অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের মোকাবিলায় রাজ্যকে অগ্রিম ১ হাজার কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী । পাশাপাশি তিনি মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা অর্থসাহায্যের ঘোষণাও করেন। এই ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি আম্ফান ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে রাজ্যে আসেন মোদি। আকাশপথে এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালসহ দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যালোচনা করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও।
বুঝভুম্বুল | 27.4.101.192 | ২২ মে ২০২০ ২৩:২৩446212
আপুনী হামাকে খিস্তি করবেন ?
একটা ছোটোখাটো সাইট এ লিখা র জন্যে আপুনি এতো উপরে উঠবেন ?
আপুনার কি দিল এ আঘাত লাগবেনা ?
রাম ভারোসা
এসব প্রচার জানার জন্যে তো গুরুতে আসার দরকার নেই, চোখকান খোলা রাখলে এমনিতেই চারদিকে। অ্যান্টিচাড্ডি হলে যেখান থেকে আসে সেখানেই বলা যায়, চারদিকে ছড়ানোর মানে হয় না।
স্প্যাম পোস্ট দেখলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলাম। সম্পাদক বা অ্যাডমিন বা কর্তৃপক্ষ বা কোর কমিটির ওপর ভরসা রাখছি।
তো আপনি ইর্রিটেটেড হবেন না , ক্রিকেট খেলা , টিভি তে নিউস সবেতেই তো আজকাল ফালতু এড দেখায় , আপনি নিজের বক্তব্যে স্থির থাকলে আপনাকে irritate করবে কোন ইয়ে তে ?
ভিন্ন মতামত তো দেওয়াই যাবে। কিন্তু ভাটে এসে অন্য চাট্টি কথার মাঝে একটা সাইট বা পোর্টাল থেকে একটা নিউজ কপি পেস্ট করে যাওয়াটা তো একধরণের ট্রোলিং। ইরিটেট করার জন্যই করা। সেগুলো না করে বিতর্ক করলে এত কিছু বলার ছিল না।
কিন্তু পিনাকীদা
গুচ তে ভিন্ন মতবাদ পোষণ করা লেখা দেওয়া যাবেনা এরকম তো কোনো নিয়ম নেই
এরকম তো নয় যে চাড্ডি রা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি তে হামলা করছে
আমরা যেটা ভাবছি , চাড্ডি দল ও ওদিক থেকে সেই এক ই কথা ভাবছেন না ?
এটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি না হলে ওদের ও নয়
ভিন্ন মতামত পাশাপাশি থাকুক না কেন ?
মুশকিলটা হল, পালিয়ে কোনো লাভ আছে কি? এরা সংগঠিত। একজনকে কিছু বললে আরও পাঁচজনকে ডেকে আনে। আর আমরা জমি ছেড়ে নিজেদের পছন্দের ঘেরাটোপে ঢুকে যাই। এই করে সমস্ত পাবলিক স্পেসই দখল হয়ে গেছে। জাস্ট ট্রোল করে আর অ্যাবিউজ করে। আর আমরা সামান্য মতের অমিল হলেই উল্টোদিকের প্ল্যাটফর্মগুলোকে ভেঙেছি। আমাদের স্পিরিটটা সবসময়েই থেকেছে কেবল নিজেদের পছন্দের লোকেদের নিয়ে ছোটো ছোটো ব্যক্তিগত সেফ স্পেস তৈরী করা। আর এরা ক্রমশ সেগুলোতেও ঢুকে পড়েছে। কোথায় পালাবেন? হোয়াটসঅ্যাপে? নিজেদের স্কুলের গ্রুপে এদের বাদ দিয়ে চলতে পারবেন? বা কলেজের? বা অফিসের? বা হাউজিংএর? অতএব যেখানে বদমায়েসি, ট্রোলিং দেখবেন, পাল্টা দিন। ময়দান ছাড়বেন না।
'আমপান' রিলিফ ফান্ড -- ঘোষণা
-----------------------------
ঘূর্ণিঝড় 'আমপান' দক্ষিণবঙ্গের এক ব্যাপক অংশকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়ে গেছে। কারও কারও মতে বিগত ৩০০ বছরে এত বড় ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি বাংলা। এখনও বহু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, খাবার নেই, মাথার ওপর ছাদটুকুও নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু হয়নি অধিকাংশ জায়্গাতেই। তাই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক আন্দাজ এখনও পাওয়া যায়নি। যেটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সুন্দরবনসহ বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আয়লাকেও ছাপিয়ে যাবে বলেই সকলে মনে করছেন। কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনের ফলে বাংলার প্রান্তিক মানুষ ইতিমধ্যেই চরম আর্থিক সংকটে ছিলেন। যেসব পরিযায়ী শ্রমিক সদ্য বাড়ি ফিরেছেন, তাঁরা কপর্দকশূন্য। এর মধ্যে এই ঝড় তাঁদের অনেকের মাথার ওপরের ছাদটুকুও কেড়ে নিল। এই ক্ষত সহজে নিরাময় হওয়ার নয়।
এই ক্ষত বুকে নিয়েই আগামী দিনগুলোয় ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে সামিল হবে আমাদের রাজ্য। সরকারের পাশাপাশি এই কাজে সাধ্যমত হাত লাগাতে হবে আমাদের সবাইকেই। লকডাউন পর্যায়ে ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি অনেক ব্যক্তি এবং সংগঠন তাঁদের সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে কোথাও কমিউনিটি কিচেন চালিয়ে, কোথাও স্যানিটাইজার পৌঁছে দিয়ে, কোথাও পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে নিরলস কাজ করে চলছিলেন। যাঁরা সরাসরি কিছু করতে পারছিলেন না, তাঁরা নানাভাবে টাকা তুলে পৌঁছে দিচ্ছিলেন এই সমস্ত উদ্যোগগুলির হাতে। আমরাও আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এই প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছিলাম। কিছু অর্থসংগ্রহের মাধ্যমে কয়েকজনকে সাময়িক বিকল্প রুজি রোজগারের বন্দোবস্ত করতে শুরু করেছিলাম আমরা।
অনেকেই এই সমস্ত উদ্যোগগুলো বিগত একমাসেরও বেশি সময় ধরে নিতে নিতে ক্লান্ত। অনেকেই তাঁদের সাধ্যমত আর্থিক সাহায্যও হয়ত ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। তবু আজ এই 'আমপান'-এর ধ্বংসলীলার পরে এমন একটা অবস্থায় আমরা এসে দাঁড়িয়েছি যে সম্পূর্ণ নতূন উদ্যমে যদি এই ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারি, বাংলা এই দ্বিমুখী আঘাত সয়ে উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
তাই এই পরিস্থিতিতে আরও একবার আপনাদের কাছে ফান্ড কালেকশনের আবেদন আমাদের রাখতে হচ্ছে। অনেকেই রাজ্য সরকারের ফান্ডে টাকা দেবেন। তাঁদের নিরুৎসাহ করার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে একা রাজ্য সরকারের পক্ষে যাবতীয় সদিচ্ছা সত্ত্বেও পৌঁছে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তার পরিপূরক হিসেবে (এবং কখনও একসাথেই) বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগের প্রয়োজন থেকেই যাবে। এরকমই কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি, যাঁরা মূলত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে সরাসরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মেডিক্যাল টীম নিয়ে পৌঁছে যাবেন। কথা চলছে একটি রিলিফ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার। এগুলি যেমন যেমন এগোতে থাকবে, আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
আপাতত টাকা পাঠনোর জন্য আমাদের অ্যাকাউন্ট ইনফো নিচে দেওয়া হলঃ
Account name: Guruchandali
Current account
A/c no: 917020025670638
IFSC code: UTIB0000011
Axis bank, Golpark
জি-পে বা পেটিএম - ইত্যাদির জন্যঃ
+919830415443
।। বঞ্চনার একডজন ।।
১. কেন উনি প্লেনে করে এলেন? পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রাণ হাতে নিয়ে হাঁটছেন।
২. হেলিকপ্টার করে এরিয়াল ভিউ দেখলে হবে? কেন কাদা জলে হাফ প্যান্ট আর গায়ে গামছা বেঁধে নামেননি? কান্তিবাবু তো নামেন।
৩. এত টাকার তেল পুড়িয়ে আসার কি দরকার? ওই টাকায় ভাত দিলেই তো হতো!
৪. সশরীরে কেন আসতে হল? বাঙালির দেওয়া ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান বিশ্বাস হয়না? বাংলা মিথ্যে কথা বলছে?
৫. কেন কাল এলেন না? একদিন দেরি করে আসতে লজ্জা করে না ?
৬. ট্যুইট করতে তেইশ ঘন্টা সময় নিলেন কেন?
৭. প্যাটেলের আখাম্বা স্ট্যাচু বানাতে তিন হাজার কোটি, নিজের বিদেশ সফরে দু হাজার কোটি, বিজ্ঞাপনের খরচ পাঁচ হাজার কোটি, আর বাংলার বরাতে মাত্র একহাজার কোটি? বাঙালি কি ভিখিরি?
৮. রাজ্যের হকের টাকা পঞ্চাশ হাজার কোটি কোথায়?
৯. আমফানের বিপর্যয় দেখতে এসেছেন, না ২০২১এর পাবলিসিটি করতে? বাঙালিকে **(censored) পেয়েছেন?
১০. জগদীপ ধনখড়ের মতো আড়কাঠি রাজ্যপাল পোষার পরেও নিজেকে আসতে হচ্ছে কেন? রাজভবন তুলে দিয়ে দুর্গতদের অস্থায়ী শেল্টার বানানো হোক।
১১. জাতীয় বিপর্যয় ঘোষনা করার মত ধক নেই, আবার ছাপ্পান্ন ইঞ্চির আস্ফালন।
১২. এতগুলি ন্যাশনাল মিডিয়া, এণ্ডিটিভি ছাড়া কেউ আমফানের কথা মুখেও আনলো না? কার অঙ্গুলি হেলনে? বাঙালি মনে রাখবে। ইয়ে বঞ্চনা ইয়াদ রাখা জায়েগা।
এই সাইটটায় কবে থেকে আসছি মনেও নেই তবে সাকুল্যে দশ লাইনও বোধহয় লিখিনি আজ অব্ধি। তাতে কোনো অসুবিধে হয়নি, নিজের বা অন্যের।
বিভিন্ন কারণে ফেবু গ্রুপ থেকে চুপচাপ কেটে পড়েছি, বলা ভালো পালিয়ে এসেছি। এখানেও মনে হচ্ছে থাকা যাবে না বেশিদিন, কিন্তু একটা কথা, এখান থেকে যাবার আগে প্রাণ খুলে খিস্তি মেরে তবেই বেরোবো। মন্ত্রীকে পেন্নাম ঠোকানো এসব দৃশ্যগামী না বাল্বিচী যারা আসছে তাদের খিস্তি মারতে গেলে কোনো পলিটিকাল কারেক্টনেসের ধার আর ধারবো না। যুক্তি দিয়ে যুক্তিশীলদের সঙ্গে তর্ক করা যায়, গণ্ডারের সঙ্গে কথা বলা যায়? মতবিরোধ এক জিনিস, এখানে তো কোর চিন্তাই গোবরখেকো।
অ্যাডমিন, এখানে কতদূর পর্যন্ত খিস্তি অ্যালাউড? তার বেশি দিয়েই শুরু করবো একদম, লাথি খেলে খাবো। যদি প্রশ্ন করেন কীভাবে করা যায়, আমি জানি না, কিন্তু এগুলোকে ভাগানো দরকার, এক্ষুনি, এই মূহুর্তে।
বিপ্লবী বাম প্রথমদিন করোনা আটকাতে রাষ্ট্র কী ছিঁড়িতেছে বলিয়া লম্বা হ্যাজ নামান!
দ্বিতীয় দিন, হোম মেড চিলি চিকেন, ইয়াম্মি বলিয়া ফেসবুক পোস্ট করে আড়াইশো লাইক সংগ্রহ করিয়া নেন!
বিপ্লবী বাম কলকাতার বাইরে বাংলা বলতে বোঝেন , দার্জিলিং আর শান্তিনিকেতন। আর জানেন, মালদা মানে আম, বর্ধমান মানে সীতাভোগ ,মিহিদানা, কৃষ্ণনগর মানে সরপুরিয়া , সরভাজা, গোপাল ভাঁড়, কৃষ্ণচন্দ্র আর মুর্শিদাবাদ মানে নবাবি আমল ...!
বিপ্লবী বাম চোস্ত ইংরাজি ব্যতিরেকে অন্য কোনো ভাষায় পোস্ট দেন না।একুশে ফেব্রুয়ারি বাদে! কিন্ত তিনি প্রবল বাংলা প্রেমী!
বিপ্লবী বাম খবর রাখেন না, উত্তরবঙ্গে কবে বন্যা হয়েছিল! কত মানুষ মরেছিল!
তবে কলকাতার থেকে দশ কিলোমিটারের মধ্যে যে যেখানে লড়ে যায়, সবই বিপ্লবী বামের নিজের লড়াই !
বিপ্লবী বাম আপাতত ভয়ানক বিপদে। দেড় দিন নেট কানেকশন ছিল না, ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না। ফেসবুক পোস্ট করতে না পেরে তাহার প্রাণ আইঢাই করছিল!
বিপ্লবী বাম জানেন না, গত নয় বছরে রাজ্য কত ধার করিয়াছে ক্লাবে ক্লাবে মোচ্ছব করতে! পাতি চটি পড়তে পয়সা লাগে না, তাই ইকোনমিক্স পড়ার প্রয়োজন হয় না তাঁর। কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা এই সংকট নিজের জোরে কাটিয়ে উঠিবে!
আরও অনেক কিছুরই তাহার প্রয়োজন পড়ে না, তিনি স্বয়ংসিদ্ধ। পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি ডিফেন্স এক্সপার্ট, মোমবাতি জ্বালানোর সময় তিনি পাওয়ার গ্রিড বিশেষজ্ঞ, করোনা আটকাতে তিনি রেডিমেড ডাক্তার! দুই লাইন নবারুণ, তিন বার আজাদি, আড়াইবার মনুবাদী, পিতৃতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট - লিখে দেড় পাতা হ্যাজ নামিয়ে তিনি আচ্ছা আচ্ছা রথী মহারথীকে কাবু করে দেন। মাঝে মাঝে পরিশ্রান্ত হইলে ফাঁকা ফ্ল্যাটে লেনিন বুঝাইয়া দেড় বৎসর পরে মি ট্যু খান!
আপাতত দেড় দিন ফেসবুক না করার দুঃখে বিপ্লবী বাম স্থির করিয়াছেন, ইহা মেড়ো , গুজ্জুদের চক্রান্ত। এবং প্রবল পরাক্রমে তিনি হিন্দিভাষীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছেন ফেসবুকে। ইয়াহিয়া খানের আমলের বঞ্চনার সঙ্গে তুলনা করিয়া তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়াছেন। ইহা লিখিতে গিয়া চারটি চোঁয়া ঢেঁকুর উঠিলেও তিনি গ্রাহ্য করেন নাই! জাতির জন্য এই আত্মত্যাগ করিতেই হইবে