এককের সাথে অনেকটাই একমত, কিন্তু শেষে ব্যক্তিকে দোষ দিলেন কিনা বুঝতে পারলুম না। আনইনফর্মড কনজ্যুমার বেস তৈরী করা ক্যাপিটালিজমের একটা মূল বৈশিষ্ট্য। গাড়ির বিজ্ঞাপনে যেজন্য ফিলমস্টার নাচে, মডেল গান গায়, কিন্তু গাড়ি সম্পর্কে আমাদের কিচ্ছু দেখানো হয়না। তুলনামূলক আলোচনা করে বোঝানো হয়না কেন এই গাড়িটা বাজারের অন্য গাড়ির চেয়ে আলাদা বা এই গাড়িটা বাজারে আনা কেন প্রয়োজনীয় ছিল। ফলে প্রচুর প্রচুর ইররেলিভ্যান্ট চয়েস তৈরী হয়, যেটা গাড়ি কোম্পানির পক্ষে একটা লাভজনক পরিস্থিতি। প্রোডাকশনের চেন এত জটিল হয়ে গেছে যে শ্রমিক বেসিক্যালি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সারাদিন একটা টুল নাড়াতে বাধ্য হয়। এর বেশি জানা তার পক্ষে অসম্ভব। কনজ্যুমারদের পক্ষেও তেমনি সব চয়েস সম্পর্কে ইনফর্মড থাকা শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব। এক্সপার্টদের অবস্থা সেই লীককের গল্পের মত, যে বাঁ পা সম্পর্কে স্পেশালিস্ট সে ডান পা সম্পর্কে কিচ্ছু জানে না। ঃ-))) ফলে এখন সবকিছুই প্রপাগান্ডার বেসিসে চলছে। লিবারাল প্রপাগান্ডা ভার্সেস কনজারভেটিভ প্রপাগান্ডা। যখন যে প্রপাগান্ডা মেজোরিটি খাচ্ছে, সেই সাইড লাফিয়ে উঠছে 'এই জিতিলাম' বলে। ব্যক্তির ভূমিকা এখানে খুব লিমিটেড। বদলাতে গেলে পুরো সিস্টেমটাকেই বদলাতে হবে। হুইজ ইজ এগেন, আই নো, ইমপসিবল। ইন দ্য মীন টাইম, প্যারাডক্স অফ চয়েস সাংঘাতিক স্ট্রেস তৈরী করছে, পোলারাইজেশন হচ্ছে। সেন্সিবল পলিসিমেকারদের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় দেখছি না।
@Ekak |১৫ মার্চ ২০২০ ২৩:২৩
দারুণ।
ভাটিতে একটা কম্পিটিশন শুরু করলে হয়না? সপ্তাহের সবচেয়ে ভাল মন্তব্যটি ভোটাভুটি করে নির্বাচন করা হবে। বেস্ট কমেন্ট অব দ্য উইক।
@aka
একটা কথা বলুন তো! ইন্টারনেটে কালচারাল ব্রিজ অবশ্যই তৈরি হয়েছে কিন্তু গ্যাপ কি সত্যিই নেই? বস্টনে মাস্টার্স করা একটি মার্কিনী যুবার ফেবু ফ্রেন্ড বার্নপুর বসবাসকারী এক মাস্টার্স যুবাকে সাহারা এক্সপিডিশনে যেতে বললে সে তক্ষুনি অ্যাফোর্ড করতে পারবে?
ফেবুর কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড হল শ্রয়ডিঙ্গারের বেড়ালের চশমা