হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার সুর ভেসে আসে, / বার্তা যায় সব ইঁদুরের কাছে, / সেই সব মোটাসোটা ইঁদুরের দল, / যারা জড়িত ওতপ্রোতভাবে / বাঁশিওয়ালার বিষাক্ত সুরে । ... ...
Every second ST, every third Dalit & Muslim in India poor, not just financially: UN report এবার এই সংরক্ষণ সম্পর্কে লেখাটির একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। কিছু তথ্য দেওয়া বাকি। ... ...
“হিন্দু সভ্যতা.... হচ্ছে মানবতাকে দমন এবং পরাভূত করতে একটি পৈশাচিক কৌশল। এর প্রকৃত নাম হবে সামাজিক কুখ্যাতি। কাকে সভ্যতা বলে ডাকা যায়, যার একগাদা মানুষ...., যাদের সত্তা মানবসত্তার নিচে বলে গণ্য হয় ও শুধু যাদের ছোঁয়াই দূষণ উদ্রেকের জন্য যথেষ্ট?”- ড: বি আর আম্বেদকর। ড: আম্বেদকর সকল বাধা উপেক্ষা করে, সংবিধানে জনজাতি ও অনুসূচিত জাতির জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখেন। ... ...
ড: ভীমরাও আম্বেদকর সম্পর্কে দুএকটি কথা বলে এই প্রসঙ্গটা শেষ করব। তিনি ক্রমে ক্রমে দলিতদের ‘পরিত্রাতা' হয়ে উঠলেন তাঁর বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে দলিতরা যদি নিজেদের উদ্যোগে উন্নতির চেষ্টা না করে তাহলে জাতিভেদ প্রথায় বিভক্ত এই হিন্দু সমাজে তাদের ওপর অত্যাচার চলতেই থাকবে। তাঁর এই বোধ যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ এখনও আমরা পাই। দলিতদের ওপর অত্যাচারের সেই ট্রাডিশন এখনও দেশের উচ্চবর্ণ’রা চালিয়ে যাচ্ছে।আম্বেদকর ১৯২৭ সালে মাহাদ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এই আন্দোলন ছিল মাহাদ পুরসভা অস্পৃশ্যদের যে অধিকার দিয়েছিল, চাভদার জলাশয় থেকে জল নেওয়ার, সেই অধিকারকে বজায় রাখার জন্য। উচ্চবর্ণের মানুষজন পুরসভার এই নির্দেশকে বুড়ো ... ...
জ্যোতিরাও ফুলে তাঁর লেখা গুলামগিরিতে, বহিরাগত আর্যরা কীভাবে শাসক হয়ে উঠে ছলে বলে কূটকৌশলে অনার্য ভূমিপুত্রদের অর্থনৈতিকভাবে অবদমিত করে রেখেছে সেটা বলেন। ঘৃণ্য জাতিভেদ প্রথা, উঁচু নীচু ভেদ, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি সেই কূট কৌশলেরই অঙ্গ। ... ...
এই বর্ণভেদ ক্রমশ জাতিভেদে রূপান্তরিত হয়ে দাস ব্যবস্থা, সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং অধুনা একনায়কতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে থাকা ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টদের অল্প পয়সায় শ্রমের যোগান ব্যবস্থা পাকা করেছে, সেজন্যে অতি অবশ্যই ব্রাহ্মণ্যবাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এই হায়ারার্কি যুক্ত যে জাতিভেদ প্রথা আমাদের দেশে চালু আছে, তা এককথায় ইউনিক। আপনি এই জাতিভিত্তিক ব্যবস্থার যে অংশেই থাকুন না কেন আপনি তলায় অবস্থিত কোন জাতিকে পাবেন নিপীড়ন করার জন্য। এর কোন ব্যত্যয় নেই। ... ...
আমরা যদি একটু সময়ের গতিপথের উল্টো দিকে যাত্রা করি তাহলে দেখা যাবে যে শূদ্রদের ওপর অন্যান্য উচ্চ বর্ণের অত্যাচার অনেক অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। আর্যরা ১৫০০ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই দেশের আদি অধিবাসীদের অস্ত্রের জোরে পরাজিত করে। তাদের মধ্যে বিজিত জাতির প্রতি বিজয়ী জাতির নৃশংসতার প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়। সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখায় সেকালের একটি ছবি পাওয়া যায়। ... ...
সংরক্ষণ নিয়ে লেখাটা কোথা থেকে শুরু করা যায় তাই ভাবতে ভাবতে হঠাৎই মনে হল, একেবারে প্রথম থেকে শুরু করলে কেমন হয়। মানে, ঋকবেদের সেই কুখ্যাত পুরুষ সুক্ত দিয়ে। যেখানে বলা হয়েছে যে শুদ্রর সৃষ্টি হয়েছে সেই ‘পরম পুরুষ’ এর পদদ্বয় থেকে। নাকি, খ্রিষ্টীয় সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীর এক ‘ব্রাহ্ম মুহুর্তে’ শঙ্করাচার্যের উদ্যোগে বৌদ্ধ ধর্মের ওপর যে নির্মম অত্যাচার নেমে আসে, সেখান থেকে। অবশ্য, এই নারকীয় ঘটনাবলীর জন্য খ্রিস্টিয় দ্বিতীয়-তৃতীয় শতাব্দী থেকে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঐ সময়েই মনুস্মৃতির উদ্ভব হয়। আদি শঙ্করাচার্য বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার করার জন্য সিথিয়ান বা রাজপুতদের সাহায্য নেন। এই অত্যাচারের ফলশ্রুতিতে তৈরি হল ‘অচ্ছুৎ’ নামক পঞ্চম বর্ণের। আর, বৌদ্ধবিহার ... ...