চৈতি রুমঝুম রুমঝুম দুপুর।
রেললাইনের ওপারে হোলির ঢোল থেমে গেছে গোয়ালাপাড়ায়, একটু আগেই-স্থলিত কটা বেতালা হাতের বোল এখনো বাজছে আকাশে।
কু-ঝিকঝিক একটা ট্রেন গেল, ঘুঘুর ডাক ম্লান করে।
ঘরে দেওয়ালে একটা চুপচাপ টিকটিকি, পাশে চকচকে ফ্রেমে রাধাকৃষ্ণের পায়ে বাসন্তী আবির; দু এক কণা মেঝের উপরে, বাসন্তী পদরেণু।
বেলা পড়ে আসছে, তকতকে নীল আকাশের উঠোনে
চাঁদের মৃদু ছায়া, পশ্চিম আকাশে শেষ দোলের প্রস্তুতি,
উইন্ড চাইমে টুংটাং বিনয়ী গলাখাঁকারি বিদায়ী দখিনা হাওয়ার, দ্বিধানম্র চালখানি।
এখনো মৃদু চন্দনগন্ধী আবির চারদিকে, পাড়ার মোড়ের বাড়িটার দেয়ালে কারা লেপে গেছে আলকাতরা, কাদা, পাঁক-সার সার হাতের ছাপ জংলা বাঁদুরে সব রঙের।
ঝিরিঝিরি কাঁঠালচাঁপার পাতায় রোদের রং পাল্টে এল, কাফির সুর নিশ্চুপ, দূরে কে আজকের দিনেও বাঁশিতে রেওয়াজ করছে..... এবার বোধহয় বাহার ধরবে।
নখের তলায় রং এখনো কুটকুট করছে, চিকন সব পাতার আড়ালে গন্ধরাজের কুঁড়ি বলছে "টুকি"। শুনশান নিঝুম চারদিক, ধুঁধুঁলগাছের ডালে কোকিলটাও চুপ... প্রেম এসে গেছে ওরও জীবনে হয়তো।
চারটে বাজল, কাপড়গুলো এবার তুলতে হবে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।