খবর্নয় খবর্দার (জুলাই ২৯) : মিঠুন ভৌমিক ও দ্বৈপায়ন বসু
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ২৯ জুলাই ২০০৭ | ১৪২০ বার পঠিত
ট্যাক্স নিয়ে ট্যাকটিসের কোনো শেষ নেই। উচ্চ, মধ্য, নিম্ন সর্ব ধরনের বিত্তবান মানুষের কাছেই ট্যাক্স মানে আতঙ্ক, ট্যাক্স মানেই তর্ক, ট্যাক্স মানেই সরকারি নীতির সমালোচনা, সরকার জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় কোন অকাজ, কুকাজ করে বেড়াছে তার ফিরিস্তি। তো এত তর্কে না গিয়ে সবাই মিলে ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিলেই তো হয়। আমার দেওয়া এই সলিউশান টা খুব অদ্ভুত লাগছে কি শুনতে? তবে সোজা চলে যান লস অ্যাঞ্জেলেসের প্লেন ফিল্ডের ব্রাউন দের বাড়ি তে।
খবর্নয়, খবর্দার (আগস্ট ৫) : মিঠুন ভৌমিক ও দ্বৈপায়ন বসু
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ০৫ আগস্ট ২০০৭ | ১৩৯৯ বার পঠিত
আপনার কি অবাক হওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে? হযবরল'র মামাদের মত কি আপনিও দিনদিন হোঁতকা থেকে হোঁতকাতর হয়ে পড়ছেন? এইবেলা চিকিৎসা করিয়ে নিন। নয়ত আর্থিক ক্ষতিস্বীকার করতে হতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছেনা বুঝি? বেশ, কেভিন টেলরকে জিজ্ঞেস করুন। সদ্য আয়োজিত এক টেক্সট মেসেজ কন্টেস্টে কেভিনবাবু ১০০০ ডলার হাতছাড়া করেছেন, শুধু একটি ""! '' চিহ্নের জন্যে। নর্থ ডাকোটা স্টেট ফেয়ারে ঐ প্রতিযোগিতায় কেভিন টেলর আর বেথ ব্রেভিকের মধ্যে টাইব্রেকার চলছিল। শেষে দুই যুযুধানকে থামানোর জন্য সাডেন ডেথ চালু হয়। আর সেখানেই কেভিন ঐ মোক্ষম ভুলটি করেন, নিজের বাক্যের শেষে বিস্ময়বোধক চিহ্ন না দিয়ে। ফলে তাঁকে মাত্র ২০০ ডলার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
খবর্নয়, খবর্দার (আগস্ট ২৬) : মিঠুন ভৌমিক ও দ্বৈপায়ন বসু
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ২৬ আগস্ট ২০০৭ | ১৪২৯ বার পঠিত
এই মুহুর্তে বিশ্বের বেশ কিছু বিজ্ঞানী এক অভূতপূর্ব গবেষণায় মেতেছেন, যা সফল হলে অদূর ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ কৃত্রিম উপায়ে প্রাণ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। অদ্ভুৎ শোনাচ্ছে? তাহলে আরো শুনুন, বিজ্ঞানীরা এর মধ্যেই সময়সীমাও দিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৩-১০ বছরের মধ্যেই তাঁরা ছুঁয়ে ফেলবেন এই মাইলফলক। কৃত্রিমভাবে তৈরী ঐ কোষের ভিত্তি হতে চলেছে ডি এন এ থেকে পাওয়া কিছু রাসায়নিক পদার্থ। কোষের মূল তিনটে অংশ বানানোর ছকও তৈরী। কোষপর্দা, যা একাধারে কোষকে ধরে রাখে, আকৃতি দেয় আর ক্ষতিকর পদার্থদের ঘাড় ধরে বের করে দেয়, সেটা বানানো-ই প্রথম ধাপ। আর হাভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা এই কাজটা করে ফেলতে সময় নিচ্ছেন মাত্র ৬ মাস। তারপরেই শুরু হবে পরের ধাপ, অর্থাৎ কোষীয় বিপাকসমূহের সংযোজন।
অলিম্পিকঃ সাতটি তারার তিমির : মিঠুন ভৌমিক
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : খেলা | ২১ আগস্ট ২০২১ | ৩১২৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
সুতরাং আমরা এই লেখায় অন্তত কয়েকজন এমন ক্রীড়াবিদের নাম লিখে রাখি যাঁদের কথা শোনা যাচ্ছেনা। ধরা যাক দীক্ষা ডগরের কথা। গল্ফে অদিতি অশোকের পাশাপাশি ইনিও ফাইনাল রাউন্ডে খেলছিলেন। গল্ফেই উদয়ন মানে, অনির্বাণ লাহিড়ী পুরুষদের ইভেন্টে ছিলেন। ২০ কিমি রেসওয়াক ইভেন্টে ফাইনাল রাউন্ডে ছিলেন সন্দীপ কুমার, রাহুল রোহিলা, ইরফান থোরি (পুরুষ ), প্রিয়াংকা গোস্বামী এবং ভাবনা জাট (মহিলা )। মহিলাদের ডিসকাস থ্রো তে কমলপ্রীত ক'র । রোইং এ অর্জুন লাল এবং অরভিন্দ সিং। সেইলিং এ পুরুষদের ইভেন্টে বিষ্ঞু সার্ভানন, কে সি গণপতি, বরুণ ঠক্কর, এবং মহিলাদের ইভেন্টে নেত্রা কুমানন। শুটিং এ সৌরভ চৌধুরি। কুস্তির দীপক পুনিয়ার কথা আমরা তাও একটু আধটু শুনতে পেয়েছি, পঞ্চম স্থানে শেষ করায়। হাতে গোনা যে কয়েকজনের নাম এখানে লেখা হলো, এঁরা সবাই স্ব স্ব বিভাগে ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছিলেন। এর বাইরে রয়ে গেলেন বহু ক্রীড়াবিদ, যাঁদের অনেকের নাম আর কোনদিনই প্রচারের আলো পাবেনা। প্রসঙ্গত ভারত এবার মোট ১২০ জনের দল পাঠিয়েছিলো, দেশের ইতিহাসে এর থেকে বেশি খেলোয়াড় আগে কখনো অলিম্পিকে অংশ নেন নি।
পথরেখা : মিঠুন ভৌমিক
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৮৫৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
সুবিনয় রায়ের গান শুনতে গিয়ে দেখলাম সেখানে বিভূতিভূষণ উপস্থিত। " কী অচেনা কুসুমের গন্ধে" জেগে উঠছে ছবি, আর আমি ভাবছি একের পর এক মৃত্যুমিছিলের কথা। যে মানুষ চলে গেলেন, তাঁদের যাওয়া নয়, তাঁদের সঙ্গে সামান্য কিছু কথা, দেখা, কয়েকটি মুহূর্ত। ছোটবেলার বন্ধু, বন্ধুদের বাড়ির লোক চলে গেলেন খুবই অলক্ষ্যে। আরো এমন অনেক মানুষ যাঁদের চিনিনা। কিন্তু শোক ছাপিয়ে এই ভাবনা প্রবল যে এই এঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে সেইসব জমানো মুহূর্তেরা থেকে গেল। এইসব যখন হয়েছে, তখন ভাবিনি কোন কোন পথের বাঁকে আনন্দময় স্মৃতি জমে উঠছে। হেলায় কুড়িয়ে বইয়ের ভাঁজে রাখা সেসব ফুলই অপূর্ব রূপ নিয়েছে এখন।
পায়ের তলায় সর্ষে (এবং কোভিড) - পুয়ের্তো রিকো : পর্ব - ১ : মিঠুন ভৌমিক
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : ভ্রমণ | ১৩ নভেম্বর ২০২১ | ২৪৭৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ১২
সেই ছোট থেকেই একটা রেটরিকাল প্রশ্ন শুনে আসছি - ন্যাড়া বেলতলায় যায় কবার? এসক্যাম্ব্রিয়ন সমুদ্রতটে পৌঁছে প্রশ্নটা মর্মে এসে বিঁধলো। বিশাল সমুদ্রতট, সাদা বালি দিয়ে ঢাকা। সমুদ্র যত নয়নাভিরাম, ততই ভীতিপ্রদ। জায়গায় জায়গায় বেজায় ঢেউ, দুয়েকজন সার্ফিং করছেও দেখা গেল। তার ওপরে দেখলাম বিস্তর লোক, প্রায় কার্নিভ্যালের মত আবহাওয়া। দিনটা শুক্র বা শনিবার নয়, সম্ভবত বুধবার। এত লোকের কি কোন কাজ নেই, কি জ্বালা ! মনটা দমে গেল, মানসচক্ষে দেখতে পেলাম আমায় খাবি খাওয়া অবস্থায় জল থেকে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে, তীরের লোকেরা হেসে খুন। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত দেখলাম স্নরকেলিং এর বাকি সদস্যদের।
পায়ের তলায় সর্ষে (এবং কোভিড) - পুয়ের্তো রিকো পর্ব - ২ : মিঠুন ভৌমিক
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : ভ্রমণ | ২৭ নভেম্বর ২০২১ | ২৫০৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
তীরে এসে তো আর প্রেস্টিজ ডোবাতে পারিনা, তাই মুখে হিন্দি শেখা ডাকাবুকো অভিনেতার মত হাঁ হাঁ কিঁউ নেহি টাইপের ভাব করে ভেসে পড়তে হলো। এই অঞ্চলটা প্রায় একইরকম তবে বৈচিত্র্য আরো বেশি। মিনিট কুড়ি ধরে সেখানেও কুস্তি করে তারপর একসময় মুক্তি পেলাম। বীরের মত জল থেকে উঠে এলাম, মুখের ভাবটা আরো ঘন্টা দুই জলে থাকতে পারলেই ভালো হতো। শুনলাম ৫০-৫৫ বছরের ঐ ভদ্রলোক, যিনি সপরিবারে স্নরকেলিং করতে এসেছেন, তিনি অগাধ সমুদ্রে সাঁতার দিয়ে একটা কচ্ছপের পেছনে ধাওয়া করেছিলেন। তারপর এতদূরে চলে যান (এবং কচ্ছপটা এতই দ্রুতগামী) যে তাঁর ভয় হতে থাকে ফিরতে পারবেন না। অতঃপর বুদ্ধিমানের মত ফিরে এসেছেন। বুঝলাম যে লড়াইটা আদপেই সংস্কৃত আর হিন্দির না, বস্তুত তারা হলো "অলসো র্যান" ক্যাটাগরি। আসল হিরো হলো হলিউড, সেখানে সবই সম্ভব। কচ্ছপটা জোর বেঁচে গেছে।