প্রথমে অযোধ্যা তার পরে লন্ডন এবং সব শেষে বান্দোয়ানে উপর্যুপরি বোমাবিস্ফোরণে যারা বিস্মিত হয়েছেন, যাঁরা শখের গোয়েন্দাগিরি করে এই উপর্যুপরি বিস্ফোরণের কার্যকারণ সন্ধানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে, যে এগুলি মূলত: প্রাকৃতিক ঘটনা। এবং প্রতিটি প্রাকৃতিক ঘটনারই কিছু বিধিদত্ত সময় থাকে। শীতকালে শীত পড়ে বর্ষাকালে বৃষ্টি। ভাদ্রমাসে কুকুররা পথে নামে, আর স্বরস্বতীপুজোয় ইশকুলের ছোঁড়া-ছুঁড়িরা। একমাত্র পূজাবার্ষিকী প্রসবের সময়েই কবি গর্ভযন্ত্রণায় ছটফট করেন, অন্যান্য সময়ে নিয়ম করে থলে হাতে বাজারে গিয়ে বেগুনের দরদাম করে থাকেন। সুধীজন জেনে খুশি হবেন যে এগুলি নিছকই প্রকৃতির নিয়ম। ... ...
মাসীমা একজন ডাকসাইটে অধ্যাপক।বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে তাঁর জ্ঞানের গভীরতা আর তাঁর বাজখাঁই গলার দাপট - এই দুই কারনেই উনি কলকেতার বিদ্বত সমাজে এক দারুন সম্ভ্রমের আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাবৎ কলা কুশলীরা কানে তুলো গুঁজে তাঁর দুয়ারে ধরনা দ্যান। গুরুচন্ডালীর সম্পাদক (অনরারী) ঈশেন ও মাসীমার কথোপকথন নীচে তুলে দেওয়া হলো। ... ...
এই লেখাটি একটি ধারাবিবরণী। সত্তর দশকের উথালপাথালের মধ্যে দিয়ে দাঁড় টেনে আসা এক জ্যান্ত মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত ফিরে দেখা। এও এক ইতিহাস, এক ব্যক্তিগত ইতিহাস। অবজেক্টিভতার কোনো দাবী নেই এখানে, কারণ কোনো অবজেক্টিভ ইতিহাস এ পৃথিবী দেখেনি এখনও। ... ...
ভয় করে আজকাল, বড়ো ভয় করে। রাত হলে, যখন সুয্যিমামা টুপ করে ডুবে যায় দূরের ঐ গাছগুলোর ওপারে, আর গাছগুলো কালো-কালো ছায়া-ছায়া হয়ে যায়, মনে হয় ঐ ছায়ামূর্তিরা এবার আমার ঘরে ঢুকে পড়বে, ভয় দেখাবে। ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে। যখন আলো ক্রমশ কমে আসত, কমে আসত, কিন্তু শেষ হতনা বিকেলের খেলা, মনে হত এখনও একটু আলো থেকে গেছে আকাশের গায়ে, সেই তখনকার কথা। ... ...
র্যান্ডম হার্টস ১৯৯৮-এর হলিউড ছবি। মূল অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড আর ক্রিস্টিন স্কট থমাস। ডাচ ভ্যান ডেন ব্রক (অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড) পুলিশ সার্জেন্ট, তার স্ত্রী পিটন (অভিনেতা সুজানা থম্পসন), সুখী তাদের বিবাহিত জীবন। এক আদুরে সকালে পিটন মায়ামি রওনা হল, কাজে। তখন কিছু বোঝাই যায়নি। পরে সংবাদ এল প্লেন-ক্র্যাশের। মায়ামিগামী প্লেন টেক-অফ করেই ভেঙে পড়েছে সমুদ্রে। যাত্রীদের একজনও বাঁচেনি। ... ...
সবচেয়ে বেশি বছর ধরে, সবচেয়ে বেশি করে ত্রিদিব এটা বুঝেছে, তার নিজের জীবনে সবচেয়ে কদর্য ব্যাপারটা আসলে সে নিজেই। কিন্তু, যখন শেষ অব্দি এটা বুঝল, তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে, আর, নিজেকে নিজেই বদলানো মানে নিজেকে দিয়ে বদলানো, যে নিজের মধ্যেই রয়েছে গন্ডগোলটা। ওসব আসলে হয় না। কিন্তু এসব জেনে টেনে গেলে সুবিধে একটা হয়ই। নলেজ ইজ পাওয়ার। সুঠাম সঙ্গত দক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়। ... ...
উইন্ডস্ক্রিনে লেগে থাকে বিন্দু বিন্দু জল। আশা ছিল ত্বক থেকে ঠিকরে যাবে আলো, একদিন। ঝলসে যাবে বৃষ্টিরাত বিদ্যুৎচমকে। রাইফেল ফেলে দিয়ে স্ট্যাচু হবে শিকারী যুবক। রঙ্গমঞ্চে শুরু হবে পাপেটের খেলা। ... ...