o এর গতকাল ২২ঃ৩৫ এর পোস্টের সাথে সম্পূর্ণ একমত - এটা শুধুই সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু আবার সাম্প্রদায়িকও বটেই। এই তথাকথিত প্রমিত বাংলা আদতে বাংলার "সংস্কৃতায়ন" প্রজেক্টের অঙ্গ। তাতে হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তানী প্রবক্তাদেরও বেশ সুবিধা।
এই বসু পরিবারটি দুর্দান্ত আর্কাইভিস্ট। পুরনো চিঠি, ফটোগ্রাফ, নথি দারুণ সংরক্ষণ করতেন। আমাকে বলেছিলেন কি ভাবে পুরনো চিঠি রাখলে সেটা নষ্ট হয়না। ওঁরা যখন নেতাজীর আর্কাইভ তৈরি করেছিলেন তখন এসব বিষয়ে প্রফেশনল হেল্প পাওয়া সহপজ ছিল না আর থাকলেও খুব খরচ সাপেক্ষ ছিল। নিজেরাই যত্নে সব রক্ষা করেছিলেন।
খুব কম বিখ্যাত লোক আছেন, যার চিঠি কৃষ্ণা মাসিমার কাছে ছিল না।
কৃষ্ণা বসুর হাত দিয়েই নীরদ সি চৌধুরীকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। নীরদ বাবুর অ্যাড্রেস জানতাম না। আমাকে বলেছিলেন 'আমায় পাঠিয়ে দাও। আমি পৌঁছে দেব। তবে উত্তর দেবেন কিনা সন্দেহ।' উত্তর আসেনি। :-)
কৃষ্ণা বসু চলে গেলেন। ওঁকে ছোটবেলা থেকে চিনতাম। মৃদুভাষী কিন্তু আলাপী। নানা ইতিহাসের কথা নিয়ে গল্প করতেন। আড়ালে ওঁর কথা নিয়ে হাসাহাসি করলেও শুনতে খারাপ লাগত না। ফোন করলে ছাড়তেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ দশক ছিল ওঁর প্রিয় বিষয়। অনেক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন।
গানের গলা ছিল চমৎকার ।
অপু আজকাল ক্রিকেটের আপডেট দিচ্ছে না যে, ;-)