এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সায়নকুমার দে লিখেছেন নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান উপন্যাস নিয়ে

    নিবেদিতা ক্ষেপী লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জুন ২০২৩ | ৪১৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সায়নকুমার দে লিখেছেন নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান উপন্যাস নিয়ে। কদিন আগে উনি র‍্যাডক্লিফ লাইন নিয়ে লিখেছিলেন।

    অমর মিত্রর ‘নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি’ বইটি হাতে পেয়েছিলাম কোনো এক বইমেলায়, গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনার স্টলে। একটি উপন্যাস ও চারটি ছোটগল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে এই বইটি। উপন্যাস বলছি বটে, যদিও তা আয়তনে নাতিদীর্ঘ, কিন্তু চরিত্রনির্মাণে ও অভিঘাতে তা উপন্যাসই!

    কোনো কোনো উপন্যাস থাকে যার আয়নায় অনতিদূরে অতীতের আখ্যান হয়ে ওঠে উজ্জ্বল, তীব্র তার অভিঘাত। ‘নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান’ তেমনই একটি কাহিনি। ভিক্টোরিয়া জুট মিলের শ্রমিক ভিখারি পাসোয়ানের অকস্মাৎ পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার ও নিরুদ্দেশের আখ্যানের আধারে গড়ে উঠেছে এই উপন্যাসটি। এই আখ্যানে কোথাও যেন মিশে আছে সাউথ সিটি মল ও আবাসন গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবাদী মুখ জয় ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের শ্রমিকনেতা শম্ভু সিং, যিনি প্রথমে নিরুদ্দিষ্ট হন ও রহস্যমৃত্যু ঘটে তাঁর। অমর মিত্রর নির্মোহ লেখনীতে সেই মর্মস্পর্শী আখ্যান যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে পাঠকের মনে। লেখকের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষভাবে সত্য অনুসন্ধান গুরুত্ব পেয়েছে এই আখ্যানে। উপন্যাসের শুরু হয়েছে মদনমোহন মণ্ডলের এজলাসে উপস্থিত হওয়া থেকে, তার ছেলে বৈরাগী মণ্ডলের নিখোঁজের অনুসন্ধানে। শ্রীরামচন্দ্র গ্লাস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে দীর্ঘদিন, কাচকলের মালিক সেই কারখানার জমি দিয়েছে প্রোমোটারকে, সেখানে হবে সুবৃহৎ শ্রীরাম আবাসন।যেমন এর আগে এই এলাকায় এমনই একটা কারখানা প্রভুদয়াল রোলিং মিল বন্ধ হয়ে গড়ে উঠেছিল আকাশদীপ আবাসন। তেমনিই কি পরিণতি হবে গ্লাস ফ্যাক্টরিটির! কারখানায় তালা পড়ার পরেও বৈরাগী ভোর হলেই কারখানার সাইরেনের শব্দ শুনতে পেতো, এমনকি কারখানার ভিতরের জমিতে একসময় যে নিমগাছ ছিল, তার ফুলের গন্ধ পেতো সে। অথচ সে গাছ তো আসলে নেই আর, কবেই কাটা পড়েছে। সে বাঁশি তো আসলে বাজে না আর। এমন সব নেই-এর সঙ্গে বসবাস করে বলেই কি বৈরাগীরা হারিয়ে যায়? কারখানার খোলার তাগিদে সে তার মালিকের সঙ্গে দেখা করতে চায়, প্রত্যাখ্যাত হয় দ্বাররক্ষীর কাছে। কারখানা বন্ধ সংক্রান্ত কারণে প্রোমোটার রমেশ শর্মার ওপর নিগ্রহ ও তৎসংক্রান্ত প্রতিবাদ-প্রতিরোধের অপরাধে যে এফআইআর হয়, সেখানে বৈরাগীর নাম নেই অপরাধীর তালিকায়। প্রোমোটার এককালীন অনুদান দিতে চায় শ্রমিকদের, সেই তালিকাতেও গরমিলের কারণে অসন্তোষ দানা বাঁধে। বৈরাগী মণ্ডলের নাম তালিকায় থাকলেও সে ওই অনুদান নিতে অস্বীকার করেছিল, তার মনে হয়েছিল তাহলে আর খুলবে না কারখানা। সেদিন রাতেই থানা থেকে বৈরাগীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, আর তার পর থেকেই সে নিখোঁজ! যাদের নাম এফআইআরের তালিকায় থাকে না, তাদের বাড়িতে রাতবিরাতে হানা দেয় না পুলিশ, তুলে নিয়ে যায় না তাদের। তাই পুলিশের দাবি যে বৈরাগীকে আদৌ তোলেনি তারা, আনেনি থানায়, সে-দাবির একরকম বিশ্বাসযোগ্যতা শাসকের পুলিশের কাছেই৷ কিন্তু বাবা মদনমোহনের চোখের উপর দিয়ে, পত্নী সহচরীর সামনে পুলিশ রাতে মারতে মারতে তাকে নিয়ে গেছে এই সত্য তো মিথ্যা হয়ে যায় না কিছুতেই। আর তারপর থেকে থানার লকআপ থেকে আদালতে অভিযোগের কাঠগড়ায় - কোথাও তাকে দেখা যায়নি। তবে সে গেল কোথায়? বৈরাগীর বাবা মদনমোহন, বৈরাগীর ঘরণী সহচরী নিজেদের চোখে দেখা সত্যিকে বেমালুম অস্বীকার করে কী উপায়ে? আদালত নিরপেক্ষ তদন্তকর্মী অখিল শ্রীবাস্তবকে নিযুক্ত করে। তিনিও কি পারবেন এই রহস্যের সমাধান করতে? এই আখ্যান যেন এক রহস্য কাহিনি, পড়ার সময় সেই তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেছি। উপন্যাসটি যেন বৈরাগীর বাবা, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর বিচার চাইবার আখ্যান। লেখক একবারও উল্লেখ করেন নি সেই সময়ে রাজ্যের শাসকপদে আসীন রাজনৈতিক দলটির নাম, তাদের ভূমিকা। আর এইখানেই কাহিনিটি যেন হয়ে ওঠে চিরকালীন, সব সময়ের সব রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিচায়ক। ভূমিকায় রুশতী সেন যথার্থই জানিয়েছেন,

    “লেখক নিরপেক্ষ চলনে, লেখকের আয়ত্তাধীন বর্ণমালায় যতই লেখা হবে বৈরাগী-সহচরী-মদনের কাহিনি, ততই তা মিথ্যা হবে। তাই অখিল শ্রীবাস্তব এই অঞ্চলে যাদের কাছে বৈরাগীর কথা শোনেন, যাদের সাহায্যে একদা-কারখানা-অধুনা-আবাসনের অভ্যন্তরে ঢোকেন, যে রিকশাচালক তাঁকে নদীর ঘাটে নিয়ে যান, যে দোকানি তাঁর জিজ্ঞাসার জবাবে বলিনা-বলিনা করেও কিছু যেন বলে ফেলেন, তাঁদের যে কেউই যেন বৈরাগী হতে পারতেন। বৈরাগীর ফেলে যাওয়া চশমায় তাঁদের কেউ হারানো দৃষ্টি ফিরে পান; কারও বা মলিন বেশ, অবিন্যস্ত চুল, মুখের হর্ষ-বিষাদ বৈরাগীর সঙ্গে মিশে যায়। আবার এই যে একাধিকজনের সঙ্গে কথা বলেন শ্রীবাস্তব, এরা প্রত্যেকেই যেন একজন অন্যজনের মতো। নির্বিশেষ তাদের অবয়ব আর যাপন জুড়ে আসলে তেমন কোনো বিশেষ পরিচয় নেই; আছে কেবল অস্তিত্বের সংকট। যে-রাষ্ট্রের প্রজা তাঁরা সেই রাষ্ট্রের খেয়ালখুশিতে তাঁরা যে কেউ নিরুদ্দেশ হতে পারতেন।”

    অমর মিত্র খুবই নিচু স্বরে, বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিতে উন্মোচন করেছেন বৈরাগী অন্তর্ধান রহস্যের, তা এক হিমশীতল সত্য। অখিল শ্রীবাস্তব যেন লেখকের বিশ্লেষণী চোখ দিয়ে দেখে ফেলে বৈরাগী মণ্ডলের পরিণতি, তার নিরুদ্দেশের প্রেক্ষিত। উপন্যাসটি শেষ হয় এক ভিন্নতর আবহে, বৈরাগীর স্ত্রীর সন্তান হয়েছে তখন। ‘‘সহচরী শ্বাস নিচ্ছিল। নাকে আসছে নিমফুলের গন্ধ। কতদিন বাদে! ছেলেটিকে সে বুকে আঁকড়ে ধরল। তার ভয় করছিল। গন্ধটা চিনেছে ছেলে, একে কি ঘরে রাখতে পারবে?’’ এই অংশটি পড়তে পড়তে সহচরী মতোই যেন ভয় করতে থাকে আমাদের, পাঠকদের।

    বইয়ের মূল অংশ ‘নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান’, ছোটোগল্পগুলি যেন এই আখ্যানেরই সম্প্রসারিত অংশ। বিশেষ করে ‘প্রাণবায়ু’ গল্পটিকে মনে হয়েছে মূল আখ্যানের বিপ্রতীপ এক উপাখ্যান, যে গল্পে পুলিশ অফিসার অভয়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে অত্যাচারে মৃত মানুষগুলি যেন তার পত্নী সহচরীর গর্ভে আশ্রয় নেয়, জন্ম নেয় একের পর এক মৃত মানুষেরা। আবার ‘গাছ ও মানুষ’ যেন মূল আখ্যানের আশ্রয়েই নির্মিত। ‘ঊনচল্লিশের পরের জন’ গল্পটি পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম, এ যেন প্রতিরোধের নব আখ্যান। বরং ‘রূপকথায় প্রবেশ’, এই বইয়ের শেষগল্পটি সেভাবে আকর্ষণ করে নি, যদিও এই গল্পে সমকালীনতা ভীষণভাবে উপস্থিত।

    বইটি সুনির্মিত, পেপারব্যাক হিসেবে মানের দিক থেকে উত্তীর্ণ। বইটির প্রচ্ছদ ও নামলিপি করেছেন চিরঞ্জিত সামন্ত। বইটির একটি বিশ্লেষণী ভূমিকা লিখেছেন রুশতী সেন, যদিও ভূমিকা না হিসেবে থেকে এটি উত্তরকথন হিসেবে থাকলেই ভালো হতো। কারণ এই লেখায় উপন্যাসের পরিণতি নির্দেশিত হয়েছে, আখ্যান পাঠের আগেই তা জেনে ফেলা কাঙ্খিত নয় পাঠকের কাছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বাবা | 2405:8100:8000:5ca1::59:***:*** | ১৫ জুন ২০২৩ ১৫:০৮520433
  • সায়নকুমার দে who?
    এরকম কত বইয়ের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকের এদিক ওদিক দেখা যায় অন্যগুলো ত টোয়ি খুলে তুলে রাখতে দেখি না। সায়নকুমার কেন বিখ্যাত? 
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ জুন ২০২৩ ০৫:২১520458
  • ভালো লেখা। বইটি পড়তে হবে।
     
    সায়ন ও ক্ষেপীকে ধন্যবাদ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন