আপ (করোনার) ক্রোনোলজি সমঝ লিজিয়ে
x --- (1) --- o ---- (2) -- ---y --- (4) --- (R)
<------------(3)--------------><------(5)------>
x = প্রথম ইনফেকশন শুরু হয়েছে ,
(1) = এই সময়টুকুতে আপনার শরীরে করোনাভাইরাস দানা বাঁধছে, বাড়ছে, আপনার কোষগুলো করোনার RNA'র চারপাশে প্রোটিনের কোট তৈরী করছে, দ্রুত RNA বাড়ছে, কিন্তু কোষ পেরিয়ে এখনো আপনি ভাইরাস অন্য কাউকে "দিচ্ছেন" না , আপনার কোন লক্ষণও দেখহা যাচ্ছে না। এই সময়সারণীর নাম হচ্ছে "লেটেন্ট পিরিয়ড" ("ঘুমের সময়"), হতভাগা ভাইরাসটা আপনার শরীরে যেন ঘুমিয়ে আছে । মোটামুটি ৩ দিন/৭২ ঘন্টা , টেস্ট করলে খুব সম্ভবত নেগেটিভ বেরোবে।
o = এইবার শরীর ভাইরাস "শেড" করতে শুরু করেছে, তার মানে আপনার মুখের, নাকের, মিউকাস মেমব্রেনে ভাইরাস দানা বাঁধল, এখান থেকে সে অন্যের শরীরে যাবে। এখনো আপনার শরীরে লক্ষণ বেরোয়নি, তবে শিগগির বেরোবে ।
(2) = একে বলে "infectious period" (সংক্রামক সময় (?? আমি হাবিজাবি বাংলা করলাম, বুঝে নিন) । ৪৮ ঘন্টা। সাংঘাতিক সময় । আপনার লক্ষণ বেরোয়নি, তথাপি আমি আপনার সংস্পর্শে এলে আমি x হয়ে যাব, আমার ইনফেকশন শুরু হবে । টেস্ট করলে পজিটিভ বেরোবে । এই সময়ে আপনাকে আলাদা করে রাখলে উপকার হবে।
y = শুকনো কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, জ্বর, গা ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেল। আপনি এই সময় অন্য লোককে "দিতে"ও পারবেন। আমি এই সময় আপনার সংস্পর্শে যদি আসি, ইনফেকশন হবে । টেস্ট করলে পজিটিভ বেরোবে। আপনাকে এবার আলাদা হতে হবে। চিকিতসা শুরু হচ্ছে।
(3) = এর নাম "Incubation period" ("গোকুলে বাড়িছে সময়", এমনি বললাম) । চার থেকে সাত দিন, ধরে নিন পাঁচ দিন (৩ + ২) ।
(4) = চিকিতসা করা হচ্ছে ।
R = ফলাফল। বয়স ৫০ এর নীচে হলে, সেরকম অসুখ না থাকলে ৮০ % কেসে বেঁচে বেরিয়ে যাবেন, ভুগবেন, অন্যদের ভোগাবেন, কানের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে যাবে। ১৫% কেসে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলেও হতে পারে, ৫% কেস , বিশেষ করে ৬৫+ বয়সের মানুষের জন্য, যাঁদের ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ইত্যাদি, খুবই খারাপ পরিণতি।
(5) = কতদিন চলবে বোঝা যাচ্ছে না। (জানি না) ।
বাকীটা পরে লিখছি। আলোচনা চলুক, :-)
https://www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019
যারা অঙ্ক কষছেন, তারা সেটা দু কলম লিখে দেবেন। টাকা গোনা ছাড়া আর কোনো অঙ্ক জানিনা এখন।
করোনো কি এত সহজে মিটবে ?
এ ছাড়া এরকম রুগীও আছে যার সিম্পটম পাওয়া যাচ্ছেনা। তার ক্ষেত্রে টেস্টও হচ্ছেনা।
ছবিটা পোস্ট করতে সক্ষম হলাম না।
"n=30*(1।16318)^(t-35) হারে কেসের সংখ্যা বাড়ছে
t শুরু হচ্ছে জানুয়ারি ৩০ থেকে। ১ এর পর দশমিকটা পড়ছেনা কোনো অজ্ঞাতকারণে,দাঁড়ি পড়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গতঃ, কেসের সংখ্যা বাড়ার হারটাও কিন্তু বর্দ্ধমান হারে বাড়ছে। কয়েকদিন আগে সংখ্যাটা ১।১২ ছিলো।"
কোন দেশের কথা বলছেন? ১.১৬ মানে এখনো বাড়ছে।