বৃষ্টি পড়ুক,বৃ ষ্টি পড়ুক পথের বাঁকে সাজিয়ে রাখা ফুলে, বৃষ্টি পড়ুক,নীল আকাশের নিচে, রঙিন তাদের করে । বৃষ্টি পড়ুক, ওই মাটিতে ভিজুক পায়ে পায়ে ।আকাশ তখন কান্না শেখা'ক , নির্ভীক নির্জনে ।বৃষ্টি পড়ুক ,এ মাটিতে, ভিজলে সোঁদা গন্ধ ।মাটির নিচে মাটির মানুষ জানে , একলা থাকার ... ...
মানুষ সভ্য হলেও তাদের মনের গহনে লুকিয়ে থাকা যে আদিম ও অশুভ শক্তি, তা-ই এর মূলে। র্যাগিং নামক ব্যাপারটি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমাজের অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত। আমাদের শ্রেণিবিভক্ত সমাজব্যবস্থায় র্যাগিং একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি আসলে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। সবলরা দুর্বলের উপর অত্যাচার করে এক ধরনের আনন্দ পায়। মানসিক দিক থেকে র্যাগিং করে এক শ্রেণির মানুষ আনন্দ পায়। বলাবাহুল্য যারা প্রথম বছর র্যাগিং-এর শিকার, পরের বছর তারাই আবার নবাগতদের র্যাগিং করে। এ যেন সেই কথাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়—বউ অবস্থায় যে মার খায়, শাশুড়ী অবস্থায় সে-ই মার লাগায় বেশি ।শুধু যাদবপুরে নয় , সমাজে নানান ধরনের র্যাগিং প্রচলিত আছে। যেমন - (১) শিক্ষাক্ষেত্রে ... ...
তুই বলেছিস গান শোনাবি অর্ধবেলা জুড়ে,আমার মনের অন্ধকার টা যাবে নাকি সরে । শীতের পোষাক কাঁপবে যখন পৌষ সূয্যি ঘিরে,রবির কথা তোর মুখেতে ই শুনবো মন ভরে । শেষ মিছিলে হাঁটব যখন ধরবে ওরা ঘিরে,ঔই স্টেশনের শেষ ট্রেনটাও যাবে তখন চলে । একলা হেঁটে কোন মতে হয়েছি পার যখন , শেষ ট্রেন টাও করে তখন মুচকি সম্মোহন । একগুচ্ছো চিঠি যেমন সাজিয়ে রাখিস মনে,দিন শেষে আজ একলা সবাই প্রেরক এর অভাবে । সুরগুলো আজ বড্ডো জেদী চেপেছে চোখের কোনে,ভৈরবী তে মিশছে ওরা তোর ভোরের আভাস নিতে । তালছাওয়া তে বাঁধিস শুধু একচিলতে ঘর । আত্ম হারা মন পাগল বাঁধিস নে আর ।। ... ...
উওরমুখী বাতাস প্রবাহে ,মন ভাঙে অজস্র পাতার দলের ।তারাও হয়ত একসময়,একাকিত্বে ভোগে ।বুকে আশ্বাস নিয়ে ঝরে পড়ে,নতুন প্রজন্ম কে সাজানোর তাগিদে ।যদি একান্তই ঈশ্বর মানতে হয় , তবে , আমি বলবো , তা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।তা , প্রকৃতির নিজের মন ।তাদের মৃত্যু প্রতি ঋতুতে, প্রতি কালে ,তবু তারা জীবন যুদ্ধে জয়ী থাকে ।প্রতি ঋতুতে তারা মানবজীবন কে শিখিয়ে যায় ,এ জীবন যুদ্ধ করে যাওয়ার জীবন । এ জীবনের ধ্বংস নেই ,এ জীবন নতুন প্রজন্মকে তৈরি করে দেওয়ার জীবন ।তবু কিছু প্রাক্তন পাতার দল রয়ে যায় ।নবীনদের সাথে ,নবীনদের সাথে মেতে ওঠে নবীনতার ছন্দে ।বাতাস তাদের ও দুলিয়ে যায় ।প্রতিমুহূর্তে হাসিয়ে যায় , আর ... ...
প্রতি রাতে অন্ধকার আমায় গ্রাস করে।পরিবেশের সমগ্র দূষন একত্রিত হয়,কিছু আবদার আর মুঠো ভরা নালিশ নিয়ে।তারা চিৎকার করে জানায় তাদের দাবি,দূষনমুক্ত, সৃজনশীল পৃথিবীর দাবি।আমি নিরুপায়, তাদের বৃথা আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখি। পৃথিবীকে প্রতি নিয়ত বাঁচিয়ে যাই,মহাপ্রলয়ের হাত থেকে।তারা সত্য জেনেও চুপ করে থাকে। যেভাবে চুপ ছিল সমগ্র ভারতবাসী,দুশোবছর ধরে।হয়ত এ মহাপ্রলয়ের বাঁধ একদিন ভাঙবে, ভাঙবেই।।মহাপ্রলয়ের স্রোতে তলিয়ে যাবে,বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। তবু আমি এক,আমি এক নিরুপায় যাত্রী।বৃথা আশ্বাস দিয়ে শান্ত রাখি। ... ...
আহেলী ঠিক আমার কাছে যতটা প্রিয়, তার থেকেও অধিক তুই ।হয়ত! কয়েকটা বাক্যে ,তা বোঝাবার ক্ষমতা নেই ।আমার চাওয়া-পাওয়ার অধীনে ।হয়ত,শরীর দিয়ে না ,হয়ত মন দিয়ে ও না ,তোর জায়গা করেছিস , তোর অশ্রু দিয়ে । যদিও এ সমাজে শরীর শেষ কথা বলে , আমি শারিরীক ভাবে নয় !বরং , শরীরকে কাছে রেখেই কথা বলতে চাই ।।কারন , শরীর তো কাছে থেকেই কথা কয় ।দিন, সত্যি বদলায় ।।চোখে চোখ রেখে, মনের সাথে তাল মিলিয়ে। আজ তুই আমার থেকে বহু দূরে ।তোকে লেখার জন্য কাগজ কলম থাকলেও !আজ বার্তাবাহকের অভাব ।।তাই , শব্দহীন চিঠিগুলো!অগোচরেই মারা যাক ।। ... ...