এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • বাড়ি থেকে পালিয়ে কিম্বা তাড়িয়ে...

    pi
    সিনেমা | ২৩ এপ্রিল ২০১০ | ৩৯৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 143.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ০০:৪৬449633
  • রায় এবং বোস একসাথেই? :-)
  • rimi | 24.42.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ০৮:১৫449634
  • আহাহা জব্বর সব গল্প!! :-))))))

    কিন্তু গপ্পগুলো খানিক একপেশে নয়? যেন কেবল বৌরাই/মেয়েরাই রাগে, যেন পুরুষেরা সব জিতেন্দ্রিয় সাধু একেকজন!

    আকা নিজে রাগ করে বহুবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। রাস্তায় গিয়ে বিড়ি খেয়ে মাথা ঠান্ডা করে আবার ফিরেও এসেছে। গতকাল রাতেও মাছ রান্না করতে বলেছি বলে দড়াম করে দরজা বন্ধ করেছে, আবার আমাকে সাত কথা শুনিয়েছে, রেঁধেছে অবশ্য শেষপর্যন্ত, আর ভালই নামিয়েছে :-)) আজকেও সন্ধ্যেবেলা রাগ করে বেরিয়ে যাবার মতলবে ছিল, যেই বললাম গুরুতে সব লিখে দেব, অমনি আর বাইরে তো গেলই না, জিমে পর্যন্ত গেল না!!!

    আর শিবুদার রাগ তো আরো এককাঠি উপরে। রাগ করে বন্ধুর চশমা ভেঙে দিয়েছে, রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাগ করে চিজকেক না খেয়ে ফেলে দিয়েছে (এটা অনেকবার হয়েছে, দুবার আমারই চোখের সামনে), রাগ করে গাড়ি ড্রাইভ করে নি (অর্থাৎ বৌদিকে ড্রাইভ করতে হয়েছে), আর চরম রাগ হলে অ্যায়সা গম্ভীর হয়ে গেছে যে ভয়ে অনেকের হার্টের অসুখ হয়ে গেছে (এদের মধ্যে আমি একজন) :-((

    অভ্যু যদি আমার কোনো কথা ফের অবিশ্বাস করে তাহলে আমিও শিবুদার মতই ...
  • Abhyu | 97.8.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ০৮:১৯449635
  • এদিকে আলাদীন উঠে যাচ্ছে আর আমি কলম্বাস যাবো ভাবছি সুতরাং আমি কিচ্ছু অবিশ্বাস করছি না।
  • Samik | 122.162.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৩১449636
  • গ্যাঁড়া বিয়ে হয়ে ইস্তক হাই তোলা ছাড়া আর কোনও কারণেই গেঁড়ির সামনে মুখ খোলে না। শান্ত, সমাহিত এক মাঙ্গলিক। তাই বলে কি ধুন্ধুমার বাধে না? অবশ্যই বাধে। ডিমের ঝোল গ্যাঁড়া না রাঁধলে সেটা খাদ্যযোগ্য হয় না, চিকেনও গেঁড়ি ম্যারিনেট না করলে সেটা উপাদেয় হয় না। তারা বেশ কয়েকবার গোঁসা করে খাবার না খেয়ে শুয়ে পড়েছে, কিন্তু অতি অবশ্যই সেদিনের মেনুতে হয় ছিল বাঁধাকপির ঘ্যাঁট, নয় আলু-বড়ির তরকারি।

    রাগ করবেই বা কী করে গ্যাঁড়া, রাস্তায় বেরিয়ে? গেঁড়ি তো গাড়িই চালাতে জানে না। মাথা ঠান্ডা থাকুক বা গরম, গ্যাঁড়াকেই গাড়ি চালিয়ে ফিরতে হবে। গ্যাঁড়া তাই শান্ত, সমাহিত এক মাঙ্গলিক। কখনো মুখ খোলে না, যদি না হাই ওঠে। :-)

    খুব রাগ হলে, কম্পিউটার এবং গুরুচন্ডালি তো আছেই। দু-পাতা ওল্টালেই রাগ কমে যায়।
  • byaang | 59.93.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ০৯:৩৭449637
  • এই গপ্পোটা প্রায় রঞ্জনদার গপ্পেরই মত!

    প্রবল ঝগড়া চলছে কত্তা-গিন্নিতে। তোপসে মাছ আনতে বলা হলে, কেন তার বদলে চাপিলা মাছ আনা হল বাজার থেকে এই হচ্ছে ঝগড়ার বিষয়বস্তু।
    কত্তা : তুমি রান্নার কি জানো? চাপিলা মাছের ফ্রাই করা যায় না কে বললো?
    গিন্নি : আমি রাঁধতে জানি না? অ্যাত্তো বছর ধরে রেঁধে-বেড়ে মুখের সামনে ভাতের থালা কে ধরছে?
    কত্তা : ওগুলো ভাত নাকি? ওগুলো কিস্যু ভাত হয় না । তুমি ভাত রাঁধতেই শেখো নি। ভাত হয় ঝরঝরে । তুমি ভাতের নামে যেটা বানাও, সেটা ঘাঁটা পিন্ডি।

    কত্তা-গিন্নির পঞ্চদশবর্ষীয়া কন্যার মুখ থেকে এবার "বাবা" বলে একটা আর্তচীৎকার বেরিয়ে আসে। কত্তাও বোঝেন শেষ বাউন্ডারিটাও পেরিয়ে গেছেন রাগের মাথায়। বাড়িতে থেকে প্রতিক্রিয়া সহ্য করার থেকে বাইরে গিয়ে হাত কামড়ানো ভালো। বেরিয়ে যান। গিন্নিও গম্ভীরমুখে সাংসারিক কাজ শেষ করে, পুত্র-কন্যাকে খেতে দেন। এবং টেবিলে আরো এক থালা ভাত সাজিয়ে, থালা ঢাকা দিয়ে নিজে না খেয়ে শুয়ে পড়েন।

    বিকেল ৫:০০টা নাগাদ কত্তা গম্ভীরমুখে ঘরে ফেরেন। গিন্নি মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে বলেন, "তোদের বাপকে বলে দে, টেবিলে এক থালা পিন্ডি ঢাকা দেওয়া আছে। পিন্ডি খেয়ে যেন থালা নামিয়ে দেওয়া হয়"।

    কত্তা আর কোনো বাক্যব্যয় না করে দ্রুতপদে খাবার টেবিলের দিকে এগিয়ে যান।
  • byaang | 59.93.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ০৯:৩৯449638
  • বিশ বছর আগে নিজের চোখে দেখা এই ঘটনা।
  • san | 198.179.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০১০ ১৩:০৫449639
  • পাইদি সুতোখানা খুলে সরে পড়ল, এক লাইনও লিখল না তো !

    আরেকখানা ক্ষমা করিনি ? :-)
  • Abhyu | 97.8.***.*** | ০৮ মে ২০১০ ০৯:৪২449640
  • ফর গ্যাঁড়া এট অল

  • Manish | 117.24.***.*** | ১৩ মে ২০১০ ১৭:৫৫449641
  • যারা তৃণমূলকে বা বামবিরোধিদের ভোট দেন তারা বামফ্রন্টের ভালো কাজ সবসময়ই নজর এড়িয়ে যাবেন আর খারাপ কাজগুলো শুধু তুলে ধরবেন ।বামফ্রন্টকে যারা ভোট দেন তারা উল্টোটা করবে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং ঈশানবাবু, আপনি যেমন বামবিরোধিদের ভোট দেবেন, আমি তেমনি বামফ্রন্টকে ভোট দেবো।

  • . | 198.96.***.*** | ১৩ মে ২০১০ ১৭:৫৯449531
  • তার জন্য বাড়ি থেকে পালাবর দরকার নেই। ওটা বাড়িতে থেকেও করা যাবে।
  • aka | 168.26.***.*** | ১৩ মে ২০১০ ১৮:১৩449532
  • বরং বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্য বুথে গিয়ে ভোট দিতে গেলে মেলা ঝামেলি। পুলুশে ধরতে পারে, বিরোধীরা কেলাতে পারে, এমনকি নিজের দলের লোকেও চিনতে না পেরে কেলিয়ে দিতে পারে।
  • Manish | 117.24.***.*** | ১৩ মে ২০১০ ১৮:১৪449533
  • দু:খিত: ভুল পোস্টিং এর জন্য
  • পুপে | 131.24.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১১:০২449534
  • মেয়েটার আর ক্লাস নেই আজ। দুপুর দুপুর বেরিয়ে পড়লো; বাসস্ট্যান্ডে চড়া রোদে বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর মৃদুমন্দ গতিতে এগিয়ে আসা একটা কে-এইট বাসের দেখা পাওয়া গেল। ওটেই চেপে বসলো সে, মেজাজটা আজ তার বড়ই খারাপ; অটো করে টালিগঞ্জ, তারপর মেট্রো,তারপর বাস- ঐ হ্যাপা আজ পোষাবে না। ফাঁকা বাসে জানলার ধারের একটা সীট বাগিয়ে বসে চিন্তায় ডুবে গেল সে, কালই রাতে মা বাবার সাথে খুব একচোট ঝগড়া হয়ে গেছে এবং তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তার দ্বারা কিছুই হবে না। তার ওপর আজ একটা পেপারের নম্বর বেরলো, আশানুরূপ হয়নি; ভীষণ খারাপ মন নিয়ে তাই সে চলেছে আইএসআই, যদি মুড ঠিক হয়। তো সেখানে পৌঁছতে পৌঁছতে মেজাজটা আরো ছরকুটে গেল,সেই যাদবপুর থেকে বসে থেকে থেকে কোমর ধরে গেছে, বাস যেন চলতেই চায়না। স্টপে নেমে দেখা গেল ঝাড়া পৌনে দু ঘন্টা লাগিয়েছে বাসটা!

    বিকেল হয়ে এল প্রায়। ছেলেটার ক্লাস শেষ। খানিক এদিক ওদিক ঘোরা হল, এই ক্যাম্পাসখানা বেশ ভালো, তবে ক্যান্টিনটা যাচ্ছেতাই; এর চাইতে যাদবপুরে ৫-৬ খানা ক্যান্টিন আছে, খাবারও ভালো। অগত্যা পিছনের রাস্তার মিষ্টির দোকান থেকে গিলেকুটে এবার বাড়ির পথে পা, মুড ক্রমশ ভালোর দিকে, ফুরফুরে হাওয়াও দিচ্ছে; কিন্তু কথায় কথায় তুলবি কি তোল, ছেলেটা রেজাল্ট নম্বর ইত্যাদি নিয়ে কথা তুল্লো, তাও বেশ ডগমগ মেজাজে; তারপর এ কথায় সে কথায় এবং নানারকম তুলনামূলক আলোচনায় হুড়মুড় করে আজীবনকালের সব সব খারাপ স্মৃতির টুকরোগুলো মাথায় এসে জড়ো হল মেয়েটার, আর মাথার বোমাটা ফাটলো - "দূর হ তুই এখান থেকে। আমি আর তোর মুখও দেখতে চাই না।" (অবশ্য তারা একই জায়গায় থাকে, এবং সেখানে ফেরার জন্য পায়ে পায়ে তারা দুজনেই তিন নম্বর বাসের আশায় মেন গেটে এসে পড়েছে প্রায়)

    ছেলে - "দ্যাখ, বাস আসছে। চল এটায় উঠে পড়ি। নেমে বাকি ঝগড়াটা করবো।"
    মেয়ে - "তুই না গেলে আমি এখান থেকে নড়বোও না। সারা রাত এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবো।"
    ছেলে - "আচ্ছা, আমি চলে গেলে পরের বাসে আসবি তো? আমি তাহলে এটায় উঠছি।"

    ছেলেটা দোনামোনা করতে করতে বাসে উঠে পড়ে, সে জানে মেয়েটা ভয়ানক জেদী। ছেলেটা বাসে উঠে পড়তেই মেয়েটা উল্টোপানে হাঁটা লাগায় হনহন করে, পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে হাঁটতেই থাকে, হাঁটতেই থাকে, রাগ আর মনখারাপ মিলেমিশে চোখের কোণা দিয়ে মাঝে মাঝে টসটস করে জল পড়ে। বেঁটে মোটা নোকিয়া ফোনটায় ফোনের পর ফোন, মেসেজের পর মেসেজ ঢুকছে। সব ঐ বাঁদর ছেলেটা পাঠাচ্ছে। মেয়েটা কিচ্ছু রিসিভ করছে না; রাত বেড়ে চলেছে, প্রায় দশটা, এবার ফোন এল ছেলেটার বাবার - "কোথায় তুই? আমি ট্যাক্সিতে আছি।" মেয়েটা হাঁটতে হাঁটতে তখন দক্ষিণেশ্বর এসে পড়েছে। ওখানেই ওয়েট করে থাকতে বলা হয়েছে তাকে। রাস্তার ওপারে ট্যাক্সি থামল, কাকু নামলো, পিছন পিছন সেই হাড়জ্বালানে ছেলেটা। ফেরার পথে বাসে উঠল তিনজন, কাকু ততক্ষণে ব্যাপারটা মোটামুটি ম্যানেজ করে ফেলেছে, মেয়েটাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে, নানারকম উৎসাহমূলক কথাবার্তায়। কাকু মেয়েটাকে বাড়ি অবধি পৌঁছে দিয়ে গেল একেবারে। নিজের বাড়িতে ফিরে ছেলেটা মেসেজ করে - "এরকম আর করিস না। আমার চিন্তা হয়।"...

    এরপর কেটে গেছে বছর দুই-তিন, অন্য বাড়ি, অন্য শহর, অন্য পরিস্থিতি, এখন তারা একসঙ্গে থাকে, জীবনে প্রথম নিজেরা সংসারের সমস্ত কাজকর্ম করে। শখের রান্না নয়, রোজকার যাবতীয় রান্নাবান্না কাজকর্ম মিলেমিশে করে। কিন্তু প্রথম প্রথম বলে কথা, একদিন কাজের ভাগাভাগি নিয়ে ধুন্ধুমার লাগলো তাদের মধ্যে। মেয়েটা রাতের বেলা আর একটু হলেই বেরিয়ে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে, ছেলেটা কোনমতে তুতিয়ে পাতিয়ে অনুনয় বিনয় করে তাকে আটকে রাখলো (যদিও ছেলেটা জানতো না যে মেয়েটা আসলে ছাদে যাবে ভেবেছিল :P )। যাই হোক, মেয়েটা রাগে দুমদাম পা ফেলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরবেলা দেখে ছেলেটা ফ্ল্যাটের সদর দরজার গোড়ায়, জুতোর র‍্যাকের কাছেই ঘুমিয়ে আছে! যাতে রাতে মেয়েটা চুপিচুপি বেরিয়ে যেতে না পারে!!
  • পাগলা জগাই | 131.24.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১১:১৭449535
  • ও অমন হয়। আমি দুইজনকে চিনি যারা "যাঃ সব সম্পক্কো কাটিয়ে দেবো" করে শেষ অবধি একসাথে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরতো।
  • Abhyu | 78.117.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১১:২০449536
  • এ সব পড়ছেন পড়ুন কিন্তু আমার মায়ের বোস্টেলের গপ্পও মিস করবেন না।
  • পুপে | 131.24.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১১:২৩449537
  • টইয়ের অন্য গপ্পোগুলো (ইনক্লুডিং বোস্টেলের গপ্পো) পড়েছি আগেই, অভ্যুদা। ঃ)
  • Byaang | 233.227.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১১:৪৩449538
  • কী সুইট রে ছেলেটা! আমার ছেলেটাও যেন এমনটি হয়।
  • Abhyu | 78.117.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১১:৪৭449539
  • তোমার ছেলে তো তার মায়ের মতো হচ্ছে - টিন টক টইটা ঠিক মতো আপডেট করা হয় না, তবু...
  • avi | 37.63.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১২:০৩449540
  • সবকটাই পড়লাম। এক সে বঢ়কর এক। কিন্তু বোস্টেলটা ঠিক কোথায়?
    আর ভ্যু-দার মা মিশন গার্লসের টিচার ছিলেন? কি সাংঘাতিক! সারা বছরের অম্লমধুর সম্পর্কের পর সরস্বতী পুজোর দিন আমাদের বুদ্ধিমান ছানারা ওই স্কুলের চত্বরে ঝেঁটিয়ে জড়ো হত। কিন্তু ওই স্কুলের জনতা আবার তখন আমাদের স্কুলে পুজো দেখতে আসতো। তাই আমাদের বেশি বুদ্ধিমান ছানারা বালখিল্যতায় উদ্বুদ্ধ না হয়ে নিজেদের এলাকাতেই ঘাঁটি গেড়ে থেকে পুজো নির্বাহ করে ধর্ম অর্থ ও মোক্ষ লাভ করতো।
  • পাগলা জগাই | 131.24.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১২:১৪449542
  • যে দুজনের কথা বলছিলুম, তারা তখন বিলেতে। একজন ইউনিতে, আরেকজন চাকরি করে। আর সাথে আছে একটা পুঁচকে খোকা। আর একটা নীল গাড়ি। তো একইভাবে - যেমন সবার গপ্পে আছে - হয় কাজ ভাগাভাগি, নয়তো আমাকে-কেন-ইউনি-থেকে-রোজ-তাড়াতাড়ি-বেরোতে-হবে-তুমি-কেন-আপিস-থেকে-বেরোতে-পারো-না ইত্যাদি প্রভৃতি নিয়ে লেগে যায়।

    একদিন তিনজনেই বাড়িতে, তখন কী যেন একটা নিয়ে অমন লেগে গেলো। তো মেয়েটা দুম দুম করে বেরিয়ে সোজা গাড়িতে উঠে ভোঁ। ছেলেটা তখন বাড়িতে খোকা রেখে যেতেও পারে না, আর কোলে নিয়ে বা হাঁটিয়ে ওই ঠান্ডায় যাবেই বা কোথায়? হেঁটে তো আর গাড়ি খোঁজা যায় না। আর মেয়েটাকে ফোন করলে ধরেও না।

    আর কিছু করার না পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসেই রইলো। বাচ্চাটা তখনো অত খেয়াল করেনি, নিজের মনে খেলছে। আর ছেলেটা হয় বড় ঘরের জানলার কাঁচ দিয়ে নীচে রাস্তা দেখছে, বা ফোন করার চেষ্টা করছে। শেষে ভাবছে পুলিশেই ফোন করবে কিনা গাড়ির নাম্বার দিয়ে।

    মোটামুটি ঘন্টা দেড়েক পরে মেয়েটার ফোন এলো ছেলেটার ফোনে। গম্ভীর গলায় - "গাড়িটা পার্ক করে দিয়ে যাও"....
  • Byaang | 233.227.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১২:৪১449543
  • ঃ)
  • Byaang | 233.227.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১২:৪৯449544
  • ঈস মনটা কেমন উদাসমত হয়ে গেল! যবে থেকে ঐ ছাইপাঁশ ইস্কুলপ্রোজেক্ট শুরু হয়েছে, দুমদাম বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ার দিনগুলো কেমন মুছে যেতে যেতে একেবারে নেইই হয়ে গেল। ঃ(((
  • বাঃ | 11.39.***.*** | ৩০ মে ২০১৬ ১৪:১৮449545
  • মি পুপের আইএসআই কানেকশন জেনে বড়ই প্রীত হলুম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন