কুকুর সম্পর্কে দুটো একটা কথা যা পাই জানে না
dc | 103.195.203.123 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:০৬460695
এদিকে কুকুরদের কান্ড শুনুন। আমি আর আমার স্ত্রী রোজ রাতে খেয়ে হাঁটতে বেরোই, পুরো ক্যাম্পাসটা একটা রাউন্ড দি। আমাদের বিল্ডিং এর নীচে তিনটে কুকুর থাকে, তো এখানে আসার পর ওদের জন্য রুটি নিতাম। এপ্রিল মাস থেকে আছি, মানে মাস ছয়েক হয়ে গেল। কদিন পর দেখলাম কুকুরগুলো নিজেরাই একটা খেলা আবিষ্কার করলো। আমরা রুটির টুকরো ছুঁড়ে দিলে ওরা লাফিয়ে লাফিয়ে সেগুলো খেতো। প্রথমে একটা কুকুর শুরু করলো, ওর থেকে অন্য দুটোও শিখে গেল। আর দুয়েকদিন পর থেকে দেখি পুরো ক্যাম্পাস আমাদের সাথে সাথে হাঁটতে শুরু করলো। আর এখন মাসখানেক আরেকটা খেলা শিখেছে। আমরা যদি দিনের বেলাও কোন দরকারে বেরোই তো ছুটে আসবে, তারপর পেছনের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে একদম বুকের ওপর দাঁড়িয়ে পড়বে। এক মিনিট মাথায় আদর করে দিলে তবে নামবে। এরকম নেড়ি কুকুর আগে দেখিনি। মুশকিল হলো, এই মাসের শেষে শহরে ফিরে যাবো প্ল্যান করেছি। তখন বেচারারা কি করবে কে জানে।
π | 42.110.136.132 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৫৩460700
ডিসি, পেছনের পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আদর খাওয়া, সেও কি সব কুকুর মিলেই করে?
আমাকে একটু বলে দিন তো, সঙ্গে দেওয়ার মত কিছু খাবার দাবার না থাকলে আর একসঙ্গে অনেকে মিলে ঘিরে ধরলে, বিশেষ করে মাঝরাত্রিবেলা অফিস থেকে ফেরার সময়, ব্যাগে কেক চানাচুর টিফিনবাক্স কি বাজার করা কিছু থাকলে বিশেষ করে, কী উপায় করা যায়? আমি ছোটছানাদের সঙ্গে খেলাধূলা করা পছন্দ করলেও মাঝরাতে এমনটা হলে একটু ভয়ই পাই। বিশেষ করে ছোটবেলায় আমার নাচানাচির চোটে মাসির বাড়ির কুকুর আমার কামড়ে দেওয়ার পর থেকে।
চোখ পাকিয়ে বকলে অবশ্য একটু কাজে দেয়। কিন্তু অফিস থেকে আমার কোয়ার্টার অব্দি এই পিছু নেওয়া কীকরে ছাড়াই আর কেনই বা নেয়?
একক | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫৭460701
আমার পাড়ার কুকুরেরা আবার খেতে চায়না। মানে, ওদের খাওয়ার ফিক্সড বাড়ি ও দোকান আচে। মূল দাবি হল আদর। মাথায় হাত, কান মলা, পেটে কিলিবিলি এই পুরো রিচুয়াল আদায় না করে ছাড়বে না।
একক | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১৫460702
আর, কুকুরদের সংগে সহাবস্থানের বাঁধা ফরমুলা হয় না। ওদের মধ্যেও মব মেন্টালিটিি আচে, বুুুলিি করার প্রবনতা আচে, নেতা হওয়ার এস্পিরেশন আচে । গোটা প্যাক এর সঙ্গে আলাপ করে, কাওকে একটু আস্কারা, কাওকে অন্য রাগী কুকুরের থেকে প্রোটেকশন এইসবকরে প্যাক পলিটিক্স কন্ট্রোল এ রাখতে হয়। যে আলফা থাকে তাকে অন্যদের সামনে ডমিনেট করতে নেই . আড়ালে বুঝিয়ে দিতে হয়, লাইন পেরোলে কপালে দুঃখ আছে.
তারপরেও পিছু নেবে, ওটা ওদের গার্ডিং ইনস্টিংক্ট. কিন্তু বদাম করবে না. আমার পেছনেও আসে, দরজা খোলারসময় ফিরে তাকাই, শান্ত ভাবে চোলে যায়.
একক | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২৮460703
আর " চোপ চোপ ", " হেই ", " হুশ " এসব কত্তে নেই কুকুরের সঙ্গে. ওতে ওদের অপমান হয়. তখন, বাকি প্যাকের কাচে স্টাটাস bojay বজায় রাখতে আর ও এগ্রেশন শো করে। করে.
ভদ্র ভাবে ডেকে, গলার আওয়াজ বেসে রেখে সোজা তাকিয়ে, বোঝাতে হয়. ইনিশিয়ালি ঘেউ ঘেউ কোরবে তারপর গলা নাবতে থাকবে, চোখের দৃষ্টি নীচের দিকে হবে, লেজের সিগন্যাল বদলাবে, তখন ঘাড়ে, কানে র্যাব করে, শেষে মাথায় র্যাব . ব্যাস.
π | 2409:4065:d83:5d41:f8b2:6c32:ffb6:65dd | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১৫460705
একক, বোঝাতে হয় তো বুঝলাম। কিন্তু কীভাবে বোঝাব এবং কী বোঝাব ? বোঝাতে হলে আগে তো বুঝতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে আসছে কেন দল বেঁধে ? খাবারের প্রত্যাশায় হলে সেইমত বোঝাতে হবে, ওদের পছন্দের খাবার আমার কাছে নেই, দুপুরের কৌটোতে যা ভুক্তাবশেষ আছে, সেগুলো দিয়ে পিঁপড়েদের ভোজ হতে পারে আর সেই হেতুই তা বরাদ্দ। আমিই বরং প্রচুর খিদে পাওয়াতে অবশেষে বাড়ির পথ ধরেছি। এছাড়াও ওরা কি রাত বারোটা অব্দি না খেয়েদেয়ে থাকছে ? সেক্ষেত্রে বোঝাতে হবে যে এরকম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। যদি উদ্দেশ্য হয় ঘেউঘেউইয়ের নানা ভেরিয়েশন শোনানো, তাহলে বোঝাতে হবে, আমার কান এখনো এই সংগীত আপ্রিশিয়েট করার জন্য তৈরি হয়নি। যদি পাহারা দেওয়ার জন্য আসে তো বোঝাতে হবে , ধন্যবাদ, কিন্তু আমি এই মুহূর্তে কোনভাবে অ-কুকুর কারুর কাছ থেকে ভীত সন্ত্রস্ত বোধ করছিনা, এরকম কিছু।
Ekak | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৫২460709
আমি এখানে বসে বলে দেব , কুকুররা কেন দল বেঁধে পিছু পিছু আসে , সেটা তো হয়না | নানারকম কুকুর , নানারকম কারণ , পরিস্থিতি | তবে আমাদের যেটা ইন জেনেরাল ধারণা যে ওরা শুধু খাবার চায় , তা ঠিক নয় | পাড়ায় ঢোকার সময় দলবেঁধে পেছন পেছন আসাটা মূলত গার্ডিং ইনস্টিংক্ট | দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে আর কী | এই রিচুয়াল গুলো ওরা করবেই , এট লিস্ট ওদের মধ্যে অন্তত একটা কুকুর করবে , কারণ এভাবেই , ওরা ওই রাস্তায় হেঁটে , কাওকে পৌঁছে দিয়ে তার বাড়ির কাছেপিঠে ফেরোমোন ছড়িয়ে , ওদের টোটাল নেটওয়ার্ক এর স্প্যাশিয়াল ম্যাপিং রেগুলার মেন্টেন করে | যদি দলবেঁধে ডিস্টার্ব না করে তাহলে প্রব্লেম নেই |
এবার মুশকিল হলো , জাস্ট লাইক হিউম্যান সোসাইটি , ওদের গার্ডিং ইন্সটিঙ্কট মাঝে মাঝে মাত্রা ছাড়িয়ে , পাড়ার দাদার দাদাগিরি তে পরিণত হয় | সর্বদাই সেগুলো এন্টারটেইন না করলে করা সম্ভূব ও নয় বাস্তবে ,গার্ড করতে এসে ডমিন্যান্স দেখাতে শুরু করে |
সেইজন্যেই বোঝানো জরূরী পাওয়ার রিলেশন এস্ট্যাব্লিশ করার জন্যে | কীকরে বোঝাবো ? কুকুর মানুষের ল্যাঙ্গুয়েজ লেক্সিকোলজিক্যালি বোঝে বলে আমার অন্তত জানা নেই , যেটুকু বুঝি ওরা ইমোশন ম্যাপিং করে | কিন্তু আমরা তো ভাষাহীন ইমোশন দিয়ে আউ -আউ শব্দ করে কথা বলতে অভ্যস্ত নই :)) তার দরকার ও নেই ; আমার যদি সামনের কুকুরের ব্যবহারে বিরক্ত লাগে , তাহলে বাংলাতেই কথা বলবো , জাস্ট একটু ইমোট করে বলবো আর পিচ কন্ট্রোলে রাখবো | ফার্ম পিচ , ফার্ম মেন্টালিটি শো করে | বেস এ থাকলে ওরা আচমকা একসাইটেড হয়না | এই কারণেই , কাঁপা কাঁপা পিচে, কুকুরকে যত বকেই নির্দেশ দেওয়া হোক , ওরা আরো একসাইটেড হয়ে লাফায় , গায়ে উঠে ডোমিন্যান্স শো করে |
অর্থাৎ কিনা ইমোশোন কমিউনিকেট করা অভ্যেস করতে হবে | একদিনে হয়না , তবে করতে করতে হয়ে যায় | এবং কুকুর রা ( ভোঁদা মার্কা কুকুর ও আছে ভোঁদা মানুষের মতোই , তাদের বাদ্দিলে ) ইন জেনেরাল ইমোশন বোঝার ব্যাপরে ভয়ানক নিখুঁত , মনের ভেতর ভয় রেখে , বাইরে গাম্ভীর্য দেখালেও ধরে ফ্যালে , এবং আরো বুলি করে |
আরেকটা ব্যাপার , কুকুর যা গোলমাল করে বেশিটাই , একসাইটেড থাকার কারণে বা মিসকমিউনিকেশনের ফলে একসাইটেড হয়ে | ওদের কান টান একটু র্যাব করে দিলে , কিন্তু বেশি আহ্লাদ না দেখিয়ে ফার্ম গলায় কথা বললে . একী সঙ্গে এক্সাইটমেন্ট ও কমে যায় ঝপ করে , এবং পাওয়ার রিলেশন ও এস্ট্যাব্লিশ হয়ে যায় | শান্ত hoye এলে তখন আহ্লাদ দেখানো যেতে পারে |
Tim | 2600:1009:b146:7f8e:e5a5:3b80:737d:9553 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:০৪460710
একক,
এইসব হতে হতে তো বেশ কবার কামড় খেতে হতে পারে, নয়?
Ekak | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:১৩460711
সে তো পারেই | আমি নিজেই দুবার ইনজেকশন নিয়েছি | বাট দ্যাট ইজ ওয়র্থ দ্য রিলেশনশিপ গ্রো | মানুষ কামড়ালে নেহাত জ্বলাতঙ্ক হয়না তাই , কিছু কম কামরায় এমন তো নয় :)
Tim | 2600:1009:b146:7f8e:e5a5:3b80:737d:9553 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২০460712
:)
Ekak | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২২460713
করে দেখো , এই অনলি ইমোশন বেসড ল্যাঙ্গুয়েজ টা অসম্ভৱ প্লীজিং | আমার তো নতুন কারো সঙ্গে আলাপ হলে ম্যাক্স তিন মাসে সব কথা ফুরিয়ে যায় আর অস্বস্তি লাগতে শুরু করে | সেখানে আমি আমাদের এরিয়াতে স্ক্যানার , প্রিন্টার , ঘঁটু এদের সঙ্গে কত বছর কথা বলে চলেছি , উইদাউট এনি প্রব্লেম |
ইয়ে, | 115.114.47.197 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২৩460715
কুকুর রিপেলেন্ট কোনো ফ্রাগর্যান্স ক্যারি করা যায়? ধরো ভিনিগার বা আরেকটু কনসেন্ট্রেটেড অ্যাসেটিক অ্যাসিড বা ওইরকম কিছু?
Ekak | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৩২460716
ভিনিগার , এমোনিয়া এসব ইয়ুজ করতেই পারেন | তবে কদিন বাদে ব্যাটারা অভ্যস্ত হয়ে যায় দেকেচি :))
T | 146.196.46.99 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৩৭460718
আল্ট্রাসনিক ডগ রিপেলান্ট বাজারে পাওয়া যায়। কিরম কাজ করে জানি না।
aka | 143.59.211.4 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৫২460719
বাঘা যতীনকে ওনার মা কি শিখিয়েছিলেন ভুলে গেলেন? কুকুরে তাড়া করলে রুখে দাঁড়াতে হয়, তাহলেই হল।
Tim | 2600:1009:b146:7f8e:e5a5:3b80:737d:9553 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০০460723
আমাদের পাড়ায় একজন আধপাগল ছিল। সে সারাক্ষণ বলে বেড়াত যে বাঘা যতীন সিনেমায় সে বাঘা চরিত্রে অভিনয় করেছে। একজন, ততটা পড়াশোনা না করা লোক সেটা বিশ্বাসও করেছিল।
aka | 143.59.211.4 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০১460724
আর হ্যাঁ কুকুরের চোখের দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করতে হবে - কুকুর তোর বাপের নাম কি?
Tim | 2600:1009:b146:7f8e:e5a5:3b80:737d:9553 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৪460725
হ্যাঁ তারপর কুকুর বলবে যাও জাকে উসকো পুছকে আও ইত্যাদি। অ্যাংরি ইয়ং কুকুর তো আর দেখনি।
T | 146.196.46.99 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৫460726
স্বাধীনচেতা বেড়ালদের পছন্দ করি।
কুকুরের জন্য | 115.114.47.197 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০০460721
সাত কর ধরে যাতায়াত করবে।
aka | 143.59.211.4 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৬460728
আরে না, ঐ সাতকর ধরে হাঁটা আর কুকুর তোর বাপের নাম কি খুব কাজ করে।
আমাদের পাড়ার আবদুলের ওপরেও কাজ করেছে। এক অ্যাংরি কুকুরের কামড় খেয়েছিলাম তো। তখন এই টেকনিক জানতাম না তাই।
একক | 103.124.165.60 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৬460729
তবে রিসার্চ যা হচ্চে সব ওই কনফাইন্ড এন্ড ট্রেইনড কুকুর কে মাথায় হেল্মেট পরিয়ে ব্রেন ওয়েভ ম্যাপিং। আমাদের দেশের নেড়ি কুকুরদের গ্রুপ বিহেভিয়ার নিয়ে সেরকম লেভেলের কাজ শুনিনি। আমার ধারনা এদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে চিন্তাভাবনা ট্র্যাক করতে পারলে, সিকিওরিটির কাজে লাগান যাবে। মানুষ - কুকুর সহাবস্থান অনেক বেটার হবে।
dc | 103.195.203.123 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৫460727
পাই ম্যাডাম, ওদের তিনজনেরই স্বভাব আলাদা। যে কুকুরটা খেলাগুলো আবিষ্কার করে, লাফানো বা গায়ের ওপর উঠে দাঁড়ানো, সে আদর খেতে সবচেয়ে ভালোবাসে। দ্বিতীয়জন প্রথমজনকে ফলো করে। আর তৃতীয়জন একদম কাছে ঘেঁষে না, বড়োজোর একটু গায়ের কাছে এসে দাঁড়ায়। তাই আমরাও ওকে নিজে থেকে আদর করতে যাইনা, কাছে এলে হয়তো পিঠে বা মাথায় একটু হাত রাখি। আপনি ব্যাগে এক প্যাকেট টাইগার বিস্কিট কিনে রেখে দিতে পারেন। তবে একক যা বললো, কুকুররা বেশীর ভাগ সময়ে সামনে সামনে গিয়ে বাড়ি অবধি পৌঁছে দিতে ভালোবাসে। আর প্যানিক একদম করবেন না, প্যানিক করলে ওরা পেয়ে বসে। দরকার হলে দাঁড়িয়ে পড়বেন, আর ফার্মলি কিন্তু শান্তভাবে বলবেন যা-ও-ও। অ্যাভয়েড করবেন না। একবার ওদের কন্ট্রোল করতে পারলেই দেখবেন আর কোনদিন বিরক্ত করবে না।
র২হ | 73.106.235.66 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:১৭460731
হ্যাঁ, বিড়ালদের চিত্ত স্বাধীন, ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্মান প্রবল। কুকুরদেরও পছন্দ করি তবে বড়ই গায়ে পড়া।
র২হ | 73.106.235.66 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:১৮460732
সাতের কর প্রথমে বুঝিনি, তারপর মনে হলো তাই তো, এটা শুনেছি আগে।
অনলি ডগস গোজ টু হেভেন | 157.42.38.229 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:১৮460733
আমার পাড়ার একটি মেয়ে রোজ সকালে অফিস যাওয়ার সময় আমার বাড়ির সামনে যে দুটো কুকুর থাকে তাদের রোজ এক প্যাকেট বিস্কুট খাওয়াই আর তার বদলে কুকুর দুটো মেয়ে টা যখন রাত ৯ টা সাড়ে ৯ টাই ফেরে তখন পাড়ার মোড়ের বাস স্ট্যান্ড থেকে মেয়েটিকে ওর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
dc | 103.195.203.123 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩১460736
কুকুর বেড়াল পাখি এসবের সাথে বন্ধুত্ব করার ব্যপারে আমার মেয়ে একেবারে অদ্বিতীয়। যেখানে যাকে পাবে তার সাথে কথা বলতে শুরু করবে। আমাদের গেটের সামনে একটা পুকুর মতো আছে, সেখানে হাঁস থাকে, সেগুলোর সাথে বন্ধুত্ব করেছে। এমনকি কম্পাউন্ড ওয়ালের বাইরে কিছু গোরু চরে, সেগুলোর গায়ে হাত বুলিয়ে এসেছে। এই কমাস মেয়ে সবচেয়ে ভালো সময় কাটালো।
lcm | 99.0.80.158 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:২৯460735
Dog: "Oh! Dear Master Human! You feed me, provide shelter, take care of me and love me. You must be God."
Cat: "Oh! Dear Master Human! You feed me, provide shelter, take care of me and love me. I must be God."
সাত করের ব্যাপারটা কি?
অভ্যু হল গুরুর গণেশ। দেখা হলে হেমকণা পায়েস খাওয়াবো ফেলু ময়রার ছানার কেক খাওয়াবো।
তাড়াতাড়িতে পড়লাম গরুর গণেশ :)
মানে সম্ভবতঃ বরাভয় মুদ্রা। সাতের করে বুড়ো আঙুল রেখে কুকুরকে দেখানো। বড়ই জটিল কেস।
টিমের পলিটিক্যাল অ্যাফিলিয়েশন পোকাশ পাচ্ছে।
সাতের কর হল ঐ হোয়্যাটাস্যাপে যেটা জনতা সক্কাল সক্কাল পাঠায় ইন্সপিরেশানাল গুড মর্ণিঙ্গ মেসেজের সাথে।
আজকাল সব জায়গায় গরুর ভূত দেখছি। :(
এইটা ব্যাপক হয়েছে :d
বহরমপুরে, সন্ধেবেলায় মিশন থেকে ফিরবার সময় একটা ঘেয়ো কুকুর আমার মা'কে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসত, দুটো লেড়ো বিস্কুট খেয়ে চলে যেত। তারপর মা আমার স্মার্ট হয়ে গেল আর ইলেক্ট্রনিক ডগ রিপেল্যান্ট কিনে ফেলল। এখন চারটে কুকুর মা'কে বাড়ি পৌঁছে দেয়। বিস্কুটের খরচাও চার ডবল হয়ে গেছে।
রসগোল্লার রস বোধহয় আমার ফোন খেয়েছিল। নাকি চশমা ? চশমা তো ডাল খেয়েছিল। অভ্যুর মনেও থাকে বটে !
তবে কুকুর প্রসংগে, যা বুঝলাম, আমাকে কুকুরদের চোখে চোখ রেখে, এক আইলেভেলে মেন্টেন করে ( তারমানে তো ওদের সামনে বসতে হবে) , গলাকে মন্দ্রসপ্তকে রেখে প্রশ্ন করতে হবে , আমার কাছে কী চান ?
তারজন্য একদু'বার কামড় খেতে হতে পারে, কিন্তু সেটা ওয়ার্থ।
এর উত্তরে অমৃত বা ডিডিদার মতে অমৃতি হলে তার জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে। টাইগার বিস্কুট বা অমৃতি ব্যাগে ক্যারি করতে হবে।
কুকুর সম্পর্কে এইসব দু'চারকথা , যা আমি জানতাম না, জানার পরে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। ঘটনাটি আমার জন্য নেহাতই লজ্জাজনক বলে সেনিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্যা করিনা। কখনো বলেছি কিনা মনে নেই আর। কিন্তু াজ কুকুর মনস্তত্ত্ববিশারদদের সন্ধান পেয়ে এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে ইচ্ছা করছে।
ঘটনাটি আমার নেহাতই ছোটবেলার। মানে এতটাই ছোট, যখন খাটের উপর দাপাদাপি করে নাচলেও খাট ভাঙ্গার বা বাড়িতে বকা খাওয়ারও কোন সম্ভাবনা ছিলনা। উলটে আমাকেই বলা হয়েছিল, খাটের উপর নাচ দেখাতে। মা মাসি মামা দিদি দাদারা সেই খাটের এখানে ওখানে আধশুয়ে বসে পোস্টমধ্যাহ্নভোজ অলস আড্ডার মুডে। যদ্দুর মনে হয় ভাইফোঁটার জমায়েত, খ্যাঁটন ছিল। আমি আমার মামাতো মাসতুতো দিদিদাদারাও কেউ না ঘুমিয়ে ওই আড্ডাতেই সেঁধিয়ে বসেছিলাম। তো , যা হয়, আড্ডাটাড্ডার মধ্যে বিরতিতে এন্টারটেইন্মেন্ট হিসেবে তো বাচ্চাকাচ্চাদের ভাল ডিমান্ড , এটা কর তো , ওটা বল তো , ওইটা দেখা তো, এসব বলে। তারা যাই করবে, সবাই হেসে গড়িয়ে পড়বে। আজ অবশ্য মনে পড়লে বুঝি, বেসিকালি মুর্গি করা হয়। নইলে যে গানটা গেয়ে আমাকে নাচতে বলা হয়েছিল, সেটা পাতি র্যাগিং ছাড়া আর কি ! এই গানটা আমাকে কে শিখিয়েছিলও মনে নেই, ব্রতচারী ক্লাসে বা স্কুলে ? বছর চারপাঁচ হবে। যদ্দুর মনে পড়ে , কীর্তিটা দাদারই। আমি যে এরকম একটা গানের সংগে নাচতে শিখেছি, সেটা ওখানে কারুর কানে তোলা। তারপর তো , সবাই মিলে বার খাইয়ে গেল, ওটা গেয়ে আর নেচে দেখাতেই হবে। আমিও অবশ্য ছোট ্বেলায় গাইতে নাচতে খুবই ভালবাসতাম,কেউ না বললেও সারাদিন এসব করে বেড়াতাম। গানটান বেশিরভাগই হবিজাবি যাখুশি বানিয়ে বকে যেতাম। তো সেরকম কিছু স্বরচিত গানের সংগে নাচের পরেই পাব্লিক ডিমান্ড আসে ওই বিশেষ গানের সংগে নাচের জন্য।
ও , যেটা বলার। মাসির বাড়িময় কুকুর ছিল। তারমধ্যে একজন বড়। কিন্তু সেজনই সবচেয়ে নিরীহ। সবচেয়ে ছোটটাই সবচে বিচ্ছু ছিল। রাগীও। আবার সবচেয়ে সুন্দরও। সাদা রেশমের মত প্রায় মাটি অব্দি ঝুলো ঝুলো চুলে চোখ প্রায় দেখাই যেত না। দেখা গেলে বেরিয়ে আসত কালো জ্বলজ্বলে দুটো পুঁতি। বয়সেও সে সবচে ছোটই ছিল। নাম ছিল পতি। এমন নাম কেন জিগেশ করবেন না। মেজজনের নাম ছিল, পমি, তার সংগে মিলিয়ে হবে। এবার মেজজনের নাম কেন পমি ছিল, বড়জনের নাম কী ছিল, সেসব কথা জিগেশ করবেন না। লিখতেই পারি, বড়জনের নাম ছিল টমি, টমির সংগে মিলিয়ে পমি। আর টমি কেন নাম সে আর কেউ জানতেই চাইবেনা, কারণ কুকুরমাত্রের বাই ডিফল্ট নাম টমিই হয়। কিন্তু আমার ধারণা, সেটা আমি লিখলে বানিয়ে লেখাই হবে। লিখতে গিয়ে যদিও মনে হচ্ছে, সত্যি হতেও পারে কিম্বা আমি লিখলেও সত্যি হয়ে যেতে পারে !
সে যাহোক, এই পতিবাবুও কখন আমাদের সংগে ওই খাটেই আড্ডার মধ্যে সেঁধিয়েছিলেন মনে নেই। তবে একবার দেখে মনে হয়েছিল, আমাদের এই আসরে নেহাত বোর হয়ে ঘুম দিয়েছে। ঘুমিয়েছে ভেবেই সাহস করে মনের সাধ মিটিয়ে ওর সাদা ঝামরি ঝালরে একটু ইলিবিলিও কেটে দিয়েছিলাম। জেগে থাকতে অত সাহস হত না। আর এক জায়গায় চুপচাপ থাকতও না।
তো, এবারে আসি পাব্লিক ডিমান্ডে সেই কুখ্যাত নাচের কথায়। হ্যাঁ, কথা। নাচের গানের কথা শুনলেই বোঝা যাবে, কেন কুখ্যাত। বহুদিন অব্দি, অনেকটা বড় হবার পরেও এই গল্পের কথা যখন মাসি কি দাদা দিদিরা করত আর করলেই আমি খেপে যেতাম, গল্পটা বলতে গিয়ে গানের কথা প্রসংগ এলেই মুখ চেপে ধরতাম। আজো লিখতে গিয়ে দেখছি অস্বস্তিই হচ্ছে। সত্যিই এই গান যে কে বানিয়েছিল আর কে শিখিয়েছিল, তার সংগে আবার ওই তালে তালে হাতে নাড়ু পাকিয়ে পা ছুঁড়ে ছুঁড়ে নাচ ! ভাবলেই মনে হয়ে মাগোমা !
মা গো মা ! তোমার জামাই এসেছে !
হ্যাঁ, এটাই ছিল গানের মূল লাইন। আর বাদবাকি লাইন অত মনে নেই। এই একটা লাইন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বহুবার গাওয়া হত নাচের তালে তালে , সেটাই মনে আছে। মায় সুরটাও।
আর এই গান গেয়ে গেয়েই আমি নাচ শুরু করেছিলাম। বলাই বাহুল্য, সমবেত দর্শকমণ্ডলী খুবই এন্টারটেইন্ড হয়ে তালে তালে হাত তালি দিয়ে দিয়ে নাচ গানে আরো উতসাহ যোগাচ্ছিলেন ( অনেক ভাগ্যি আমার যে যুগটা আজকের নয়। নইলে এসব এম্বারাসিং মুহূর্তও মোবাইলবন্দি হয়ে ফেসবুকে ঘুরে বেড়াত !) , আর আমিও দ্বিগুণ উতসাহে মা গো মা তোমার জামাই এসেছে বলে খাটের উপর লম্ফঝম্প করে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে কখন যে গানে কেবল মা গো মা ই বলে যাচ্ছি , সেখান থেকে শুধু মা আআআ বলে চেঁচিয়ে চলেছি লাফিয়ে চলেছি তাতে কারুর ভ্রূক্ষেপই নেই। লোকে ভেবেছিল, আবেগ টাবেগ এসে গেছে। কিম্বা এও গানের অংগ। আর লাফানোটাও নাচের অংগ।মাআআআ বলে বিস্তার টিস্তার কিছু আছে কিনা ভেবেছিল জানিনা, কিন্তু পরে সবাইই বলেছিল, গানটা এভাবে শুনতে দিব্বি লাগছিল।
যতক্ষণ না মাআ মাআ থেকে ম্যাআ ম্যাআ হয়ে হাঁউমাউ কান্না জুড়লাম ! জুড়ব না ?
বোঝাই যাচ্ছে আশা করি। পতিবাবু আমাকে নাচগানের ওই ঘনঘোর আবেগের চূড়ায় টুক করে কুট করে কামড়ে দিয়েছিলেন।
এটা আকচুয়ালি ক্ষমা করিনি তে যেত। অবশ্য কাকে কাকে করিনি বলা চাপ, কাউকেই করিনি। তখনকার মত পতিবাবুকে না। একটু বড় হয়ে গানের মানে বোঝার পরে আমার দাদা দিদি মামা মাসি মা , কাউকে না। যিনি আমাকে এই গান, নাচ শিখিয়েছিলেন, তাঁকেও না। তাঁর উপর এতটাই রেগে গেছিলাম, যে তিনি কে সেটাই ভুলে গেছি।
কিন্তু যাহোক, এবার মনস্তত্ববিদ একককে প্রশ্ন।
পতি আমাকে কেন কামড়েছিল ?
আমি তো ওর দিবানিদ্রা বাদে আর কোন পাকা ধানে মই দিইনি, আর যদি ওর ঘুমের ব্যাঘ্যাতই কারণ হয়ে থাকে, তাহলে আগের নাচগানের সময় কামড়ায়নি কেন ?
কুকুরেরা কি নাচগান ভালবাসেনা ?
সেক্ষেত্রে বাড়িতে কুকুর থাকলে নাচগানের কী উপায় ?
সেটা বলার জন্যে না চ গান কেমন হচ্ছিল সেটা জানতে হবে
নো ছ্যাবলামি। স্থির হয়ে মন্দ্র সপ্তকে নিজের বস-ত্ব এস্টাব্লিশ করতে হবে
তোমার নাচ দেখে আর গান শুনে এক্সাইটেড হয়ে কামড়েচে। কুকুরের সামনে বেশি লম্ফ ঝম্প করা যাব না। তাতে ওরা অস্থির হয়ে ওঠে
পাই এর এই সব লেখাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে - বুলবুলভাজায় একটা সিরিজ করে ধরে রাখা যায় না?
ঠিগাছে, নেড়িদের ব্যাপারটা নয় বুঝলাম। কিন্তু যদি সাহেব কুকুর হয়? ল্যাব্রাডর অ্যালসেশিয়ান ইত্যাদি? তখন কি বিটোফেনের সোনাটা গাইতে হবে?
আমার খুব ছোটবেলায় আমার পাশের বাড়িতে একটা অ্যালসেশিয়ান কুকুর ছিলো। আমি তখন ক্লাস টুতে পড়ি। আমাদের বাড়িতে সেফ ডিসট্যান্স থেকে বেচারাকে নানাভাবে বিরক্ত করতাম। মুখ ভেঙ্গিয়ে, লাফিয়ে যতোভাবে করা যায় আর কি। তো একদিন খেলতে খেলতে আমাদের বলটা ওদের বাগানে গিয়ে পড়েছে, আর আমিও পাঁচিল টপকে গেছি বল আনতে। কুকুরটাও সুযোগের সদব্যবহার করতে ছাড়েনি, ছুটে এসে আমার ঘাড়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ভাগ্য ভালো, পাশের বাড়ির কাকু দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি এসে পড়েছিলেন। তাও ব্যটা আমার হাতে এমনি কামড়ে দিয়েছিল যে এখনো সেই দাদ আছে :-)
আর ছোটবেলায় আমি আর আমার পিসতুতো দাদা, আমরা দুটো কুকুর পুছেছিলাম। আমাদেরটার নাম ছিল টমি, ওদেরটার নাম লুসি। ভাই বোন। দাদাদের বাড়ি আমাদের কাছেই ছিল, মাঝেমাঝে টমি আর লুসিকে নিয়ে আমরা একটা মাঠে যেতাম বা পরষ্পরের বাড়ি যেতাম। তখন টমি আর লুসির আনন্দ দেখে কে! চারজন মিলে অনেক খেলতাম। এই দুজন চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে আর কুকুর পুষিনি।
আমার স্ত্রীর একটা পমেরিয়ান কুকুর ছিলো, তার নাম ছিলো কুট্টুস। কারন চেহারায় ছোট হলে কি হবে, সে ব্যটা ভারি বদমেজাজি ছিলো আর সবাইকে কামড়াতো। আমার শ্বশুরমশাই নাম রেখেছিলেন। তো আমার হবু বউ আগে থেকেই ভয় দেখিয়ে রেখেছিল, আমাদের বাড়িতে গেলে সাবধানে থাকবে, আগে কুট্টুসকে বেঁধে রাখবো, তারপর তুমি বারান্দা থেকে ভেতরে ঢুকবে। তবে কিনা সেরকম কিছু হয়নি। বারান্দায় যেই ঢুকেছি, ব্যাটা আমার দিকে তেড়ে এসেছে, আর আমিও শান্তভাবে ওর চোখে চোখ রেখে বলেছি, কুট্টুশ, বসো, বসো। আমাকে আর কখনো কামড়ায়নি। এতে অবশ্য হবু বউ বেশ ইমপ্রেসড হয়েছিল :-) কুট্টুসের অনেক গল্প আছে, সময় পেলে লিখবো।
একক | 103.124.165.120 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:২৪460799
বল্লুম ত, মানুষের এক্সাইটমেন্ট লেভেল ওরা নিতে পারে না সব সময়। ক্রমাগত এক্সপজারে এলে অভ্যস্ত হয় কিছুটা, কিন্তু হাই পিচ - হাই এম্পলিচিউড, ভাইব্রেশন এসব কুকুরের পছন্দের জিনিস না। কামড়ে চে তোকে থামানোর জন্যে, এগ্রেশন বাইট না. হাল্কা শাসন করেচে.
বাড়িতে নাচ গান করলে কুকুর কে ধীরে ধীরে অভ্যেস করাতে হয়. হয়ে যায় .
সব কথার পরেও কিছু ঠ্যাঁটা কুকুর থাকবেই, যারা আপনাকে শত্রু ভাববে এবং কামড়াবে। এমন কি একক - ও তাদের বসিং করে বশ করতে পারবে না ।
এমন একটি অপূর্ব সুন্দর কিন্তু মহা বিচ্ছু কুকুর আমার প্রতিবেশীর , বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটতে দেখলেই চেঁচায়। সাধারণতঃ চেনে বাঁধা থাকে। সেদিন খোলা ছিল, আমি নিজের মনে ফুটপাত দিয়ে শ্লথচরণে হাঁটছিলুম, দৌড়াই নি, নাচি নি, গান গাই নি, কোথাও কিছু নেই, ছুটে এসে ঘ্যাঁক করে কামড়ে দিল :-(
মনে রাখবেন, এহেন পাজি কুকুর সংখ্যায় খুবি কম।
চেনে বাঁধা থাকলে কুকুরেরা খুব বদনেজাজী হয়ে যায়।
বদ কুকুর, বোকা কুকুর, লোভী কুকুর এরা যথেষ্ট পরিমাণে আচে। তাদের মাঝে মাঝে কুকুরচিত টিউনিং দেওয়া জরুরি।
আর, পাওয়ার রিলেশন মানে বসিং বা বশীকরণ না। ওগুলো আমরা মানুষের রিলেশনশিপ এর আলোয় ভাবি।
একক অমন থিওরির মত করে বলছে দেখে হাসি পাচ্ছে কিন্তু প্র্যাকটিকালি আমরা অনেকেই ত ওইসব করে থাকি। বেশী উত্তেজিত কুকুরের চোখে চোখ রেখে কটমটিয়ে তাকালে থমকে দুই পা পিছিয়ে দাঁড়ায়। চাপা গম্ভীর গলায় যা আ আ ও ও বললে শোনে। আর আমার আম্রিকা থাকার সময় বিচ্ছিরি লাগত কুকুরেরা বাড়ি অবধি সাথে সাথে আসত না বলে। গুরুতেই লিখেছিলাম। আমি এমনিতে কিছুটা কুকুর ম্যাগনেট টাইপ। রাস্তার কুকুরে এসে বিন প্ররোচনায় হাত চেটে দিয়ে চলে গেছে মাঝেমাঝেই।
কুকুরের টিউনিং টা কী জিনিস? প্রত্যেকেই ইউনিক। তারপরে প্রজাতি বিশেষে কিছু গুণাবলী আলাদা করেও আছে- আহ্লাদি এবং বদ দুইই:-) তবে কুকুরের আকার যত ছোট তত বেশি বদমেজাজি ( ভীতু), চীৎকার করে এবং কামড়ে দিতে পারে।এর সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতার নির্ঘাত একটা যোগ আছে। আমার দুটো বাড়ি পরে দুটো বদ কুকুর আছে। একটা পিটবুল অন্যটা টেরিয়ারমিক্স। তারা আশেপাশের যে কোনও বাড়ির লোক দেখলেই দাঁত বের করে গগনবিদারী চিৎকার করে। ভালো করে খেয়াল করলে বোঝা যায় ডাকের মধ্যেও তফাত আছে, কখনো ভয় দেখানোর জন্যেও ডাকে, কখনো কামড়ে দেবে বলেও- ঐ দুজন সারাদিন একা থাকে, এবং মানুষের সঙ্গে প্রায় কোনও সংযোগ নেই, ফলে সবাই শত্রু।এরা বিপদজনক। কান মুলে মানুষ ( কুকুর ) করা সম্ভব না
তবে কোন কোন কুকুর খামোখাই লোককে তেড়ে কামড়াতে আসে। সম্ভবত অরণ্যদার মত কেউ সাইকেলে পালাতে গিয়ে লেজ মাড়িয়ে দিয়ে থাকবে, তাই সাইকেল দেখলেই খেপে যেত আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা পাড়ার কুকুর। একবার সাইকেল নিয়ে খুব দ্রুত পালাতে গিয়ে আমি ঐ কুকুরের তাড়া খেয়ে কন্ট্রোল হারিয়ে একজন পথচারীকে ধাক্কা দিই। তারপর আমতা আমতা করে ইয়ে মানে ব্রেক ফেল করলো কাকু, কুকুর ছিলো কাকু এইসব বলে ম্যানেজ করার চেষ্টা করতে করতে দেখি ভদ্রলোক রোষকষায়িত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমারই কথা রিপিট করে যাচ্ছেন সঙ্গে একটু জিজ্ঞাসু মত টোন । কি আপদ! এত রাগ কেন রে বাপু, একটা পরিবেশবান্ধব বাহনের আস্তে করে ধাক্কা, এতে এত ইসের কি আছে?
এটা ঠিক কুকুরের গল্প নয়, তবে কুকুর আছে। সদ্য এদেশে এসেছি, এমন সময় একদিন একটি ছেলের সাথে আলাপ হলো, শুনলাম ওকে সবাই বলে ড্যাশ। পরে জানলাম উড়িষ্যার ছেলে। ভারি ভালো ছেলে, আর গানবাজনার খুব শখ। তো, হয়েছে কি, একটা লং উইকেন্ডে সবাই মিলে আড্ডা হচ্ছে, এমন সময় ড্যাশ এলো গীটার কাঁধে। একটু আশঙ্কিত হলেও সবাই ভাবলো নতুন গীটার কিনেছে, তাই দেখাতে নিয়ে এসেছে, কারণ ড্যাশ কস্মিনকালেও গীটার শেখেনি, এবং সামান্য বাথরুম গায়কী থেকে যদি আন্দাজ করতে হয়, তাকে খুব একটা সুরেলা বলা যাবেনা। কিন্তু সেদিন দেখা গেল ড্যাশ নতুন গীটার নিয়ে একেবারেই স্টেজে মেরে দিতে এসেছে, উভয় অর্থেই। তার বাড়িও কাছেই, হেঁটেই চলে এসেছে, ফোন করে আর রিস্ক নেয় নি, যদি লোকে কাটিয়ে দেয়। অতঃপর, বসে বসে গোটা ছয়েক বঙ্গসন্তান তার গীটারের বেসুরো টুংটাং শুনে যেতে লাগলো, সঙ্গে সেরকমই হৃদয়বিদারী গান, কথা ও সুর ড্যাশের নিজেরই। শেষে ঘন্টা দেড়েক এই ভয়ঙ্কর অত্যাচার সহ্য করার পর ড্যাশ একটা ব্রেক নেয়, এবং সবার কাছে ফীডব্যাক চায়। তাতে একজন একটু চুপ করে থেকে বলেছিলো, দেখ, তোমার কপাল খুব ভালো যে অ্যামেরিকায় রাস্তায় নেড়ি কুকুর ঘুরে বেড়ায় না। নইলে আজ তোমার বাড়ি ফেরা খুব কঠিন হত। বলা বাহুল্য ড্যাশ এই হনেস্ট ফিডব্যাক ভালোভাবে নেয় নি ।
অভ্যুকে একটু সাহায্য করে দিই
অ্যাই এইখানেই হচ্ছে কুকুরের সাথে গরুর তফাৎ। আমি সেই সাইকেলসুদ্ধু গরুর পালের মধ্যে ঢুকে পড়ায় এবং একটা গরু নর্দমায় পড়ে যাবার পর থেকে আমাদের পাড়ার গরুরা সাইকেল দেখলেই দিগ্বিদিকজ্ঞানশুন্য হয়ে দৌড় দিত। কাউক্কে তাড়া করত না। তবে হ্যাঁ ওদের দৌড়ের পথে কেউ সামনে এসে গেলে --- তা সে অমন একটু আধটু হয়েই থাকে।
তাই ভাবি সিকি ব্ল্যাঙ্ক ইত্যাদিরা কেন মাঝে মাঝেই লাদাখের দিকে চলে যেত। প্রোজেক্ট করতে যেত আসলে
টিমের ছেলে মেয়েদের বাস রাস্তা প্রায় ই আটকে রাখা বিশালাকার একটি ষন্ডকে দমু একবার এমাইক্রোসফট প্রোজেক্ট স হাতে তাড়া করেছিল, এসব ভারতীয় আইটি সেক্টরের র গোড়ার দিক কার লেজেন্ড। সেই তাড়া খেয়ে ষাঁড় টি লাদাখের দিকে চলে যায়। এবং এতদিন চীন যে এক পা এগোনোর সাহস দেখাতে পারে নি তার পেছোনে সেই ষাঁড় ও মাইক্রোসফট প্রোজেক্টস এবং দমু র বিভিন্ন ডেডলাইন। তারপর দমু ক্লাউড কোম্পানি র সি ই ও মত হয়ে গেল, আর চীন ও ঢুকে পড়ল। ষাঁড় দের আর দেশ বাঁচানোর তাগিদ নেই। পুরো বিট্রেয়াল:---))))
ম - এর পোস্ট পড়ে মনে হল, " কান মলা" বলতে মানুষের কান মলার মত কিছু কনভে হয়েচে। তা নয়, কুকুরের কানে প্রচুর নার্ভ এন্ডিং থাকে, মলা মানে রাব করা, এতে এন্ডরফিন হরমন সিক্রেশন হয়। এটা রিল্যাক্সিং এবং ফীল গুড হরমোন। কুকুর শান্ত হয়ে আসে।
কাজেই এখেত্রে কান মলা মানে ঠিক শাস্তি দেওয়া নয় ঃঃ) ঠিক যেরকম পাওয়ার রিলেশন মানেও বসিং বা বশীকরণ নয়, আদতে যে অথরিটির অভাবে নিজেকে বস ভাবতে বাধ্য হচ্চে, তার ভার লাঘব করা। ভরসা দেওয়া।
আমি নিজের কান মলে এবং ডলে দেখলাম, খুবই আরাম লাগছে।
আপনি কী চান?
ইয়ে, মানে কান সম্বন্ধে দুচার কথা যা আমি জানি, তা হলো মেয়েদের কানের ডগা বা লতিটা খুবই সেন্সিটিব হয়। ইহা এক পরীক্ষিত সত্য, যদিও সাম্পেল সাইজ খুবই ছোট।
আর কিছু বলা ঠিক হবে না।
হা হা হা হা হা হুতো। ঢেউ খেলায়িত ওড়না বা মাফলার হেব্বি।
হুতো, :D
হুতোর ছবিটা থাকবে তো? আগের কতো ছবি ভ্যানিশ করে গেছে। একটা পার্মানেন্ট লিঙ্ক দাও।
(রেফঃ লেজ না মুগুর)
ডিসি আপনার জন্যে আরেকটা টই খুলব কি? মেয়েদের কানের ডগা সম্পর্কে দুটো একটা কথা যা dc জানে? মনে হচ্ছে খুবই ইন্টারেস্টিং টই হবে।
নানা এসব কথা পাঁচকান করা ঠিক হবে না :-)