দুইখানি ভিন্ন সংবাদপত্রের দুইজন সাংবাদিক বন্ধু একদা জঙ্গলে বেড়াইতে গেলেন।
তাঁহারা দেখিলেন একটি বাঘ শিকার ধরিবার জন্য একটি হরিণকে তাড়া করিয়াছে। হরিণটি বাঘের কবল হইতে কোনোমতে বাঁচিয়া গেলেও বাঘের থাবায় মারাত্মকভাবে জখম হইল। বাঘও শিকার হারাইয়া ব্যার্থ মনোরথে গুহায় ফিরিয়া আসিল।
এইবার দুই বন্ধুর একজন বাঘের এবং অপরজন হরিণের সাক্ষাৎকার লইলেন।
পরের দিন দুই সংবাদপত্রের শিরোনাম:
•
ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। উদোর বোঝা বুধোর ঘাড়ে। খুবই ইয়ে ব্যাপার। পাবলিক মজা লুটবে। খুবই লজ্জার ব্যাপার।
তাহলে ইনি অন্য কেহ
হমম ......
অমলা দাশ বিবাহ করেননি বলেই জানি। আর পৃথিবী ছেড়েছেন ১৯২০/২১ সাল নাগাদ।
আরেকজন ছিলেন কনকদি।
অমলাদির
@Дж
কার কর্তা ?
@বোধিস্বত্ব দাশগুপ্ত, মানে বোধি-দা, আরে কি কাণ্ড ! এই জন্যেই ব্রতীন-দা বলেছিল আপনি অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড । পড়াশোনা নিয়ে একেবারে ব্যস্ত নই। মেসেজে সেটাই তো কইলাম। কভিডের জন্যে গৃহবন্দি অবস্থায় ভেবেছিলাম না পড়া বইগুলো খুলব। বই নামানো হলেও পাতা বেশী ওলটায়নি।
হাঁটাহাঁটি এখন কমেছে । তবে একটা জায়গায় তারা ১২০ টা পরিবার ডেটল চেয়েছিল বলে একদিন বড্ড বেশী হাঁটা হয়ে গেছিল। সারা কলকাতায় ডেটল পাওয়া যাচ্ছেনা । তবে আমাদেরই একজন অবশ্য জোগাড় করেছে । কিন্তু বড় সাইজের পাওয়া গেছে তাই আবার প্লাস্টিকের শিশি কিনতে হল। ফিরে দেখি গা গরম। এখন আরেক বিপদ এসব বাড়িতে বলাও যায় না। মাথা যন্ত্রণা করছে বলে নিজের ঘরে ঘাপটি মেরে ছিলাম। পরের দিন ঠিক হয়ে গেছে ।
অনেকেই এই সময়টা মন দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলছে। আমার পরিচিত একজন লেখালেখি করে, বলল একটি উপন্যাসের খসড়া করে ফেলেছে । লেখাও শুরু করে দিয়েছে ।
আমি কন্সেনট্রেট করতে পারছিনা।
বোধি-দা'ও কয়েকজনকে নিয়ে একটি দারুণ কাজ শুরু করেছেন। তবে আমায় বলতে মানা করেছেন।
এঁকে আমি দেখেছি। গানও শুনেছি। এঁর কর্তা আমাদের শিক্ষক ছিলেন। যদি ঠিক বলি শৈলেন বাবু।
রবিবাবুর গান। অমলা দাশের গলায় । ১৯১৪ ।
রবীন্দ্রনাথের গানের ধারক বলা যায় অমলা দাশকে।
আরে আমাদের সম য় ফেসবুক ছিল WA ছিল ? সেল ফোন ছিল? আমি চাকরী তে জয়েন করার পরে ফোন কিনি।
মাঠে রোজ খেলা। যতক্ষন না সন্ধ্যে হচ্ছে। গল্পের ব ই , রেডিও আর টিভির দুটো চ্যানেলের মধ্যে ই ছিল আমাদের জীবন। প্রতি সাবজেক্টের জন্যে টিউটর ছিলেন না। স্কুলে পড়ানোর মান যথেষ্ট ভালো ছিল। আর এখন কার বাচ্ছা গুলোর মতো এত কম্পিটিশন আমরা ফেস করতাম না বা বলা ভালো আমাদের বাব মা রা অনেক কনসিডারেট ছিলেন। প্রতিযোগিতার চাপে এখনকার বাবা মা দের হ য়তো সেই লাক্সারী নেই।
তবে যাই হোক আমরা অসাধারণ একটা ছেলেবেলা পেয়েছিলাম ।
ফেসবুক খুললে নিউজফিডে ভুলভাল খবর,হেটস্পিচ,যৌন নির্যাতন,শ্লীলতাহানির ঘটনায় বেশিরভাগ চোখে পড়ে।মনে তখন ভীষণ বিরক্তিবোধ,হতাশা কাজ করে।ভাবি,এগুলো আছেই বা কেন?এগুলোকে হয়তো রুখে দেওয়া সম্ভব না কখনো।তার চেয়ে বরং সব শেষ হয়ে যাক।
আরেকটু স্ক্রল করলে এমন দুয়েকটা জিনিস দেখি যা প্রচন্ড রকমের আশা যোগায়।এই লকডাউনের বাজারে কেউ কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছে,প্রতিদিন শয়ে শয়ে অসহায় মানুষ গিয়ে খাবার খাচ্ছে।যে লোকটা কারো কাছে খুব প্রয়োজনেও টাকা ধার নেয়না,সে ভিক্ষুকের মত টাকা চায়ছে,ওই টাকা দিয়ে গরিব মানুষের বাড়ি বাড়ি রেশন,মাস্ক-স্যানিটাইজার দিয়ে আসছে;এমনও রয়েছে দাতা-গ্রহীতা কেউ কাউকে চেনেনা।কেউ লাইভে এসে গল্প শোনাচ্ছে,লোক হাসাচ্ছে,গান শোনাচ্ছে;দর্শকদের থেকে ফান্ড তুলে মুহূর্তের মধ্যে গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।কেউ নিজ খরচে গাড়ি চালিয়ে রোগীকে রক্ত দিয়ে আসছে।পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ঘন্টার পর ঘন্টা একই ডেস্কে বসে কাজ করছে।এরা কেন এসব করছে জানিনা,তবে সারাদিন কাজ করে যখন রাত্রিবেলা হাসিমুখে এদের ছবিগুলো দেখি,মন ভালো হয়ে যায়।আতঙ্ক কমে।হয়তো,প্রতিবছর পৃথিবীর ওপরে আছড়ে পড়তে আসা গ্রহাণুগুলো এদের দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।মানবসভ্যতার আরো বহুকাল বাঁচা বাকি .....
#আকাশবাণী_সংবাদ_কলকাতা
কম খরচে কোভিড নাইন্টিন পরীক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গের একদল গবেষকের তৈরী কিট ICMR –এর ছাড়পত্র পেয়েছে। খুব শীঘ্রই এই কিট নমুনা পরীক্ষার কাজে লাগানো হবে। খরচ পড়বে ৫শো টাকার মত। মাত্র নব্বই মিনিটে নোভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা যাচ্ছে এই কিটের সাহায্যে।
বেসরকারী সংস্থা জি সি সি , ‘বায়োটেক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের’ উদ্যোগে এই কিট তৈরী হয়েছে।
এখন কার ছেলে মেয়ে রা বীভৎস স্মার্ট । আমাদের সব য় "উরু উরু মন আর দুরু দুরু বুক " প্রেম আর নেই। :))))