এই রাস্তায় কিছুদিন না যাওয়াই ভাল। রাত যত বাড়ছে কুকুরেরা তত প্রবল হয়ে পড়ছে। ইতস্তত ভাবে ইঁটগুলোও ছড়িয়ে থাকবে। ঠোক্কর খেতে খেতে আমিও লাট খাওয়া ঘুড়ির মত এদিক-সেদিক। ঘুম অনেক স্মুথ আসে। নলেন গুড়ের মত। তারপর যা হয়, ইচ্ছেকে আটকাতে নেই। দুধে আম দাও, ব্যস সব ছানাকাটা। ... ...
সকালেই চিতা জ্বলে গেলে পাঁউরুটি পেয়ে যায় চা / ভরাপেটে খানিক বিরতি তারপর ফের খুঁটে খা। ... ...
বাসাসারাইয়ের মানুষ বা পাখিরা / পাহাড়ে মস্তিষ্কপ্রস্তর সাফ করার শব্দ উঠলো ... ...
আমি আজ উচাটন আত্মার মুখে / জলনিরোধক ছিপি লাগিয়ে ঘুরেছি ... ...
আলো-কে ঋদ্ধ করে হেঁটে / যাওয়া পাঠ্য টেবিল আমি / তার দেশে ছুতোরের অনাহুত ছেনি ... ...
ভালোবাসা মানে কান্না ভেজা চোখে ভালোবাসা নীল খামেদের ভেলা ... ...
যতবার পেছনে তাকাচ্ছি একটা বিরাট রেলগাড়ি ঝমঝম করে কলকাতা থেকে নাগপুর সারারাত ছুটছে। জানলার বাইরে অন্ধকার একদম স্থির, দমকা হাওয়া এসে নাড়িয়ে দিচ্ছে তপনের চুল। এ হাওয়া তো আর একভাবে বয় না। কখন সেই বেরোনোর আগে একবার চিরুনিতে হাত পড়েছিলো, তারপর এদিকে ওদিকে সরে গেছে - পশ্চিমবঙ্গের সীমা পেরোনোর অনেকটা আগে তপনের চুল এসে ছড়িয়ে পড়েছে ওর কপাল বেয়ে। ... ...
অগ্নি ছিলো সূর্যে, আকাশে বিদ্যুতে, জীবন্ত আগ্নেয়শৈলের জ্বালামুখে, অরণ্যে দাবানলে ও সমুদ্রে বাড়বানলে। কিন্তু সে ছিলো না হিমকন্থা প্রস্তরগুহায়, ছিলো না বৃক্ষচারী প্রায়মানবের সন্নিধানে। তীব্র শীতপ্রবল উত্তরী অক্ষের দেশে ছিলো কুয়াশা,ছিলো নিষ্ঠুর তুষারঝঞ্ঝা ও হিমজমাট প্রান্তর। হিমকন্থা প্রায়মানবেরা অগ্নিকে আহ্বান করেছিলো ভাষাহীন চিৎকৃত প্রার্থনায়। ... ...
সেই মেয়েটা ------ ভেলভেলেটা ...... চলতে থাকে ...... চলতে থাকে ...... চলতে থাকে ...... চলতেই থাকে ..... চলতেই থাকে। পথ শেষ হয় না, ঠ্যাঙাড়ে হীরু রায়ের বটতলা পেরিয়ে, সোনাডাঙার মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতি পেরিয়ে,পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ দিয়ে,বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে পথ যে চলে এসেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সূর্য্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডি এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশে ... ...
প্রথম যেবার স্টল করি সে কি মজা সারা রাত জেগে রঙ করছি নিজেরাই তখন তো নিজেরাই সব কিছু এমন কি পেরেক দড়িও নিজেরাই বুঝলে আলম সে ভারি মজার সব কেস সারা রাত সবাই মিলে মাঠময় তারপর রঙ খুঁজতে বেরোতাম বড় বড় স্টল বালতিতে ... ...
প্রিয় দের তখন ফুল খেলবারই দিন এমনিতে। সবই বেশ সুডৌল দেখাচ্ছে। ক্লাবমোড়ে নতুন বই য়ের দোকানে মনে আর মানে দুজনের ই ছবির বই এসেছে। এঁড়ে গুপ্ত সেইটে বা সোমনাথ হোড়ের তেভাগার ডাইরীর নতুন সংস্করণ দেখতে দেখতে কান খাড়া করে দিল্লী-কাকুর প্রাগ পোস্টিং এর গল্প শুনছে। ... ...