অর্ধশতাব্দীর দোড়গোড়ায় এসে বড় অঙ্কের ইনসিয়োরেন্স করতে গিয়ে টেলিফোনিক মেডিক্যাল চেকআপের চক্করে মেয়েবেলার অভিজ্ঞতা স্মৃতির নিস্তরঙ্গ পুকুরে বড় মাছের মত ঘাই মেরে উঠলো।
দুপুরবেলায় স্কুলের ব্যস্ত সময়ে সুদূর মুম্বাই থেকে এক ডক্টর ম্যাডামের কল। তাঁর 33তম প্রশ্নটির উত্তরে বলতে হলো তেরো বছরে একবার জন্ডিস হয়েছিল আমার, তারপরে মগজের ভাঁজ থেকে যে ক্যালাইডোস্কোপিক ছবি উঠে আসতে থাকলো তাতে কথোপকথন না থামাতে পারলে হিংলিশে আর বেশীক্ষন টানা যেতনা। মন ততক্ষনে আসন্নপ্রসবার শরীরের মত শব্দে ছব ... ...
শেফালী দেসরা, সীমা মারান্ডি, পূর্নিমা টুডু কোন বহু আলোচিত নাম নয়। কিন্তু সংবাদপত্রের পাতায় এই উপজাতি মেয়েগুলির নাম থাকা উচিত ছিলো, ওদের সাফল্যের নিরিখে। বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের মাদারপুর গ্রামটি উপজাতি অধ্যুষিত, দারিদ্র্য আর অশিক্ষার আঁধারে মোড়া। সেই প্রত্যন্ত পিছিয়ে পড়া গ্রামটির প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া হিসেবে শেফালী, সীমা আর পূর্নিমার সাফল্যের সঙ্গে প্রথমবারেই মাধ্যমিকের গন্ডী পার করা নিঃসন্দেহে একটি মাইলস্টোন আর এই সাফল্যের দোড়গোড়ায় ওদের পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে শ্রীজা ইন্ডিয়া ... ...
প্রত্যেকটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়া কিছু দিন থাকে, থাকে রাত, যার পর আর কিছুতেই নিজের পূর্বসত্বার কাছে ফিরতে পারা যায় না, ওটাই বোধহয় নিজঅস্ত্বিত্বের 'রেস্টোর পয়েন্ট' হয়ে দাঁড়ায় সর্বশক্তিমান প্রোগ্রামারের মর্জিমাফিক।
25শে সেপ্টেম্বর, 1992 রাত আনুমানিক পৌনে তিনটা, ঈভল্যান্ড ক্লিনিক। ঠিক ঐ দিন ঘন্টাখানেক পরে আমার 'সফ্টওয়্যার আপডেট' হয়েছিলো। তারপরেও, অনেক, অনেক, প্রায় প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে পাল্টাতে পাল্টাতে সিস্টেম আপডেটেড হলেও বহুবার, অমন 'উল্টে দেখো, পাল্টে গেছি' পরিবর্তন হয়নি এ যা ... ...
বাবা...
ভাই তখন সেভেন /এইট, মামাবাড়ী ফেরত কোন এক মেলা থেকে বাড়ী নিয়ে এল অজীব ডার্টওলা বন্দুক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাক করে ট্রিগার চাপলে, সাঁআআআ করে লম্বা তীরের মত ছুটে যায় আর তার সামনের চাকতিটুকু এয়ারটাইট, চেপে বসে আলমারী কি দেয়ালের গায়ে। এ হেন ব্রহ্মাস্ত্রে শক্তিশালী ভাই , যার সহযোদ্ধা বাবা স্বয়ং, পরশুরামের ধরিত্রীকে ক্ষত্রিয়শূন্য করবার মতোই, বাড়ীকে ল্যাজবিযুক্ত টিকটিকির আখড়া বানিয়ে ফেললো হপ্তাখানেকেই!
সেই বাবা!
ভাইবোনে পেনসিল-পেনের পশ্চাদ্দেশ, সজনেডাঁটা চেবানোর মতো ... ...
'তারা' আসেন, বিলক্ষণ!
ক্লাস নাইন
যষ্ঠীর সন্ধ্যে। দুদিন আগে থেকে বাড়াবাড়ি জ্বর, ওষুধে একটু নেমেই আবার উর্ধপারা।সাথে তীব্র গলাব্যাথা, স্ট্রেপথ্রোট।
আমি জ্বরে ঝিমিয়ে, মা পাশেই রান্নাঘরে গুড় জ্বাল দিচ্ছেন, দশমীর আপ্যায়ন-প্রস্তুতি, চিন্তিত বাবা বাইরের বারান্দায়, ক্লান্তও কি?
( যদিও কে কোথায়, আমি জেনেছিলাম ঘটনা ঘটার পরে, আপাতত ওমনিপোটেন্ট ন্যারেটরের ভাষ্য চলুক)।
জ্বরের ঝিমুনিতে চাইছি মা কি বাবা একটু কাছে এসে বসুক না!আমি তো আর উঃ আঃ করে জ্বালাবো না, এতো গলাব্যাথায়!
Coelho র সেই বিখ্যাত উপন্যাস আমাদের উজ্জীবিত করবার জন্যে এক চিরসত্য আশ্বাসবাণী ছেড়ে গেছে একটিমাত্র বাক্যে,
“…when you want something, all the universe conspires in helping you to achieve it.”
এক এন জি ও'র বিশিষ্ট কর্তাব্যক্তির কাছে কাতর ও উদভ্রান্ত আবেদন রেখেছিলাম গত 25 শে এপ্রিল রাতে,মেসেজে, "আমার একটি মেয়ে হারিয়ে গেছে, মানসিক চিকিতসাধীন ছিলো, অবসেসড, স্কুল থেকে বেড়িয়ে আর বাড়ী ফেরেনি,দোহাই খুঁজে দিন।"
সংগঠনটি সারা বাংলায় নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদের কল্যানমূলক কাজকর্মের জন্ ... ...
এক বিশ্ববন্দিত কবি , কবিতার চরিত্রব্যাখ্যায় বলেছিলেন, '... Spontaneous overflow of powerful feeling,it takes its origin from emotion recollected in tranquility'
আমি কবি নই, আমি সুললিত গদ্য লিখিয়েও নই, শব্দ আর মনের ভাব প্রকাশ সর্বদা কলহরত দম্পতি রুপেই প্রতিভাত আমার কাছে। কিন্তু তাও.... কখনও কখনও, আগ্নেয়গিরির লাভা উদ্গীরন করে অন্দরমহলের ভারসাম্য রাখার মতোই, অনুভব বের হয়ে আসে শব্দে মাখামাখি হয়ে।
স্বতঃস্ফূর্ত উতসারিত প্রচন্ড আবেগ কে চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছি গত দু সপ্তাহ জুড়েই ... ...
আমার ডায়াবেটিস নেই। শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে (যদি কখনো ধরা পড়েও বা, আমি আর প্যাথোলজিস্ট ছাড়া কাকপক্ষীতেও টের পাবে না বাওয়া হুঁ হুঁ! ) হ', ওজন কিঞ্চিত বেশী বটেক, ডাক্তারে বকা দিলে দুয়েক কেজি কমাইও বটে, কিঞ্চিত সম্মান না করলে চিকিচ্ছে করবে কেন!! (তারপর যে কে সেই)
তবে কিনা আনন্দের কথা, 2009 সালের থেকে সেই যে এবেলা-ওবেলা হাই প্রেসারের ওষুধ আর কখনো সখনো ডাক্তারবাবুর লিখে দেয়া ওয়াটার পিল (ডাইইউরেটিক) , সে পাপচক্রব্যূহকে, এ যুগের অভিমন্যু আমি, ভেঙ্গেছি।
গত জুলাই মাসে, শরীর চলে না, ... ...
অনুভবে...
সকালবেলায় আমার সেই (নাম) 'বলা বারণ' অসীম গুনবতী পরানসখী খালিগলায় 'দুখজাগানিয়া' গেয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়েছে।
কোথাও তোলপাড় হলো, অভাববোধ জেগে উঠলো নতুন করে, তাঁর জন্যে, যিনি আনন্দে-আবেগে-বিষাদে-বিচ্ছেদে একলব্য-নিষ্ঠায় আঁকড়ে থাকতেন কবিগুরুকে, তাঁর গানের ডালিসহ, যার রেডিও, পরে টেপরেকর্ডারে সময় পেলেই বেজে চলা গীতমাল্যের মাধ্যমে আমার সুচিত্রা-কনিকা-দেবব্রত-দ্বিজেন নামের তারকা পরিচিতি।
যেবছর বাবা ছেড়ে যান আমাদের, ঠিক তার পরের দোল পূর্নিমা। আবীরসঙ্গত্যাগ করেছি সেই স্কু ... ...
(তখন আমি দুই বিনুনী, খয়েরী পাড় স্কুলের শাড়ী, শিলিগুড়িবাসী)
শব্দগুলো একরাশ স্মৃতি, সুগন্ধী জুঁইয়ের মতো ছড়িয়ে দিলো মগজে, আর আজকের বৃষ্টিভেজা রাতে অতীতের পাকদন্ডী বেয়ে সোওওজা নিয়ে ফেললো পঁয়ত্রিশবছর আগে। অবশ্য আজ এ যাত্রায় বেরোতে হবে বুঝতে পেরেছিলাম দুপুরেই, ফেসবুকের এক গ্রুপে, বন্ধু উস্মিত অরল অহু র পোস্ট করা সেই ফুলটি হঠাত করেই দৃষ্টিগোচর হওয়ামাত্রই।
(তখন আমি দুই বিনুনী, খয়েরী পাড় স্কুলের শাড়ী, শিলিগুড়িবাসী)
মামাবাড়ী থাকতে এসেছি সাতবছর হস্টেলজীবন ক ... ...