অভিজ্ঞতার প্রতিযোগিতায় যাচ্ছিই না। তবে নানা পরিস্থিতির অপর দিয়ে গেছি।
যাইহোক, এটা কি সত্যি যে রাজ্যের কাছে আর চল্লিশটা মাত্র কিট আছে ! কেন্দ্র নাকি ৯০ টা দেবে! তাহলে পরীক্ষা চলবে কি করে?
সেদি, আমি হাত তুলছি। ২০০০ সালের বন্যায় সকাল-বিকেল খেয়েছি শুকনো চিঁড়ে আর গাছের নারকেল। দুপুর আর রাতে ভাত আর ডাল। কোনও প্রস্তুতি ছিল না। খাবার মজুত ছিল না। দেশবাসী অন্তত বুঝুক কাশ্মীর কেমন আছে বা ছিল এতদিন।
আমার ওয়ার্ল্ডওমিটার ভারতের ক্ষেত্রে আজকে টোটাল কেস দেখাচ্ছে ৫৩৬, নতুন কেস ৩৭ ধরে।
গরীব লোকেরা রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে? নাকি তাদের সন্ধানই আমরা জানিনা!
অর্থকষ্ট ব্যাপারটা আমার কাছে যখন যেরকম তখন সেরকম। হস্টেল জীবনে অর্থকষ্ট ছিল কিনা জানিনা কিন্তু খাদ্যাভাব বেশ তীব্র ছিল। সকালে ক্লাসের জন্যে ব্রেকফাস্ট করা হত না। দুপুরে ও রাতে মেসের খাবারের কথা চিন্তা করলেই খিদে উধাও হয়ে যেত। মহারাষ্ট্রে যারা হস্টেলে ছিল তারা এটা জানে। তখন প্রতিদিন বাইরে থেকে খাবার কেনার টাকা থাকত না। কি ভাবে খেয়েও ফেলতাম। প্রথম তিন বছর যে সবজি খেতাম তার সাইজ দেখে আন্দাজ করতে পারতাম না কি সবজি! :-)
চেনা পরিচিতেরা দয়ালু ছিল। দেখা হলেই পেট পুরে খাওয়াত।
ব্যাপারটা আমিও ভেবেছি। ঘর বন্দি কিন্তু অনন্ত সময়। কিন্তু পরিস্থিতির জন্যে কিছু করা যাচ্ছেনা। সেই অবস্থায় এই মুহূর্তে টীম তৈরি করে এ ধরণের সামাজিক কাজকর্ম করা ঠিক কি ভাবে সম্ভবপর? ঘনিষ্ঠ পরিচিতরা কেউ হাঁটা পথের মধ্যে থাকিনা।
জয়পুরে একটি পরিবার বাড়ির অব্যবহৃত কাপড় দিয়ে গরীবদের জন্যে মাস্ক বানাচ্ছে।
আমার এক খুব পরিচিত দিদি লিখলেন
'
'প্রত্যেক পাড়াতেই কিছু হত দরিদ্র মানুষ বাস করে, হয় তো বা তাদের নিবাস ফুটপাত। এই লকডাউনে তাদের কোনো রোজগার নেই, খাওয়াও নেই। অনেকের রেশন কার্ড নেই। ফলে সরকারি পরিসেবা থেকে বঞ্চিত। পাড়ায় প্রতি পাঁচ পরিবার যদি অন্তত এক জনের খাবারের সংস্থান করতে পারেন তো কৃতজ্ঞ থাকবো। আর একটি লাইফবয় বা ডেটল সাবান দেন ।
যে সব সহৃদয় ব্যক্তি ইচ্ছুক তারা ফোনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দের সাথে যোগাযোগ করে যদি একটা সিস্টেম গড়ে তুলতে পারেন তো মানুষের এই সঙ্কটে আপনারা হবেন মানবিক যোদ্ধা।
কে কোথায় কি করতে পারছেন জানালে বাধিত হবো ।
আশা রাখলাম মানবতায় ।'