আমি যে ঠিকানায় থাকি তার একটা নাম আছে ধরে নি A/7 সুন্দর নগর, সেই ঠিকানার দোতলায় একটা ঘর। সাইজে 14 ফুট বাই 10. এই ঘরের ভেতরে অজস্র মুহুর্ত তৈরি হয়! একাকী অথবা যৌথ মুহুর্ত। ... ...
এক একটা এমন সময় আসে যখন মনে হয় গোটা পৃথিবীতে একমাত্র নিজেই একা নিজের স্বপ্নকে বিশ্বাস করি! সে বড়ো সুখের সময়, সে বড়োই দুখের সময়। ... ...
এলইডি আলোর তলা দিয়ে যাওয়ার সময় হেলমেট আর আকাশের মাঝখানে এক পশলা ইলশেগুড়ি নেমে আসতে দেখে *অভিযানের* মনে পড়ে গেলো ছোটবেলার কথা ! সেই প্রথমবার তার ইলশেগুড়ি দেখা, সে আশ্চর্য হয়ে দেখেছিলো দুহাত বাড়ানো আকাশ জুড়ে নেমে আসা মুঠো মুঠো আনন্দ! পাশে থাকা বন্ধুরা ততক্ষনে রাস্তার ধারের দোকানের শেডে ঢুকে গেছে, রাস্তা আর দোকানের মাঝের রাস্তা টুকু মাথায় স্কুল ব্যগ দিয়ে ভিজে যাওয়া আটকেছে কোনোক্রমে! যদিও *অভিযান* সেসব করেনি ! অবাক করা ইলশেগুড়ি কে দুহাতে আপন করে নিয়ে যখন বাড়ি ঢোকে ততক্ষনে তার মা বুঝে গেছে ছেলে তার মুষলধারা বৃষ্টিতে ভেসে এসেছে! ... ...
আমেরিকান মোড় কে LED আলোর তলায় রেখে গাড়ির হ্যন্ডেল ডানদিকে ঘুরাতেই একরাশ ঠান্ডা হাওয়া মুখে এসে লাগলো। দুপুরের ঘুমোট গরমে ঘরগুলো ক্রমশ যখন যতুগৃহ হয়ে উঠেছে সেই সময়ে ভাবলাম শেষ বিকেলে নিজেকে একটা ঘুড়তে যাওয়া ট্রিট দেওয়াই যায়! বিশেষত রবিবার! যদিও এখন সবদিনই কমবেশি রবিবার! যাই হোক গাড়ি ডানদিকে ঘোরাতেই চোখ চলে গেলো স্কুটির ডিজিটাল স্ক্রিনে, সে জানান দিলো সামনের পাম্প থেকে পেট্রোল ভরাতেই হবে! আমার বহুদিনের ইচ্ছে যে একটা ব্যাট নিয়ে পেট্রোল পাম্পে আসবো! ৯৭-৯৮ টাকার এক্সট্রা প্রিমিয়াম ভরাতে গিয়ে সেই ইচ্ছে আরো বেড়ে গেলো। ১০০ হলেই শচিনের মতো ব্যট উঠিয়ে অনুপম রায়ে সুরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ... ...