শ্রীমল্লার বলছি কে?
শ্রীমল্লার বলছি কী? আমার আবার রাতে সূর্য ওঠে। রাতই ভাল। ... ...
শ্রীমল্লার বলছি আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃরক্তমাখা জাঙ্গিয়া ... ...
“তারাজ্বরে যাদের মর্মখেয়াল আসে, তাদের হঠাৎদোলায় বসন্ত আবির্ভাব। জিভলাজুক ঢেলে শেখাতে শেখাতে তবুও মাঝজীবন; আর তারই সঙ্গে দ্যোতনাশিশুর বিচ্ছেদ? ভাল লাগে এইদৌড়? নিশ্চই নয়। সহসাহিড়িক শুনলে আবার ঝামেলাতোল্লাই নিভতে জানে। সেইদিক থেকে নিয়তিফড়িং অবিচ্ছেদ্য কারণক্ষীর। ভেবে দ্যাখো, একটিমন ভেবে দ্যাখো— নষ্টকোকিল জলদিতোড়ে কোথায় কোথায় ঘাড়উপমা লিখেছে সেসব তো প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানেই না। বিশালজননী শাড়ির আঁচল দিয়ে দোকানবস্তি লাগাতে সমর্থ হয়নি। সেও নালিশখামের অজুহাতঘোর। চারযৌন আত্মাসংলাপ এখানেও অহেতুক বিরক্তিচড়; ঘটনা বানালে রোদচশমা হোঁচটে বাড়িআশঙ্কায় আগমনগণিত। তাইজন্য নইলেদূষণ, বিরহঝাল, কেতকীশালিখ, শিক্ষণীয়পুঁজি, হাওয়াচন্দ্র, নাড়ুমিইয়ে এদের চারপাশে আশপাশে চলাচল। মাথাসোহাগের সত্যিবন্ধু আহ্বান কখনও কখনও একশোনা, কখনও দুইশোনা, কখনও দোষভৌত! অথচ ধনাত্মকলিখন বড্ড চাতুর্যের ঋণাত্মকে হাস্যউড়িং ... ...
সাইকেল যায় তার মতো যায় ফেরে ঘুমোয়... সাইকেল ওঠে, বড় জানাশোনা ছিল একদিন— আজসব ঘাম নেই, কিন্তু বারোমাসে নিন্দুকেরা আসে আর খুঁজে যায়– কোথায় তারারা খসে পড়ে।... তেরোদিনে জেনো, পদ্ম ফোটাব ঠিক তোমার কোলেই... কথা দিই। কথা রাখি। কথা ভুলি। তবু, জানা নেই, কীভাবে এগোতে হয় প্রাক্তন ঝেড়ে? ... ...
মানে রোদ্দুর ভাল। আর ভাল বোকা বোকা থাকা। অল্প জানা, কখনও দিনের পরে দিন কিছু না জেনেই কাটিয়ে দেওয়া। গল্পের এক গল্পের দুই গল্পের তিন—এই নাও৪শিক্ষা দিতেই হবে। দিতেই হবে। যতই যা বলুক না কেন, এভাবে চলবে না কোনওমতেই। শিক্ষা দাও। বদলে যাক। নয়তো চোখ বুঁজুক... ৫তেমন কিছুই না। ট্রেন আসতে দেরী করছে বড্ড... আগে থাকতে জানা যায় না ভবিষ্যৎ, নইলে এই দিনে এখানে আসতামই না। ব্যাকরণ প্রিয়, যদিও অন্য উপায়েও আজকাল চালাক হওয়া যায়।৬যেদিন যেদিন জানবে বাজার যাব না, সেদিন সেদিন আমাকে ঘুম থেকেআরও পিছিয়ে ডাকবে। বিছানা ছাড়া আমি বাঁচতে পারতাম, যদি কেউ আমার স্বপ্নগুলো ভাল দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যেত... ... ...
“স্বভাব যদি সুড়ঙ্গ হতে চায় তবে তাকে তাইই হতে দেওয়াই ভাল। যখন শীত আসে, তখন বরফের কথা মনে পড়ে, আর যখন বসন্ত আসে...” সংকেত থেমে গেল। এও এক অভ্যেস সংকেতের মাঝেমধ্যেই কথার মাঝখানে চুপ হ’য়ে যাওয়া। কথার মূল সুর হারিয়ে ফেলা। চেষ্টা করে প্রতিবার যাতে এমনটি আর না হয় কখনও, কিন্তু পারে না। তাই আবার রোশনাইকেই মুখ খুলতেই হল, “হঠাৎ থেমে গেলে যে?”“থামিনি। ভাবছিলাম।” ব’লে সংকেত গুনগুন করতে লাগল, “ছায়া ঘনাইছে বনে বনে...”“কী ভাবছিলে?” রোশনাইও ছাড়বার পাত্রী নয়।“ভাবছিলাম যে, বসন্তের বয়েস আর বিচ্ছেদের বয়েস খুব কাছাকাছি।”“কেমন ক’রে?”“যেমন ক’রে কবিতা আর তার ছন্দ। যেমন ক’রে গদ্য আর তার লাবণ্য। যেমন ক’রে উপকার ... ...
আমি এখনও ধরতে পারছি না, ঠিককীভাবে লিখব তোমাকে... ১বাড়ি থেকে বেরোনো যায় না, যদি পাড়ার রাস্তায় উচিতের চেয়ে বেশি জল জমে থাকে। ঘরে থাকতে চাইলে আগে ঘরের আবহাওয়া নিয়ে ভাবতে হয়। ডাক্তার দেখাতে শহরে আসা, নিজের শহরে ফিরে যাওয়ার আগে পছন্দের মিষ্টি, অপছন্দের ফল আর বড্ড আপত্তিকর ফুল নিয়ে তবেই বাসে ওঠা। বাস যতক্ষণ না তার চাকা এগোতে শুরু করছে, ততক্ষণে ভেবে নেওয়া বয়েসের গতি আর মনের হাঁটাচলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে। কোথায় কবে কী হয়েছে, কোথায় কবে কী হয়েছিল, কোথায় কবে কী হতে পারে, কোথায় কবে কী না হতে হতে হয়েই যাবে– সেও কি কম চিন্তার? চিন্তা নিজে চিন্তা করবেই, সেই কারণে ... ...
তিন্পেগ্লাগ্বেই। নেশাটা না হলে খিস্তি আসে না। চতুর্দিকেবখাটেআনাগোনা... কাল সালাকে নুন মাখিয়েছাল ছাড়িয়ে দুপুর বারোটার রোদে— পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেব! বাণ্টুর পুরুষাঙ্গ জন্ম থেকেই বাঁকা... কী আর করা যাবে..! রাত্যাকটাভোর্তিনটে সকালাট্টা আবার দুপুর্বারোটা... ছাল। নুন। মৃতদেহ। মারার আগে জ্যান্ত, মারার পরে আতঙ্ক। (ক্রমশ) ... ...
ওহ্ ঠাণ্ডা! ওহ্ ঠাণ্ডা! ওহ্ ঠাণ্ডা! শিরোনাম দিয়ে শুঁয়োপোকা হেঁটে বেড়াচ্ছে। জল্মাটিবাতাস— ক্ষত্নিরাময় চুমু... ঘনদোলন, স্তব্ধগ্রাম, জান্লাসবুজবেশ... এইঅঙ্ক ছাইনৌকো এক্লাইন চার্লাইন দশ্লাইন এ হচ্ছে চোখসুন্দর। একে এঁকে নিলে, মাঝে সাদাফাঁদ। তবু রক্তমিলন... যাওহাঁস, যাও... পুকুর শুকোও... যাঃ! হওয়ার নেই, সামান্যথাক... (ক্রমশ) ... ...
না আবোল না তাবোল। এই যে টোটোদের পাখনা গজাচ্ছে, আর দ্যাখো, মেয়েরা... মেয়েরা আমাকে ভালবাসতে চাইছে কিন্তু আমারই সময় হয়ে উঠছে না। আলো... আলো... না থাক অন্ধকারই থাকুক। সিঁড়ির নীচে বিড়ির দোকান দেওয়ার কথা হয়েছিল, হচ্ছিলও কিন্তু হল কী— মনোযোগ আর আগ্রহের অভাব। জঞ্জালদের গায়ে যদি বেজন্মা লেখা থাকে, তাহলে কি তোমাকে... তোমাকে... কোনওভাবেই মা বানাতে পারব না?! বাবা হওয়া সহজ নয় মোটেই, তারও আগে মা। দেখা যাচ্ছে, নন্দিনীর ফোন নম্বর পাওয়া যেতেই পারে, তবে আমাকেও রঞ্জন হতেই হবে যেভাবেই হোক... যাওয়ার সময়ে ওয়টস্যাপে জানিয়ে যাব: আমাকে যেতে দাও, দুধের শিশু কোরে রেখো না আর। উপায় নেই... পাড়ায় আমার বদনাম ছিল না। বাড়িতে আছে। আত্মীয়দের ইচ্ছে ছিল, জামাই হিসেবেই আমাকে ... ...