ভালোবাসায় আদর আসে,সোহাগ আসে,মন ভেঙে যাওয়া আসে, যন্ত্রণা আসে, বিরহ জেগে থাকে মধুরাতে, অপেক্ষা আসে, যা কখনো আসেনা, তার নাম 'জেহাদ'। ভালোবাসায় কোনো 'জেহাদ' নেই। ধর্ম নেই অধর্ম নেই। প্রতিশোধ নেই। এই মধ্যবয়সে এসে আজ রাতে আমার সেই হারিয়ে যাওয়া বাংলা কে মনে পড়ছে। আজ প্রখ্যাত ডাক্তার ভিন্নধর্মের বিবাহ আর প্রেম কে যখন 'লাভ জিহাদ' বলে লেবেল সেঁটে দেন, তখন পূর্ব বর্ধমানের সমস্ত 'বামপন্থী' 'স্যেকুলার' তকমা আঁটা মানুষ চুপ করে থাকেন। ডাক্তার কে চটিয়ে দেবার ক্ষমতা কারোর নেই। ভাবি, আজ যদি কোনো শিক্ষক বলেন মুসলম ... ...
ভাবছিলাম এ বিষয়ে আদৌ কিছু লিখবো কিনা, কারণ প্রবল গালমন্দ খাবার সম্ভাবনা আছে। আসলে, অনেকদিনই, মানে যখন থেকে ভারতবর্ষ এবং বাংলায় গুরুবাদী প্রকল্পের আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন থেকে মাঝেমাঝেই রামকৃষ্ণ দেব এর কথা মনে পড়ে। তাঁকে আমি কখনোই এইসব চমকপ্রদ বাবাদের সঙ্গে মেলাতে পারিনা। সত্যি বলতে কি, কথামৃত পুরোটা পড়িনি আজও। পড়বো নিশ্চয়ই কখনো। কিন্তু যতোটুকু পড়েছি, তাতে ওঁর মধ্যে অদ্ভুত কিছু পরষ্পরবিরোধি চলাচল দেখেছি। সেটা নারী বিষয়েই। বিনোদিনী কে তিনি পঙ্কতল থেকে "উদ্ধার" করেন। বলেন " তুই তো গায়ে হলুদ মেখেই বস ... ...
অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পরবর্তী সময়টুকু যেন স্টার জলসা আর জি বাংলার যৌথ প্রযোজনার সিরিয়াল। জমে ক্ষীর। বিউটি মালিকের আছড়ে পড়া কান্নার লাইভ দেখাচ্ছে চ্যানেলগুলো। সেইসঙ্গে স্যোশাল মিডিয়ায় তাদের যৌথ ছবি সাঁটিয়ে আমাদের বহু লোকের অশ্রুপাত। এর মধ্যে আবার দু' এক টুকরো চাট মশলার মতো টিপ্পনী : "ওর আর কী! গেলো তো মায়ের। ও তো দু'দিন পরেই..."
আমাদের সম্মিলিত ছিছিক্কার, রাগ আছড়ে পড়লো সরকারের ওপর। আমরা সবাই তখন ব্যোমকেশ, সব্বাই ফেলুদা। চুলচেরা বিশ্লেষণে আমরা এক্সপার্ট কমেন্ট দিচ্ছি। কেনো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ... ...
"হে কৃষ্ণ, সখা,আমি কীভাবে আমারই স্বজনদের ওপরে অস্ত্র প্রয়োগ করবো? আমি কিছুতেই পারবো না।" গাণ্ডীব ফেলে দু'হাতে মুখ ঢেকে রথেই বসে পড়েছেন অর্জুন আর তখনই সেই অমোঘ উক্তিসমূহ...রণক্ষেত্রে কেউ স্বজন নয়। হে পার্থ,তুমি যা করছো, তা আমারই ইচ্ছায়। শরীর কে হনন করলেও আত্মা নিহত হন না। সেই অঙ্গুষ্ঠ পরিমাণ পুরুষ ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে। অত:পর ধর্মযুদ্ধে অর্জুন আবার অস্ত্র ধরলেন। ইতিপূর্বে পরশুরামের কুঠার অনেকবার ক্ষত্রিয়শূন্য করেছে এই দ্যাবা পৃথিবী কে। সেও এক অন্য ধর্মযুদ্ধ। ভারতবর্ষের আদি অধিবাসী,কালো মানুষটি ... ...
আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেককেই বলতে শুনলাম মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক কেনো থাকবেন। এ তো অদ্ভুত ব্যাপার। তাহলে পুরুষ শিক্ষক মাত্রেই ধর্ষক? আমি নিজে মেয়েদের স্কুলে পড়েছি। সেখানেও কিন্তু চারজন পুরুষ শিক্ষক ছিলেন। অবশ্য আশি র দশকে পিডোফিলিয়ার দুর্গন্ধ ছড়ায়নি আজকের মতো। আমরা কিন্তু স্কার্ট পরেই স্কুলে যেতাম,সদ্য বড়ো হওয়ার সময়েও। মেয়েকে পুরুষ শিক্ষকের কাছে পড়তে পাঠাবেন তো? নাকি ব্যাচে বা বাড়িতে নিজে পাহারা দেবেন? এই ঘটনায় পুরুষ জাতিই যেন ঘৃণ্য হয়ে গেলো। সমস্ত পুরুষ শিক্ষক যেন রেপ ... ...