এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম - ২১ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৪০২ বার পঠিত
  •    
    পি এন আর স্যার মন দিয়ে একটা নামী কোম্পানির সিলিং ফ্যানের বিজ্ঞাপনের দশ শব্দের ক্যাচলাইন লিখছিলেন । তিন চারটে ক্যাচি ভিসুয়ালের সাজেশানও দিতে হবে । তার মধ্যে একটা বাছা হবে । ঠিক হয়েছে একজন মেল , একজন ফিমেল মডেলের সঙ্গে সইসাবুদ হয়ে গেছে । তারপরে তো আবার ফ্যান কোম্পানিতে
    ফাইনাল লে আউট প্রেজেন্টেশনের ঝক্কি আছে । পি আর ডিপার্টমেন্টের কর্তাদের মনে না ধরলে আবার নতুন একটা প্রেজেন্টেশনের ঝক্কি আছে ।
    তিতির ডেস্কটপে চোখ লাগিয়ে বসে আছে ।  ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইন অ্যাসেম্বল করছে । চিরশ্রী স্টুডিওতে । একবার পিএনআর আর তিতিরের কাছে এসে একপাক ঘুরে গেল ।
    পিএনআর কাগজ থেকে মুখ না তুলেই বললেন , ' কি ব্যাপার রে তোর চিরু ... এত ছটফট করছিস ? শ্রীতমার  কোন খবর আছে নাকি ? '
    ----- ' না স্যার ওসব কিছু না ... এমনি ... '
    চিরশ্রী প্রিয়নাথের কাছে গিয়ে বসল । দেখল, পিএনআর শিটে তিনটে ক্যাচলাইন লিখেছেন ।
    ১) বসন্ত জাগ্রত দ্বারে  ২) ক্লান্তি উধাও হল নিমেষে ৩)  শীতল পরশ আনল বয়ে ...
    ------ ' কিরে ... কেমন হচ্ছে ? ' পিএনআর চিরুর মতামত চান ।
    ------ ' আপনার ক্রিয়েশান ... আমি আর কি বলব স্যার ?  তবে একটু রাবীন্দ্রিক ফ্লেভারের হয়ে যাচ্ছে না ... একটু প্রোজেইক করতে পারলে ... মানে জেনারেল মাস ইমপ্যাক্ট না হলে তো .... '
    প্রিয়নাথবাবু চিরশ্রীর দিকে প্রশংসা মাখা দৃষ্টিতে তাকালেন ।
    ----- ' আরে ... ওয়ান্ডারফুল ! এই জন্যে তোকে এত ভালবাসি ... থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ ফর দা সাজেশান । দেখি কি করা যায় ... '
    ------ ' কি যে বলেন স্যার ... আমি সাজেশান দেব আপনাকে ! মনে হল তাই  বললাম ... '
    ----- ' না না তা বললে হবে না । এভরিথিং কাউন্টস ইউ নো .... এভরিথিং কাউন্টস । ইংলিশ ভার্সানটা তিতির করবে জানিস তো ? '
    ------ ' তাই নাকি ? দারুণ দারুণ  । আমার বন্ধুর ওয়ার্থ খুব তাড়াতাড়ি সবাই বুঝতে পারবে । আয়্যাম প্রাউড অফ হার .... '
    তিতির লজ্জা পেয়ে বলে উঠল , ' চিরু তুই চুপ কর .... অত গাছে তুলিস না ... আগে কাজটা হতে দে .... '
    চিরশ্রী খানিকক্ষণ চুপ করে বসে রইল।  তারপর পিএনআরকে একটু নীচু গলায় বলল, ' কলতান স্যার আর যোগাযোগ করেছিলেন নাকি ? '
    পি এন আর কাজ থামিয়ে চিরশ্রীর মুখের দিকে তাকালেন ।
    ----- ' না .... এর মধ্যে তো আর যোগাযোগ হয়নি .... দরকার হলে উনি নিজেই কন্ট্যাক্ট করে নেবেন .... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে । ঈমি আসি ...স্টুডিওয় অনির্বাণ একা আছে .... ' 
    চিরশ্রী চলে গেল । পিএনআর আবার কাজে মন দিলেন । 

    চিরশ্রী সিঁড়ির একপাশ ধরে দোতলায় উঠছিল আস্তে আস্তে । তার পাশ দিয়ে একজন ওপরে উঠে গেল।  ল্যান্ডিংয়ে পৌঁছে যখন ডানদিকে ঘুরছে চিরশ্রী দেখতে পেল একজন বেশ লম্বা ,সুঠাম চেহারার স্মার্ট ভদ্রলোককে ।  পরনে সাদা শার্ট , কালো প্যান্ট এবং গলায় ছিমছাম নেকটাই । দেখে মনে হল চল্লিশ বিয়াল্লিশ বছর বয়স হবে । চিরশ্রীর মনে হল, কোন ক্লায়েন্ট হবে । নিশ্চয়ই  সুগত সেনের সঙ্গে কথা বলতে এসেছে কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে । চিরশ্রী দোতলায় পৌঁছে দেখল ভদ্রলোক সুগত সেনের চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কি একটা দেখছে । হয়ত কোন জরুরী মেসেজ এসেছে । ওটা পড়ে নিয়ে তারপর চেম্বারে ঢুকবে ।
    স্টুডিওয় যেতে হলে চিরশ্রীকে ভদ্রলোকের পিছন দিয়ে যেতে হবে । চিরশ্রী এগোতে লাগল । ভদ্রলোক তাকে ঠিক খেয়াল করলেন না ।  চিরশ্রীর হঠাৎ চোখে পড়ে গেল ভদ্রলোক গোলাপী রঙের পাউচ থেকে একটা কমলা রঙের চিউয়িং গাম বার করে মুখে পুরলেন । চিরশ্রীর বুক ধড়াস করে উঠল কি জানি কোন অজানা কারণে । সে জি এম কেও এরকম গাম মুখে পুরতে দেখেছে । তারপর ভাবল , এটা কি এমন ব্যাপার । চিউয়িং গাম চিবোবার অভ্যেস অনেকেরই থাকতে পারে । এই অরেঞ্জ ব্র্যান্ডটাই হয়ত এখন মার্কেটে চলছে । সে স্টুডিওয় পৌঁছে তার জায়গায় বসে ডেস্কটপ চালু করল । কিন্তু তার মনে একটা অস্বস্তি ঘুরপাক খেতে লাগল । অশেষ পালিতের বৃত্তান্ত মনে বারবার ঝিলিক দিতে লাগল । তার মনে পড়ল ,  ব্যাপারটায় সে মনোযোগ না দেওয়ায় কলতানের কাছে বকুনি খেয়েছিল । ভাবল, এবার আর একই ভুল করা উচিত হবে না ।
    সে উঠে করিডরের শেষে বারান্দার ধারে চলে গেল। এখানে কেউ আসে না । কলতানকে ফোন লাগাল ।
    ----- ' হ্যাঁ বল ... '
    ----- ' আপনাকে একটা খবর দেবার জন্য.... জি এম-এর চেম্বারে একজন স্মার্ট ভদ্রলোক ঢুকেছে । তাকে মিস্টার সেনের মতোই চিউয়িং গাম খেতে দেখলাম ... তাই আপনাকে জানালাম ... যদি কোন কাজে লাগে ... '
    ----- ' স্প্লেনডিড জব ... এক্সেলেন্ট ! এখন আর একটা কাজ করতে হবে । লোকটা বেরোলে সাবধানে ফলো করে দেখতে হবে কোন গাড়িতে ওঠে কিনা । যদি ওঠে তাহলে গাড়ির নাম্বার প্লেটের ছবি তুলে আমাকে পাঠাবি।  খুব সাবধানে। আশপাশের লোকজন যেন টের না পায় .... আর
    যদি কোন  গাড়ি না থাকে তাহলে তো ... '
    ----- ' আচ্ছা আমি দেখছি .... ' চিরশ্রী বলে ।
    ----- ' সবচেয়ে ভাল হত লোকটার ফোন নাম্বার কালেক্ট করতে পারলে ... কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব হবে ? '
    ----- ' চেষ্টা করে দেখতে পারি .... '
    ----- ' এসব করতে গিয়ে তোর অফিস জব হ্যাম্পারড হবে না তো ? '
    ----- ' ও ঠিক আছে .... ম্যানেজ করে নেব .... অনির্বাণ আছে ... '
    ----- ' অনির্বাণ কে ? '
    ------' আমার পার্টনার ... ভীষণ ভাল ... '
    ----- ' ঠিক আছে । তবে অনির্বাণের ওপর বেশি চাপ না পড়ে .... নিশ্চয়ই সাদাসিধে ছেলে ... '
    কলতান একটু চুপ করে রইল ।
    চিরু নীচু গলায় বলতে লাগল , ' হ্যালো ... হ্যালো স্যার ... '
    ----- ' হ্যাঁ আছি .... আমি একটা কথা ভাবছিলাম .... ঠিক আছে .... তুই রাখ । তোকে যেটা করতে বললাম সেটা কর । ছাড়ছি .... '
    কলতান চিরশ্রীর  ফোন ছেড়ে দেয় । বালীগঞ্জ থানার ওসি গৌতম রক্ষিতকে ফোন লাগাল । দুপুর দেড়টা বাজে ।
    ------ ' হ্যাঁ বলুন মিস্টার গুপ্ত.... '
    ----- ' আজ তো ওদের কোর্টে প্রোডিউস করা যায়নি তাই তো ? '
    ------ ' বার অ্যাসোসিয়েশানের কি গন্ডগোল হয়েছে তাই ব্যাঙ্কশাল কোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে । কাল তো গুড ফ্রাইডে ...ছুটি ... তাই পরশুদিনের আগে হচ্ছে না .... পরশুদিন আবার শনিবার ... কি হবে জানি না । না হলে সেই সোমবার ... '
    ------ ' কোথায় রেখেছেন ? '
    ------- ' হাজতে রাখিনি।  বলা তো যায় না ... কি কানেকশন আছে ... একটু মেপে চলাই ভাল । থানায় একটা এক্সট্রা রুম আছে .... ফারনিশড  ... ওখানেই .... । দিব্যি খাওয়া দাওয়া করছে । শালারা যেন রাজার ব্যাটা । দিব্যি আছে .... কোন হেলদোল নেই... মাঝে মাঝে ইচ্ছে হচ্ছে  বস্তায়  পুরে এক নম্বর দু নম্বর চালু করি .... '
    ------ ' না না ... ওসব এখন পেন্ডিং রাখুন । মেজাজ ঠিক রাখুন । শুনুন গৌতমদা একজনকে ফলো করতে হবে .... কিছুক্ষণ আগে ডেবোনেয়ারে ঢুকেছে .... সুগত সেনের চেম্বারে .... ওখান থেকে বেরোলে আপনাকে ইনফর্ম করব ....'

       মোটামুটি আধঘন্টা পরে ওই ভদ্রলোক সুগত সেনের চেম্বার থেকে বেরলেন ।  ডেবোনেয়ার থেকে বেরিয়ে রাস্তা পেরিয়ে ওদিকে গেল । তারপর ডানদিকে হাঁটতে আরম্ভ করল ।
    চিরশ্রী সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিল কলতানকে । তারপর রাস্তা পেরিয়ে ওপাশে গেল । লোকটার পিছনে অনুসরণ করতে লাগল । প্রায় চল্লিশ মিটার পেরিয়ে গেল হাঁটতে হাঁটতে । কোন গাড়ি টাড়ি কিছু নজরে এল না । বোধহয় কোন গাড়ি নিয়ে আসেনি । কিংবা আনলেও কোথায় পার্ক করেছে কে জানে । চিরশ্রী ভাবল , অনেকটা রাস্তা চলে এসেছে । আর এগোনো বোধহয় ঠিক হবে না । অফিসে যদি খোঁজ পড়ে সে কি জবাবদিহি করবে ? সুগত সেন  যদি তাকে সন্দেহ করে  তাহলে তো মহা মুশ্কিল হবে । ঠিক এই  সময়ে কলতানের ফোন এল --- ' আর যাবার দরকার নেই ... অফিসে ফিরে যা ... থানার লোক গেছে ওখানে, ওরা বুঝে নেবে ... পরে কথা বলব ... '
    ----- ' ঠিক আছে । কিন্তু অফিসে কিছু জিজ্ঞাসা করলে কি বলব ? ' চিরশ্রী পিছন ফিরে হাঁটতে হাঁটতে বলল ।
    ----- ' কেউ কিছু বলবে না । কারণ সুগত সেন এই কেসে তোর ইনভলভমেন্ট সবই জেনে গেছে । ও এও জেনে গেছে আমি কেসটা টেক আপ করেছি ।  সেনবাবু এখন কিছু করবে না । তাহলে  এক্সপোজড হয়ে যাবে .... সুগত সেন এই চক্রের একটা স্ট্রং কম্পোনেন্ট তাতে সন্দেহ  নেই .... যাক , তুই ভয় পাস না । আমি তো আছি ... সব নজরে রাখছি ... '
          সমর আর রতন লোকটাকে পিছু করতে লাগল ।  কোন প্রাইভেট কারের দেখা পাওয়া গেল না । লোকটা একটা অটোয় উঠল । সমর আর রতনও একটা অটো ধরল । কি আশ্চর্যের ব্যাপার,  লোকটা নামল বালীগঞ্জ থানার সামনে । অটোর ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে সে থানার মধ্যে ঢুকে গেল ।
    রতন সমরের মুখের দিকে তাকাল । সমর রতনের দিকে তাকিয়ে বলল, ' লে হালুয়া ' ।
    তারা ভালভাবেই বুঝতে পারল গাড়ি নিয়ে আসেনি ইচ্ছে করেই । পাক্কা মাল .....
    সমর কলতানকে খবরটা দিয়ে দিল ফোন করে ।
     
       সেই টিপটপ পোশাক পরা লোকটি থানায় ঢুকে কাউন্টারে গিয়ে বলল, ' ওসির সঙ্গে দেখা করতে চাই । '
    ----- ' কি ব্যাপারে ? '
    ----- ' আমি মিস্টার সিদ্ধার্থ সিনহার লইয়ার । দেখা করতে চাই ... '
    ----- ' দাঁড়ান খবর পাঠাচ্ছি । '
    একজন গেল ভিতরে খবর দিতে । এক মিনিটের মধ্যে সে ফিরে এল । এসে বলল, ' যান ...ডাকছে ... '
    ভদ্রলোক ভিতরে গেলেন । ওসি সাহেব চেয়ারে হেলান দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন । সে ভদ্রলোক ঘরে ঢুকে ডানদিকে ঘুরতেই তার সঙ্গে চোখাচোখি হল ।
    ------ ' নমস্কার ... আমার নাম অরিত্র বাগচি । আমি মিস্টার সিদ্ধার্থ সিনহার লইয়ার ... '
    ------ ' হুঁ ... বসুন । ' 
    ----- ' আমি পিটিশনটা তৈরি করে এনেছি , ওনাকে নিয়ে আসুন .... সিগনেচার করতে হবে ... '
    ------' কিসের পিটিশন ? '
    ------ '  অ্যাকুইটালের ... '
    ------ 'আরও একজন আছে জানেন কি ? '
    ------- ' হ্যাঁ জানি । ওটা পরে প্রসিড করছি । '
    ------ ' কোর্টের অর্ডার এনেছেন ? '
    ------ ' না । কোর্ট অর্ডার ঠিক সময়েই করাব । সোমবারের আগে অ্যাপিল সাবমিট করা যাচ্ছে না । এখন পিটিশানের বেসিসে ছেড়ে দিন .... '
    ------ ' আরে মশাই আমাকে আইন শেখাচ্ছেন নাকি ? আপনার পিটিশানের বেসিসে অ্যাকিউজডকে ছেড়ে দেব ? ' গৌতমবাবু আবার গরম হতে থাকেন ।
    অরিত্র বাগচির গলায় কিন্তু কোন উত্তেজনা নেই  ।
    স্থির, শান্ত এবং পেশাদার ।
    ------ ' কেন ... না ছাড়ার গ্রাউন্ডটা কি ? কাস্টোডিয়াল চার্জ তো ফ্রেমড হয়নি এখনও  ... '
    ------ ' কে বলল চার্জ ফ্রেমড হয়নি ? এটুকু জানেন না ... চার্জ স্ল্যাপ না করলে ইনক্রিমিনেট করে রিম্যান্ডে নেওয়া যায় না ? '
    অরিত্র বাগচি আবারও হিমশীতল গলায় বললেন,
    ' হ্যাঁ জানি । কিন্তু চার্জ তো নিশ্চয়ই প্রাইমা ফেসি এভিডেন্স বেসড । ওটা যদি ফাইলে না থাকে কিংবা উইথড্রন হয়ে যায় তাহলে তো সমস্যা নেই ... '
    মৃদু হাসিমাখা মুখে গৌতমবাবুর চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে থাকেন অরিত্রবাবু ।
    রাগে বাকরুদ্ধ হয়ে যান গৌতম রক্ষিত । তিনি কোন কথা না বলে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন উকিলবাবুর মুখের দিকে । তিনি এদের দলের শক্তি সম্বন্ধে একটা আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন ।
    গৌতমবাবু শেষ পর্যন্ত নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন । সংযত গলায় জিজ্ঞাসা করেন ,
    ' আপনাকে কে পাঠিয়েছে বলুন তো  ? '
    অরিত্র বাগচি সহজ উত্তর দেন , ' দীপ্তি সিনহা .... মিস্টার সিদ্ধার্থ সিনহার ওয়াইফ... '
    ------ ' আচ্ছা ! ওনাকে গিয়ে বলুন পুলিশ স্টেশন আপনার পিটিশান খারিজ করে দিয়েছে । আপনার হাসব্যান্ডকে ছাড়েনি। কোর্টে দেখা হবে। '
    ----- ' ঠিক আছে । এখানে আর সময় নষ্ট করছি না।  ঠিক সময়ে ঠিক জায়গাতেই দেখা হবে ... আসি তা'লে ....   আমার কথা শুনলে কিন্তু ভাল করতেন ... ' । ঠোঁটের কোণায় মৃদু হাসিটি অক্ষুণ্ণ রেখে বললেন অরিত্র বাগচি ।
    ----- ' আজ্ঞে আসুন আসুন .... আর বেকার কথা বাড়াবেন না ... '

       অরিত্র বাগচি বেরিয়ে যাবার পরে গৌতম রক্ষিত কলতানকে একটু আগে থানায় ঘটে যাওয়া পুরো বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন ।
    কলতান বলল , ' দারুণ ...আপনি খুব ভাল হ্যান্ডল করেছেন ।  আচ্ছা ঠিক আছে ... আমি পরে যোগাযোগ করছি আপনার সঙ্গে ... ওকে ? '

         গৌতমবাবুর ফোন রেখে কলতান এবার আর এক জায়গায় ফোন লাগাল ।
    ওদিকে ফোন তুললেন এক ভদ্রমহিলা । মিসেস দীপ্তি সিনহা ।
    ------ ' হ্যালো .... হ্যাঁ বলুন মিস্টার গুপ্ত  .... '
    ------ ' আমি আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই ... আপনার হাসব্যান্ডের কেসটার ব্যাপারেই... '
    ------ ' ওহ্... মোস্ট ওয়েলকাম স্যার ... কবে ...বলুন ... '
    ------ ' আমি কাল সকাল দশটা নাগাদ প্রমায় যাব ..... অসুবিধে আছে ? '
    ------ ' না না .... কোন অসুবিধে নেই  । আমি তো কথা বলতে চাই .... '
    ------ ' আমার সঙ্গে আমার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট যাবে । ঠিক আছে ? '
    ----- ' কোন অসুবিধে নেই  '

        ( চলবে )
    ********************************************

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bratin Das | ২৮ জুলাই ২০২৩ ০৩:২০521820
  • আস্তে আস্তে একটা একটা চরিত্রের ওপর থেকে পরদা উঠছে।... 
  • Mousumi Banerjee | ২৮ জুলাই ২০২৩ ১৮:০৬521824
  • বাপরে!  এ মোটেও ঘরোয়া, সাদাসিধে মহিলা নন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন