এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হাতিবাগান রহস্য - ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৯৮৮ বার পঠিত
  • ।কলতানের ফ্ল্যাটে কিচির মিচির পাখির ডাক ডেকে উঠল সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ।
    ঠিকানাটা  কলতানই জানিয়ে দিয়েছিল। দরজা খুলে কলতান বেশ খানিকটা চমকে গেল। দেখল একজনের বদলে দুজন দাঁড়িয়ে আছে। ইরাবান আর শ্রুতি।
    — ‘ আরে ... এস এস একেবারে দুই ভাইবোন একসঙ্গে। তা ভালই করেছ। আমার খাটুনি বাঁচিয়ে দিলে ’, কলতান বলে।
    ইরাবান আর শ্রুতি সংকোচজড়িত ভঙ্গীতে ঘরে ঢুকে সোফায় বসল।
    — ‘ হ্যাঁ বল .... ’, কলতান ওদের মুখোমুখি বসে।
    ইরাবান একটু চুপ করে থাকার পর বলল,  ‘ আমরা দুজনেই খুব ভয়ের মধ্যে আছি। তাই আপনার কাছে ছুটে আসা...’
    — ‘ কিরকম ?’
    — ‘ বাড়িটা মানুষের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হয়, কিন্তু আমাদের কাছে বাড়ির ভেতরটাই সবচেয়ে আতঙ্কের জায়গা হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে মরণফাঁদ।’
    — ‘ সে কি কথা !  তোমার মা আছেন তো বাড়িতে । তোমাদের ভয়টা কিসের ? ’
    — ‘ সবচেয়ে বড় ভয় তো তাকেই। বিষাক্ত নাগিনী। আমার বাবার খুনী। আমরা ভাইবোন খুব ভয়ে ভয়ে থাকি .... কোন কিছু খেতে গেলে অস্বস্তি হয়, বুক দুরদুর করে। তাতে কি মেশানো আছে কে জানে।’
    — ‘ কি বলছ কি? এ তো সাঙ্ঘাতিক কথা। তোমার কি মনে হয় উনি কি সিজোফ্রেনিক বা কোন ধরণের নিউরোটিক পেশেন্ট ?’
    — ‘ নিউরোটিক কিনা জানি না। তবে উনি যে সেক্স ম্যানিয়াক সেটা ভালভাবে জানি ..... ছি ছি .... নিজের মায়ের সম্বন্ধে এসব কথা বলতে হচ্ছে.... ইশশ্ ... ’

    ইরাবান মাথা নীচু করে দুহাতে মুখ ঢাকে।

    — ‘ সে কি !  ......ওনার কোন এক্সট্রাম্যারিটাল পার্টনারের কথা জানা আছে? কোন এভিডেন্স আছে? নাকি এমনিই বলছ? ’
    — ‘ হ্যাঁ নিশ্চয়ই ....বলতে  লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে .... সত্রাজিৎ সেন। দোতলার ভাড়াটে। মনীষা দেবীর থেকে দশ বছরের ছোট।’
    — ‘ আচ্ছা ! .... ’
    — ‘ সত্রাজিতের চাপে মনীষা মৈত্র বাবাকে মেরে দিল। অতগুলো পলিসির নমিনি .... ধৈর্য ধরতে পারল না .... অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ ক্লেমটাই বাগাতে চেয়েছিল দুজনে মিলে কিন্তু সেটা সাকসেসফুল হওয়ার আগেই বাবা আপনাকে অ্যাপ্রোচ করায় ওদের তড়িঘড়ি কাজ সারতে হল। ’
    — ‘ কিভাবে .... কিভাবে ? মিস্টার  মৈত্র তো হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। ’
    — ‘ না না স্যার ..... ভুল ভুল.... আপনাদের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এলেই ত সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। আমি আগে থেকেই বলে দিচ্ছি মার্কারির একটা কি যেন কম্পাউন্ড.... সিগারেটের তামাকে মেশানো ছিল.....মিলিয়ে নেবেন।’   
    — ‘ মার্কারির কম্পাউন্ড....কি করে জানলে তুমি?’
    — ‘ না.... জানি না ঠিক। এরকম করা যায় শুনেছি .... সিগারেটে মেশানো থাকলে এক টানেই খতম .... ’
    — ‘ কার কাছে শুনেছ ? ’
    — ‘ আমার বিজনেসের একজন কাস্টমারের কাছে শুনেছি। তার নিজের একটা ফার্মাসিউটিক্যাল স্টোর আছে। একদিন কথায় কথায় বলছিল আর কি ..... ’
    — ‘ ও আচ্ছা .... বুঝলাম ....’, কলতান চেয়ারে হেলান দিয়ে বসল।

    এই সময়ে কুলচা ঘরে ঢুকে একপাশে বসল।
    — ‘ কুলচা .... শোন শোন এরা কি সব ইনফর্মেশান নিয়ে এসেছে..... ’
    ইরাবান এবার  বলল, ‘ একটা কথা জানেন কিনা জানি না ..... আমি কিন্তু নীলাম্বর মৈত্রের নিজের ছেলে নয়। আসলে আমার বাবা কে আমি জানিই না। আমি হলাম মনীষা মৈত্রের বিয়ের আগের কোন উন্মাদনার ফল। শুনেছি, নীলাম্বর মৈত্রের বাবা এ বিয়ের ঘোর বিপক্ষে ছিলেন কিন্তু মিঁয়া বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি। মিস্টার মৈত্র মনীষা দেবীর বাঁধনহারা প্রেমে পড়েছিলেন। সেটাই কাল হল শেষ পর্যন্ত ..... ও : ....’
    কলতান কোন কথা না বলে একটা আর্মচেয়ারে হেলান দিয়ে বসে কোনো কথা না বলে তাকিয়ে রইল ইরাবানের মুখের দিকে। ইরাবান কথা থামালে ঘরে রহস্যময় নীরবতা নেমে এল।
    — ‘ কাল হল মানে? মনীষা দেবী কি করেছেন?’
    — ‘ ওই যে বললাম .... পারভার্সান। তাছাড়া দুজনে মিলেই তো বাবাকে মারল। ওই সত্রাজিৎ মনীষা দেবীর সেক্স পার্টনার অনেক বার বাবাকে মারার চেষ্টা করেছে ইনসিওরেন্স ক্লেমের টাকা পাবার জন্য।’
    — ‘ কিন্তু ইরাবান ..... মার্ডার বা সুইসাইডের ক্ষেত্রে ক্লেমের টাকা পাওয়া যায় না জানো নিশ্চয়ই। তোমার বাবাকে মার্ডার অ্যাটেম্ট হচ্ছিল জেনেও তোমরা পুলিশে ইনফর্ম না করে চুপচাপ বসে ছিলে কেন? ’
    — ‘ হ্যাঁ ...... নীলাম্বর মৈত্র তো পুলিশে রিপোর্ট করেছিলেন। কিন্তু কনক্রিট ক্লু না থাকায় পুলিশ এগোতে পারছিল না। তারপর তো উনি আপনার কাছে এলেন।’ 
    — ‘ হুঁ .... সবই জান দেখছি ....’, কলতান পাশে ঢেকে রাখা গ্লাসের জলে দুটো চুমুক দিল।
    শ্রুতি চুপচাপ বসে আছে। এখনও পর্যন্ত একটাও কথা বলে নি। মাথা নীচু করে বিষণ্ণমুখে বসে আছে।
    এই সময়ে সৌমাল্য আচার্যের ফোন এল কলতানের মোবাইলে।
    — ‘ হ্যাঁ হ্যালো ..... সৌমাল্য বল কি খবর ....’
    — ‘ হ্যাঁ .... কলতান .... পিএম-এর ইনিশিয়াল রিপোর্টটা জানতে পেরেছি। ফাইনাল রিপোর্ট পেতে একটু টাইম লাগবে। রেসপিরেটরি অর্গানে মারকিউরিক ক্লোরাইড পার্টিকল পাওয়া গেছে। তাতে নিকোটিনের প্রেজেন্স আছে। মানে, সিগারেট স্মোকিং-এর সঙ্গে ব্যাপারটা রিলেটেড।’
    — ‘ ও আচ্ছা আচ্ছা ..... থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। অনেক উপকার করলে। দরকার পড়লে এভাবেই একটু হেল্প করে দিও। থ্যাঙ্ক ইউ এগেন। ’

    কলতান আবার ইরাবানদের দিকে ঘুরল। 
    — ‘ তোমরা তো আমার পুরো কাজটাই করে দিলে। আমাকে প্রায় কিছুই করতে হল না। বিনা পরিশ্রমে এভাবে রহস্য সমাধান আমার কেরিয়ারে এই প্রথম। মারকিউরিক ক্লোরাইড নয় তারাতলায় ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথ থেকে সত্রাজিৎ সংগ্রহ করতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, মোটিভটা কি? ওই যে বললাম, এভাবে ডেথ ক্লেম পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত সত্রাজিৎ মনীষা মৈত্র সম্পর্ক তোমাদের কথা ধরলে অন্তত দশ বছর ধরে চলছে। কোন অসুবিধে তো হচ্ছিল না। হঠাৎ নীলাম্বরবাবুকে সরাবার দরকার পড়ল কেন? ’
    শ্রুতি এতক্ষণ চুপ করে বসে ছিল। সে হঠাৎ বলে উঠল, ‘আর বোধহয় ধৈর্য ধরছিল না ওদের। তাই ..... ’
    কলতান হাল্কা স্বরে বলল, ‘ও আচ্ছা। তবে নীলাম্বরবাবু কিন্তু আমাকে অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ ক্লেমের পলিসির জেরক্সটা দিয়েছিলেন। তাতে দ্বিতীয় নমিনি হিসেবে তোমার নাম আছে শ্রুতি।’
    — ‘ সেটা যদি থেকেও থাকে সেটা ফার্স্ট নমিনির অ্যাবসেন্সে। আমার মা বেঁচে থাকতে তো .....’
    শ্রুতি ঝটপট উত্তর দেয়।
    — ‘ হ্যাঁ সেটা ঠিক ... সেটা ঠিক। তবে কে কখন চলে যায় কিছু তো বলা যায় না .... তাই বলছিলাম ....’
    — ‘ তার মানে ? ’
    — ‘ না মানে .... একজন চলে গেছে ..... আর একজন গেলেই তো রাস্তাটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। তাই না? ’
    — ‘ এসব কি বলছেন স্যার ?’ ইরাবানের গলায় বিস্ময়ের সুর।
    — ‘ দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। অকারণে আর প্রাণহানি তো হতে দেওয়া যায় না। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া ভাল’, কলতান শান্ত স্বরে বলে।
    — ‘ কিছুই বুঝতে পারলাম না স্যার .... ‘
    — ‘ সত্যিই যদি না বুঝে থাক তা হলে ভাল। ঠিক সময়ে বুঝতে পারবে সব। কিন্তু যদি জেগে ঘুমিয়ে থাক তা হলে কিন্তু মুশ্কিল .... মানে, সত্য কখনও চাপা থাকে না। ‘
    — ‘ আপনি কি বলছেন এসব মিস্টার গুপ্ত! জেগে ঘুমিয়ে থাকা মানে?’, কলেজ পড়ুয়া তরুণী শ্রুতির গলায় রীতিমত পরিণতবয়স্কার আওয়াজ পাওয়া গেল। 
    — ‘ ওই যে বললাম, সত্য কখনও চাপা থাকে না .... যাক, বাদ দাও ওসব কথা। খয়েরি বিন্দি তোমার খুব ফেভারিট .... না ? ’
    — ‘ কি ..... খয়েরি ... বিন্দি ! ও, হ্যাঁ .... তা বলতে পারেন। কেন, খয়েরি টিপ পরে আছি বলে? ওই খয়েরি আর মেরুনের মাঝামাঝি বলতে পারেন। খুব ভাল লাগে রঙটা’, শ্রুতি জানায়।
    — ‘ ও আচ্ছা আচ্ছা .... ওই কালারটা আমারও খুব ভাল লাগে। তোমার মা বোধহয় ওসব আর্টিফিশিয়াল টিপ পছন্দ করেন না। অনেকেই করেন না অবশ্য। অনেকে অবশ্য লাল বিন্দি ইউজ করেন। ওতেও যে কোন মেয়েকে খুব সুন্দর দেখায় ....’, কলতান আগডুম বাগডুম বকতে থাকে আর কুলচা চুপ করে বসে শুনে যেতে থাকে মনোযোগী ছাত্রীর মতো।
    — ‘ না না .... মনীষা দেবী ওসব লাল হোক নীল হোক ওসব নকল বিন্দি টিন্দি একেবারেই পছন্দ করেন না। আমি কোনদিন ওনাকে ওসব টিপ ফিপ ইউজ করতে দেখিনি। উনি শুধু একটা জিনিসই ভাল বোঝেন ....’ , শ্রুতির কথায় ঝাঁঝ এবং শ্লেষ প্রভূত পরিমাণে ঝরে পড়তে লাগল।
    — ‘ তোমরা চা খাবে না কফি খাবে?’ কলতান নির্বিকারভাবে বলে। 
    ইরাবান বলে, ‘ কফিই খাব স্যার ’
    — ‘ আচ্ছা ঠিক আছে। কুলচা ..... লক্ষ্মীদিকে একটু বলে দে না ..... তোমরা কি এখান থেকে বাড়ি যাবে, না অন্য কোথাও যাবে?’
    শ্রুতি বলল, ‘ হ্যাঁ .... বাড়িই তো যেতে হবে .... আর কোথায় বা যাবার জায়গা আছে? কিন্তু ওখানে ঢুকতেই এখন গা শিরশির করে।’
    — ‘ না না .... কোন ভয় পেও না। আমার ধারণা এটা তোমাদের মনের ভুল। সদ্য একটা ঘটনা ঘটে গেছে বলে তোমাদের মধ্যে একটা ফিয়ার সাইকোসিস তৈরি হয়েছে। আর সেরকম আনইজি ফিল করলে তোমরা লোকাল থানার ওসি  ঋজু চ্যাটার্জির সঙ্গে দেখা করো। কোন দ্বিধা করো না। দরকার হলে আমাকে ফোন করো।আমি বলে দেব.... ওকে ? ’
    শ্রুতি বলল, ‘ থ্যাঙ্ক ইউ স্যার .... আমাদের একটু দেখবেন । ’
    লক্ষ্মীদি এসে চার কাপ কফি  এবং কিছু নোনতা বিস্কুট রেখে গেল। সকলেই একে একে কফির কাপে চুমুক দিল।    

    মিনিট দশেক পরে লক্ষ্মীদি এসে কাপ প্লেটগুলো তুলে নিয়ে গেল। 
    ইরাবান বলল, ‘ আমরা তালে এখন আসি স্যার। আপনি আবার কবে আসবেন আমাদের বাড়িতে? আপনার পেমেন্টটা করা হয় নি ..... আমাদের একটু দেখবেন স্যার ..... ’
    — ‘ আরে পেমেন্ট নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না.... মিস্ট্রিটা তাড়াতাড়ি আনভেলড হোক এটাই চাইছি । ’
    তারপর শ্রুতির দিকে তাকিয়ে আচমকা বলল, ‘ আচ্ছা .... তোমরা ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথ কোম্পানির অফিসটা কোথায় জান ? ’
    — ‘ হ্যাঁ ওষুধের কোম্পানি। সত্রাজিৎ ওখানে কাজ করে। অফিস কোথায় জানি না। কেন বলুন তো?’,  শ্রুতি সাবলীল জবাব দেয়।
    — ‘ না ... একটু দরকার ছিল। আচ্ছা ঠিক আছে। নেট সার্চ করে দেখে নেব’খন।’

    দুজনে ঘর থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে গেল। সিঁড়ির বাঁকে পৌঁছে ইরাবান একবার কলতানের দিকে হাত তুলে নাড়ল। তারপর শ্রুতিও নাড়ল। দুজনে নীচে নামতে লাগল।

    ঘরে ঢুকে কুলচার দিকে তাকিয়ে কলতান মুচকি হেসে বলল, ‘ কিরে .... কেমন বুঝছিস ? ’
    — ‘ দ্যুৎ ... মাথামুন্ডু কিছুই বোঝা গেল না .... ’
    — ‘ অ্যাবসোলিউটলি কারেক্ট ম্যাডাম ..... রহস্য অতি গভীর ...’
    — ‘ মানে ? ’
    — ‘ ক্রমশ: প্রকাশ্য ’

    ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১২ মার্চ ২০২২ ০৯:৩৯504833
  •  একটু তাড়াহুড়ো মনে হলো। কিন্তু থ্রিল বিস্তর... 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন