এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা

    অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৩৪৯ বার পঠিত | রেটিং ২ (৩ জন)
  • বহুদিন আগের কথা বলছি। যে সময়ের কথা বলছি তখন কলকাতা শহরে চাকরি করতাম। ছুটি পেয়ে গ্ৰামের বাড়িতে ফিরছিলাম।আমি চাকরি পেয়ে কলকাতাতেই থাকতাম। অবশ্য এখনও থাকি। যদিও এখন চাকরি থেকে অবসর পেয়েছি। তো যখনই কাজের ছুটি-ফুটি পেতাম তখনই গ্ৰামের বাড়িতে চলে আসতাম। এখানে আমার বাবা-মা থাকেন। যতই থাকি কলকাতাতে জন্মস্থান আমার গ্ৰামে। কাজেই গ্ৰামকে কি ভোলা যায়?

    গ্রামের নাম ভীমনগর। একেবারে অজপাড়া গাঁ বললে খুব ভালো হয়। এখনো সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। ভাবতে পারছেন পাঠকগণ! এই গ্রামের কাছাকাছি কোনো রেলস্টেশন নেই যা আছে তাও কুড়ি মাইল দূরে জগৎজীবনপুর গ্ৰামে। স্টেশনের নামও গ্রামের নামেই। আমি গ্রামে এলে এখানেই নামি তারপর পনেরো মাইল রিক্সা নয়তো গোরুর গাড়িতে করে যাই। তারপর দুটো বড় বড় বন পেরিয়ে আর সবশেষে একটা বড় মাঠ পেরিয়ে তবেই গ্রামে পৌঁছাই।

    তো সেই বুঝে আমি কলকাতা থেকে দুপুর বারোটা নাগাদ বেরিয়েছিলাম। যখন জগৎজীবনপুর স্টেশনে নামলাম তখন বিকেল পাঁচটা বাজে। যাইহোক স্টেশন থেকে রিক্সা নিয়ে চললাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। সময়টা তখন গ্রীষ্মের শেষের দিকে।

    সেদিন আকাশে চাঁদ উঠেছিল। কী অপরূপ জ্যোৎস্না! গ্রামবাংলায় দেখা জ্যোৎস্না আর শহরে দেখা জোৎস্নার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। সেটা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাপেক্ষে বলছি। যেমন গ্রাম-বাংলায় মাঠ, ঝোপ-ঝাড়, বন-বাদাড় থেকে চাঁদের আলো উপভোগ করা আর শহরে যেখানে আকাশ ঢেকে যায় উঁচু উঁচু অট্টালিকায় সেখানে কী ফাঁক-ফোঁকড় থেকে একটু আধটু চাঁদের আলো দেখা যায় ----- আকাশ-পাতাল তফাৎ। 

    পনেরো মাইল পথ যখন পার করলাম তখন হাত ঘড়ির দিকে তাকালাম। দেখলাম রাত সাড়ে আটটা। যদিও শহরে এমন সময়টা কিছুই নয়। কিন্তু গ্রাম তো! এখানে এমন সময়টাই ঠিক যেন রাত দুপুর। যেন পুরো মাঝ রাত। এবার হাঁটা পথ ধরলাম। দুটো বড় বড় বন পেরোতে হবে। যদিও এর আগে বহুবার এমন রাতের বেলায় এ পথ দিয়ে গিয়েছি কাজেই একেবারে যে নতুন কিছু তা নয়। পথের দুপাশেই ঘন বন এমন ভাবে আকাশ ঢেকে রেখেছে ঠিক যেন চন্দ্রাতপ তৈরি করেছে। তার ফাঁক-টাঁক দিয়ে যা জ্যোৎস্নার আলো আসছিল তা দেখেই কোনো রকমে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আধঘন্টা হাঁটার পর বড় মাঠটার কাছে এলাম। এই মাঠের পরেই আমাদের গ্রাম।

    আবার হাত ঘড়িতে চোখ রাখলাম। দেখলাম ন'টা পাঁচ। রাত যেন আরো ক্রমশ গভীর হয়ে উঠতে লাগল। এরকম গ্রামে-গঞ্জে এলে রাত কেমন গভীর থেকে গভীরতর হয় তা স্পষ্ট বোঝা যায়।
    মাঠের এ পাশে দাঁড়িয়েই দেখতে পেলাম দূরে দিকচক্রবালে আমাদের গ্রামখানি যেন আকাশের সাথে পুরো মিশে গেছে। ওই রাতের আঁধারেই দেখলাম দূরের কালো কালো বন-জঙ্গল আর ঘর-বাড়ি যেন ভূতের মত দাঁড়িয়ে আছে।

    মাঠ পেরোতে থাকলাম। এই মাঠ পেরোতে তাও আধঘণ্টা মতন লাগে। আগে তো বহুবার পার করেছি তাই জানি সময়টা মোটামুটি।

    পাঁচ-দশ মিনিট হয়তো এগিয়েছি। হঠাৎ কানে এলো পিছন থেকে অনেক চেনা একটা কন্ঠস্বর।
    ------ আরে অর্ঘ্যদীপদা না?
    আমি পিছন ফিরে দেখে বললাম ----- আরে অসিত যে। তা, এত রাতে এখানে?
    ----- এই দাদা বাড়ি ফিরছি তা পথে তোমার সাথে দেখা হয়ে গেল।
    অসিতের পুরো নাম অসিতবরণ হালদার। আমাদের গ্রামের বিমল মাস্টারের ছেলে। গতবছর খবর পেয়েছিলাম সে এইচএস পাস করেছে। কিন্তু তারপর আর তার কোনো খবর পাইনি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ----- তা এখন কী করা হয়?
    সে বললে ----- আর দাদা, এখন কিছুই আর করি না।
    ------ কেন?
    ------ উচ্চ মাধ্যমিকের পরে ভর্তি হয়েছিলাম পাশের গ্রামের কলেজে। কিন্তু পড়া আর শেষ হলো না গো!
    ----- কেন? কী হয়েছিল? টাকা-পয়সার অসুবিধা?
    ----- না, না ওসব কিছু নয়।

    কথা বলতে বলতে আমরা অনেকটা পথই এগিয়ে এসেছিলাম। তারপর দেখতে পেলাম আমার বাড়িখানা। অর্থাৎ মাঠ শেষ হয় হয়।
    ----- আচ্ছা দাদা, ভালো থেকো আমি আসলাম।
    ----- আসলাম মানে? তুমি যাবে না বাড়ি? তোমার বাড়ি তো আমার পাশের দুটো বাড়ির পরেই।
    ----- ঠিকই। কিন্তু, আমি আর পারব না যেতে দাদা ভালো থেকো।

    এরপরে যা দেখলাম বোধহয় এমন দৃশ্য সারা জীবনে কোনোদিন দেখিনি। দেখলাম ঠিক যেমন কর্পূর বাতাসে রাখলে উবে যায় ক্রমশ, তেমনই পুরো আমার চোখের সামনে অসিত বাতাসে মিলিয়ে যেতে লাগলো। একটা জলজ্যান্ত শরীর এভাবে বাতাসে মিলিয়ে যাচ্ছে! এ আমি কী দেখছি! এমন হয় বাস্তবে? এত কিছু বিষয় একসঙ্গে মাথার মধ্যে গোলমাল করতে থাকল।...... ধপ করে আমি পড়ে গেলাম মাটিতে।

    পরদিন দেখলাম আমি বাড়িতে শুয়ে আছি। আমায় ঘিরে আমার বাবা-মা, বিমল মাস্টার আর তিন চার জন অন্য নারী-পুরুষ। আমি চোখ খোলার পরে দেখলাম সবাই যেন একটু স্বস্তি পেল।

    আমি বললাম ----- মনে হচ্ছে, কালকে আমি পড়ে গেছিলাম।বলেই মাথার পিছনে হাত দিলাম। বেশ ব্যথা আছে। দাঁড়িয়ে থাকা জনতার মধ্যে থেকে একজন এসে বললেন ----- আমরাই বাবা, তোমাকে আজ সকালে পড়ে থাকতে দেখেছি মাঠে। তুমি কাল সারারাত ওভাবেই পড়েছিলে।
    ----- সারারাত পড়েছিলাম! নাঃ সে সব তো মনে পড়ছে না।
    আমার বাবা বললেন ----- তুই আসবি তা তো চিঠি লিখে জানিয়েছিলিসই। কিন্তু রাত যত বাড়তে লাগলো আমি চিন্তায় পড়লাম। ভাবলাম তুই বোধহয় আর আসছিস না। তাই তোর মাকে বললাম, ছেলে বোধহয় আজ আর আসবে না, এত রাত হয়ে যাচ্ছে। অথচ তুই যে মাঠে পড়ে আছিস সেটা তো জানতাম না।

    বিমল মাস্টার বললেন ----- তা বাবা তুমি ওভাবে পড়ে গেছিলে কেন? হোঁচট খেয়ে নাকি?
    ---- না মাস্টারবাবু।
    হঠাৎই দেখলাম আমার সব মনে পড়ে গেল। মাথার ব্যথার কারণে আস্তে আস্তে গোটা ঘটনাটা বললাম।

    পুরুষ মানুষদের সত্যিই মনের ভিতর কষ্ট হলে তবুও চোখের জল ফেলে তা প্রকাশ করে না। দেখলাম বিমল মাস্টার একটা গভীর শ্বাস ছেড়ে বললেন ---- আজ তো তেইশে জুন। আমার ছেলে গত বছর ঠিক বাইশে জুন তারিখে রাতে বজ্রাঘাতে মাঠেই মারা যায়।আগের বছর রাত বৃষ্টির মেঘে ভরা ছিল। কিন্তু তুমি যখন এলে তখন তো দেখলে কেমন চাঁদের আলো ভরা রাত। সারা রাত ছেলে আমার বাড়ি ফেরেনি।তাই ভোর না হতেই আমি আর আমার স্ত্রী আর থাকতে না পেরে ছুটে যাই মাঠের দিকে। গিয়ে দেখি ছেলে আমার মরে পড়ে আছে।

    এবার দেখলাম তাঁর স্বর একটু একটু কাঁপছে। তাঁর মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছিলাম। আমি তাঁকে একটা কথাই বললাম ------ অসিত অত রাতে কোথা থেকে ফিরছিল?
    মাস্টারবাবু বললেন ------ ও বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিল কলকাতায় কীসের একটা নেমন্তন্ন খেতে। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেছিল। আর তারপরেই....।
    তাঁর কন্ঠস্বর আরও কেঁপে উঠল।

    আমি আর তাঁকে কিছু বলতে দিলাম না। তিনি বেরিয়ে গেলেন আমাদের ঘর থেকে।বাবা কী ছেলের মৃত্যুর খবর এত বলতে পারে?

    আমি মনে মনে ভাবতে থাকলাম এখন তো গ্ৰীষ্মের শেষের দিক। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ বর্ষা ঢুকছে। কিন্তু এমন কী ভাবে সম্ভব হল? হয়তো এটা সম্পূর্ণই প্রকৃতির ব্যাপার। কখন বৃষ্টি আসবে আর কখন যাবে এটা কি আমরা বলতে পারি? তো গত কাল রাতে যদি বৃষ্টিই হতো তাহলে হয়তো অসিতকে অত পরিষ্কার দেখতে পেতাম না। তাই বোধহয় পরলোক থেকে পৃথিবীতে এসে ও রাত চাঁদের আলোয় ভরিয়ে তুলেছিল। ওরা সব পারে।

    ভাবতে ভাবতেই জানালায় চোখ বসালাম। বৃষ্টি পড়ছে সকালের আকাশ থেকে।

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ২২/৩/২০২৪
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • swapan kumar mondal | ২৯ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৫529956
  • রিক্সাটা ভূতে চালাচ্ছিল লিখলে আর একটা ভূত বেশি হত। নয় কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন