আজকাল আর মন খারাপের খবর দেখতে-শুনতে-পড়তে ভালো লাগে না। বয়স বাড়ছে, বড্ড মানসিক অস্থিরতা জন্মায়। হয়তো বা পলায়ন প্রবৃত্তি, ঠিক জানিনা। বড় ভালো লাগে আশার, ভালোবাসার কথা পড়তে, শুনতে, দেখতেও। আসলে আমি স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসি। আশা করি সব্বাই মিলে মিশে হাতে হাত ধরে খুব ভালো থাকবে। তাই আজকাল হতাশার কথা শুনলেই এড়িয়ে চলি। কিছু সুদিনের গল্প শোনাতেও ভালো লাগে তাই। ... ...
টনটনে একটা ব্যথায় ঘুম ভেঙে গেলো নাটার। গত পরশু রেললাইনের পাশে ঝুপড়িতে পেটো বাঁধতে গিয়ে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল আর তর্জনী উড়ে গ্যাছে। বছর দশেক বয়স থেকে পেটের ধান্ধায় হাত সাফাই, পকেটমারি, পেটো বাঁধা চালাচ্ছে। এই তেরো বছর বয়েসে প্রথম বিপদ। শালা বেশি টাইট করে বাঁধতে গিয়ে এই লাফড়া, তাও ভালো, কমের উপর দিয়ে গেছে। সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার গুলো শালা হেব্বি হারামী। কত প্রশ্ন, নাকি পুলিশ ডাকবে। আরে বাল পেটো না বাঁধলে খেতে দিবি তোরা? কোনো মতে পরিস্কার করে ওষুধ পাতি দিয়ে ব্যান্ডেজ মেরেই খালাস। বলেছে দিন তি ... ...
১.
ঘুম চোখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষতে ঘষতে ভালো করে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো অনামিকা, চোখের তলায় কালী জমেছে। রাতে ভালো ঘুম হয়নি, রাত তিনটেয় প্যাকআপ করে ক্লান্তিতে নুইয়ে আসা শরীর টা কোনো মতে বিছানায় এলিয়ে দিয়েছিলো। আজ আবার সকাল থেকে শুট আছে। আজ আজই তার পিরিওডস হওয়ার ছিল। তলপেট ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। ব্রেকফাস্ট করেই একটা পেইনকিলার খেতে হবে। সারা দিনের শুট, ওই ভারি ক্যামেরা নিয়ে দৌড়োদৌড়ি অসম্ভব না হলে। কেনো যে প্রতিমাসের এই যন্ত্রণা। অসহ্য লাগে। এই পিরিওডস তার মতো মেয়ের কাছে ... ...
কথা তখনও ভাষা হয়ে ওঠেনি যখন থেকে আমার আর তার প্রেম। একতরফাও বলাই যায়, কারণ আমার এই প্রেম তার আজও অজানা। আধো বুলির মেয়েটি যখন রাজ্যের বকবকানি থামিয়ে হাঁ।করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতো তখন এক পাড়াতুতো দিদা তার মা কে জ্ঞান দিয়েছিলেন "অ বৌমা, এই মাইয়ারে সামলাইয়া রাইখ্যো। অহন থিকাই অমন চান্দের লগে পিরীত ভালা না। বড় হইয়া উড়নচণ্ডী অইবোনে।"
তা সেই দিদার অমোঘ বাণী দায়িত্ব নিয়ে সত্যি করে বড় হয়ে আমি উড়নচণ্ডীই হলাম। টানা চাকরি তে মন টেঁকে না, দু মাস অন্তর বেড়াতে না গেলে পেট গুড়গুড় করে। ... ...
কীটদষ্ট
একটু একটু করে বিয়ারের মাথা ভাঙা বোতল টা আমি সুনয়নার যোনীর ভিতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলাম আর ওর চোখ বিস্ফারিত হয়ে ফেটে পড়তে চাইছিলো। মুখে ওরই ছেঁড়া প্যাডেড ডিজাইনার ব্রা'টা ঢোকানো তাই চিৎকার করতে পারছে না। কাটা মুরগীর মত ছটফট করছে, কিন্তু হাত পা কষে বাঁধা। সাদা চাদর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। এর আগে ওর সাদা নিটোল স্তনে খান পাঁচেক জ্বলন্ত সিগারেট চেপে চেপে নিভিয়েছি, নাভিতে গেঁথে দিয়েছি একটা পেরেক, বেশ ভালো পিয়ার্সিং হয়েছে কিন্তু। ক্লিটোরিসের ডগা টা ধারালো কাঁচি দিয়ে কেটে নেওয়ার সময় রগর ... ...
কলকাতা ও লাগোয়া অঞ্চলে কত বস্তী আছে, তার কত শতাংশ নথিভুক্ত আর কত নয় এ তথ্য গুগল করলেই পাওয়া যায়। পাওয়া যায়না যা তা হলো এই সমস্ত অঞ্চলের দৈনন্দিন সাধারণ সচেতনতার রূপরেখা। বস্তী থেকে চোখ তুলে তাকালেই দেখা যায় বহুতল ইমারৎ, একটু এগোলেই চোখ ধাঁধানো শপিং মল। কিন্তু এই সমস্ত বস্তীতে একটি ব্যবহার যোগ্য শৌচালয় পর্যন্ত নেই। সমস্যা অনেক, তালিকা রইলো
১. স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভাব। ন্যূনতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। কোথাও পাশেই পূতিগন্ধময় খাল তো কোথাও ঘরের সামনেই খোলা নর্দমা, মশা মাছি ... ...