ফেথ, দাই নেম : বাইনারি
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ | ৭০২ বার পঠিত
খান্না সিনেমার মোড়ে, আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড আর অরবিন্দ সরনির ক্রসিং-ংএ একটা দেওয়াল ছিলো। উল্টোডাঙ্গা-র দিকে। পেট্রোল পাম্পের (আমেরিকান ওব্যেসে, 'গ্যাসস্টেশন' লিখে ফেলেছিলাম, কেটে দিলাম), বিপরীত দিকে। এখন কি চেহারা হয়েছে জানা নেই। তো, তখন, সেই দেওয়ালটা 'ওপেন এয়ার পাবলিক হিসু করবার জায়গা' ছিলো। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মুত্রকর্মে, দেওয়ালটা নোনাধরে লাল, আর জায়গাটা গন্ধে ভরপুর ছিলো। তবে সহনশীল কলকাতার মানুষ, অটোতে, বাসে নিত্য যাতায়াতে সয়ে গেছিলো। কেউ কেউ তো, আবার দেওয়ালটার রোজকার ব্যবহারকারী, মানে নোনা গন্ধের কন্ট্রিবিউটার।
এই শহর, সেই সময়, এই সময় : বাইনারি
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৬৩৯ বার পঠিত
মেয়েদের গল্পে, সে প্রথম পুরুষেই হোক, বা উত্তম পুরুষে, সবসময়-ই একটা কবোষ্ণ ভাব থাকে। অন্তত আমার তো তাই লাগে। সুমনার ছেলেবেলা আর কৈশোর আর প্রথম যৌবন উত্তর কলকাতায়। ওদের বাড়ীটা একটা চৌরাস্তার মোড়ে। মানে, বাস-ট্রাম-লরি-টেম্পো এরকম হাঁসফাঁস করা চৌরাস্তা নয়। পাড়ার-ই চৌরাস্তা, তবে চব্বিশ ঘন্টা উত্তেজিত-হৈহট্টগোলের বিরাম নেই সেখানে। সুমনাদের বাড়ীটা দুইতলা। রাস্তারদিকে নীচতলায় গ্রীলের গেট, গ্রীল লাগানো লালমেঝের বারান্দা। গ্রীলের গেটের উপর লোহার তারদিয়ে বাঁধা কাঁঠালকাঠের লেটারবাক্স, হলুদরঙের, রংটা অবশ্য বর্ষায় ধুয়ে যেত, তারপর বর্ষা চলে গেলে, সুমনার দাদা, আবার সেটায় রং লাগাত, আর তার উপরে নীলতুলিতে লিখত 'শান্তিরঞ্জন চট্যোপাধ্যায়', ওদের বাবার নাম।
অতসীদের কথা : বাইনারি
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০১ মার্চ ২০০৯ | ৭০৮ বার পঠিত
অতসী দাঁড়িয়ে আছে এক্সাইড হাউসের মোড়ে। যেখানে হলদিরামের দোকান, তার সামনে। নীলরঙা শিফন শাড়ীতে। অফিস কেটেছে অতসী। অতসী দেখতে মোটামুটি। শ্যামলা, সামান্য স্থূলকায়া। এখন সকাল এগারোটা। বাসে অফিসযাত্রীর ভীড় এখনো পুরো মাত্রায়। সরকারী চাকুরেদের বাজার,ছেলে-মেয়েদের স্কুল, পাড়ার গলির মুখে প্রাত:কালীন গুলতানি, রুটি-ভাত-চচ্চড়ির আহার সেরে এটাই অফিস যাওয়ার আসল সময়।