"
প্রচুর স্টাডি হয়েছে সাইকোলজি এবং সমাজতাত্বিক।
মেয়েরা একটু হালকা বিষয় পড়তে চায়। তারা মেনে নিয়েছে তাদের বুদ্ধি কম।
বাড়ির লোকের সাপোর্ট পায় না। মেন্টাল সাপোর্ট।
গ্রামের দিকে মেয়েদের সিলেবাস ইস্কুলে অন্যরকম।
মেয়েরা অনেকেই মনে করে তারা সংসারে প্রধান আয় করা মানুষ হিসেবে কোনওদিনও থাকতে পারবে না।
ভয়। সেল্ফ এস্টিম কম। এর জন্য পারিপার্শ্বিক দায়ি, মানসিকতা একদিনে তৈরি হয় না।
সাজগোজে বেশি মন দেয়, পয়সাওয়ালা স্বপ্নের রাজপুত্তুরের কথাও ভাবে।
ইত্যাদি।
দশটি বিধান মেনে চলুনঃ
১) সবসময় বুকপকেটে একটি সংক্ষিপ্ত গীতাঞ্জলি রাখুন। গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেরোনোর আগে ওটাকে প্রণাম করুন।
২) প্যান্টের পকেটে একটি ছোট রবীন্দ্রনাথ রাখুন। বান্টুতে দাড়ির খোঁচা লাগলে মজবুত চাড্ডি পরুন।
৩) হাতের লেখা খারাপ হলে উদ্বেল হবেন না। গুরুদেব ওতেই নোবেল পেয়েছিলেন। তবে পেন নিয়ে হিজিবিজি কাটাকুটি করবেন না। ডুডুল আঁকুন।
৪) প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে মোলাকাত হলে ঘেমেনেয়ে একশা হয়ে হাকুলিবিকুলি করবেন না। গুরুদেবের বাণী স্মরণ করুন।
৫) দাম্পত্য আলাপ করার সময় হাতে রিমোট রাখুন। ঝগড়া হলে নীল আলোর বোতাম টিপুন, প্রেম জাগলে লাল।
৬) সঞ্চয়িতার কিছু কিছু কবিতায় গুরুদেবের ইন্টুমিন্টুর প্রতি আগ্রহ দেখা যায় (উদাঃ 'স্তন')। সেজন্য আমাদের কাছ থেকে সংস্কারি সঞ্চয়িতা কিনুন। নো ইন্টুমিন্টু।
৭) বাড়ির নাম চয়েস করুন সংস্কারি সঞ্চয়িতা থেকে। বুকক্রিকেট খেলার মত যেকোন একটা কবিতার নাম বের করলেই হবে।
৮) ইচ্ছেমত লোকজন, জিনিসপত্রের নাম বদলে দিন। গিন্নির নাম দিন আকাশবাণী, হুইটস্টোন ব্রিজের নাম দিন জোড়াসাঁকো ও পিএইচডি থিসিসের নাম দিন শেষের কবিতা।
৯) ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাস দিয়ে রোজ ধুতি ও শাড়ী চেক করুন। ময়লা থাকলে রেওয়াজ বন্ধ।
১০) খোকাখুকি পায়ে চটি পরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলে থাপ্পড় মেরে দাঁত ফেলে দিন।
বি.দ্র. রঞ্জন বাঁড়ুজ্জে ও রোদ্দূর রায় থেকে দূরে থাকুন। নইলে হুলো কেস হয়ে যেতে পারে।
aranya | 108.162.219.209 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৩
একদম ঠিক, কিন্তু মেয়েরা মস্তিষ্ক প্রক্ষালিত। মনে করে এটা নাকি প্রিভিলেজ।
বুঝুন।
'আমার তো মানে হয় প্রথমটা ছিল বলেই আজ বঙ্গ সংস্কৃতি বলে আর কিছু আর রইলো না।' ভাগ্যিস
সেই জন্যেই বাংলা উত্তর প্রদেশ হয়ে যায়নি এখনো।
@ন্যাড়া বাবু, ক্লাস ইলেভেন, টুয়েলভে বেনু বাবু নামে একজনের কাছে বাংলা পড়তাম। অসম্ভব ভাল শিক্ষক। ওঁর পাণ্ডিত্যে আমরা মুগ্ধ ছিলাম। রবীন্দ্র স্বরলিপি সম্পর্কে বেনু বাবু এ কথা বলেছিলেন।
আপনি এ বিষয়ে আমার চাইতে নিঃসন্দেহে ভাল জানবেন। এ বছর বইমেলায় টেগোর রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে ১৯৮৫ র 'দীনেন্দ্র শতবার্ষিকী গ্রন্থ' কিনলাম। সেখানে পঙ্কজ মল্লিকের 'দিনেন্দ্রনাথের সঙ্গীত শিক্ষণ পদ্ধতি' ও নরেন মিত্রের 'রবীন্দ্রসংগীত সংরক্ষণে দিনেন্দ্রনাথের ভূমিকা ' দুটি প্রবন্ধ আছে।
এছাড়া আছে ইন্দিরা দেবী চৌধুরানীর বিখ্যাত বই 'রবীন্দ্র সংগীতে ত্রিবেণী সঙ্গম' ।
সব গুলো পড়ে জানাতে পারব।
@এলেবেলে'ও কন্ট্রিবিউট করুন।
'তারপরে আস্তে আস্তে বিশ্বভারতী ও সঙ্গীত বোর্ডের কল্যাণে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়মের অচলায়তনে ঢুকে দমবন্ধ হয়ে মারা গেল।' ঠিক। একটা সময় মিডিওক্রিটিরা মেজরিটি হয়ে যায় তখন এই অবস্থা হয়। কিন্তু ব্যাপার হল সুচিত্রা মিত্রের মত মানুষও এর প্রতিবাদ করেননি।
এই মাইরি অর্জুনকে নিয়ে আর পারা যাচ্ছে না! এ লোকটার এত পিসি-কাকা-ঠাকুমা-দিদা-জেঠু এবং সবাই অসম্ভব রকমের অভিজাত যে গা থেকে কিছুতেই আভিজাত্যের বদগন্ধ তাড়াতে পারছে না। লিখেছে তো 'বাল' আর 'বাঁড়া'। একটা ছেলের বুকে, অন্যটা মেয়ের পিঠে। তাতেই সঙোস্কিতি ধসে পড়ল? আসলে ওটা ধসে পড়াই ছিল, ধরতে পারেন্নিকো।
আমি যে শহরে থাকি সেখানে এই নিরীহ শব্দদুটো লোকে কথার মাত্রা হিসেবে ব্যাভার করে। কলকাতাতেও করে। তাও এত হায় হায়!
অঞ্জন দত্তের ছেলে যখন পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে গানটায় উল্লাল্লা জুড়েছিল, তখন সেটা ইনোভেশন আর এটা বিকৃতি? মানে আপত্তিটা ঠিক কোথায়? বাঁড়ায়? মেয়েদের পিঠে লেখা বাঁড়ায়? রবীন্দ্রনাথের গানে বাঁড়ায়? মানে অন্যদের গানে হলে চলবে? ছেলেদের পিঠে হলে চলবে? বাঁড়ার বদলে চার অক্ষরের গালি হলে চলবে?
এত সংরক্ষণ কেন? এসব গিমিকে রবীন্দ্রগানের বালও ছেঁড়া যাবে না। অন্তত রবীন্দ্রপ্রেমীরা তাই বিশ্বাস করেন।
সরি, মানে যাঁরা এলেবেলের লেখায় এসব 'অপশব্দ অ্যাদ্দিন দেখেননি, তাঁদের কাছে আগাম মাফ চেয়ে নিলাম।