বাংলা হরফ ও একটি প্রত্যাশিত মৃত্যু : সুস্নাত চৌধুরী
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব | ২১ অক্টোবর ২০২০ | ৪১৭৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
গত শতকের শেষ আর চলতি শতকের শুরুর দিকে কলকাতা ও আশপাশের মফস্সলে রাতারাতি প্রায় স্ক্র্যাপের দরে বিক্রি হয়ে যেতে থাকল লেটারপ্রেসগুলি, তার জায়গায় ভুঁইফোঁড়ের মতো গজিয়ে উঠল ডিটিপি ইউনিট। আপাতভাবে মনে হবে, তাতে তো ভালোই হল। ঠিক, কিছু ভালো হলও। মুদ্রণের শ্রম কমল, সময় কমল, হয়তো খরচও খানিক কমল। প্রযুক্তির যে ব্যবহারিক সুফলগুলি অবশ্যকাম্য। কিন্তু এই যে মুদ্রণ ব্যাপারটিকে ‘আপাতভাবে’ বেশ সহজ মনে হতে লাগল, মনে হতে লাগল চাইলেই ছাপাছাপির ছোটোখাটো ব্যাবসা শুরু করে ফেলা যায়, এমনকী পাঞ্জাবি পরে সম্পাদক বা প্রকাশকও হয়ে ওঠা যায় বেমালুম, তাতে ঠিক কী কী ক্ষতি হল বাংলা বাজারে, তা আজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো একটু অশ্লীলই হবে। সে-প্রসঙ্গ থাক বরং। তবে, গ্রুমড হওয়ার, শিক্ষানবিশি করার, হাতে-কলমে কাজ শেখার প্রসঙ্গ যে একপ্রকার উঠেই গেল, তা অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যায়।
সম্পাদনা কিংবা ম্যাগি বানানোর রেসিপি : সুস্নাত চৌধুরী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : সমাজ | ২৪ নভেম্বর ২০২০ | ৩৯২৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
ফ্রম আলপিন টু আল কায়দা – বিবিধ বিষয়ে প্রবন্ধ ফাঁদতে ঘুরে-ফিরে আসতে লাগল সম্পাদকের পছন্দের তালিকায় থাকা একই নাম। ফলে অধিকারীভেদ রইল না, বই কিংবা উইকি-টোকা রচনায় মৌলিকতা পৌঁছোল তলানিতে। লেখক-সম্পাদক ভাই-ভাই হয়ে উঠল আর বিনা বাক্যব্যয়ে লেখা আসামাত্রই চলে গেল কম্পোজে, সামান্যতম কাটাছেঁড়া ছাড়াই। কফির টেবিলে তুফান উঠল না, উঁকি দিয়ে গেল না সারস্বত মতান্তরের লেশমাত্র। কেবল অধ্যাপকের চাঁদমারি হয়ে প্রচ্ছদে আইএসএসএন আর ভিতরে আমাদের নাম ছাপা হতে থাকল ঈষৎ বড়ো পয়েন্টে, সম্পাদক হিসেবে।