং ছিল। সে বহু অঞ্চলে এম্নিই চাপের কাজ। লোকে ভোর থাকতে জংগলে চলে যান, হপ্তার পর হপ্তা ফেরেন না, এম্নিই ওঁদের ধরতে ভোর চারটে কি রাত সাতটা আটটা কি বাজার বার ধরে ধতে নিত্য নতুন পরিকল্পনা করতে হয়, আমি তো রাস্তার ধারে ধারে দোকানে বাজারব স্ক্রিনিং চালু করিয়েছিলাম, আর ভোর আর রাতে, তো সেসব কখন করবে লোকে।
    এক এক জায়গায় যেতেই কিমির পর কিমি হাঁটা। তার উপর তুমুল বৃষ্টি। বহু কাণ্ড কারখানা করে কাল এভাবে দেখে, ভাগ্যিস দেখা গেল, অন্তয় সময়ে হাস্পাতালে আনা গেছে নানা ঝনঝাটের পর, মহিলা বেঁচে গেলেন মনে হচেছে এযাত্রায় ফ্যালসিপেরাম থেকে।
    এবার এখুনি খবর পেলাম, সেসব ঘরে কাজ চলছে, যেখানে মশার ট্র‍্যাপ লাগান হয়েছে, তাতে চেন্নাই ফেরত এক্কন কোয়ারান্টাইনে ছিলেন, পজিটিভ। ঘরের লোকজন সহ বাকি অনেকের ম্যালেরিয়া স্ক্রিনিং হওয়ার কথা কাল পরশু। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে যাওভা এসব শুরু করা গেল (স্টাফেরা তো লকডাউন বলে আসতে পারবনা মোডেই ছিল, এসেনশিয়াল সার্ভিস হলে আর কি)
    এবার আর কী করব, ভাবতেও মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।৷ এখন এও দেখছি যে, পজিটিভের প্রাইমারি কন্ট্যাক্ট ছিলেন ড্রাইভার।৷ কাল যে আম্নুলেন্সে ম্যালেরিয়ার মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হল। সেই ড্রাইভার কিনা এখন খোঁজ চলছে। হলে আমার কতজন স্টাফ এবংং স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারান্টাইন যাবেন তাই শুধু না, এরপর নানা জায়গায় পেশেন্ট বা অন্য কাজে আনা নেওয়া করবেন কারা?

    মহারাষ্ট্র আর চেন্নাই থেকে আসা গাদা গাদা লোক পজিটিভ। এই ট্রেনে আসা কতজনকে কীভাবে ট্র‍্যক করবে? তার মধ্যে কোন ট্রেন কবে কখন আসবে কিছুর ঠিক নেই, লোকজন সারাদিন সারারাত ঝড়বৃষ্টি মাথায় না খেয়ে না দেয়ে স্টেশনে। স্ক্রিন করবে বলে। কদদিন টানবে আর এভাবে? এও মাইরি অমানুষিক ব্যাপার হচ্ছে একটা।

    এর আগেরটা তাও বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের উপর দিয়ে গেছে, শুধু সেখানেই প্রায় ২০০ জন পজিটিভ, সে নিয়ে যা গেল, কিন্তু ছড়ায়নি বাইরে। এবার?
    এই ট্রেনে আসা এতজনকে তো ইন্সটিটিউশানাল কোয়ারান্টাইন সম্ভবই না, হোমে দিচ্ছে। গ্রামের ঘরে সেটা স্মভব? একটাই ছোট্ট ঘর বেশিরভাগের!
    লোকে গ্রামে ঘোরাঘুরিও করেন। টয়লেট বলতে জংগল!
    স্বচ্ছ ভারতে যাওবা টয়লেট বানানো হয়েছে, তার সাইজ নয় বেখাপ্পা আর নয় গ্রামে জল্ই আসেনি! সব সার দিয়ে পড়ে! খালি বানাতে গিয়ে কিছু শহুরে লোকের পকেট ভারি হল।

    কিন্তু কথা হল, এবার কী হবে?

    গতবছর এখানে কত ডেংু, চিকেনগুনিয়া পেয়েছিলাম, এম্নিতে তো এই গাঁগঞ্জে এসব পরীক্ষাই হয়না। এবার জ্বর পেয়েও কিছুই পরীক্ষা করা যাচ্ছেনা, সেখানে খালিই কোভিড টেস্ট৷ তাদের দশাও আর বলার মত না। ১৬×৭ কোভিড পিসিয়ার করে যাচ্ছে! এদের কথা কেউ বলেই না!
    টিবি সার্ব্জেলেন্সের লোকজন এখন কোভিডে।৷ এরাই তো সেরোসার্ব্জেলেন্সভ করল। এখানের স্যাম্পল সব নেওয়া হয়ে গেছে, কবে রেজাল্ট আসে দেখা যাক।

    অন্যান্য অসুখ হলে কী দশা হচ্ছে, দেদি হাতে গরম টের পেল সেদিন।
  • এবড়োখেবড়ো | ৩১ মে ২০২০ ২২:০৩446830
  • @অসংখ্য চিহ্ন, টিবিতে এত এত চিকিচ্ছের পরেও এ দেশে প্রতি বছর মারা যান প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ।

    আর করোনার ব্যবসা করবেন বলে বিল গেটস কত টাকা ঢালছেন সেটা একবার খোঁজ নিন। আতঙ্ক জিইয়ে রাখতে না পারলে ব্যবসা হবে কোদ্দিয়ে?

    লকডাউনের নাম করে যেটা হল সেটা গোটা পৃথিবীতে হয়নি এক আমার দেশ ছাড়া। এর পরেও যেটা হতে চলেছে সেটাও গোটা পৃথিবীতে হবে না এক আমার দেশ ছাড়া। কতদিন মানুষ হাত ধোবেন আর মুখোশ পবেন আর দূরত্ব বজায় রাখবেন? তাই বড়লোকরা যাবেন হোটেল-শপিং মলে, ছোটলোকরা মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বারে।

    মিছা কেন চ্যাঁচ্যামেচি? উপায় তো বাতলে দিছি। মন কি বাত শুনুন মনোযোগ দিয়ে। আর টিভিতে রামায়ণ-মহাভারত। 

  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২১:৪৯446829
  • খুব ই গুরুত্ব পূর্ণ কথা।যেমন টিবি।এটি আমাদের দেশে ইমপোর্ট করেছে,সাহেবেরা।এখন আমরা ওকে সযত্নে লালিত করছি।

    ম্যালেরিয়া ট্রপিক্যাল ডিজিজ।আমাদের দেশের চিরসঙ্গী। কুইনিন এর পর দীর্ঘসময় কিছুই উন্নতি হয় নি। কয়েক্ বছর আগে চাইনিজ হার্বাল আর্টিমিসিনিন এসে খাদ থেকে উদ্ধার করেছে।

    এখন ও এই শতাব্দী প্রাচীন রোগ দুটির সেরকম কার্যকরী ভ্যাকসিন(বিসিজি বাদ দিয়ে) আবিষ্কার হয় নি।কারণ জায়ান্ট ফার্মা গুলির নজর কম।গরীবের দেশের রোগ।তাই অনুদান ই ভরসা।

    ওদিকে প্রেসার ,হার্ট ডিজিজ, ডাইবিটিস, এন্টি ওবিসিটি,সাইকিয়াট্রি বিভাগের নিত্য নতুন ওষুধ বেরোচ্ছে।ফার্মা কোম্পানী গুলো বীলিয়ন,বিলিওন,ডলার ঢেলে দিচ্ছে। এসব একধরনের হৃদয় হীন মাফিয়া দ্বারা চালিত হয়।

  • !@#$%^& | 2405:201:8805:37c0:6d11:8d8d:688a:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২১:২২446828
  • আচ্ছা, আমার আগের পোস্টে ...'টিবি, ম্যালেরিয়া এসব নিয়ে দেশ বিদেশে অনেক সিরিয়াস কাজ হয়েই চলেছে, সেটা তো আমরা সবাই বোধয় জানি'... এই জায়গাটা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, এই সেন্সে যে যতটা হওয়া উচিত ততটা হচ্ছে না। হ্যাঁ, সেটা মানছি।
  • !@#$%^& | 2405:201:8805:37c0:6d11:8d8d:688a:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২১:১৮446827
  • হ্যাঁ; সে তো ঠিকই, ওটা আমিও মানি এখন ওগুলো গরীবের রোগই। তবে চিরকাল এমন ছিল না, ধরুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোং এর লোকজন থেকে সেকেন্দার শাহ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় ফৌত হলেন, ওদিকে কিটস সাহেবের হলো টিবি। এবার ঐ যুগে ফান্ডিং টান্ডিংএর ব্যাপার অন্যরকম ছিল, সেটা অন্য কথা। কিন্তু যাঁরা অ্যাফোর্ড করতে পারেন তাঁরা ঐসব রোগ মোটামুটি এড়াতে পেরেছেন, অনেকটা লাইফস্টাইল, পরিবেশ।
    তো, এই হঐচৈএর বাজারে কোভিডের একটা হিল্লে হয়ে গেলে একরকম। নাহলে যাদের প্রিভিলেজ আছে তারা দূরত্ব, টেকনোলজি, স্যানিটাইজার ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ঐসব করে নিজেদের ব্যাবস্থা করে নেবে, এবং কোভিড গবেষণা নিয়েও ফান্ডিংএর এরকমই সমস্যা হবে।
    (পুরো ব্যাপারটাই 'হয়তো', অবশ্যই। তবে সমাজের একশ্রেণীর মানুষ সংক্রমণ এড়ানোর মেজার্স নিতে পারবে, আরেক শ্রেণী নিতে পারবে না, সেটা বাস্তব।)
  • sm | 2402:3a80:a06:19ff:0:52:9ab2:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২০:৫৮446826
  • বিভিন্ন চিহ্ন।আপনার পোস্ট টি খুব ভালো লাগলো,কিন্তু সামান্য ত্রুটি আছে।ম্যালেরিয়া,টিবি গরীবের রোগ বটে।সেই জন্য ফার্মা জায়ান্টরা ইনভেস্ট ও কম করে।রিসার্চ ও কম হয়।ফলত নতুন ঔষধ এই সব রোগে কম বেরিয়েছে।

    বিল গেটস ফাউন্ডেশন বেশ কিছু টাকা দান করেছে।সেই হেতু রিসার্চ কাজ ও(মূলত ভ্যাকসিন)কিছুটা এগুচ্ছে।

    কিন্তু ...

  • !@#$%^&* | 2405:201:8805:37c0:6d11:8d8d:688a:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ২০:৩৩446825
  • এবড়োখেবড়োর ৩১ মে ২০২০ ১৫:৫৭ দেখে মনে হলো। যেকোন রোগেই সমস্যায় বেশি পড়েন গরীব লোকেরা। টিবি ইত্যাদির সঙ্গে পুষ্টি ব্যাপারটার যোগ আছে। আগে রোমান্টিক সিনেমার নায়কদের টিবি হতো, এখন কালক্রমে গরীবের রোগ হয়েছে। ম্যালেরিয়া, গরীব লোকেদের পক্ষে যেহেতু স্বাস্থ্যকর পরিবেশ অ্যাফোর্ড করা তত সহজ না তাই এটা হয়েছে। নাহলে আগে অনেক সাহেবসুবো মারা গেছেন এতে। তো, চিন্তা নেই, করোনাও কালে গরীবের রোগই হবে, কারন দূরত্ব রাখা, সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা - সেসবও প্রিভিলেজের ব্যাপার। সেটা হতে না দিতে চাইলে এখন প্যানিক বা সচেতনতা যাই বলুন, উপেক্ষা না করা, গরীবের জন্যেও ভালো। শুরুটা প্রিভিলেজড শ্রেণীর থেকে হয়েছিল মোটামুটিভাবে বলা যায়, কিন্তু এখন আর সে ব্যাপার নেই।
    আর এত চার্ট গ্রাফ হৈহৈ হওয়ার কারন রোগটির অচেনা প্রকৃতি, দ্রুত সংক্রমণ ইত্যাদি। টিবি, ম্যালেরিয়া এসব নিয়ে দেশ বিদেশে অনেক সিরিয়াস কাজ হয়েই চলেছে, সেটা তো আমরা সবাই বোধয় জানি। করোনাঘটিত অব্যবস্থায় সেসব হয়তো ব্যাহত হলো, জানি না, বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন।

    লকডাউন তোলা অত্যন্ত খারাপ কাজ হচ্ছে, সরকারের দায়িত্ব ছিল লকডাউন চালু রেখে মানুষের খাদ্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, দূরের মানুষকে ঘরে ফেরানো। সরকার সেসব কিছুই করলো না, লকডাউনের নামে একটা ফার্স হলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত