এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিস্কুট, ড্রাগনের ধোঁয়া, মানভি এবং.......

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও।
     
    সামাজিক মাধ্যমে ঠাঁই পাওয়া হালফিলের একটি পোস্ট। প্রেরক চিত্র পরিচালক মোহন জি। তাঁর পাঠানো ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট বাচ্চা তার বাবার সঙ্গে রোবট মেলায় এসেছে জানতে, শিখতে,আনন্দ করতে। মেলা প্রাঙ্গণে জমজমাট ভিড়, বসেছে নানান লোভনীয় মুখে জল আনা সব খাবারের দোকান।সেখান থেকেই কিনেছে একটি ‘স্মোকি বিস্কুট’। পরমানন্দে তার মজায় মজেছে শিশুটি। ও মা! এ কি? বাচ্চাটি অমন কুঁকড়ে যাচ্ছে কেন? পেটে হাত দিয়ে মাটিতে শুয়ে কেন অমন ছটফট‌ই বা করছে? ঐ বিস্কুট খেয়েই কি ওর এমনটা হলো? তাহলে ঐ বিস্কুটে কি এমন ছিল, যার ফলে শিশুটি এমন করছে? জানি, এইটুকু পড়েই আপনারা অনেকেই হয়তো প্রবলভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আপনাদের এমনটা হ‌ওয়া স্বাভাবিক, খুব স্বাভাবিক। কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন - আহা ! ঐ শিশুটির জায়গায় যদি আমার গোগোল, রেহান, তিন্নি কিংবা তূর্য থাকতো, তাহলে? এমন প্রতিক্রিয়া যে কোনো সংবেদনশীল মানুষের পক্ষেই খুব স্বতঃস্ফূর্ত, স্বাভাবিক। আপনাদের সকলের অবগতির জন্য, খুব মর্মাহত কন্ঠে জানাই ঐ শিশুটি, মেলা দেখতে আসা কর্ণাটকের শিশুটি …….. 
     
    দুই রসায়নবিদ (!) ভাইয়ের কথা । 
     
    কর্ণাটকের দেভাঙ্গারের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে এবার চলুন সুদূর গাজিয়াবাদের নয়ডায়। এই শহরেই থাকে আমাদের চলতি কাহিনির দুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র - বিশাল এবং বিকাশ । নামের এমন মিল দেখে নিশ্চয়ই ভাবছেন এরা দুইভাই নয়তো? ঠিক‌ই ধরেছেন। আদিতে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফর নগরের বাসিন্দা, তবে এখন ব্যবসার প্রয়োজনে দ্রুত জমজমাট হয়ে ওঠা নয়ডায় বসবাস করছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই ভাই এবং তাদের আশ্চর্য আবিষ্কার ( ?! )এখন নাকি ভাইরাল। কী সেই আবিষ্কার, কীভাবেই বা তার উদ্ভাবন? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আসুন এদের সম্পর্কে আরও কিছু কথা জেনে নেবার চেষ্টা করি।
    অন্য আর পাঁচ জনের মতো ছোটো বেলায় এই দুই ভাইকে ভর্তি করা হলো স্কুলে। কিন্তু স্কুলের পড়াশোনা আর নিয়মের কড়াকড়ি বিলকুল না পসন্দ ছিল এদের, বিশেষকরে বিশালের। পাঠ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রসায়নের প্রতি তার একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল বটে কিন্তু পরীক্ষায় সেই ভালোলাগার বিষয়েও বিশাল অনুত্তীর্ণ হলো। রসায়ন ক্লাসে নতুন নতুন পরীক্ষার প্রতি তার এক মুগ্ধতার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। একদিন রসায়নের ল্যাবক্লাসে ওদের রসায়নের শিক্ষক একটা চমৎকার পরীক্ষা করে দেখালেন। নাইট্রোজেন গ্যাসকে হিমায়িত করা হলে তা প্রথমে তরলে পরিণত হয় এবং খানিক সময় পরে তা ধোঁয়া হয়ে বেরিয়ে আসে। বা! এতো ভারি মজা! ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল গোছের আর কি !
    বিশাল অবাক হয়ে এই আশ্চর্য রূপান্তর প্রত্যক্ষ করল। সরস্বতীর আখড়ায় খুব বেশিদিন টিকে থাকা হয়নি তাদের, তবে ঐ পরীক্ষার বিস্ময়কর পরিণতির বিষয়টি তাদের স্মৃতিতে স্থায়ী আমানত হয়ে রয়ে গেল।
    স্কুল বেলার এই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই তারা তৈরি করেছে স্মোকি বা ধোঁয়া বিস্কুট। বিস্কুটের সঙ্গে মেশানো হয় নাইট্রোজেন। ফলে এই বিস্কুট খাওয়ার পর মুখ থেকে গলগলিয়ে বেরিয়ে আসে ধোঁয়া। পঞ্চাশ টাকা দরে এই বিস্কুট দূরদূরান্তের মেলায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে তারা। মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছতে যেটুকু দেরি, বিস্কুট বিকিয়ে যেতে বিন্দুমাত্র সময় লাগেনা। ছেলে বুড়ো সবাই এই বিস্কুটের মজা নেয়। স্কুলজীবনের কাছে তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। দিব্যি করে কম্মে খাচ্ছে তারা।
     
    মেলা ও ধোঁয়া বিস্কুট ।
     
    ধোঁয়া বিস্কুট!! এমন কিসিমের বিস্কুট খাওয়া তো দূরের কথা অদ্যাবধি চোখেও দেখিনি। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে যে তথ্য পেলাম তা রীতিমত উদ্বেগজনক। আমার চেনা পরিচিত পরিসরে এমন বিস্কুটের দেখা সেভাবে না পেলেও উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই বিস্কুটের প্রতি ক্রেতা সাধারণের আগ্রহ এবং আসক্তি দুইই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। শপিংমল, বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত মেলা, সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অভিজাত রোস্তারা বা পথিপার্শ্বের হোটেল বা ধাবাতেও দেদার বিকোচ্ছে তথাকথিত ধোঁয়া বিস্কুট। তরল নাইট্রোজেনের রাসায়নিক ধর্মকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান ধরনের কুকিজ। বাতাসের সংস্পর্শে এলেই তা থেকে বের হয়ে আসছে ধোঁয়া, ক্রেতা - বিক্রেতা মহলে যা ‘ড্রাগনের শ্বাস’ নামে বহুল প্রচলিত।
     
    খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোবস বা অণুজীবের সংক্রমণ ঠেকাতে তরল নাইট্রোজেনের ব্যবহারের চল বহুদিনের। তবে এই ব্যবহারের রীতি নিয়ম বিষয়ে সম্পূর্ণ অবহিত না হয়েই যদি কেউ যথেচ্ছভাবে এই তরলকে খাবারের আকর্ষণীয়তা বাড়িয়ে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করে তবে তা অত্যন্ত ঝুঁকির কাজ হবে। বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাকেও এড়িয়ে যাওয়া যায়না। কেন এমন আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা?
    প্রকৃতিগতভাবে তরল নাইট্রোজেন হলো এমন একটি তরল পদার্থ যার স্ফুটনাঙ্ক অত্যন্ত কম, -১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ‌। এমন একটি তরল খাবারের মাধ্যমে শরীরে ঢুকলে তীব্র শ্বাসকষ্ট সহ শ্বাসনালীতে ছিদ্র সৃষ্টি হতে পারে। চামড়ায় লাগলে তা পুড়ে যেতে পারে। কর্ণাটক রাজ্যের বাচ্চাটির মতো আরও বহু মানুষ পৃথিবীর নানা প্রান্তে তরল নাইট্রোজেনের প্রভাবে আক্রান্ত হয়েছে । কারো গ্যাস্ট্রিক নালীতে ছিদ্র ধরা পড়ে, কারো আঙ্গুল বা হাতের তালু পুড়ে গিয়েছিল, কেউবা চরম শারীরিক অস্বস্তির কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছে।
    এমন সমস্যা বা উপসর্গগুলোকে এড়িয়ে চলার জন্য তরল নাইট্রোজেন দিয়ে তৈরি খাদ্য বা তরল পানীয় গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। অবাঞ্ছিত পরিস্থিতিতে যাতে কেউ না পড়ে সেই জন্য FDA’ র তরফে কতগুলো সুপারিশ করা হয়েছে।

    ১) খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতিতে তরল নাইট্রোজেনের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া সবথেকে নিরাপদ। একান্ত‌ই যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে ফুড গ্রেড নাইট্রোজেন ব্যবহার করতে হবে।
     
    ২) যে পাত্রে খাবারটি পরিবেশন করা হবে তাতে যেন তরল নাইট্রোজেন না থাকে।
     
    ৩) যে পাত্রে খাবার দেওয়া হবে সেই পাত্রের মুখটি অপেক্ষাকৃত ভাবে সরু হতে হবে যাতে একবারে অনেকটা খাবার হাতে তুলে নিতে না পারে গ্রাহক ভোক্তা।
     
    ৪) একবারে অনেকটা করে খাবার তুলে না নিয়ে একটা একটা করে মুখে পুরতে হবে।
     
    ৫) খাবারটি খাওয়ার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বিধি সম্মত সতর্কতার কথা লেখা থাকতে হবে প্যাকেটের গায়ে।
     
    এতোসব বিধিনিয়মকে যথাযথ মান্যতা দিয়ে ধোঁয়া বিস্কুট বিক্রি করা হয় কিনা জানিনা, তবে একথা ঠিক শিশু কিশোর কিশোরী গ্রাহক মহলে ড্রাগন শ্বাস নামে পরিচিতি তরল নাইট্রোজেন যুক্ত ধোঁয়া বিস্কুট অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমাদের ছেলে বেলায় আমরাও রঙিন ফাঁকি মিঠাই, টকটকে রঙের বরফ আইসক্রিম, ঝুরো বরফের ঠাণ্ডাই, চিনি আঁশিয়ে তৈরি রঙদার ফিতা মিঠাইয়ের প্রতি বেশ আসক্ত ছিলাম।ঐসব লোভনীয় বস্তুগুলো কতটা স্বাস্থ্যবিধি সম্মত উপায়ে তৈরি করা হতো সেই প্রশ্ন তখন সেভাবে ওঠেনি। এখন সময় বদলেছে, খানিকটা হলেও বেড়েছে উপভোক্তার সচেতনতা। ফলে আজকাল প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এইসব লোভনীয় বস্তুর গুণমান নিয়ে। তবে ১৪০ কোটি মানুষের বাসভূমি আমাদের এই ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে কখন কী কাণ্ড ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত তার খবর কে রাখে? 
    তরল নাইট্রোজেন স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। কেবল ধোঁয়া দেখিয়ে লোক টেনে, লাভের বহর বাড়ানোর এই ঝুঁকি বহল কারবার কবে বন্ধ হবে তাই এখন দেখার।
     
    অবশেষে স্বস্তি !!
     
    চিত্র পরিচালক মোহন জি সামাজিক মাধ্যমে যে ভিডিওটি প্রচার করেছিলেন তাতে বাবার সঙ্গে রোবট মেলা দেখতে আসা কন্নড় শিশুটি মারা গেছে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এমনটা হয়নি। এই খবর সকলের জন্য‌ই পরম স্বস্তির ও আনন্দের। ছেলেটির বাবা জানিয়েছেন, যে ধোঁয়া বিস্কুট খাবার পর তার ছেলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তারবাবুর চিকিৎসার কল্যাণে ছেলেটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। অবশেষে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
     
    **পুনশ্চ / মানভি আখ্যান
     
    কর্ণাটকের শিশুটির খবরে বেশ স্বস্তি নিয়ে রাত ভোজনের তোড়জোড় করতে না করতেই নজর পড়লো সেই খবর কাগজেই। স্কুল বেলার অভ্যাস, তাকে এখনও ছাড়তে পারিনি। এবার‌ও চোখে ধরা পড়েছে একটি করুণ পরিণতির কাহিনি। অকুস্থল পাঞ্জাবের পাতিয়ালা শহর। 
     
    ছোট্ট মেয়ে মানভি। গত ২৪ মার্চ ২০২৪, ছিল তাঁর দশম জন্মদিন। এমন খুশির দিনে বাড়িতে আয়োজন করা হয় এক সান্ধ্য অনুষ্ঠানের। বাড়ির একান্ত পরিজনদের পাশাপাশি সেখানে হাজির হয়েছিল মানভির স্কুলের কয়েকজন বন্ধু আর তাদের মায়েরা। সময় একটু একটু করে কেটে যায় খুশি আর মজায় মাখামাখি হয়ে । আসে সেই আকাঙ্খিত মুহূর্ত – কেক কাটার মহালগন। পাতিয়ালা শহর থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনা হয়েছে এক পেল্লায় সাইজের চকোলেট কেক ‌- জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্মারক। মানভি তার হাতে ধরা ছুড়ি দিয়ে কেকটাকে কাটে, কেকের চারদিকে সাজিয়ে রাখা মোমবাতিগুলো ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দেয়, চারপাশে ভিড় করে থাকা অতিথি অভ্যাগতরা হাততালি দিতে দিতে গলা চড়িয়ে গান গেয়ে ওঠে – Happy Birthday to You, Happy Birthday to You. Happy Birthday to You Manvi, Happy Birthday to You.
     
    এর পরের অংশটা সত্যিই মর্মান্তিক। কেকের প্রথম টুকরোটা নিজের মুখে পোরে মানভি, আর তারপরেই বমি করতে থাকে সে। অত্যধিক গরমে এমনটা হয়েছে মনে করে বাড়িতেই তার প্রাথমিক শুশ্রূষা চলতে থাকে। তবে মানভির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাকে সুস্থ করে তুলতে দেওয়া হয় অক্সিজেন। কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টাকে বিফল করে ছোট্ট মেয়ে মানভি মারা যায়।
     
    কেন এমন পরিণতি হলো ছোট্ট মেয়েটির। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: বিজয় জিন্দালের মতে, কেকের মিষ্টতা বাড়াতে আজকাল অত্যধিক মাত্রায় সিন্থেটিক সুইটনার ব্যবহার করা হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি এই শর্করা খুব দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। মানভির ক্ষেত্রে হয়তো এমনটাই হয়েছে ‌। নাহলে বয়স নিরপেক্ষ ভাবে সকলের কাছে জনপ্রিয় কেকের মতো একটি খাবার এমন বিপদ ঘটাবে কেন?
    আমাদের অবহেলায় মানভির মতো ফুলেরা অসময়ে শুকিয়ে যায়। আমাদের চেতনা কি তাতে জাগে??
     
    * তথ্য সূত্র 
    এই নিবন্ধটি লেখার জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি সকলের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মানভির পরিবারের প্রতি র‌ইলো গভীর সমবেদনা।
    *অজ্ঞাত কারণে এই নিবন্ধের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ছবিগুলো যোগ করা গেলনা। এ জন্য দুঃখিত।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tanima Hazra | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩১531027
  • সাংঘাতিক ব্যাপার। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়কে তুলে ধরেছেন। 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:c3:5db7:8000::***:*** | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৪531039
  • স্মোকি বিস্কুটের কথাটি প্রথম জানলাম । তরল নাইট্রোজেন যুক্ত এমন খাবার মানুষকে খেতেই বা হবে কেন , এটা ভেবেই তো আশ্চর্য লাগছে! সিন্থেটিক সুইটনার যে ব্যবহার হচ্ছে শুধু কেকে তা নয়। আজকাল আমার ধারণা মিষ্টি তেও ব্যবহার হচ্ছে। কারণ মিষ্টির মিষ্টত্ব যেমন বেড়েছে, স্বাদটাও যেন একটু পরিবর্তিত ।তবে এটা আমার অনুমান মাত্র।
     আপনি নিত্য নতুন বিষয়ে আমাদের সচেতন করে এক ধরনের সমাজ সেবা করে চলেছেন।
     
  • Somnath mukhopadhyay | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১১531041
  • তনিমা দেবী ও সৌমেন বাবুকে ধন্যবাদ জানাই এই বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে। ব্যবসার নামে এমন কাণ্ড কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এই সমস্ত অপচেষ্টা বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুব জরুরি।
     
    অজ্ঞাত কারণে এই নিবন্ধের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ছবিগুলো যোগ করা গেলনা। এই বিষয়ে পত্রিকার সঞ্চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
  • Saptarshi | 142.189.***.*** | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৯531054
  • আগুনে পান এর ব্যাপারটাও কতটা ক্ষতিকারক কে জানে 
  • Ritabrata Gupta | 103.68.***.*** | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫১531070
  • ভয়ঙ্কর .  জেনে  অনেক  স্বস্তি  পেলাম .  এই  বিষয়ে  সবাই  কে  সচেতন  হতে  হবে .  ধন্যবাদ  সোমনাথদা !
  • অরিন | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩২531071
  • লিকুইড নাইট্রোজেন বহুদিন ধরেই ব্যবহার করা হয়, তবে ড্রাগনের ধোঁয়া ব্যাপারটা অপেক্ষাকৃত নতুন। অত্যধিক "ঠাণ্ডা" বস্তুতে পুড়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল এমনকি অনত্রাশয় ফুটো হওয়া বিচিত্র নয়। 
     
    মানভি নামে মেয়েটির ক্ষেত্রে স্যাকারিন জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয় না যদিও স্যাকারিনকে কে দায়ী করা হচ্ছে বটে যেহেতু কেকটিতে পাওয়া গেছে, কিন্তু একবারে অনেকটা স্যাকারিন খাবার কারণে মৃত্যুর কথা শোনা যায় না, বা যে পরিমাণ স্যাকারিন খেলে (দেহের ওজনপ্রতি), তা অনেকটা।  অনুমান করা হচ্ছে | মেয়েটির রক্তে কি পাওয়া গেছে? হতে পারে কেকে স্যাকারিন ছাড়া অন্য কিছু ছিল, এরা চেপে যাচ্ছে বা ল্যাবোরেটরীতে ঠিকমতন পরীক্ষা হয় নি। বা অন্য কোন খাবার থেকে সাংঘাতিক ফুড পয়জনিং হয়েছে। কেক খাবার সঙ্গে সঙ্গে যদি সে বমি করে, তাহলে স্যাকারিন অন্ত্র থেকে রক্তে পৌঁছবার কথা নয়, বমির সঙ্গে বেরিয়ে যাবার কথা। ঠিকমতন তদন্ত হলে হয়ত আসল কারণ জানা যাবে। 
     
     
  • অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2405:201:8000:b1a1:e577:c8b2:dd1e:***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৭531107
  • এই লেখকের আরও একটি লেখা পড়লাম এবং সত্যি বলতে কি বেশ আতঙ্কিত হলাম। আমাদের শিশুদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করার ভাষা নেই ‌। তরল নাইট্রোজেনকে খাবারে ব্যবহার করা হচ্ছে জেনেও আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছি। এর আগে কটন বল সুইটে রোডামিন নামক এক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার করা নিয়ে লেখক পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এবার তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে তিনি তরল নাইট্রোজেন এবং সিন্থেটিক সুইটনারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আবার আমাদের সচেতন করলেন। মানভির মৃত্যু আমাদের চেতনায় নাড়া দেয়। লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই। 
    লেখকের লেখায় অনেক প্রাসঙ্গিক ছবি থাকে। এই লেখায় তা অনুপস্থিত। ছবি প্রকাশ পেলে লেখাটি আবারও পড়ার ইচ্ছে র‌ইলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন