এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গাজার মৃত্যুমিছিল 

    Srijani Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ মার্চ ২০২৪ | ৪১৬ বার পঠিত
  • ইনস্টাগ্রাম খুলতেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল। গাজায় ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্ষুধার্ত মুখগুলি এখনো আমাকে ভয়ার্ত করে তুলছে। কংকালসার চেহারায় তারা হাসপাতালে মৃত্যুর দিন গুনছে। গাজায় এখনো অবধি মৃতের অফিসিয়াল সংখ্যা ৩০,৭০০ ছুঁইছুঁই। মনে প্রশ্ন জাগে ইজরায়েলের এই ইহুদিরা কি সেই হলোকাস্ট পার করা মুষ্টিমেয় সারভাইভারদেরই বংশধর?

    নিজেদের পূর্বপুরুষদের সাথে হওয়া বর্বরতা কে তাহলে ইজরয়েলিরা, এযুগের ইজরায়েলিরা ভুলে যেতে পেরেছে। নয়তো কি করে খাবারের ট্রাক থেকে খাদ্য সংগ্রহে ব্যস্ত বুভুক্ষ মানুষগুলির উপর নির্বিচারে আকাশ পথে আক্রমণ হল? যার পরিণতিতে মৃত শতাধিক আর আহত ২০০ র বেশী মানুষ।

    জানুয়ারিতে হওয়া এক সমীক্ষায় জানা গেছে দুই বছরের কমবয়সী প্রতি ছয় শিশুর একজন গাজায় পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে অসুস্থ। ইউনাইটেড নেশন্সের বার্তা অনুযায়ী গাজায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার নিয়েছে। দুর্ভিক্ষ অবশ্যম্ভাবী। আমার চোখে খালি একটি নিউজ চ্যানেলের ভিডিওয় দেখা এক শিশুর শুকনো কাঠির মত দেহ বারবার ভেসে উঠছে। এই যুদ্ধের শেষ কোথায়? আরেকটি বছর চারেকের শিশু বিস্ফোরণের অভিঘাতে প্রাণে বেঁচে গেলেও আতংকিত এতটাই যে দেখলাম সে চুপ করে বসে থাকলেও তার হাত পা কেঁপে চলেছে। এই সব শিশুরা তাদের প্রিয়জনদের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে দেখেছে। যদি এরা ইজরায়েলের তৈরি এই নতুন হলোকাস্ট থেকে কোন এক মির‍্যাকলে বেঁচেও যায়, বড়ও হয়, এরা কি মানসিক ভাবে একটা গোটা সুস্থ মানুষ থাকবে। নাকি এরা হবে মানুষের প্রতিচ্ছবি, যাদের দেহে হৃদয়ের বদলে একটা গর্ত থেকে যাবে? কাকে প্রশ্ন করব? কে আছেন এর উত্তর যিনি জানেন?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam Basu | ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৫:১১529078
  • মর্মান্তিক অবস্থা। 
  • Arindam Basu | ০৭ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪১529094
  • https://www.theguardian.com/commentisfree/2024/mar/06/colleagues-starvation-gaza-no-precedent-famine
     
    "They say that, right now, Gaza has the highest proportion of people living with food deprivation anywhere in the world. Before 7 October, when the war started, acute malnutrition was largely nonexistent in Gaza. Since then, among children in northern Gaza it has increased to 15% – that’s one in six children under the age of two – while it is 5% in Rafah in southern Gaza. Unicef has highlighted that 90% of children under five eat fewer than two food groups a day, which is defined as “severe food poverty”, while roughly 90% are affected by an infectious disease, including 70% with diarrhoea. A lack of nutrition and high rates of infectious disease cause a deadly cycle in children: hungry children are more likely to fall sick and have weak immune systems given their fragility, while diarrhoea causes weight and water loss in already thin children"
    এ এক ভয়ঙ্কর অবস্থা। 
  • Arindam Basu | ০৭ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৮529096
  • আধুনিক পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ, famine আবার হতে চলেছে, এবং এবার এমন একটি কারণে যাকে আটকানো যায়, যেখানে অন্তত নিরপরাধ শিশু এবং কর্তব্যরত সাংবাদিকদের নির্বিচারে মারা কোন কারণ নেই, একদল অমানুষের উদগ্র প্রতিশোধস্পৃহা বাদ দিলে। 
     
    "The UN has repeatedly said that a quarter of the population already faces starvation, while the entire population of 2.3 million lives with food shortages. Famine is usually declared when three conditions are met. First, when 20% of the population suffers extreme food shortages. Gaza is already past this threshold. Second, when acute malnutrition among children exceeds 30%, and third when two deaths for every 10,000 dying per day are due to food shortages and malnutrition. Given the deteriorating humanitarian relief situation and limited food supplies entering the country, famine looks inevitable without urgent international intervention.
     
    This is not a famine caused by drought, crop failure or environmental shocks"
     
  • Arindam Basu | ০৭ মার্চ ২০২৪ ২৩:৫৩529097
  • দেবী শ্রীধর লিখছেন, 
    "While you may find the news hard to keep reading, think of the people in Gaza, the children especially, who are being starved of food, deliberately. The constant pain in the abdomen, the lethargy, the slow depletion of all fat stores, then muscle, then body tissue. 
     
    This may not make the evening news or TikTok because it’s less visible than bombs and doesn’t fit into short clips. But it’s the reality of life in Gaza for most and, tragically, the biggest threat they face in the coming days."
     
    এই লেখাটা কপি পেস্ট করতে করতেই বেশ কয়েকটি শিশু গাজাতে মারা যাবে। 
    আমরা কবে মানুষ হব?
  • Srijani Chakraborty | ০৮ মার্চ ২০২৪ ১২:৪৮529109
  • কি বলব দাদা? খালি বসে বসে খবর পড়া আর দেখা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। এক কংকালসার শিশুর মুখ খালি চোখের উপর ভাসছে। শিশুরা কেবল একটি জায়গায় জন্মানোর অপরাধে কি ভয়ানক কষ্টই না পাচ্ছে।
  • Arindam Basu | ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫২529112
  • উপায় যে একেবারে নেই তা নয়, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করাই যায়, যেমন বাইডেনের ওপর এখন প্রবল চাপ হয়েছে, হাজার হোক, ভোট বড় বালাই | একই রকম ভাবে সব দেশের মানুষ যদি তাদের দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যে এখনই একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক, তাতে যে একেবারে কাজ হবে না তা নয়।
    The war in Gaza has become a growing issue in the US elections: what is President Biden doing to push for an end to the fighting?
    (
    )
    ভারতের এক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা থাকতে পারত, এক সময় মধ্যপ্রাচ্যে ভারতের একটা বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান ছিল, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের নানান ব্যর্থতার মধ্যে ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ক্রমশ অবনতি একটা সাংঘাতিক খারাপ দিক | 
     
  • cm | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:***:*** | ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:১০529113
  • বাইডেনের উচিত হামাসের উপর চাপ দেয়া যাতে বন্দীদের মুক্তি দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনছ।
  • Arindam Basu | ০৯ মার্চ ২০২৪ ০০:০২529125
  • দুলপক্ষেরই সমঝোতায় আসার প্রয়োজন, যার দৌত্যেই হোক।
    ইজরায়েলের হামাস নিধনের নাম করে নিরপরাধ নারী, শিশু, ডাক্তার, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষকে হত্যা, একটা দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনা, এগুলো ceasefire এর সূত্রে বন্ধ হওয়া উচিত, না হলে হামাসের হাত থেকে জীবিত অবস্থায় বন্দীদের উদ্ধার নাও হতে পারে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন