নিচের লিঙ্কটা দেখা যেতে পারে।১২ মিনিট পর থেকে।শেখর গুপ্তার ভিউ/বিশ্লেষণ আছে আই সি এম আর এর ভূমিকা নিয়ে।
গুরুতে যিনি 'আইওয়াশ' শব্দটা কিছুক্ষণ আগে লিখেছেন লকডাউনের ব্যাপারে, সেটি এই দেশ সম্পর্কিত এবং তিনি এখানে পাতি ট্রোল কোনও দিনও করেননি এবং তাঁর এত বছরেও একটা পাসপোর্ট নেই এবং তিনি আপাতত তাঁর নিজের দেশটিকে নিয়েই চিন্তিত।
একটি মন্তব্য করার পরে গুরুতে তার তিন লাইন ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে নাকি আজকাল? কী অপরাধে? গুরুতে লেখা? কেন সেটা ভাল লাগছে না? নাকি একচেটিয়া অধিকারে ভাগ বসানো মনে হচ্ছে?
গুগল করলে কতো কিছুই জানা যায়!
বলা হয়েছে আর্টিমিসিনিন (১৯৭২) এর পর ম্যালারিয়া,স্পেশ্যাল ম্যালিগন্যান্ট ম্যালারিয়ার কি যুগান্তকারী ঔষধ বেরিয়েছে। সাল ও মেনশন করা হয়েছে।
কিছু মেডিসিন এর লিস্ট এলো।দেখা যাক। প্রগুয়ানিল ১৯৪৫, পাইরি মেথামিন ১৯৫২, সালফাডক্সিন১৯৩২, লুমেফান্ট্রিন ১৯৬৭.কোনটা আর্টিমিসিনিণ ১৯৭২ এর পর আবিষ্কার হলো?
আর্তিমিসিনিন ও প্রায় চল্লিশ বছরের ওপর হতে চললো আবিষ্কার হ।যদিও বাজার জাত হয়েছে অনেক পরে।
আর্টিসুনেট,আর্টিমেথার এসবের ডেরিভটিভ।ঠিক ই তো।মূল ড্রাগ তো একটাই।
আর টেফ্লকুইন বলে কোন ঔষধ নেই।টাফেনোকুইন আছে।কিন্তু সেটি তো ভাইভাকস এর রিলাপস কমাতে। যুগান্তকারী কিছু নয়।কারণ বহু পুরনো ঔষধ প্রাইমাকুইন দিব্যি কাজ করে।
আর ক্লোরকুইন রেজিস্ট্যান্স ওয়ালা ভাইভাক্স মালারিয়া তো হচ্ছে!
what 'can I' (কান আই)do
কানাই কি করিতে পারে
what 'can I' (কান আই)do
কানাই কি করিতে পারে
সহসা পেছনে দরজা খোলার শব্দে ঘোর থেকে বেরিয়ে এলেন ঠাকুর। ‘কে এলি, রিদে নাকি?’ উত্তর এল, ‘মিত্রোঁওওওও.... আমি নরেন।’ ঠাকুর: হ্যাঁ! (খানিকটা আঁতকে উঠলেন) নরেন এলি?
ডামাডোল আর হইচইয়ের বাজারে অনেকেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছে - গত মাসের ছাব্বিশ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - সংক্ষেপে হু - তাঁদের ভ্যাক্সিন-বিষয়ক কমিটি - স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি কমিটি অফ এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন - সংক্ষেপে সেজ - তাঁরা জানালেন - এই মুহূর্তে প্রতিটি দেশের যাবতীয় ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম স্থগিত রাখা জরুরী। অর্থাৎ দেশজোড়া যে ভ্যাক্সিন প্রোগ্রাম, টীকাকরণ কর্মসূচী - আপাতত বন্ধ।
গণ-টীকাকরণ কর্মসূচী চালু রাখতে গেলে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধরেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা - অতএব, আপাতত ওসব বন্ধ রাখাই ভালো - মতামত এমনই। করোনা না হয় থামানো গেল - কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের চোটে টীকা দিয়ে আটকানো যায়, সে অসুখগুলোর পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে??
এর মধ্যে আবার খবর এলো চীনের কারখানায় শ্রমিকেরা দিনরাত খেটে
'বয়কট চীন ' লেখা টি শার্ট বানিয়ে চলেছে , জানে যে ভারত থেকে প্রচুর অর্ডার পাবে
২৩ ৫৪ আইওয়াশ
জাস্ট চুমু কমেন্ট
হা হা
চিহ্ন, মন কি বাত কি আপনাকে শুনতে বললাম? ব্যক্তিগতভাবে নিলেন কেন? ও তো আম আদমি শুনবে। রামায়ণ-মহাভারতও তাই। তাঁরা যেহেতু ভগবান ভরসায় বাঁচেন, তাই সরকার তাঁদের জন্য সেই নিদানই দিয়েছে। সিম্পুল।
লকডাউন যে আই-ওয়াশ ছাড়া কিছু নয় সেটা থালা বাজানোর দিন থেকেই মালুম পাওয়া গিয়েছিল। এই ফাঁকতালে সরকার তার পার্টি ফান্ডে পিএম-কেয়ারসের টাকা ভরে নিল।
কী করিতে হইবে সেসব তারা আমার-আপনার থেকে ঢের ভালো জানেন। সেটাই করেছেন। এবার নতুন শ্রম আইন চালু হবে। ব্যাপক ছাঁটাই হবে। সুদের হার কমতেই থাকবে। তাতে সরকারের কী বা এসে গেল?
হ্যাঁ, অনেক দিন পরে পাই এখানে লিখলেন এটা গুড সাইন।
টিবি নিয়ে কথা হচ্ছে তাই প্রশ্ন
বছরভর টিবির ওষুধ খান যাঁরা, নিয়মিত ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে তো তাঁদের কাছে? যদি তাঁরা ওষুধ না খান - তাহলে অসুখ বেড়ে যেতে পারে তো বটেই, সাধারণ টিবি জটিল ধরণের টিবি-তে পরিণত হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এমডিআর টিবি, এমনকি এক্সটেন্ডেড স্পেক্ট্রাম ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টিবি বা এক্সডিআর টিবি বেড়ে চলেছে চারপাশে - এই বাজারে সংখ্যাটা বেড়ে গেলে??
অথবা যাঁরা এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত? যাঁরা বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ সংগ্রহ করেন - তাঁরা সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র (অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি সেন্টার, সংক্ষেপে এআরটি সেন্টার) থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন তো নিয়মিত - লকডাউনের চোটে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে?
এইডস-এর ওষুধ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কিছু মুশকিল আছে। যে দেশে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা করার কারণে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়িছাড়া করা হয় - সে দেশে পাড়ার লোক এইডসের খবর পেলে আক্রান্ত মানুষটির হাল সহজেই অনুমেয়। তাহলে??
কম টেস্টিং-এর পেছনে মৌলিক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যখাতে কম খরেচ (জিডিপির মাত্র এক শতাংশ বা তারও কম), দুর্বল রোগ নজরদারি ব্যবস্থা, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব, উপযুক্ত পরীক্ষাগারের অমিল, এরকম অনেক কিছুই দায়ী। তবে এটাও বলা প্রয়োজন যে মিডিয়া থেকে সোশাল মিডিয়া সবেতেই যেভাবে গড় টেস্টিং কভারেজ (প্রতি মিলিয়নে বা হাজার জনে টেস্টিং এর খতিয়ান) নিয়ে হাহাকার উঠছে তা আসলে বাজার-অর্থনীতির চাহিদা, কিন্তু জনস্বাস্থ্যের আভিধান বহির্ভূত। জনস্বাস্থ্যের প্রেক্ষিতে যুক্তিসঙ্গত টেস্টিং এখনও পর্যন্ত ভারতের কাছে করোনা মোকাবিলার প্রধান কৌশল। ভারতের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যযুক্তি মাস-টেস্টিংকে সমর্থন করেনা বরং পপুলেশনের রিস্ক বিশ্লেষণ করে টেস্টিং রেশনিং নির্ধারণ করে। যেমন ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরুর দিকে দিল্লির তুলনায় কলকাতার মানুষ অনেকটাই কম রিস্ক জোনে ছিল। আবার কলকাতার তুলনায় গুয়াহাটির মানুষ ছিল আরও কম রিস্ক জোনে, কারন সমগ্র বিশ্ব তথা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ গুয়াহাটির মানুষের কলকাতা বা দিল্লির তুলনায় অনেকটাই কম। পরিস্থিতি অবশ্য অনেকটাই পাল্টেছে ইতিমধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলা এখন লাল, কমলা, সবুজ zone এ বিভক্ত । হটস্পট বা হাই রিস্ক zone এ ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগলক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকেও পরীক্ষার নির্দেশ এসেছে। rt-pcr পরীক্ষার পাশাপাশি rapid antibody টেস্টিং নিয়েও চলছে আলোচনা। সহজ কথায়, যতদিন না রোগের ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, টেস্টিং এখনও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র।এখন দেখার বিষয় যুক্তিসঙ্গত টেস্টিং কি দেশে আদৌ হচ্ছে।
ক্লোরো কুইন, মেফ্লো কুইন,কুইনাইন আর তার বহু পরে অর্টিমিসিনিন(১৯৭২)।এগুলোর পর আর কি কি যুগান্তকারী ঔষধ বেরিয়েছে ম্যালেরিয়ার?স্পেশ্যাল ম্যালিগন্যান্ট মালারিয়ার?
রিফামপিসিন এ(১৯৬৫)পর কি যুগান্তকারী মেডিসিন এসেছে টিবির?
ভ্যাকসিন এর কথা ছেড়েই দিলাম।
@অসংখ্য চিহ্ন, টিবিতে এত এত চিকিচ্ছের পরেও এ দেশে প্রতি বছর মারা যান প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ।
আর করোনার ব্যবসা করবেন বলে বিল গেটস কত টাকা ঢালছেন সেটা একবার খোঁজ নিন। আতঙ্ক জিইয়ে রাখতে না পারলে ব্যবসা হবে কোদ্দিয়ে?
লকডাউনের নাম করে যেটা হল সেটা গোটা পৃথিবীতে হয়নি এক আমার দেশ ছাড়া। এর পরেও যেটা হতে চলেছে সেটাও গোটা পৃথিবীতে হবে না এক আমার দেশ ছাড়া। কতদিন মানুষ হাত ধোবেন আর মুখোশ পবেন আর দূরত্ব বজায় রাখবেন? তাই বড়লোকরা যাবেন হোটেল-শপিং মলে, ছোটলোকরা মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বারে।
মিছা কেন চ্যাঁচ্যামেচি? উপায় তো বাতলে দিছি। মন কি বাত শুনুন মনোযোগ দিয়ে। আর টিভিতে রামায়ণ-মহাভারত।
খুব ই গুরুত্ব পূর্ণ কথা।যেমন টিবি।এটি আমাদের দেশে ইমপোর্ট করেছে,সাহেবেরা।এখন আমরা ওকে সযত্নে লালিত করছি।
ম্যালেরিয়া ট্রপিক্যাল ডিজিজ।আমাদের দেশের চিরসঙ্গী। কুইনিন এর পর দীর্ঘসময় কিছুই উন্নতি হয় নি। কয়েক্ বছর আগে চাইনিজ হার্বাল আর্টিমিসিনিন এসে খাদ থেকে উদ্ধার করেছে।
এখন ও এই শতাব্দী প্রাচীন রোগ দুটির সেরকম কার্যকরী ভ্যাকসিন(বিসিজি বাদ দিয়ে) আবিষ্কার হয় নি।কারণ জায়ান্ট ফার্মা গুলির নজর কম।গরীবের দেশের রোগ।তাই অনুদান ই ভরসা।
ওদিকে প্রেসার ,হার্ট ডিজিজ, ডাইবিটিস, এন্টি ওবিসিটি,সাইকিয়াট্রি বিভাগের নিত্য নতুন ওষুধ বেরোচ্ছে।ফার্মা কোম্পানী গুলো বীলিয়ন,বিলিওন,ডলার ঢেলে দিচ্ছে। এসব একধরনের হৃদয় হীন মাফিয়া দ্বারা চালিত হয়।
বিভিন্ন চিহ্ন।আপনার পোস্ট টি খুব ভালো লাগলো,কিন্তু সামান্য ত্রুটি আছে।ম্যালেরিয়া,টিবি গরীবের রোগ বটে।সেই জন্য ফার্মা জায়ান্টরা ইনভেস্ট ও কম করে।রিসার্চ ও কম হয়।ফলত নতুন ঔষধ এই সব রোগে কম বেরিয়েছে।
বিল গেটস ফাউন্ডেশন বেশ কিছু টাকা দান করেছে।সেই হেতু রিসার্চ কাজ ও(মূলত ভ্যাকসিন)কিছুটা এগুচ্ছে।
কিন্তু ...