খুব ভালো লাগলো পড়তে। আর আমার নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার দাদু কিনা টিসকোতে চাকরি করতো, তাই আমার মামাবাড়ি ছিল জামসেদপুরে। তো ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে আমরা জামসেদপুরে ঘুরতে যেতাম। সে এক মহা আনন্দের ব্যপার ছিলো - ভোর চারটেয় উঠে এইটবি বাস ধরে হাওড়া স্টেশানে পৌঁছনো, তারপর ট্রেনে কতো কি খেতে খেতে যাওয়া, জামসেদপুর স্টেশানে বড়ো মামা দাঁড়িয়ে থাকতো, অটো ধরে বিষ্টুপুরে মামার বাড়ি। আমার ছিল দুই মামা আর এক দঙ্গল মাসি। দাদুর কাছে রাতে শুতাম, দাদু গল্প বলতো আর আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়তাম। খুব ভোরে উঠে দাদুর সাথে যেতাম মোষের দুধ আনতে। আবার মাঝে মাঝে ছোটমামার সাথে ভোরবেলা বেরোতাম ফুল চুরি করতে, পাড়ার সব্বার বাগান থেকে লুকিয়ে ফুল তুলে আনতাম। হপ্তায় দুতিনবার করে দাদু আর মামার সাথে হাটে যেতাম, সেখান থেকে মুর্গি কিনে আনতাম। দাদু সেগুলোকে বাড়ির পেছনদিকে উঠোনে কাটতো আর আমি দাদুর পেছনে দাঁড়িয়ে ভয়ে ভয়ে দেখতাম। রাত্তিরবেলা সবাই মিলে বাইরে খাটিয়া পেতে শুতাম। সেসব ভারি মজার দিন ছিল।
আমরা সন্তোষপুরে থাকতাম, পরে অবশ্য দাদু সন্তোষপুরেই বাড়ি কিনে চলে এসেছিল, সেখানেও অনেক মজা করেছি, তবে তখন কলেজে পড়ি। এখন দাদু আর নেই, দুই মামা সেই বাড়িতে থাকে, দুজনেই রিটায়ার্ড। মাসিরা একজন থাকে কলকাতায়, একজন ব্যাঙ্গালোরে, আমার মা চেন্নাইতে, একজন আমেরিকায়, আরেকজন কানাডায়। মাঝে মাঝে সবাই মিলে হোয়াতে আড্ডা দেয় আর পুরনো নানান কথা মনে করে। অনেকদিন জামসেদপুর যাইনি, এখন দুয়েক সময়ে মনে হয় গেলে হতো।
বেশ লিখেছো :-)
তাই বাংলার শিশুতোষ ছড়ায় বার বার মামা বাড়ী ফিরে ফিরে আসে। আহ শৈশব! ❤️
বেশ বেশ। সাধুবাদ।
এই স্টেটমেন্টগুলো বেশ লাগল - বেশ লেগ পুলিং :)
ডিসি ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগলো তোমার লেখা।
সত্যি ছোট বেলার এই দিন গুলো মনের কোণে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে তার উপস্হিতি জানান দেয়। :)))
কেকে, অনেক ধন্যবাদ। :))
বিপ্লব বাবু, আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। :))
দেকেচো? বোতিন্দার একচোখামি! ৮:১৩ তে ভালো বললাম, কমেন্টটা ইগনোর করল।
অভ্যু!! :))))
না ভালো পয়েন্ট আউট করেছো!! দেশের বাড়ী বলতে বুঝিয়েছি আমার ঠাকুরদার বাড়ী :))