দুটি ঝুরোগল্প সান্ধ্য ভাষাতীব্র ধূপের গন্ধে শ্বাস আটকে আসছে। ইন্দুবালা জ্বেলেছে।সন্ধ্যা। ধোঁয়া।ল্যামিনেটেড সারদা মা,লাল পাড়।পাশে পরমহংস।অস্বস্তি।বারান্দায় বেরিয়ে আসে ইন্দুবালা। মাঘের শেষেও বেশ ঠাণ্ডা। চাদর ছাড়া এলো দাঁড়িয়ে আরাম হচ্ছে এখন।সন্ধ্যার নিয়ন ঘিরে বদনাম করছে মথগুলো।ট্রেন চলে গেল। ভোরবেলা ঘুমটা আচমকাই ভেঙে নাছোড়বান্দা স্বপ্নট। নির্জন গলিতে গড়িয়াহাটের ফুটপাতের প্লাস্টিক ফুলের মতো ফুটে আছে সাদা ফুল। ইন্দুবালা তাকিয়ে আছেন শুনশান ... ...
সুজাতা জয়িতা ভট্টাচার্য নিজস্ব কামনাদের জড়িয়ে রেখেছি তোমার হাতের লালসুতোয়। শরীরের খাঁজে খাঁজে ইতিহাস লিখেছ স্পর্শের। আকাশ থেকে নেমে আসছে হারিয়ে যাওয়া ভাই-বোন, একটা গোটা শহর।ওরা নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে যেখানে মাছের মিছিল। কলমীলতা। আমার বিছানা জলময়, হাঁস হয়ে সাঁতরে আসি পাড়ে ... ...
সুরতহাল জয়িতা ভট্টাচার্য আবার জেগে উঠেছে রক্তের পিপাসা। সুগন্ধ শৃঙ্গার। নয়ানজুলি তুমি কারতোমার না আমার? ভেসে আছে মরা কাক ঝরা ফুল রক্তের আস্বাদ পেতে বন থেকে গ্রাম ... ...
আশ্রয় জয়িতা ভট্টাচার্য দামোদর নদে ডুবে যাচ্ছে যে মেয়েটা কে তার হাত ধরে তুলে নেবে বলো তরল ঘাসেঘর নয় সে চাইছে মাথার ওপর একটা আকাশপাখির বুকের মত সে চাইছে ছায়া,এক টুকরো জমি, ঘুমোবে সে মেয়েটার স্তন নয় বরং হাত রাখো ওর মাথার ওপর। ... ...
জয়িতা ভট্টাচার্য উৎসব এলে মন খারাপ হয় সতেরো বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যে বাড়িতে তার অজস্র স্মৃতি। দশটি বছর পরে বিদায় নিলেন শাশুড়ি কর্কটরোগে শশুর সেরিব্রাল, তারপর শূন্য সব যতদিন না এঁরা আবার নতুন রূপে। ছবিতে বড় ননদ (মাসতুতো), ছোটো মামাশশুর বিয়ের পর থেকেই যাঁর সঙ্গে আমি সাবলীল, আমার দীর্ঘদিন পর্যন্ত অভিভাবক বড় মামাশশুর ... ...
দ্রোহ.জয়িতা ভট্টাচার্য এখনও আগাছায় বসে আছ।নিরাশ চাঁদের আলো দোমড়ানো কাগজের স্তুপ হয়ে ভেসে আসে জলে।তুমি কি শুনছ বসে সেইসব ভৌতিক বটের মুখে হরিনাম?ধনেশ পাখির মুখে ক্লিশে কথা এখনও! হায়নার মতো ছুটে গেছে অঘোরী তবু শ্মশানে মশানে লাশ নেই কোনো ... ...
নাগরিক জয়িতা ভট্টাচার্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সংঘাত নতুন কথা নয়।রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে বেনিয়ম ও ভ্রষ্টাচারও সর্ব দেশে দেখা যায়।কিন্তু এখন একটি যুক্তিযুক্ত আন্দোলনে আরো একটি বিষয় প্রকাশিত যে নাগিরকের মধ্যে নীতিহীনতা কতটা ব্যাপক। শিক্ষিত জন ঘুষ দিয়ে শিক্ষক হতে চান। অসদুপায়ে সরকারি চাকরি পেতে প্রতারণার শিকার হন ... ...
বার বার ফিরে যাই নৈঃশব্দ্যের কাছে বার বার হেরে যাই,ধড়হীন নিহত গাছের পাশে ... ...
আত্মজীবনীর খসড়া জয়িতা ভট্টাচার্য ডিম ফুটে বেরোতেই সবুজ পুকুর আর পাতা উনুনের গান। গান দিয়ে আমার মা আমার হাত আর পা গড়লেন। যেদিন চোখ ফুটল দেখলাম খালে ভেসে আসা লাশ। জুট মিলে তালা। আমার বাবা পিঠে ডানা বেঁধে দিতেই উড়ে গেলাম গ্রাম ছেড়ে শহর। মানুষ আর মানুষ।মিছিলের পেছনে মিছিল। বই খুলতেই উড়ে গেল প্রজাপতি, কলম খুলতেই জলপ্রপাত হাঁটতে লাগল বিবরের দিকে। সব রাস্তা হারিয়ে গেলো যখন বদলে গেল সবার নাম। আমার বাবা মিশে গেলেন জলে, মা বাতাসে ... ...
প্রিয় শতাব্দীকাল জয়িতা ভট্টাচার্য রোদ্দুরে হিমেল স্পর্শ লেগে আছে তাই চুমু দিয়েছি আদরে। পথে যেতে যেতে কৃষ্ণচূড়া প্রেম নীল পুকুরে শালুক ফুল ফুটে তুমি যেমন যত্ন করে জল ঢেলে দাও সন্ধ্যামালতির গাছে সেইসব বিচ্ছিন্নতার গল্পে আমিও ঢেলে দিচ্ছি বিকেল তুমি আছো-তুমি নেই-সমুদ্রে ভেসে গেল ঘর থেকে সংসারে লোনা জল লোনা জল।বিষ। সেদিনের মতো সন্ধ্যা আর কখনও নামবে কি এমন পরকীয়া রাতে আবার শোনাব টিঁকে থাকার গল্প তোমায় যখন সিঁদুর মুছে যাবে আর একটি ... ...