সবাইকে দোলৎসবের রঙিন শুভেচ্ছা।
বাড়ির শিক্ষা মানেই রক্ষণশীল তা নয়। বাবা, মা ছেলে মেয়েকে খিস্তি শেখাচ্ছে সেটাও খুব আধুনিক এমনও নয়। সমকালীনতা অর্থই আধুনিক নয়। আধুনিকতা একটা দর্শন যেটা আত্মস্থ করতে হয়। তবে পারিবারিক কিছু ঐতিহ্য থাকেই যেটার দায়ভার উত্তর প্রজন্মের। এ ঐতিহ্য রক্ষণশীলতা, গোঁড়ামো নয়।
আমার মনে হয় সন্তান কোনো খিস্তি শিখে এসে বাবা, মা'কে বললে তার অর্থ বলে দিয়ে এটাও বলে দেওয়া কর্তব্য এ সব শব্দ ব্যবহার না করা। এটাই বলতে চাইছি। কে বলতে পারে, বাইরের লোককে বলেছে বলে আজ ডাক দিলাম না। কাল হয়ত মতে না মিললে আমারই অপর আমার সন্তান অসব বর্ষণ করবে।
সেক্স এডুকেশন নিয়ে পরে আলোচনা হবে।
@অরিন-দা, আপনার মেসেজ গুলো আপনার সিগ্নেচর বহন করে। আমি সারা জীবনে বন্ধু বান্ধব বাদ দিলে খুব কম সংখ্যক মানুষকে 'তুই' বলে সম্বোধন করেছি। আমি আমার কোনো ছাত্র, ছাত্রীকেও 'তুই' বলিনি কখনো। আমার এক বান্ধবী আছেন, সামান্য বড় আমার চাইতে। গান শিখতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল। আমরা পরস্পরকে এখনো 'আপনি' বলি। She is one of my closest friends, confidante বললেও ভুল হবেনা।
আমার বাবা অ্যাকয়াগার্ড সার্ভিস করতে আসা ২৩/২৪ বছরের ছেলেটিকেও 'আপনি' বলেন।
আমি না আর কিছু বলছি না মানে ক্লান্ত হয়ে গেছি বলে বলে। তো এই সুযোগে টুক করে দাড়িদাদুর দুটো বাণী রেখে যাই। দেখুন তো রোদ্দুরকে উনি কীভাবে নিতে পারতেন?
১. প্রবলপক্ষেরা সর্বদাই স্বাধীনতার অপব্যবহার লইয়া খোঁটা দিয়া স্বাধীনতাকে খর্ব করিতে চেষ্টা করিয়া থাকে। কিন্তু স্বাধীনতার অপব্যয় করিবার যদি অধিকার না থাকে তবে তাহাকে স্বাধীনতাই বলা যায় না। অপব্যয়ের দ্বারাই সদ্ব্যয়ের যে শিক্ষা হয় তাহাই খাঁটি শিক্ষা। অন্তত আমি একথা জোর করিয়া বলিতে পারি -- স্বাধীনতার দ্বারা যেটুকু উৎপাত ঘটিয়াছে তাহাতে আমাকে উৎপাত নিবারণের পন্থাতেই পৌঁছাইয়া দিয়াছে। শাসনের দ্বারা পীড়নের দ্বারা কান-মলা এবং কানে মন্ত্র দেওয়ার দ্বারা আমাকে যাহা কিছু দেওয়া হইয়াছে তাহা আমি কিছুই গ্রহণ করি নাই।
২. একবার যেটা অভ্যাস হইয়া যায় সেটাতে আর নাড়া দিতে ইচ্ছা হয় না। কেননা স্বভাবের চেয়ে অভ্যাসের জোর বেশি। অভ্যাসের মেঠো পথ দিয়া গাড়ির গোরু আপনিই চলে, গাড়োয়ান ঘুমাইয়া পড়িলেও ক্ষতি হয় না। কিন্তু ইহার চেয়ে প্রবল কারণ এই যে, অভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে একটা অহংকারের যোগ আছে। যেটা বরাবর করিয়া আসিয়াছি সেটার যে অন্যথা হইতে পারে এমন কথা শুনিলে রাগ হয়।
কাল মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের বইটা থেকে আপনাকে অংশ বিশেষ তুলে পাঠালাম @ অরিন-দা। কিছু রেসপণ্ড করলেন না। ভাল জিনিসের কদ্র ভীষণ কমে যাচ্ছে।
@সে, কিছু মনে করবেন না, খিস্তিটা কি খুব শেখাবার ব্যাপার! কে জানে! হবেও বা!
পিসতুতো দিদি ক্লাস টেনে 'চোতা' শব্দটা আম্মার সামনে বলায় বকুনির সঙ্গে কড়া বার্তা পেয়েছিল। ছোটবেলা থেকে শব্দ ব্যবহার নিয়ে বড়ই সাবধানতা ছিল বাড়িতে। আমার মনে হয় ছোটবেলায় আমরা গুরুজনের অধীনে যে ভাবে বড় হই, সেই ঐতিহ্য রক্ষার দায় আমাদের থেকেই যায়।
এই যে @PM ট্রোলিং এর সংখ্যাতত্ত্বে নয়। অন্যের ট্রোলিং এ আপনার আমোদ পাওয়ার ঘটনাটা অবাক করেছিল।
@dc, কে অনেকদিন বাদে দেখে খুব ভাল লাগল। কিন্তু ওঁর কিছু মেসেজ পড়ে আজ আমি মর্মাহত হয়েছি।
গাঁজা, খিস্তি, খিল্লি, যৌনাঙ্গ কিছু লোকের হাত ধরে এখন সংস্কৃতির অঙ্গ!