সম্বিৎ, এলেবেলের কোনও দাবি নেই। কারণ সে গুরুর পুরনো বাসিন্দা নয় যে দাবি করলেই বাকিরা তা মেনে নেবেন। দাবি তাঁরাই করেন, এলেবেলেরা সে সব মেনে নেয়। আধিপত্যবাদ আর কি। শুধু আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইটজারল্যান্ড কয়েকদিন অন্তত ভাটে বন্ধ থাকুক, এটুকুই সে মিনতির সুরে বলতে পারে মাত্র।
এলসিএম, হাসবে না? বস্তিতে থেকে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এর কথা বললে; দিনে চোদ্দবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে বললে; মাস্ক পরতে বললে; সব কিছু লকডাউনের নিদান দিলে ছোটলোকরা হাসবে না কাঁদবে। তাঁরা বলবেন না লাও তো বটে কিন্তু আনে কে?
খ, চিরকালই 'তুমি' বললে খুশি হব।
সাপ্লাইয়ে টান পড়লে চিন্তিত হবেন শহরের ভদ্দরনোকেরা ( তা বলে ভাববেন না ডিসি আপনাকে ভদ্দরনোক বলছি)। যাঁরা সারা জীবন গরিবের শ্রম চুরির ওপরে বেঁচে থাকতে অভ্যস্ত। তাঁরা এখন বাসন মাজার ছবি ফেবুতে পোস্ট করছে। ছোটলোকরা এতে অভ্যস্ত। শাকপাতা, ঘরের হাঁস-মুরগি, দুধ এসব দিয়ে চালিয়ে নেবে যা হোক করে। তাঁরা ফ্যাতাড়ু। তাঁরা ভদ্দরনোকদের অসহায় করুণ অবস্থা দেখে খ্যাক খ্যাক হাসছে। করোনা তাঁদের কাছে পোয়েটিক জাস্টিস।
হুতোদা, আমি রাগ করছি না। করার প্রশ্নই নেই। আমি বিরক্ত, প্রচণ্ড বিরক্ত এই স্বার্থপর অ্যাটিচুডে। অথচ আমরা এখানে যাঁরা আলোচনা করি তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতীয়। হাউ ফানি!