এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মার্ক্সিজম রাষ্ট্র বাজার ও কিছু ক্লিশে

    aka
    অন্যান্য | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৪৭২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 125.18.***.*** | ২৮ মে ২০১০ ১৩:১৯435744
  • এইখানে চাট্টি কথা আছে। সোভিয়েত কনসেপ্ট বিষয়ে।

    সোভিয়েত কনসেপ্টটা কোত্থেকে এলো? এটা কিন্তু লেনিনের মৌলিক নয়। বোধহয় ১৮৭১ সালে ফ্রান্সে একদফা বিপ্লব হয়। তখন কিছুদিনের জন্য শ্রমিক "শ্রেণী' প্যারিসে ক্ষমতা দখল করে, যাকে মার্কিস্টরা প্যারি কমিউন বলেন। তৎকালীন ঘটনাবলী মার্কস খুব ভালো করে ফলো করেছিলেন। ভুলত্রুটি গুলো চিহ্নিত করেছিলেন। এবং মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি "শ্রমিক শ্রেণী'র গণতন্ত্র কেমন হবে, তা নিয়ে একটা মোটামুটি সূত্র দেন। মানে পার্লামেন্ট যদি শুয়োরের খোঁয়াড় হয়, তাহলে উন্নততর গণতন্ত্রের রূপরেখাটা কেমন হবে সেটা পয়েন্ট আউট করেন।

    তা, সূত্রগুলো সোজা। মোটামুটি এরকম:

    ১। নির্বাচিত প্রতিনিধি আর কার্যনির্বাহী ক্ষমতা একই হবে। মানে, আপনি হলেন এমপি। ঠান্ডা ঘরে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন, আর সেটা ইমপ্লিমেন্ট করবে আমলারা (মানে ডিএম বা সেক্রেটারি বা কেরানি), সেটা হবেনা। সিদ্ধান্ত আপনারা নেবেন এবং ইমপ্লিমেন্টও আপনারা করবেন। জনতার কাছে পুরোটার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন।

    ২। রাইট টু রিকল। জনতার না পোষালে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো জনপ্রতিনিধিকে ফিরিয়ে নিতে পারে। এমপি হয়েছেন বলে পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত এমন না।

    রেফারেন্স না দেখে লিখছি, পয়েন্টগুলো একটু উনিশ বিশ হতে পারে। সঙ্গে আরও দুচাট্টে পয়েন্টও থাকতে পারে। কিন্তু বাংলা জিনিস ছিল এটা। এইটাই হল পার্লামেন্টের বদলে সোভিয়েত নিয়ে আসার মূল চালিকাশক্তি। মার্ক্স প্রবর্তিত বিকল্প ছিল অনেকটা পঞ্চায়েতের মতো। তুমি মেম্বার, বা তুমি কাউন্সিলার, কাজও তুমে করে দেখাও। রাশিয়ার সোভিয়েতের স্ট্রাকচারটাও এরকমই ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত আর ওখানে ছিল বহুস্তর সোভিয়েত। সবার উপরে ছিল কেন্দ্রীয় সোভিয়েত। নির্বাচনের পদ্ধতিও স্লাইট আলাদা ছিল। ঠিক এলাকা ভিত্তিক হতনা ব্যাপারটা। বরং উৎপাদন ব্যবস্থা কেন্দ্রিক ছিল। যেমন শ্রমিক সোভিয়েত, কৃষক সোভিয়েত ইত্যাদি।

    সব মিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ গণতান্ত্রিকই লাগে। অন্তত "শুওয়ের খোঁয়াড়'এর থেকে আলাদা। তাহলে গোলমালটা কোথায় ছিল? গোলমালটা একটা জায়গাতেই। কমন প্র্যাকটিসের দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যাবে। সোভিয়েতগুলোতে "অবাধ নির্বাচন' হত। কিন্তু ক্যান্ডিডেট থাকতেন, সাধারণভাবে একজন। আর তিনি ভোট পেতেন ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ। ভোট যাঁরা দিতেন না তাঁদের বলাবাহুল্য, হুড়কো দেবার অঢেল বন্দোবস্তো ছিল। :)

    এইটা, আমি ঠিক এই মুহূর্তে নিশ্চিত নই, একটু পড়ে টড়ে বলতে হবে, মোটামুটি ভাবে লেনিনের অবদান। ব্যানগার্ড পার্টি এবং তার গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা ইত্যাদি। একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেটা ঠিকই হয়তো ছিল, কিন্তু অনন্তকাল এই একই জিনিস চালিয়ে যাওয়া, একটা অ্যাবসার্ড আইডিয়া। যে ব্যবস্থা শুধু ইয়েস স্যার প্রোডিউস করে। এবং আল্টিমেটলি ধ্বসে যায়।

    তা, এটা খুব
  • Arijit | 61.95.***.*** | ২৮ মে ২০১০ ১৫:০৮435745
  • অনন্তকাল একই জিনিস চালিয়ে যাওয়াটা লেনিনের অবদান নয় বলে আমার মনে হয়।

    কিন্তু "এটা খুব' কি?
  • Arijit | 61.95.***.*** | ২৮ মে ২০১০ ১৫:১৬435746
  • লেনিনের সময়ের আরো কিছু জিনিস পরে গিয়ে বদ্‌খৎ চেহারা নিয়েছিলো - যেমন কমসোমল আর চেকা।
  • badur | 98.2.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:৩০435747
  • এলিয়েনিয়াশান নিয়ে কিছু লিখি :
    আমরা কাজ করি, কিন্তু সেই কাজে আমাদের মন লাগে না | উত্‌পাদন যন্ত্র, আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে, যা ল্যাপটপ এ খোলা এক্সেল বা ওয়ার্ড ফাইল, তার থেকে আমরা বিচ্ছিন্নতা অনুভব করি|
    এটাই স্টার্টিং পয়েন্ট | বিপ্লবের আগুনে প্রথম ঘি| বিছিন্ন হয়ে অনেকে ভাতিয়ালিতে আসেন কেউ ক্রিকিনফো খোলেন| কিন্তু কাজের টেনশন মস্তিস্ক কে দুই ভাগ করে | শুক্রবার বিকেলবেলা একটু রিলিফ পেয়ে আমরা রাম নিয়ে বসি| এই পর্যন্ত মার্ক্সবাদ আছে কিন্তু গরিব নেই দুখী নেই সংগ্রাম (সে অর্থে) নেই, এ কেমনধারা মার্ক্সবাদ , প্রশ্ন জাগে | রামের নিজস্ব অন্তর্মুখিনতায় আমরা ভাবি আমাদের আপিসের জমাদার আমার থেকে বেশি ইউস ভ্যালু বানায় | উদ্বৃত্ততার এই অনুভূতি অস্বস্তিকর আর ঘোরালো | পাপ বোধের কাছাকাছি | এই উদ্বৃত্ততার মূল্য চোকাই যারা তারা আমাদের কেউ নয়| এই যে আমার আর তাদের কষ্ট যার ভেতরে এমনিতে কোন সাদৃশ্য নেই, এই কষ্টগুলো সিস্টেমের অদৃশ্য দড়ি দিয়ে গাঁথা | আমরা লজিকালি ভাবি দড়িটাকে, ঠিকমত ঝাঁকালে , আমি, তাহারা , এস্কেস্ল ফাইল , ট্রাক্টর, ইত্যাদি বস্তুগুলোর ভেতর বন্ধুত্বপূর্ন কথা চালাচালি শুরু হবে| আমার আর বিশ্বের মধ্যে জটিল এব্রখেব্র সম্পর্ক টা সরল মোলায়েম আকার নেবে | রাম যেমন আত্ম-কথোপকথনে আলাদা স্মুথনেস আনে | মার্কস এটা নিয়ে আরও কাব্য করেছিল| মানুষ পরিপূর্ণতা পাবে ইত্যাদি |
    মোদ্দা কথা ব্যক্তি বিচ্ছিন্নতা থেকে ব্যক্তি দু:খ থেকে আরও সব দু:খ গুলোকে এক সাথে লাইন আপ করা| এবার আমরা বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত|
    আমাদের সময়ের হিট ছবি 'হাম দোনো' তে রাম হাতে নিয়ে দেব আনন্দ (রফির কন্ঠে) বলেছিলেন
    'কউন রোতা হ্যায় কিসকে লিয়ে , এ দোস্ত , সাবে্‌কা আপনি হি কিসী বাত পে রোনা আয়া'
    এটা মার্ক্সবাদেরও কথা|
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ১০ জুলাই ২০১১ ২৩:৫৮435748
  • মাঝে মধ্যে ভোর সাড়ে তিনটেয় ঘুম ভেঙে গেলে কোন কোন চ্যানেলে সাদা-কালো ফিলিম ""ব্যাটল্‌ অফ আলজিয়ার্স'' দেখি। দেখি আর ভাবি--- ন্যায়ের পক্ষে লড়তে গিয়েও সশস্ত্র
    সংগ্রাম কি ভাবে ব্যর্থ হল আর কয়েক বছর পরে ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থান, মূলত: মাস মুভমেন্ট, কিভাবে সফল হল।
    কিন্তু ধন্দ থেকে যায়। বার্মায় কেন হছে না? ইদানীং সূ-চি ও বলেছেন দরকার হলে সশস্ত্র সংগ্রামের পথে যেতে পারেন। আরও বলেছেন, অহিংস পথ ওনার কাছে ট্যাকটিক্যাল ইস্যু, স্ট্র্যাটেজিক নয়। কিন্তু গান্ধীজির কাছে অহিংসা ছিল ভ্যালু-বেসড্‌ স্ট্র্যাটেজিক ইস্যু!
    আবার "" টেন থাউজ্যান্ড লীগস্‌ আন্ডার আ ক্লাউডলেস স্কাই'' এর লেখিকা চীনের পি এল এর কম্যান্ডারের মেয়ে। কিন্তু ওনার বিশ্বাস শ্রেণীসংগ্রামে নয়, বুদ্ধিজম এ। তবু পথের শেষে উনি বিভ্রান্ত। ভারতে দলিতেরা হিংসার মোকাবিলা অহিংসায় কি ভাবে করবে? বিহারে?
    তবে কি কিছু ক্ষেত্রে হিংসা অনিবার্য? আমি জানি না।

  • pinaki | 122.178.***.*** | ১১ জুলাই ২০১১ ১১:২১435749
  • হিংসা অহিংসা নিয়ে রিসেন্টলি আমিও ঘেঁটে ঘ হয়ে আছি। একটা লেখা নামানোর চেষ্টা করছি ভিতরের প্রশ্নগুলো নিয়ে। দেখা যাক।
  • aka | 168.26.***.*** | ১১ জুলাই ২০১১ ১৮:৫২435750
  • পিনাকীর শ্রেণীচরিত্র বদলে গিয়েছে। ক্লাস স্ট্রাগলের উল্টোদিকে রয়েছে, এমন সময়েই হিংসা অহিংসা নিয়ে অমন হয়। ;)
  • Ishan | 117.194.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪১435752
  • পিনাকির পোস্টের উত্তর দেওয়া হয় নি। এইবার দিই।

    আমার শেষ পোস্টে একটা ভুল করেছিলাম। পিনাকি সেটা ধরিয়ে দিয়েছে। আমি লিখেছিলাম, যে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ধারণাগুলো বদলালেই তো শ্রমিকের অবস্থা উন্নত হবে। ট্রেড ইউনিয়নের আর দরকার নেই (দেখে লিখছিনা, এইরকমই কিছু লিখেছিলাম)। পিনাকি সেটাকে ভুল বলেছে। ঠিকই। আসলে ট্রেড ইউনিয়নকে বাদ দেবার প্রশ্ন নেই। ওটাও বাকি স্পেকট্রামের একটা অংশ। কিন্তু জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে, ধরা যাক, একটি "স্বাধীন' সংস্থা বা এনজিওর মতামত গঠনের কাজ, ট্রেড ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দাবীর মতো সেটারও একই গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এইটা বক্তব্য হওয়া উঅচিত ছিল।

    আর বাকি পিনাকি যা লিখেছে, তাতে পিনাকির সঙ্গে আমার মৌলিক পার্থক্য একটা জায়গাতেই। আমি গত তিরিশ বছরের পৃথিবীকে সিদ্ধান্ত নেবার মতো যথেষ্ট লং টার্ম বলে ভেবেছি। পিনাকি বলছে, না, "দীর্ঘমেয়াদ' ব্যাপারটা আরও অনেক বড়ো। এটার কোনো যৌক্তিক ফয়সালা হওয়া সম্ভব না। অপেক্ষা করে দেখতে হবে। :)

    তবে ইনটিউশন বলে, যে, মাঝামাঝি একটা জায়গায় পৌঁছনো দরকার। যেখানে গত তিরিশ বছরও ফ্যালনা নয়, আবার এই তিরিশ বছর থেকে সব বুঝে ফেলেছি তাও নয়। মার্কসবাদী চিন্তাভাবনায় উপরিকাঠামোকে "সমান' মর্যাদা দেওয়া, "বৈজ্ঞানিক' ডিটারমিনিজমের বদলে অনিশ্চয়তার সম্ভাবনাকে স্থান দেওয়া, এগুলো নিয়ে গুরুত্ব নিয়ে ভাবা উচিত।
  • abastab | 61.95.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:০৪435643
  • আজাদ কাশ্মীরে যে আলোচনার শুরু তা কি এই খানে চলবে বুঝি? শিবুদার মন্তব্য মহামুনি ( এটি আমার সংযোজন) মার্ক্স আজকে থাকলে ওনার তঙ্কেÄর প্রোবাবিলিস্টিক ফর্মুলেশন করতেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয় প্রোবাবিলিটি নয় যার দরকার ছিল সেটি হল প্রতিসাম্য বা সিমেট্রির গাণিতিক ধারণা প্রয়োগ। মূলত পদার্থবিদ্যা থেকে শেখার দরকার রয়েছে। কাল বলেছিলাম যে আমার সার্ভাইভ্যাল অফ ফিটেস্ট পাশবিক মনে হয়। এই প্রতিসাম্যের দিক দিয়ে ভাবলে এটা দাড়াবে যে There are no nontrivial symmetries of the system, and no symmetry means no beauty
  • ranjan roy | 14.97.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:১২435644
  • আজাদ কাশ্মীর নিয়ে ওখানে হোক, মার্ক্সবাদ নিয়ে এখানে।

    আকা স্ট্রাকচার-সুপার স্ট্রাকচারের কথা তুলেছিলেন।
    আমার তো মনে হয় মার্ক্স-এংগেলস্‌ বিভিন্ন লেখায় ও চিঠিপত্রে মার্ক্সীয় থিওরিকে যে ইকনমিক ডিটারমিনিজমে নামিয়ে না আনতে বারবার সতর্ক করে গিয়েছিলেন এটাই দর্শনটির অত্যন্ত সদর্থক দিক।
    এংগেলস্‌ নিজে মার্ক্সের মৃত্যুর পরেও ভবিষ্যত শ্রেণীহীন সমাজের রূপরেখা কেমন হবে তা নিয়ে জ্যোতিষীদের মত ফোরকাস্ট করার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। এখানে শিবুর প্রোব্যাবিলিস্টিক ফোরকাস্টের বক্তব্য মার্ক্সের মূল দর্শনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মনে হয়।
    তবে গ্রাম-শহর, মানসিক-কায়িক শ্রম, গ্রাম-নগর ইত্যাদি ডিকোটমি গুলো ঘুচে যাবে ধরণের ফোরকাস্ট অবশ্যি করেছেন। কিন্তু তার আগে উন্নত প্রোডাকশন রিলেশনের ফলে সামাজিক প্রোডাকশনের এমন একটি উন্নত স্তর কল্পনা করা হয়েছে যাতে সামাজিক সারপ্লাস উৎপন্ন হয়ে অবসর সময়কে ব্যক্তিমানুষ ক্রিয়েটিভ ভাবে উপভোগ করতে পারবে। অল্পসময়ের মধ্যে হলেও ব্যক্তিমানুষের কথা মার্ক্স ভেবেছেন।
    আমার মতে ম্যাক্রো মোল্ডের মধ্যে ব্যক্তিমানুষের মুক্তি ও উন্নত জীবনের কথাই মার্ক্সের ধেয় ছিল। কমোডিটি ফেটিশিজম ও এলিয়েনেশন কনসেপ্ট তারই দ্যোতক বলে আমার মনে হয়।

    ( স্ট্রাকচার-সুপার স্ট্রাকচার কারে কয় প্রশ্নে আমার ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের সম্বন্ধে শোনা গল্প মনে পড়ছে।
    ""পদ্মপলাশলোচন'' শব্দার্থ জানতে চাইলে উনি বলেছিলেন--- পদ্ম মানে তো জানস্‌,পলাশ মানে না জানলেও চলবো, আর লোচন মানে যদি না জানস্‌, তাইলে কাইল থেইক্যা আর ইস্কুলে আসিস না!:))))
  • aka | 168.26.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:৫৪435645
  • রঞ্জনদা মার্ক্স তো এমনকি ম্যানিফেস্টোতেও ইকনমিক ডিটারমিনিজমের কথাই লিখেছিলেন। মার্ক্সের তঙ্কÄটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে ক্যাপিটালিস্ট ইকনমি ডাউনওয়ার্ড স্পাইরালে ডুববেই ডুববে, যেমন সূর্য্য একদিন মৃত হবে। তাছাড়াও দেখাই যাচ্ছে এই ইকনমি কিভাবে মজদুরদের এক্সপ্লয়েট করে। অতএব যে ইকনমি আজ এক্সপ্লয়েট করে এবং কাল তার মৃত্যু অনিবার্য তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন - দুনিয়ার মজদুর এক হও, শৃঙ্খল ছাড়া হারানোর আর কিছুই নেই। যদি লং টার্মের কথাই ধরি তাহলে আমিও মনে করি লং টার্মে আমরা সবাই মৃত - মানে আমার মৃত্যুর পরের লং টার্ম নিয়ে খুব বেসি চিন্তিত নই।

    কিন্তু পরবর্তী কালে মার্ক্সের এই তঙ্কÄ নিয়ে বহু মার্ক্সসিস্ট ইকনমিস্টই কাজ করেছেন তারা মোটামুটি সবাই মার্ক্সকে রেটরিক হিসেবেই ইউজ করেছেন এবং আদতে বলেছেন থিওরিতে বহু গন্ডগোল আছে। মার্ক্স নিজেও মনে হয় সেটাই চেয়েছেন। আজ জন্মালে মার্ক্সও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা বলতেন কি? সেটাও ভাবার বিষয়। মুশকিল হল আমরা সেই মার্ক্সেই আটকে আছি।
  • ranjan roy | 14.97.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:১৩435648
  • আকা,
    ম্যানিফেস্টোতে ইকনমিক্সের সুক্ষ্ম/বিস্তৃত আলোচনা কমই আছে। বরং আছে হেগেল থেকে উল্টে নেয়া ডায়লেক্টিক্সের দার্শনিক প্র্যাক্সিসকে ইতিহাসের গতি পরিবর্তনের ব্যাখ্যা করতে, ব্যবহার করা, যাকে পরবর্তীরা , বিশেষ করে বৃটিশ মার্ক্সিস্টরা,হিস্টোরিক্যাল মেটিরিয়ালিজম আখ্যা দিয়েছেন। ম্যানিফেস্টোতে সুর চড়া( যেহেতু ম্যানিফেস্টো), প্রত্যেক সমাজের বদলানোর কারণ হিসেবে সেই সমাজের আভ্যন্তরীন শ্রেণীসংঘর্ষকে নির্ণায়ক বলা হয়েছে।
    কিন্তু একটা কথা। বলা হয়েছে যে আদিম সাম্যবাদী সমাজের পর শ্রেণীবিভক্ত সমাজের দাস-সামন্ত-পুঁজিবাদে সমাজে উত্তরণে মানুষের সচেতন প্রয়াস ছিল না। প্রোডাক্টিভ ফোর্স ও প্রোডাক্‌শন রিলেশনের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত মানবসমাজকে বাধ্য করেছে অচেতন ভাবে বিভিন্ন স্ট্যান্ড নিতে,সুদূরপ্রসারী ফলাফলকে না জেনেই।
    অথচ, পুঁজিবাদী সমাজ থেকে পরবর্তী সমাজে উত্তরণের সময় মানুষ (শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে) সচেতন ভাবে সমাজে ক্রিয়াশীল আর্থিক ও রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশকে বিশ্লেষণ করে পরিবর্তন আনার জন্যে প্রোগ্রাম/রণনীতি/রণকৌশল তৈরি করে চেষ্টা করছে। তাই দরকার হয়ে পড়েছে পলিটিক্যাল পার্টির।
    এইখানে চেতনা অবজেক্টিভ পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলে নিজেই মেটিরিয়াল ফোর্স হয়ে উঠছে, তাহলে কোথায় রইল ইকনমিক ডিটার্মিনিজম? আসলে ম্যানিফেস্টোতে অল্পকথায় সমাজপরিবর্তনের যে সরল লিনিয়ার ছবিটি আঁকা হয়েছে তাতে ডিটার্মিনিজমের আভাস হওয়া স্বাভাবিক।
    আর মার্ক্স ও কোন ভগবান বা জ্যোতিষী ছিলেন না। সময়ের সঙ্গে ওনার চিন্তাধারাতেও পরিবর্তন হয়েছে। গোথা প্রোগ্রাম বা ম্যানিফেস্টোর দিন থেকে ক্রিটিক অফ পলিটিক্যাল ইকনমি হয়ে শেষ বয়েসের
    ""গ্রুন্ডিশে''র মার্ক্স বোধহয় অনেকটা আলাদা। আমি গ্রুন্ডিশে পড়িনি। কিন্তু অমর্ত্য সেন, ই রাঘবেন্দ্র রাও ও আরো অনেকের আর্টিকল পড়ে মনে হয়েছে যে ডিটার্মিনিজমের বিরুদ্ধে কি ভাবে চেতনা বস্তুস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে তার ভাল চিন্তা রয়েছে।
    শিবু, পিনাকী, ঈশেন, প্রো বৈ চ, অরিজিৎ বা অন্য কেউ ""গ্রুন্ডিশে'' পড়েছেন নাকি? তাহলে কিছু বলুন।

    আকা, আমি আমার গোদা বুদ্ধিতে ব্যাপারটা এমনি করে বুঝি।
    ধর, একটা গরু খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ঘাস খাচ্ছে। যদিও দড়ির লেংথের রেডিয়াস দিয়ে গরুটা কদ্দূর অবদি যেতে পারবে সেটা আল্টিমেটলি ডিটার্মাইন্ড, তবু ঐ সার্কল টুকুর মধ্যে ও ঘুরেফিরে অসংখ্য প্যাটার্ন বানাতে পারে।
    তা আমার বা মানুষ , ইন জেনারেল, এর স্বাধীনতা বাস্তব প্রোডাক্‌শন ফোর্স বা দড়ির লেংথ(স্ট্রাকচার) দিয়ে সীমিত। কিন্তু ওই সার্কেলের মধ্যে আমি সচেতন ভাবে কেমন করে চরে বেড়াব , অন্য মানুষ পেটাতে এলে বা আদর করলে, বা অন্য গরু প্রেম করতে এলে কি ভাবে বিহেভ করব তা ঠিক করতে পারি(সুপাØর্ট্রাকচার)। এই জন্যেই পার্টির দরকার। এই জন্যেই সব দেশের কাজ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা হতেই পারে, অন্ধ নকল চলবে না।
  • aka | 168.26.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৫৪435649
  • রঞ্জন দা আপনার গরু ঘোরার অ্যানালজিটা বুঝি নি। উনি তো গরু ঘোরার কথা বলেন নি। বলেছেন গরু যে প্যাটার্নেই ঘুরুক একদিন না একদিন ব্ল্যাক হোলে তলাবেই। আর প্রতিবার ঘোরার মাঝে বৃত্তের ব্যাসার্ধ ছোট হয়ে যাবে।

    কিন্তু

    It is enough to mention the commercial crises that by their periodical return put the existence of the entire bourgeois society on its trial, each time more threateningly. In these crises, a great part not only of the existing products, but also of the previously created productive forces, are periodically destroyed. In these crises, there breaks out an epidemic that, in all earlier epochs, would have seemed an absurdity — the epidemic of over-production.

    http://www.marxists.org/archive/marx/works/1848/communist-manifesto/ch01.htm

    এটা ইকনমিক ডিটারমিনিজম নয়?
  • Ishan | 117.194.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৫১435650
  • গ্রুন্ডিজ বা ক্যাপিটালের অসম্পূর্ণ শেষ অধ্যায়, বা এশিয়াটিক মোড অফ প্রোডাকশনের হিন্ট এ নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। কিন্তু সেগুলো শুধু হিন্ট। কি হইলে কি হইতে পারিত। মার্কস নির্ঘাতই শেষদিকে অন্য রকম কিছু ভাবছিলেন। সে তো যেকোনো গতিশীল লোকই ভাবছেন। কিন্তু ঐ হিন্টগুলো তো আর আজকের "অফিশিয়াল' মার্কসিজম নয়।

    "অফিশিয়াল' মার্কসে দস্তুর মতো ডিটার্মিনিজম আছে। যান্ত্রিক নয় অবশ্যই। কিন্তু অর্থনীতি যে "মূল' আর বাকি সব ডালপালা, অর্থনীতির নিয়মেই একদিন পুঁজিবাদের অনিবার্য পতন হবে, এ বাদ দিলে মার্কসের আর কিই বা পড়ে থাকে?
  • Ishan | 117.194.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৫৭435651
  • নিজের লেখা পড়েই মনে হল, আমি মনে হল মার্কসের নিন্দে করছি। তাই আর দু লাইন যোগ করি।

    মার্কসের এই ডিটার্মিনিজমকে যদি পুঁজিবাদের ক্রিটিক হিসেবে পড়ি, তো, ডিটার্মিনিস্টিক ভবিষ্যদ্বাণী যতটা মিলেছে, তাতেই আমাদের হাঁ করে থাকা উচিত। নিন্দের তো প্রশ্নই নেই। আজও পুঁজিবাদ নড়বড় করছে এবং করেই চলেছে।

    তবে অনেকটাই আবার মেলেওনি। পুরোটা খাপে-খাপ মিলিয়ে দেওয়া তো অসম্ভব। নিউটন পরেননি। ডারউইন পারেননি। মার্কসই বা পারবেন কি করে?
  • ranjan roy | 14.97.***.*** | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৩৮435652
  • ইয়েস্‌, যেকোন গতিশীল মানুষের মতই মার্ক্স এবং গান্ধীতেও দেখছি প্রথম
    জীবনের ভাবনাচিন্তায় পরিবর্তন আসতে। স্বাভাবিক ভাবেই "" হোলি ফ্যামিলি'' আর থিওরি অফ সারপ্লাস ভ্যালুর লেখকের চিন্তায়ে বৌদ্ধদর্শনের জলধারার উপমার মতন এক হয়েও এক নয় ব্যাপার। আমি ইয়ং মার্ক্স আর লেটার মার্ক্স এর বিতর্কে ঢুকতে চাইছি না, খালি বলতে চাইছি ম্যাক্রো লেভেলে ইতিহাসের সাক্ষ্য টেনে সমাজপরিবর্তনের যে সরলীকৃত ডিটারমিনিস্টিক ছবি উনি ম্যানিফেস্টোতে এঁকে ছিলেন। পরবর্তী কংক্রিট থিসিসগুলোতে মাইক্রো প্রয়োগের প্রশ্নে বার বার এসেছে সচেতন ভাবে মানুষের অ্যাক্টিভিটির কথা।
    এখানেই স্ট্রাকচারের ইকনমিক ডিটারমিনিজম মেকানিক্যাল না হয়ে
    সুপারস্ট্রাকচারের সঙ্গে পারস্পরিক নির্ভরতায় বাঁধা পড়েছে।
    এজন্যেই মার্ক্সীয় দর্শনে যেকোন এনটিটি শুধু ক¾ট্রাডিকশন অফ অপোজিট নয়, ইউনিটি অফ অপোজিটও বটে।

    গরুর চরে ঘাস খাওয়ার উপমায় দড়িটা ছোট হওয়া নয়, পচে গিয়ে খুঁটি উপড়ে যাওয়ার প্রশ্ন। কিন্তু প্রত্যেক বার নতুন দড়ি আর খুঁটি থাকবেই।
    মানুষ যেহেতু সামাজিক উৎপাদনের ফল, তাই নতুন নতুন রূপেও স্ট্রাকচার-সুপারস্ট্রাকচার সম্পর্ক থাকবেই। আমার উদাহরণ ছিল সেটা নিয়ে।
  • ranjan roy | 14.97.***.*** | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৪৯435654
  • আরেকটু যোগ করার ছিল।
    মার্ক্সীয় দর্শনে কোন সম্পর্কই স্থির, অজর,অচল নয়।
    শুরুর দিকে স্ট্রাকচার বা আর্থিক পক্ষ ডমিনেটিং হবে, কিন্তু পরিবর্তনের
    শীর্ষবিন্দুতে সুপারস্ট্রাকচার বা মানুষের সচেতন প্রয়াস ( পার্টির অ্যাকশন প্রোগ্রাম) বেশি প্রাধান্য পাবে।
    এইচ জি ওয়েলস্‌ স্তালিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন--- এইসব রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের হাঙ্গামার কি দরকার!আপনাদের থিওরী অনুযায়ী পুঁজিবাদ তো একদিন নিজের নিয়মেই ধ্বংস(ইকনমিক ডিটারমিনিজম্‌?) হয়ে যাবে।
    স্তালিন বলেছিলেন যে এমনটি হয় না। ওটা সম্ভাবনা যদি মানুষ সচেতন ভাবে চেষ্টা করে তবেই, তাই পার্টির দরকার।

    আমি এই মতবাদকে ডিফেন্ড করছি না, খালি বাজিয়ে নিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি বাস্তবে মার্কসবাদ কি বলেগেছে। অর্থাৎ নিজের বোঝাটাকেই!
    আমার কেমন মনে হচ্ছে আকা শুধু ইকন্মিক্স আসপেক্ট দিয়েই মার্ক্সের সমাজপরিবর্তনের দলিলকে বোঝা বা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। হয়তো দার্শনিক দিকটা বা হিস্টোরিক্যাল মেটেরিয়ালিজমকেও স্মান গুরুত্ব দিলে মার্ক্সের আজকের বাজারে প্রাসংগিকতা বা সীমাবদ্ধতা দুটৈ বোঝা যাবে।
    মোদ্দা কথা -- আকা যে প্রসংগ তুলেছে-- আজকের সমস্যা বুঝতে ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সবাদ কতটা কাজে আসবে? আদৌ আসবে কি না!
  • aka | 168.26.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০১১ ০০:৫১435655
  • রঞ্জনদার পোস্ট দুটো মাথার ওপর দিয়ে গেল। রঞ্জনদা একটু বুঝিয়ে লিখবেন, মানে যে এসব পড়ে টড়ে নি তারমতন করে।

    হিস্টোরিকাল মেটিয়ারিলিজম সম্বন্ধে যে দু এক কথা আমি জানি তাহল

    ১। সমাজের বেসিসটাই হল মানুষ মাদার নেচারকে পরাজিত করে নিজের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রডিউস করে সেই সিস্টেম।

    ২। আর এই প্রোডাকশন সিস্টেমে অবশ্যই ক্লাস ডিভিশন আছে।

    ৩। একটি ক্লাস শক্তিশালী বাকিরা দুব্বল। ব্যাস দুজনের মধ্যে চলছে স্ট্রাগল।

    ক্যাপিটালিজম দুয়ের ফলে ভেঙে পড়বে এক, ক্লাস স্ট্রাগল, দুই, ক্রমহাসমান প্রফিট।

    প্রথমটার জন্য হিস্টরিকাল মেটিয়ারিলিজম আর দ্বিতীয়টার জন্য ইকনমিক্স।

    তা দ্বিতীয়টি মানে ইকনমিক তঙ্কÄটি দাঁড়ায় নি সে বহু মার্ক্সসিস্ট ইকনমিস্টও বলে গেছেন।

    রইল বাকি ক্লাস স্ট্রাগল তা ক্লাস স্ট্রাগল আজকের দিনে উন্নত ক্যাপিটালিস্ট দুনিয়ায় দেখতে হবে। মোদ্দা কথা এই যে ক্লাস স্ট্রাগল তা মার্ক্সের সময় থেকে অনেক অনেক বদলে গেছে তার একটা প্রাসঙ্গিক অ্যানালিসিস দরকার।
  • ranjan roy | 14.97.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০১১ ০৮:১০435656
  • আকা,
    হিস্টো-মেটে তে আর একটু আছে।
    শুধু ক্লাস স্ট্রাগল নয়। অর্থাৎ দুটো অ্যান্টাগোনাস্টিক ক্লাস আছে, তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হবে আর দলিত ক্লাসটি শেষে বিজয়ী হয়ে সমাজ বদলাবে-- খালি এমন নয়।
    ম্যানিফেস্টো জোর দিচ্ছে প্রোডাকশন ফোর্স( যাতে সমাজের নির্দিষ্ট স্টেজের টেকনলজি, লেবারের স্কিল, ইনফ্রাস্ট্রাকচার সবার এগ্রিগেট বোঝায়) আর প্রোডাকশন রিলেশন(অর্থাৎ, সেই নির্দিষ্ট সমাজে কি কি ক্লাস আছে এবং প্রোডাকশন সিস্টেমে তারা কে কোন পর্যায়ে এবং ক্ষমতায় আছে)এর কম্প্যাটিবিলিটি ও ক¾ট্রাডিক্‌শনের ওপর।

    কারণ, একটি নির্দিষ্ট সমাজব্যবস্থায়( ধরা যাক সামন্ততন্ত্র) সামন্তপ্রভূ-ভূমিদাস প্রোডাকশন রিলেশনের মধ্যে উৎপাদন চলতে থাকে এবং সোশ্যাল প্রোডাকশন ফোর্সের বিকাশ হতে থাকে । হতে হতে সেটা যখন স্যাচুরেশনে পৌঁছয়, তখন দরকার নতুন প্রোডাকশন রিলেশনের( ধরা যাক ক্যাপিটালিজম; ক্যাপিটালিস্ট-ওয়েজ লেবার রিলেশন)।সেইসময় হল ক্রান্তিকাল। বিপ্লবের অবজেক্টিভ কন্ডিশন। মার্কসবাদ অনুযায়ী চাইলেই কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো যায় না।অর্থাৎ আগামী সমাজের বীজ পুরনোর মধ্যেই জন্ম নেয়, বেড়ে ওঠে। তারপর মোহ-আবরণ ছিন্ন করে ফেটে বেরোয়।
    আবার ক্লাস-স্ট্রাগলের ফলে যে সবসময় একটি ক্লাস বিজয়ী হবেই তাও গ্যারান্টেড নয়। মার্ক্স অনুযায়ী এর শেষ হলে হতেও পারে দুটো ক্লাসেরই সার্বিক ধ্বংসে।

    যেমন বাচ্চা বড় হয়ে গেলে আগের জামাকাপড়ের সেলাই ফেটে যায়, নতুন মাপের পোশাক বানাতে হয়, তেমনি। বা ফুল শুকিয়ে তার থেকে ফল ও বীজ বেরিয়ে আসে।

    আর ক্যাপিটালিস্ট উৎপাদন ব্যবস্থার আভ্যন্তরীণ সংকটের জন্যে মার্ক্স শুধু ক্যাপিটালের অর্গানিক কম্পোজিশনে লেবার কন্টেন্ট কমে যাওয়ার ফলে ল' অফ ফলিং রেট অফ প্রফিটকেই একমাত্র ডিটারমিনান্ট বলেছেন তাতো নয়। আরো দুটো বলেছেন-- একটা ওভার প্রোডাক্‌শন, অন্যটা রিজার্ভ আর্মি অফ লেবার।
    জোয়ান রবিনসন লেবার থিওরি অফ ভ্যালুকে শেষ অব্দি মাম্বু-জাম্বু গোছের বলে এসেছেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও বলেছেন যে মার্ক্সের থিওরি অফ এক্সপ্লয়টেশন ঠিক। এবং লেবার থিওরিকে বাদ দিয়েও মার্ক্সিস্ট রেট অফ একসপ্লয়টেশনকে ক্যালকুলেট এবং জাস্টিফাই নিওক্ল্যাসিক্যাল মাইক্রো ইকনমিক্সের থেকে ভাল ভাবে করা যায়।
    'আর উনি এটাও বলেছেন যে মার্ক্সের তোলা কোশ্নো গুলো ভ্যালিড, কিন্তু ওনার টুলস্‌ গুলো আজকের হিসেবে ক্রুড্‌।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন