গৃহবন্দী এবং কয়েকটি মুখোশ, মুখোশ -না মুখোশ দেখে ভাববেন না যে আমি সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের মুখে বাঁধা একফালি ন্যাকড়ার কথা বলছি অথবা মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের মুখে বাঁধা, N 95 লেখা মুখোশের কথা বলছি।এ অন্য মুখোশ,তার কথা পরে হবে, আগে খুব ছোটবেলায় পড়া একটি গল্প শুনুন। গল্পটা মজার।ধরা যাক সেটা আঠারোশো শতাব্দীর ইংল্যান্ড অথবা ইউরোপের যে কোন শহর হতে পারে।চার যুবক বন্ধু এক সরাইখানায় আড্ডা দিচ্ছে। হাতে পানীয়ের পাত্র। চার বন্ধুর আর্থিক অবস্থায় তারতম্য আছে। একজন অর্থনৈতিক ভাবে যথেষ্ট দুর্বল, আর একজন ধনী ব্যবসায়ী পুত্র। বিস্তর অর্থের মালিক। বিত্ত বৈভবে সে সকলকে টেক্কা দিতে পারে। আচরণেও তার বেশ ভালোরকম ... ...
তিনি বসে আছেন প্রকান্ড এক সেক্রেটারিয়েট টেবিলের একদিকে, অত্যন্ত আরামদায়ক একটি চেয়ারে। সামনে টেবিলের উপর খোলা, সরকারি পয়সায় কেনা তাঁর ব্যক্তিগত ল্যাপটপ। উল্টো দিকে বসে আছেন এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক। ভদ্রলোক তাঁর অধীনস্থ একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। কম্পিউটারের পর্দায় ভদ্রলোকের বিস্তারিত তথ্য জ্বলজ্বল করছে। তিনি খুব বেশিদিন এখানে আসেন নি। বস্তুত সর্বভারতীয় চাকরির শর্ত অনুযায়ী কোথাওই তাঁর স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদী নয়। সামনে উদ্দিষ্ট ভদ্রলোকের নাম তাঁর জানার কথা থাকলেও, নবাগত বলে তিনি ভদ্রলোকের নাম, আগে জানতেন না। গতকালই কম্পিউটারের দৌলতে সেটা জানা হয়েছে। সবার সব খুঁটিনাটি বিষয় এখন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে বন্দী। ... ...
(আজকাল খুব ভয়েভয়ে থাকি) সত্তর সালের মাঝামাঝি, সদ্য শেষ হয়েছে রেল স্ট্রাইক, আর ক'দিন পর ঘোষণা হবে কুখ্যাত স্টেট এমার্জেন্সির নোটিফিকেশন, এটা সেই সময়ের কথা - জায়গাটি গৌহাটিতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়, মালিগাঁওয়ের রেলওয়ে ইন্সটিটিউট। সেখানে উল্লেখিত দুটি ঘটনার ঠিক মাঝখানের সময়টুকুতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দলের একাধিক একাঙ্ক নাটক দেখেছিলাম। নাটকগুলো কি ছিল, কেমন ছিল, তার অধিকাংশই আজ আর মনে নেই। ... ...