বনমহোৎসবের ব্যাপারস্যাপার : অনিন্দিতা রায় সাহা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : পরিবেশ | ২১ জুলাই ২০২১ | ২৯৫৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
এবার প্রশ্ন, গাছ তো লাগানো হবে, কিন্তু কোন প্রজাতির গাছ? জানা থাকা ভালো যে, সমস্ত গাছ দূষণকে সমানভাবে রোধ করতে পারে না। গাছেদের এই ক্ষমতা পরীক্ষা করার যে সূচক তাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় বায়ু দূষণ সহনশীলতা সূচক (Air Pollution Tolerance Index বা APTI). এই APTI সংখ্যাটি ধূলিকণা এবং বায়বীয় দূষকের প্রতি গাছের সহনশীলতা বুঝতে সাহায্য করে। এটি পাতায় ক্লোরোফিল, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, অম্ল-ক্ষারক অনুপাত বা pH ফ্যাক্টর এবং জলীয় সামগ্রীর স্তরের উপর নির্ভর করে। এর মান যত বেশি, গাছের দূষণ রোধ করার ক্ষমতাও তত বেশি। গবেষণায় পাওয়া বিভিন্ন গাছের APTI মানের সাধারণ গড় হচ্ছে: পর্ণমোচী ১৪-২৪, চিরহরিৎ ১২-২০, ঝোপঝাড় ১০-১৮ এবং ঘাস ১৬-২৯। এগুলি সাধারণভাবে প্রাপ্ত APTI মানের ভিত্তিতে সংজ্ঞাবদ্ধ করা হয়েছে। এই হিসেব অনুযায়ী আমাদের খুব চেনা কিছু গাছের গুণ দেখে নেওয়া যাক।
ফুলকো লুচি আর কমপ্লান-বাচ্চার মায়েদের না-গল্প : অনিন্দিতা রায় সাহা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : সমাজ | ০৭ মার্চ ২০২১ | ২৫৫০ বার পঠিত
১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলা ও পুরুষ, যাঁদের উৎপাদনশীল বা কর্মক্ষম বলে গণ্য করা হয়, তাঁদের খাদ্যাভ্যাসের একটা তুলনামূলক পরীক্ষার ফলের দিকে নজর দেওয়া যাক। যে খাদ্যদ্রব্যগুলি এতে বিবেচনা করা হয়েছে তা হল দুধ/দই, ডাল, সবুজ শাক-সবজি, ফল, ডিম, মাছ, মাংস। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শতকরা হিসেবে মহিলারা অনেকখানি পিছিয়ে। অবশ্য এমন নয় যে পুরুষেরা সকলেই নিয়মিত এইসব খাবার খান। তবু তাঁরা যা খান বা যা তাঁদের খেতে দেওয়া হয়, মহিলারা তাও পান না বা সামাজিক অভ্যাসবশত নিজেরা নেন না।
আগামীর নীল নকশায় সবুজের ছিটেফোঁটা : অনিন্দিতা রায় সাহা
বুলবুলভাজা | ভোটবাক্স : বিধানসভা-২০২১ | ০৬ এপ্রিল ২০২১ | ৩৩৩৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
পরিশেষে এসেছে আমার আপনার নাম। হ্যাঁ, নাগরিক সমাজ। ব্যক্তিগতভাবে যে কথাগুলো আমি সুযোগ পেলেই আপনাদের গেলাবার চেষ্টা করি, সেই আমার মন কী বাত- পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে জনসাধারণকে যুক্ত করা। বিশ্ব জুড়ে এখন ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে। শুধু সরকার, কমিটি আর কমিশন নয়, পরিবেশ বাঁচানোর লড়াই লড়তে হবে আমাদের সবাইকে। তাই বাম জোটের ইশতেহারে পরিবেশের নীল নকশা দেখে আশান্বিত হলাম।
পর্যটন, প্রকৃতিপ্রেম ও পরিবেশ: কয়েকটি প্রাথমিক ভাবনা : অনিন্দিতা রায় সাহা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : পরিবেশ | ২১ জুন ২০২১ | ৫৭৪৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪০
সমস্যার বিপদসংকেত শোনা যাচ্ছে পাহাড়েও। পুরো হিমালয় অঞ্চল আজ বিপদের মুখে। ধ্বস, ভূমিকম্প হয়ে উঠেছে নিয়মিত ঘটনা। অথচ তার মধ্যেই গড়ে তোলা হচ্ছে আরো পর্যটনকেন্দ্র যার অর্থ আরো বিলাস ব্যসন আর দেদার ফুর্তির মোচ্ছব। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের সাততালে এমনই এক পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করার প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে। সাততাল একটি অতি নিরিবিলি জায়গা, পক্ষীপ্রেমীদের স্বর্গ। প্রতিবাদ হচ্ছে, যদিও জানা নেই শেষ পর্যন্ত এই পাখিরালয়টিকে পর্যটকের ভিড় থেকে বাঁচানো যাবে কিনা। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাবটি অন্যান্য রাজনৈতিক কারণগুলির সংগে যুক্ত হয়ে একটা বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হয়ে উঠেছে।
বাজারের খোলা মাঠে গাছপালা, পশুপাখি আর আমরা : অনিন্দিতা রায় সাহা
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২২১৩ বার পঠিত
The Economics of Biodiversity: The Dasgupta Review সেই সচেতনতা শিক্ষণের পাঠ নিয়ে এসেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রকাশিত এই রিপোর্টটি জীববৈচিত্র্যের অর্থনীতি বিষয়ে একটি পথপঞ্জী। প্রথম যে বইটি হাতে নিয়ে পরিবেশের অর্থনীতি শিখতে শুরু করেছিলাম, তার নাম The Control of Resources, লেখক পার্থ দাশগুপ্ত। তারপর ওঁর অনেক লেখা পড়েছি, বক্তৃতা শুনেছি। ইংল্যান্ডবাসী স্যার পার্থ দাসগুপ্ত পরিবেশের অর্থনীতি চর্চায় একটি অনিবার্য নাম। ব্রিটিশ সরকারের জন্য তৈরি এই রিপোর্টটি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও অসীম মনীষার স্বাক্ষর বহন করে। বর্তমান সংকটের মুহূর্তে এই রিপোর্টটি দিগ্দর্শন করে, মানবজাতিকে এগিয়ে চলার পথ দেখায়।
সকল গৃহ হারালো যার : অনিন্দিতা রায় সাহা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : পরিবেশ | ০৫ জুন ২০২২ | ২০০১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
বহু সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, বহুদিন ধরে কাজ করছে, রিপোর্ট জমা দিচ্ছে। নীতি নির্ধারণ হচ্ছে, আইনকানুন লেখা হচ্ছে। তবু কেন মেটে না সমস্যা? তাবৎ বিশ্বের সব দেশ হাতে হাত রেখে চলতে কেন এতো অপারগ? কারণ, যেমন বাড়ির মধ্যে আমি আর আমার গৃহসহায়িকার দায়িত্ব আর ভূমিকা একরকম নয়, তেমনিই ধনী আর দরিদ্র দেশগুলির গপ্পোগুলোও আলাদা আলাদা।