সরকারি পয়সায় মন্দির মসজিদ কোনওটির পক্ষে নই। চাই বিজ্ঞান গবেষণাগার। চাই কল কারখানা। এবং কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের কম সুদে ঋণ দেওয়া ও ব্লকে কৃষি মৎস্য ও প্রাণী গবেষণাকেন্দ্র। রাজ্যে মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ নিয়ে। বিভিন্ন সাধারণ কলেজে এগুলো পড়ানোর ব্যবস্থা করে খাদ্য দুধ মৎস্য মাংস রপ্তানিতে উৎসাহদান দরকার। শুধু স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বা সরকারি চাকরি দিয়ে বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। বস্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ও দরকার। এবং সব জেলায় বস্ত্র বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। Manoranjan Bapari লিখেছেন :কাল দীঘায় দুজন চন্ডাল, দুজন বেপারী - আমরা নিজস্ব পরিচয়ে উপস্থিত ছিলাম জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। একজন দীপক বেপারী আর একজন আমি। আমরা কেউ আমাদের পরিচয় ... ...
যে কোনও ঘটনার একটা মোটিভ থাকে:মোটিভটা কী? পহেলগাও হত্যাকাণ্ডের ফলে কারা লাভবান হলো? হত্যাকারীরা মানবতার শত্রু। মুসলমানদের শত্রু। কাশ্মীরিদের শত্রু। কাশ্মীরিদের জীবন জীবিকা অনেকটাই পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এপ্রিল মাস। পর্যটনের ভরা মরশুম। এখন এই হত্যাকাণ্ড পর্যটন শিল্পের বড় ক্ষতি করবে। এটা জেনে বুঝে কারা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করতে পারে? তাঁরা কি কাশ্মীরিদের পক্ষে? মুসলমানদের পক্ষে? সারাদেশে ওয়াকফ নিয়ে তীব্র আন্দোলন চলছে। এই সময় অশান্তি হত্যাকাণ্ড ঘটালে মানুষের সহানুভূতি মুসলমানদের প্রতি বাড়বে না কমবে? মুম্বইয়ে জৈন মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। সেই নিয়ে সারা দেশে সব শহরে জৈনরা মিছিল করেছেন। তার পরদিনই এই হত্যাকাণ্ড। কাদের সুবিধা করবে? পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডে ৪২ জন জওয়ানের প্রাণ গিয়েছিল। কোনও তদন্ত হয়নি। অথচ সারা দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে তীব্র প্র চার ... ...
তেলামাথায় তেল দেওয়া খারাপ। কিন্তু ইফতার বা অন্নদান বা চড়ুইভাতির নামে গরিব সুবিধাবঞ্চিতদের খাওয়ানো তো ভালো কাজ। সেটার সঙ্গে সব মিলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। আর একটু ভিন্ন মত হচ্ছি, দক্ষিণ এশিয়ায় যখন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছে তখন একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করা খুব দরকার। জলের কুয়ো ছুঁলে মারা হচ্ছে। মন্দিরে ঢুকলে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। ভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় উৎসবের দিনে ঢেকে দিতে হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ধর্মের নামে হিংসা চলছে সেসময় এই ধরনের একত্র ভোজন লোক দেখানো হলেও একটা বার্তা দেয়। একসঙ্গে থাকার। উৎসবের দিন গুলি আনন্দের না হয়ে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যতিক্রমটা থাক না। ... ...
ইহুদিবাদ আর ইহুদি ধর্ম এক নয়। হিন্দুত্ববাদ আর হিন্দু ধর্ম এক নয়। মুসলিম মৌলবাদ আর ইসলাম এক নয়। ইহুদিবাদ, হিন্দুত্ববাদ, মুসলিম মৌলবাদ রাজনৈতিক কাজ। ধর্মের সঙ্গে তার যোগ ক্ষীণ। ধর্মকে ব্যবহার করে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে ইহুদি ধর্মের রাব্বিরা বলেছেন, আমরা গাজায় এথনিক ক্লিনজিং সমর্থন করি না। ... ...
যে ভারত বাঁচবে, বাঁচাবে।। ইমানুল হক ১৯৯৮-এ গুজরাতে নির্বাচনী সমীক্ষায় গিয়ে সুরাত স্টেশনে চোখ টানে মননঋদ্ধ প্রাচীরচিত্র। সেখানে লেখা ছিল: মন্দির মসজিদ নে বাঁট লিয়া ভগবানকোসাগর বাঁটো জমিন বাঁটোমৎ বাঁটো ইনসানকো ২০০২-এ গণহত্যা-পরবর্তী কালে ত্রাণ নিয়ে গিয়ে দেখি, সেই দেওয়ালে অন্য ছবি আঁকা। আর আসল ভারতের চেহারা দেখি, আমদাবাদ শাহ আলম ত্রাণ শিবিরে।ভগবতী দেবী দু’মাস ধরে ছিলেন ত্রাণ শিবিরে। ‘সহেলি’ রোশেনারার দুঃখে অংশীদার হবেন বলে। ‘মুসলমান’-দের তেমন ঘেন্না করেন না বলে তাঁর বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভগবতী দেবী এক থালায় খেতেন অন্যদের সঙ্গে। ত্রাণ শিবিরে তো কারও নিজের থালা ছিল না।— কেন এলেন এখানে?— উও মেরি সহেলি হ্যায়। মেরি জান। পাশাপাশি ঘর। বিয়ের পর থেকে ... ...
সেদ্ধ পিঠে বর্ধমানের আদি বাসিন্দারা করতেন নারকেলের পুর দিয়ে অথবা দুধের ছাঁচি বা ক্ষীর দিয়ে। চিতই/ আঁশকে, সরু চাকলি, কল পিঠে, চালের আটার রুটি, ধুঁকি, চুষি পিঠে, পাকান, গোঁজা বা পুর পিঠে বা সিদ্ধ পিঠে ছিল। ছিল সুন্দর নকশা করা নারকেলের পুর ভরা ছাই পিঠে। এটা ভাজা হতো তিলের তেলে। তখন সয়াবিন পাম এসব তেল আসেনি। কেউ কেউ পুর পিঠে মাংস দিয়েও বানাতেন। হিন্দু মুসলমান সব বাড়িতেই হতো। কেউ কেউ বলছেন, মুসলমান বাড়িতে নাকি পৌষ সংক্রান্তি হয় না। এত বুদ্ধি তাঁদের কোথায় রাখেন!!! সব পূর্ব বঙ্গ শেখায়নি। ... ...
কফি হাউসের আড্ডায় উনিশ শতকের নয়ের দশকে এক বন্ধু বলেছিলেন, জার্মানির কমিউনিস্ট শাসক এরিখ হোনেকার যদি জিনস পরার এত বিরোধী না হতেন ক্ষমতায় থেকে যেতেন। আজ জানলাম, বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ম্যাগনাম কার্লসেনকে নিউ ইয়র্কে বিশ্ব রাপিড ও ব্লিৎজ প্র তিযোগিতায় নবম রাউন্ডে খেলতে দেওয়া হয়নি।কেন? জিনস পরে এসেছিলেন বলে।কার্লসেন ক্ষুব্ধ। আর বিশ্ব দাবা সংস্থা ফিডে বলেছে, জিনস পরা নিয়মের মধ্যে নেই। আবার পরে এলে ২০০ ডলার জরিমানা করা হবে। জিনস তৈরিতে শুনেছি ৭০০০ থেকে ১০ হাজার লিটার জল লাগে। ... ...
বাংলা মাধ্যম না বাঁচলে তিন লাখ শিক্ষকের চাকরি থাকবে না। সবমিলিয়ে ৩৬ লাখ মানুষ কাজ হারাবেন। অঙ্গনওয়াড়ি থেকে এস এস কে, এম এস কে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ৩৬ লাখ।বাংলার বেশিরভাগ শিক্ষক এই বাস্তবতা বুঝতে চাইছেন না। করোনার পর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মোবাইল এবং মানসিকতার বদল। সবাই প্রায় অস্থির। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে শুধু নয়, শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যেও বই পড়া কমেছে। অভিভাবক অভিভাবিকাদের মধ্যেও। ছাত্র ছাত্রীদের ফেল চালু করা দরকার? চালু করবেন!!! ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে নম্বর দিতে বলা হলে কতজন শিক্ষক শিক্ষিকা অধ্যাপক অধ্যাপিকা পাশ করবেন? নরওয়ের অভিজ্ঞতা সবজায়গায় দরকার। ছেলে মেয়ে খারাপ ফল করলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কৈফিয়ত দাবি করে সরকার। সেখানে অবশ্য কুড়িজন পিছু একজন শিক্ষক আছেন। ছাত্র ছাত্রীদের ... ...
পাশ তো আছেই। ফেল ফেরানোর সিদ্ধান্ত ভুল। গণশিক্ষার নীতি আর এলিটিজম এক নয়। গণশিক্ষা সমাজ বিকাশে খুব জরুরি। মধ্যবিত্ত উচ্চ মধ্যবিত্তদের ভাবনাই সব নয়। সুবিধাবঞ্চিতদের কী হবে? দু চারজন এলিট বা এলিটপেশার লোক তৈরি সরকারের একমাত্র কাজ হতে পারে না। নিজের নাম সই এবং মিথ্যা কাগজে সই না করতে শেখাও একটা বিরাট বিষয়। লাখ লাখ মানুষ ১৯৭৭ এর আগে এই পড়তে না পেরে টিপ সই দিয়ে জমি বাড়ি ঘটি হারিয়েছেন । আমি গ্রামের ছেলে। আমাদের বাড়িতে ভাত ছিল। আটকে গেলে দেখিয়ে দেওয়ার লোক ছিল। যাঁদের এ-রকম অবস্থা নয়, তাঁদের কথাও ভাবা দরকার। নাম সই আর যাতে সই করছেন সেটুকু পড়তে শেখানো খুব জরুরি। ভুল জায়গায় টিপ ছাপ দিয়ে ৫০ টাকা ... ...
সংবাদ মূলত কাব্য! সংবাদ সাহিত্য নয়। সংবাদের ভাষা হতে হয় স্পষ্ট ঋজু ।আমাদের সাংবাদিক জীবনে গদ্যের দুটি ধারা। এক. অশোক দাশগুপ্ত। দুই. বরুণ সেনগুপ্ত। অশোকদার গদ্য অনবদ্য। অনুকরণীয়। অনেকেই অক্ষম চেষ্টায় ব্যর্থ। অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, এখন সিপিএমের সাহিত্য মুখপত্রের সম্পাদক, বললেন, অন্য কথা।বললেন, বাংলা গদ্য দেখো বরুণ সেনগুপ্তের।আমরা যখন লিখছি মানুষ কংগ্রেসকে ঘৃণা করছে।উনি নিজের লেখার শিরোনাম করছেন, লোকে কংগ্রেসকে ছ্যা ছ্যা করছে।এইটা মানুষ সহজে নেবেন ও বুঝবেন।#পার্টি করার সময়, বিশেষ করে, বর্ধমান জেলায়, জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে নানা কথা হতো। বিশেষ করে ওর বক্তৃতা করার ধরন নিয়ে ব্যঙ্গ হতো।'কী বলেন! একটা বাক্য শেষ করেন না'।অনেকেই বিশ্বাস করতেন, জ্যোতি বাবু পার্টিটাকে শেষ করে ... ...