অদ্ভুত একটা ব্যপার খেয়াল করলাম। এত বড় একটা মিছিল হল, এত সংবাদমাধ্যম বুম নিয়ে হাজির ছিল অথচ খবর খুঁজতে গিয়ে দেখি নামমাত্র বর্ণনা হল মিছিলের। চার সাড়ে চার কিমি পথ অতিক্রম করে দীর্ঘ তিন ঘন্টা যেই মিছিল চলল তার সামান্যই বর্ণনা মিডিয়ায়। অথচ সঞ্জয়ের চরিত্র কেমন খুঁজতে যান। লম্বা লিস্টি পেয়ে যাবেন। মিডিয়া বিকিয়ে গেছে যে সেটা আবার প্রমাণিত হয়ে গেল।আজ বুদ্ধিজীবীরা মিছিল ডেকেছেন শ্যামবাজার পাঁচ মাথার ... ...
ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে, কোন সামাজিক মাধ্যমেই আর লেখালেখি করে আর লাভ নেই। এবার পথে নামতে হবে। আমার ভগিনীসমার হাতে পায়ে, নাভিতে, চোখে নাকে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গের কথা ছেড়েই দিন।চোখ ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।কলার বোন ভেঙে ফেলা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের এহেন হেনস্থায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে কাজ হাশিল হয়ে গেছে বলছে। সত্যি টা কি? সত্যি টা কি যখন অপরাধী ... ...
যাঁরা ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন তাঁদের জন্য সুসংবাদ। অধুনা ল্যান্সেট পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণার থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারতে টোটাল ফার্টিলিটি রেট ( টিএফআর) যেখানে ১৯৫০ সালে ছিল ৬.১৮, তার মান ২০২১ সালে নেমে এসেছে মাত্র ১.৯১ এ।টি এফ আর অর্থাৎ কিনা একজন মহিলা সারা জীবনে যতগুলি বাচ্চার জন্ম দেন তার গড়।এই হিসেব শুনে আপনি হয়তো মুচকি হাসছেন যে এতদিনে ... ...
আমার বেশ মনে আছে ছোটবেলার দোল খেলা। দোলের আগের দিন ভাঁড়ার ঘরের টং থেকে বেরোত জং ধরা পিচকারি। তাতে তেল দিয়ে দিয়ে কোনরকমে চলনসই করা হত। তারপর ছিল রং কেনার জন্য বাবার কোমর ধরে ঝুলোঝুলি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বড়দের পায়ে আবির দিতাম। আর তাঁরা কপালে গালে স্নেহের আবির মাখাতেন। তখন মার্চ মাসে এত গরম পড়ত না। তখন গাছপালা ছিল অনেক বেশী। ফুলে ফুলে তারাও সেজে ... ...
ইনস্টাগ্রাম খুলতেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল। গাজায় ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্ষুধার্ত মুখগুলি এখনো আমাকে ভয়ার্ত করে তুলছে। কংকালসার চেহারায় তারা হাসপাতালে মৃত্যুর দিন গুনছে। গাজায় এখনো অবধি মৃতের অফিসিয়াল সংখ্যা ৩০,৭০০ ছুঁইছুঁই। মনে প্রশ্ন জাগে ইজরায়েলের এই ইহুদিরা কি সেই হলোকাস্ট পার করা মুষ্টিমেয় সারভাইভারদেরই বংশধর? নিজেদের পূর্বপুরুষদের সাথে হওয়া বর্বরতা ... ...
আমি খবরের কাগজ পড়া ছেড়ে দিয়েছি বারো বছর হতে চলল। তবু টুকটাক কিছু খবর হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক আর ইউটিউব মারফত পেয়েই যাই। আজ যেমন হোয়াটসঅ্যাপ বাহিত একটি খবর পড়ে ভয়ানক মুষড়ে পড়েছি। খবরটি একটি কিশোরীর। শহরের এক নামী স্কুলের পড়ুয়া চোদ্দ বছরের ছাত্রীটিকে মা সরস্বতী পুজোয় জিন্সের বদলে শাড়ি পরতে বলেছিলেন। আর পুজোর বিসর্জনে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। তাই সে আত্মহননের ... ...
একটা অদ্ভুত ঘটনা লক্ষ্য করলাম। আগে কোনদিনও খেয়াল করিনি। সেটা হল আপনার ফোন লকড অবস্থায় যদি " হে গুগল" বলেন তবে সাথে সাথে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট খুলে যায়। তার মানে ফোন বন্ধ অবস্থায়ও আপনি যা যা কথা বলছেন গুগলবাবা সব শুনতে পাচ্ছে। এবং " হে গুগল" বলার সাথে সাথে সেটাকে রেকগ্নাইজ করছে। এখন এই তথ্য গুগল নিজের কাছে রাখছে না বেচে দিচ্ছে তা আমি আপনি কেউই জানি না। তাই অদূর ভবিষ্যতে জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত উপন্যাস, "1984" এর মত আমরা কি বলছি সেটাও যে কোনও মহৎ গুণধর ব্যক্তি র কানে চলে যাবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই। এই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টকে লক করা ... ...
কাল সরস্বতী পুজো। আমার আপনার ছোট ছোট মেয়েরা শাড়ি পরে ঠাকুর দেখবে। কাল আবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে ও বটে। প্রেমিক প্রেমিকা যুগলের হাট বসবে ভিক্টোরিয়া, ইলিয়ট পার্ক, ইকো পার্কে।আর কলকাতা থেকে মাত্র ৭৩ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিও একটি অন্যরকম ভোরের আশায় কাল চোখ খুলবে। দীর্ঘ এক দশকের অত্যাচারে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষগুলো লাঠি হাতে নেমেছেন রাস্তায়। তাঁদের কাহিনী শুনলে শিহরিত হয়ে উঠতে হয়। গত এক দশক প্রতি রাত্রি তাঁরা ঘুমিয়েছেন এক আতঙ্ককে বুকে নিয়ে। এই বুঝি মোবাইলটা বেজে উঠল। রাতের মজলিশে ডাক পড়ল বাড়ির সদ্যবিবাহিত নব যুবতীর। তাঁদের হাড়হিম করা কাহিনী শুনতে শুনতে ভিতরে একটা রাগ হচ্ছে। আমরা কি ... ...
সান্তা মারিয়া ডেল ফিওরে তার বিশালাকৃতির গম্বুজ সহ স্বমহিমায় আসীনফ্রান্সের ক্যাথিড্রাল নটরডেম দি রিমস এ ফ্লাইং বাট্রেসের মাধ্যমে বাইরে থেকে সাপোর্ট স্থান - ফ্লোরেন্স শহরকাল - ১৯ শে অগাস্ট ১৪১৮ খ্রীষ্টাব্দ।ইতালির ফ্লোরেন্স শহর ও তার চারপাশে যত স্থপতি ছিলেন তাঁরা নড়েচড়ে বসলেন একটি প্রতিযোগিতার আমন্ত্রণে। ফ্লোরেন্সে সবচেয়ে বড় ক্যাথিড্রাল তৈরি হচ্ছে প্রায় এক শতাব্দী ধরে। নাম তার সান্টা মারিয়া ডেল ফিওরে। সেই ক্যাথিড্রালের প্রধান গম্বুজটি কিভাবে তৈরি হবে তার কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ। তাই এই প্রতিযোগিতার আহবান। শুধুমাত্র গম্বুজ তৈরির নকশা দিলেই হবে না, তার সাথে বলতে হবে গম্বুজ তৈরির ভারী বেলেপাথর ও মার্বেল কিভাবে অত উঁচুতে তোলা যায়। এবং সেই সাথে ... ...
একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম খুলতেই আজ দেখি একটি বাচ্চাদের ওয়ার্কশপের বিজ্ঞাপন। গাছ পোঁতা শেখানো হবে ছোট ছোট বাচ্চাদের। ভাল কথা। কিন্তু মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই শিক্ষাও কিন্তু মূল্য ধরে দেওয়া হচ্ছে। খুব কম নয়, সাতশো টাকা এক ঘন্টার শিক্ষাদানের বিনিময়ে। আমার মনে হয় গাছ পোঁতা শেখানো ভীষণ দরকারী ভীষণ জরুরি। মানুষের যদি প্রকৃতিকে কিছু ফেরত দেওয়ার থাকে তবে এটিই প্রকৃষ্টতম উপায়। কিন্তু সে উপায়ও কি দাম দিয়ে কিনতে হবে? বাজারি মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছালে এই দিনও দেখতে হয় তাই ভাবছি। প্রকৃতিকে বাঁচাতে গিয়ে যখন একটি প্রাথমিক শিক্ষাও ব্যবসার উপকরণ হয়ে যায় তখন বলতেই হয় বেচে দিয়েছি, নিজেদের আত্মাকেও আমরা ... ...