অর্জুন যখন রোরাকে আবারও ধুয়ে দিচ্ছে এখানে, সেই ফাঁকে টুক করে ওই ব্যাপারটাকে নিয়ে একটা ৯০০ শব্দের নিবন্ধ নামিয়ে ফেললাম। ক্ষীইই আনন্দ~!
@হখগ, আপনার শান্তিনিকেতনের আলপনা, অনুষ্ঠান ও 'কলাভবন' র সুখময় মিত্রের ভূমিকা নিয়ে লেখাটা পড়েছি। ভাল লেগেছিল। অসমাপ্ত মনে হয়েছিল যদিও ।
রো র'কে 'রবীন্দ্র বিরোধী'র মত সম্মানের তকমা দিতে আমি নিতান্ত অপারগ। সেটাতে রবীন্দ্রনাথকে আরো বেশী অপমান করা হয়। রো র'কে বু. ব. এমনকি সজনী দাস ভেবে বসলে যিনি ভাবছেন সেটা তার দায় হয়ে যায়। যাইহোক।
সময়ের নিয়মে সব কিছুর বয়েস বাড়ে। বয়েস বাড়লেই কি সেটা অচলায়তন?
রবি দাদুর গানে শাড়ি ধুতি পড়া প্রসঙ্গে বলি....... আমার এক মালিয়ালি বন্ধু ছিল। মারকাটারি কমিউনিস্ট। সে গ্রামে তার দাদুর বাড়ি গেলে দক্ষিণী ধুতি 'মুণ্ড' পড়ত, মানে পড়তে হত। দাদুর বাড়িতে অসব হাফ প্যান্টুলুন অ্যালাউড নয়। কোনো রকম পশ্চিমী পোষকই নয়। দাদুর কাছে যে কদিন সে থাকত ওই 'মুণ্ড' পরে থাকত। বাঙালিদের শাড়ি, ধুতির নাম উঠলেই এত আপত্তি কেন?
আর রো র'র প্রসঙ্গে বলি, ধরুন প্রপিতামহ একটি শ্বেত পাথরের অট্টালিকা বানিয়ে দিয়ে গেছেন। পিতামহ, পিতা সেটি এতকাল সসম্মানে রক্ষা করেছেন। এবার চতুর্থ প্রজন্ম এসে সেটা প্রমোটারের হাতে তুলে দিচ্ছে। প্রমোটর সেটা ভেঙে হাল ফ্যাশনের শপিং মল তুলবে ! হেরিটেজ প্রপার্টিতে প্রমোটরের হাত পড়লে হেরিটেজ প্রপার্টি রক্ষা করা আবশ্যক হয়ে পড়ে এবং প্রমোটরদের শত মাসল পাওয়ার উপেক্ষা করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয় । এবং ব্যাপার হল হেরিটেজ প্রপার্টি না গুঁড়িয়ে সেটাকে কি ভাবে ব্যবহার যোগ্য করা যাবে সেটাই বরং চিন্তা করা হোক।