এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সমাজ চিন্তন ও স্বদেশপ্রেমের আলোকে স্বামী বিবেকানন্দ || কলমে ঈশ্বর অধ্যাপক ডক্টর নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়

    Saheli Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯৮ বার পঠিত
  • পর্ব ৪ :

    স্বামীজি বন্ধনমুক্ত মানুষের বন্দনা করেছেন – জ্ঞানে-কর্মে ও হৃদয়ধর্মে মহতো মহীয়ান মানুষ। যুক্তিশুদ্ধ কুসংস্কারহীন বৈজ্ঞানিক ভাবে ভাস্বর সমান সাত্ত্বিক ও রাজস্ব উপাদানে গঠিত মজবুত নতুন ভারতীয় সমাজ l এই সর্ব সম্পন্ন বিকশিত সমাজেরই স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। অসন্বয়বাদী দৃষ্টিভঙ্গির উদারতা তাঁর মধ্যে ছিল। তাই বৈদ্যান্তিক আধ্যাত্মিকতা ও ইসলামের শক্তির অসঞ্জনকে মূর্ত হতে দেখার জন্য স্বল্পকালস্থায়ী জীবন আকুলিবিকুলি করেছিল। তাঁর সংস্কারহীন মানবিকতাবোধসঞ্জাত উদার দৃষ্টি প্রয়োজনীয় উপকরণ থেকে মানবসমাজকে বিচ্যুত করতে চাননি, একটি চিঠিতে লিখেছিলেন –
    “We talk foolishly against the material civilization, may even luxury, is necessary to create work for the pour. Bread! I do not believe in a God who cannot give bread here giving me eternal bliss in heaven.”

    তাই রাজপুতনার খেতড়িতে প্রজাদের অবর্ণনীয় দুঃখ - দুর্দশায় ব্যথিত হয়ে স্বামী অক্ষয়।নন্দ তার করণীয় কি জানতে চাইলে শুধু আমেরিকা থেকে তিনি লিখেছিলেন, “পড়েছো, মাতৃদেব ভব, পিতৃদেব ভব, আমি বলি, দরিদ্র দেব ভব, মূর্খ দেব ভব। দরিদ্র, মূর্খ, অজ্ঞানী, কাতর ইহারাই তোমার দেবতা হউক। ইহাদের সেবায পরম ধর্ম জানিবে।” তাঁর দ্বিধাহীন জোড়ালো লৌকিক ভাষায় অবহেলিত ভারতীয় সমাজকে অকুন্ঠ শ্রদ্ধা ও সমর্থন জানিয়ে তিনি লিখেছিলেন, “এই যে চাষাভুষো, মুচি, মুদ্রাফরাস এদের কর্মতৎপরতা ও আত্মনিষ্ঠা তোদের অনেকের চেয়ে ঢের বেশি। এরা নীরবে চিরকাল কাজ করে যাচ্ছে, দেশের ধনধান্য উৎপন্ন করছে, মুখে কথাটি নেই, তোদের মত তারা কতকগুলো বই না হয় পড়েছে তোদের মতন শার্ট কোট পরে সভ্য না হয় নাই হতে শিখেছে; তাতে আর কি এলো গেল। কিন্তু এরাই হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড – সব দেশে। এই ইতর শ্রেণীর লোক কাজ বন্ধ করলে হা হুতাশ লেগে যায়। তিন দিন ওরা কাজ বন্ধ করলে মহামারীতে শহর উজাড় হয়ে যায়। শ্রমজীবীরা কাজ বন্ধ করলে তোদের অন্নবস্ত্র জোটে না। এদের তোরা ছোটলোক ভাবিস আর নিজেদের শিক্ষিত বলে বড়াই করিস?” একেবারে দ্বিধাহীন চাচাছোলা স্পষ্ট উচ্চারণ। যুগ যুগ ধরে লাঞ্ছিত অবহেলিত ঘৃণ্য জীব বলে পদদলিত, অথচ যাদের ক্ষুদার উত্তাপে বড়লোকের কলের স্টিম উৎপন্ন হচ্ছে – রবীন্দ্রনাথের ভাষায় তারা "সভ্যতার পিলসুজ"। সভ্যতার প্রদীপকে মাথায় করে দাঁড়িয়ে চারিপাশ আলোকিত করে চলছে অথচ তাদের ভাগ্যে জুটছে জমাট বাধা অন্ধকার। উচ্ছিষ্ট নোংরা তেল তাদের গা দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে। তাদের প্রতি স্বামীজীর কি দরদভরা হৃদয়ের অঞ্জলি। ভারতীয় সভ্যতার অন্তরালবর্তী নেপথ্যে নায়কদের প্রতি কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বলেছেন, “ভারতের চির পদদলিত শ্রমজীবী তোমাদের প্রণাম করি।” তিনি চিরকাল লাঞ্ছিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শিব-জ্ঞানে জীব সেবার আহ্বান সকলকে জানিয়েছেন। তাদের সাথে নিজের তুচ্ছ মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে তিনি তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন - Who cares for your bhakti and mukti? I will go to hell cheerfully a thousand times if I can rouse my country man, immerse in thames and make them stand in their feet ... পরম শেষের অন্বেষণে নিজের মুক্তি খোঁজার প্রয়াসকে নস্যাৎ করে দিয়ে আর্তঅসহায় দরিদ্র মানুষের পর্ণ কুটিরের চারিপাশে প্রদক্ষিণ করে তার মহৎপ্রাণ মুক্তির আস্বাদপেয়েছে অনেক বেশি।

    স্বামীজির জনগণের নিরঙ্কুশ অধিকার দাবি করেছেন, সুস্পষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনার পরিকাঠামো তৈরি করেছেন। মাস এডুকেশন বা জনশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন সকলের ঘরে ঘরে। অস্পৃশ্যতার অভিসাপ থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন স্থবির ভারতীয় সমাজকে। সংসারের অন্ধকোণে চিরকালকুঁকড়ে থাকা বর্জ্য পদার্থের মতো নারীজাতিকে মিথ্যা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে মুক্ত স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। মোহজাল বিস্তার করা ধর্মীয় অলৌকিকতার ক্ষতিকারকতা সম্পর্কে অন্ধ দেশবাসীকে সচেতন করতে চেয়েছিলেন, জাত-পাত, লাভ-ক্ষতি-টানাটানি-ঈর্ষা-দলাদলির সংকীর্ণতাকে ঘুচিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এবং অবশ্যই চেয়েছিলেন “নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান” মায়ের জন্য বলি প্রদত্ত আত্মত্যাগের প্রার্থনায় নিবেদিত উদ্বুদ্ধ তরুণ সমাজকে। খাঁটি দেশপ্রেমিক ও জননেতৃত্বের অনুকূল প্রায় সব গুণের অধিকারী ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেকালের রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও নানামুখী আন্দোলন, অর্থনৈতিক মতবাদ, প্রাচ্য পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য দর্শন প্রভৃতি বিশ্বপরিব্রাজক হিসেবে আন্তর্জাতিক নানা চিন্তা তরঙ্গ ও নানা সামাজিক পরিবর্তনের বাঁকগুলির সঙ্গে স্বামীজীর প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল। ফলে, তাঁর সমকালে ও উত্তর কালের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে তাঁর আবেদন ছিল অপরিসীম। শুধু উপরতলার স্বাধীনতায় তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি। ও বিষয়ে তিনি দ্বিধাহীন - এই নিম্ন শ্রেণীর দরিদ্র মানুষেরাই সমাজের মূল শক্তির উৎস, ধারক ও বাহক l তাঁর ঋজু বক্তব্য -” I consider that the great national thin is the neglect of the masses, and that is one of the cause of our downfall. No amount of politics would be of any avail until the masses in india are once more well educated, well fed, and well cared for.” সঠিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ জাতীয়তাবাদের অনুপ্রাণিত স্বদেশপ্রেমিকের কাছে তাঁদের আন্দোলনের গতিপথকে এইভাবেই জনমুখী করতে চেয়েছিলেন। “পরিব্রাজক” গ্রন্থে তার সেই সুবেদিত দৃঢ় উচ্চারণ বারে বারে মনে পড়ে – “ এরা সহস্র বৎসর অত্যাচার সয়েছে, নীরবে সয়েছে — তাতে পেয়েছে অটল জীবনীশক্তি। এরা এক মুঠো ছাতু খেয়ে দুনিয়া উল্টে দিতে পারবে, আধখানা রুটি পেলে ত্রৈলোক্যে এদের তেজ ধরবে না, এরা রক্তবীজের প্রাণসম্পন্ন। আর পেয়েছে অদ্ভুত সদাচার — বলো যা ত্রৈলোক্যে নাই। এত শান্তি, এত প্রীতি, এত ভালোবাসা এত মুখটি চুপ করে দিন রাত খাটাএবং কার্যকালে সিংহের বিক্রম।” এই ধরনের অজস্র উক্তি তার গ্রন্থে, বক্তৃতা, আলাপচারিতায়, চিঠিপত্রাদিতে ছড়িয়ে আছে।

    জীবনকে সংকীর্ণ বৃত্ত থেকে মুক্ত করে তিনি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন বিশ্ববৃত্তে। ভারতের পতনের মূল কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে স্বামীজি, ১৮ই সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ এ আমেরিকা থেকে লিখেছিলেন – “ আমার দৃঢ় ধারণা কোন ব্যক্তি বা জাতি আর সম্প্রদায়ের মানুষের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখে বাঁচতে পারে না ... আমার মতে, ভারতের পতনের অবনতির প্রধান কারণ … জাতির চারিদিকে আচারের বেড়া দেওয়া.. এর ভিত্তি অপরের প্রতি ঘৃণা … আদান-প্রদানই প্রকৃতির নিয়ম .... বিস্তারই জীবন, সংকীর্ণতাই মৃত্যু। প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু। যেদিন থেকে আমরা নিজেদের গুটিয়ে নিতে আরম্ভ করেছি, সেদিন থেকে আমাদের মৃত্যুর সূচনা। সে মৃত্যু কিছুতেই থামানো যাবে না - যতদিন না আমরা সম্প্রসারণের জীবনকে অবলম্বন করছি।” স্বল্প সময়ে সীমার মধ্যে (১৮৬২ – ১৯০২) জগৎ ও জীবনকে সামগ্রিক প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করে তার সম্যক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও মর্ম উপলব্ধি কিভাবে সম্ভব করা হয়েছিল তা ভাবতে খুবই আশ্চর্য লাগে। তাঁর সমাজ-চিন্তা, স্বদেশ-চেতনা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ, এমনকি আধ্যাত্মিক উপলব্ধি – আলাদা করে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় না। তারা পরস্পরে গভীরভাবে সম্পৃক্ত, অবিনাভাবে আবদ্ধ। তাঁর গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের জীবনের স্বাধীনতার ভেতর দিয়ে সর্বধর্মের সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন, স্বামীজীর জীবনের সেটাই মূলমন্ত্র, দীপ্তিমান ধ্রুবতারা। পরবর্তীকালে ভারতের জাতীয়তার প্রধান ভিত্তি হলো সেটাই l একথা সর্বাংশে সত্য — “এই সর্বধর্মসমন্বয় ও সকল মত — সহিষ্ণুতার প্রতিষ্ঠা না হইলে আমাদের এই বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে জাতীয়তার সৌধ নির্মাণ হইতে পারিত না “। পরাধীন ভারতবর্ষে স্বাধীনতাই মূল লক্ষ্য। রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারলে আমরা এতদিন যে তিমিরে ছিলাম সে তিমিরেই চিরকাল পড়ে থাকবো। তাই রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত না হয়েও বিবেকানন্দ সে যুগের মুক্তিকামী মানুষের মনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন —স্বাধীনতা চাই, পারারাজ্যলোভী নিস্ঠুর ইংরেজবাহাদুরকে এদেশ অবশ্যই ছাড়তে হবে। নতজানু হয়ে পদলেহনকারী তথাকথিত “নন্দলাল- মার্কা” স্বদেশপ্রেমীদের মেরুদণ্ডহীন আত্মসমর্পণকে তিনি বারে বারে চাবুক কষিয়েছেন। মিলটনের “প্যারাডাইস লস্ট” এর Satan এর তাই তিনি ভক্ত — ” Better to reign in Hell than Serve in Heaven” —স্বাধীনভাবে নরকরায়ক্ত স্বর্গের দাসত্বের চেয়ে অনেক শ্রেয়। ইংরেজের পা চাটা চাটুকারবৃত্তি ময়ূর পুচ্ছধারী কাকের মতোই তাঁর কাছে অসহ্য। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন,---”হে ভারত, এই পরানুবাদ এই পরlনুকরণ, পরমুখপেক্ষা, এই দাস সুলভ দুর্বলতা এই ঘৃণিত জঘন্য নিষ্ঠুরতা— এইমাত্র সম্বলে তুমি উচ্চ।ধিকারী লাভ করিবে ?এই লজ্জাকর কাপুরুষতা সহায়ে তুমি বীরভোগ্যা স্বাধীনতা লাভ করিবে ? স্বাধীনতায়- হীনতায় কুঁকড়ে থাকা দেশবাসী দাসত্ব -শৃংখল ভেঙে ফেলে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলে পরিম্লান ভারত মাতার শুষ্ক মুখে আবার হাসি ফুটে উঠবে l চিত্ত ভয়শূণ্য রেখে মাথা উঁচু করে সম্প্রদায়িক ভেদ-বুদ্ধি ত্যাগ করে সর্বধর্মসমন্বয়ের ভিত মজবুত করে গড়ে তুলতে পারলে আমাদের পরম আকাঙ্ক্ষিত প্রার্থিত স্বাধীনতা আসবেই। এ দৃঢ় বিশ্বাস স্বামীজী শুধু আমৃত্যু পোষণ করেই গিয়েছিলেন তাই নয, উত্তর পুরুষের কাছে এই উদ্দীপ্ত চেতনার বীজ বপন করে গিয়েছিলেন যার উপর ভর করেই জাতীয়তাবাদ এর সৌধ ও মুক্তিযুদ্ধের সোপান তৈরী হয়েছিল।

    (Copyright January 2006)
    কন্যা সহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় প্রকাশিত
    ক্রমশঃ .....
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nb | 2405:8100:8000:5ca1::7c:***:*** | ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৪৭540769
  • ঐতিহাসিক সত্যকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
  • Saheli Bandyopadhyay | ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:০৫540775
  • অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, বাবা শুনলে খুব খুশি হতেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন