এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • ব্ল্যাক - আলোঅন্ধকার মায়াসৃজন নাকি স্রেফ সিনেমার নামে গিমিকবাজি?

    Somnath
    সিনেমা | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ | ১৫০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samit | 59.92.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401580
  • ইয়ে -- মানে -- এ দুটোর মিল খুঁজে পাওয়া কিন্তু বেশ কঠিন বস্‌।
  • adheesha | 193.6.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401581
  • আমি ঠিক মিল খুঁজে পাইনি। আগের বক্তব্যেই বলেছি ছবি দু'টোর কোনো সাযুজ্য নেই। দু'টো ছবির মিল নয়। দু'টো ছবি দেখে হওয়া অনুভুতির মিল। পার্থক্য আছে।

    অনুভুতি ব্যাপারটা একটু গোলমেলে । ওটা তো ব্যক্তিগত কিনা? সেই জন্যই একটাই ছবি বিভিন্ন মানসপটে বিভিন্ন অনুভুতি আনতে পারে।

    অনুভুতির ব্যাপারটা তো আসলে শীতের বিকেলে রোদ্দুর মেখে আমসত্ব খাওয়ার মতো। অথবা রাত বারোটায় অচেনা স্টেশনে অজানা বাসের অপেক্ষা। অনুভুতি কার কিরকম হবে তা তো গাছের পাতার মতো - কোনো দু'টো-ই একরকম নয়।

    ইশানের সঙ্গে আমি ১০০ ভাগ একমত। দু'টো ছবির কোনো তুলনাই হয়না। তবে তুলনা তো হয়না যখন ছবি হিসেবে দেখি। ছবির গুনগত মান, মেকিং, ইত্যাদি।

    কিন্তু ছবি দেখার পর হল থেকে বেরিয়েই যে শিরশিরানি হতে থাকে, সেই কম্পনের মিল যদি খুঁজে পাই?

    যেমন কোনো চেনা গন্ধ বহুদিন পর পেলে স্মৃতি-বিস্মৃতি মিলিয়ে মিশিয়ে গলা ঠেলে উঠতে থাকে .....

    এ সবই বোধহয় আমার ব্যক্তিগত। তাই তো লিখে ফেলতে ইছে হয়।
  • adheesha | 193.6.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401582
  • ও হ্যাঁ, শর্ট ফিল্ম হবে। বহুদিন আগে দেখা তো...

    কেন জানি না শর্ট স্টোরি লিখলাম।

    আমার কাছে তখন ঐ ছবিটা রুপকথার গোধুলি থেকে উড়ে আসা পালক।

    গল্পই মনে হয়েছিল।
  • Ishan | 24.166.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401583
  • সারপ্লাস মিনিংএর উপর তো গা জোয়ারি চলেনা। অত এব যদি ব্ল্যাক আর শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ পাশাপাশি থাকতে চায় তো থাকনা। শুধু একটি কথা উল্লেখ থাক। ব্ল্যাকের সর্বত্র ছেয়ে আছে হলিউডি কুষ্ঠে... হলিউড হীনতায় কে বাঁচিতে চায়। লোকেশানে হলিউড, সেটে হলিউড, গপ্পে হলিউড, ভাষায়ও হলিউড ... নি:শব্দে একটি হলিউডি ফিল্মকে তুলে এনে রোপন করা হয়েছে সিমলার পাহাড়ে। সে গপ্পো যা প্রসব করে তা নিছক ফিরিঙ্গিপনা নামক একটি ওয়েল মেড মূষিক ... আর কিছু না।

    অন্যদিকে শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ যাত্রাই শুরু করে হলিউড হটাও নামক একটি অদৃশ্য ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে। লম্বা লম্বা শট, কাট শব্দটি উচ্চারণে পরিচালকের চুড়ান্ত অনীহা, লোকেশান বলতে ধ্যাবড়া ধ্যাবড়া কুৎসিত কংক্রিট বস্তি, যে বহুতলের একটি থেকে পিপিং টম অনায়াসে উঁকি মারতে পারে অন্য আরেকজনের অন্দরমহলে ... এসবের মধ্যে যে প্রেম, তাতে কোথাও কোনো হলিউড নেই।
  • Diptayan | 62.189.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401584
  • অমিতাভ বচ্চন কে নিয়ে কিছু বলার নেই।বহুদিন আগেই তিনি আইকন হয়ে গেছেন,তাঁর ঐ জলদমন্দ্র কণ্ঠস্বর,শালপ্রাংশু অবয়ব,অনিন্দিত ম্যানারিজিম নিয়ে।কিন্তু 'ব্ল্যাক' ছবিতে যেটা দেখার সেটা হলো রাণী মুখার্জ্জীর ম্যাচিওরিটি,অভিনেত্রী হিসেবে।এটাকে তথাকথিত মেনস্ট্রিম সিনেমার চেয়ে ওপরে নিয়ে গেছে এই ব্যাপারটাই।যদিও একটি মূক নারীর গলায় বিবৃত হয়েছে সমগ্র কাহিনীটা,তবু বেমানান লাগে না,কারণ তার যন্ত্রনার আওয়াজটা সরাসরি দর্শকের গভীরে প্রবেশ করে।এই ছবির বিন্যাস,দৃশ্যপট আর হয়তো বা পরিচালক নির্ধারিত গতি সবই কিছুটা হলিউডি,তবু ভালো জিনিসের আবেদন যে দেশ-কালের বেড়াজাল মানে না,এ ছবি তা আবার প্রমাণ করে।নিছক আবেগের কচকচি নয়,সারা ছবি জুড়ে রয়েছে লড়াই করার কথা,বাঁচার কথা,জীবনের কথা।সেটা কে স্পষ্ট করে তুলেছে অসাধারণ সংবেদনশীল অভিনয়।ধৃতিমান ও অন্যান্য পার্শ্বচরিত্র রাও যথাযত।সব মিলিয়ে একটা অসামান্য শিল্পপ্রয়াসে আমারা মুগ্‌ধ হই,আর ছবি সমাপ্ত হবার অনেক পরেও মনে জেগে থাকে মিশেলের সেই নির্বাক দৃষ্টি,শব্দের অনুপস্থিতিতেও যা বাঙ্ময়,ইন্দ্রিয়হীন বেদনায় করুণ,আবার একই সঙ্গে হাল না ছাড়া মনোভাব,বেঁচে থাকার প্রবল আকুতি।
  • Somnath | 144.226.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401585
  • জনপ্রিয় দৈনিক মাইকে নানা পাটেকরীয় প্রখর স্মার্ট ভুল বকার অনুরণন এখানেও শুনতে পাবো ভবিনি। ব্ল্যাক সিনেমা এগিয়েছে যে অন্ধ মেয়েটির গলার অনুষঙ্গে তার পাশে পাশেই পর্দায় ছিল তার ব্রেইল এ টাইপ করার দৃশ্য, তার অনুভূতির, চিন্তার লিপিকরণ, তার ডায়রি লেখা। কারো অনুভুতি, স্মৃতি রোমন্থনকে অডিয়েন্সভোগ্য উপস্থাপনকে - ""আরে, বোবা মেয়েটা কথা কইছে রে, হো: হো: হো:"" গোছের খিল্লি উপহার দেওয়ার ঝোঁকে ভেবে দেখতে ভুলে যাওয়া দায়ী -- হিন্দি সিনেমায় চিন্তার, চিঠির, ডায়রির স্বরভিত্তিক উপস্থাপনের জনক সঞ্জয় নন, সবাক ছবির প্রথম যুগ থেকেই এটি চালু। বোবা মেয়েটির বাক্যবিন্যাস, লিখিত অংশের ধ্বনিপ্রবণ পাঠের মধ্যে কোথায় অসঙ্গতি?
    পাশ্চাত্য ছোঁয়া !! ঐ সময়পটে, ঐ দম্পতির সামাজিক প্রেক্ষিতে ঐ সিমলায় মিশনারী মূক বধির স্কুলে ওতপ্রোত ব্রিটিশ কালচার বাদ দিয়ে ভেবে দেখা যাক, গল্পটা আদৌ দাঁড়ায়? কে নিজের অরিজিনাল গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি করবে, কে করবে না, সেটা তাকে ঠিক করতে দেওয়াই বিধেয়। দেবদাস নিয়েও একই পরিচালক সিনেমা করেছেন, আমরা কি ভুলে গেলাম? মূক বধির মানুষ মাত্রেই হাত-পা বেঁকিয়ে কথা বলবেন বা হাঁটবেন না, কিন্তু কোনো একটি মূক, বধির ও অন্ধ মানুষ লাঠির সাহায্য ছাড়া দ্রুত পদক্ষেপে দৌড়তে গেলে তাঁর দুটি হাঁটু দুদিকে বেঁকে যায়, শিশুকাল থেকেই জেদ ও দৃঢ়তার অনুভূতি প্রকাশে তার ঘাড় কাৎ হয়ে যায়, তো, কি সমস্যা? কোথায় লেখা আছে পৃথিবীর সব মূক-বধির-অন্ধ মানুষের প্রতিক্ষেপে মিশেলের চরিত্রায়ণ? প্রতিবন্ধীদের প্রতি আদৌ কোনো স্বাভাবিক মানুষের এই বিকৃত ধারণা ছিল কিনা, পরিচালক আমাদের পথে ঘাটে, পাড়ায় হামেশা দেখতে পাওয়া এরকম মানুষদের সম্পর্কে আমাদের জানাকে - নিছক একটি সিনেমা নির্মাণ করে - গড়ে তোলেন বা ভেঙে ফেলেন কিনা, এ নিয়ে ফরমায়েসী কলমবিলাসীরা গবেষণা করতে পারেন আমরাও করব কি?
    অতিনাটকীয়তা। শুধু রানী কেন, বরং রানীই অনেক ক্ষেত্রে বেশ সংযত, অমিতাভের চরিত্রের প্রথম সীন থেকে স্মৃতি হাতড়ান। সেই বাল্ব হাতে ম্যাজিক এর সময় থেকে। মদ্যপ মানুষটির গড়ে ওঠা, প্রতিটি হরকত, রাগ এমনকি ভালোলাগাও ড্রামাটিক মনে হবে। অথচ, হাত পা ঠোঁটের সঞ্চালন দিয়েই অনুভুতি প্রকাশ করতে অভ্যস্ত মানুষের ক্ষেত্রে এই অঙ্গসঞ্চালনগত ড্রামা না থাকলেই বরং কৃত্রিমতা আসত, মেকীত্ব দানা বাঁধত বুদ্ধিজীবী আঁতলামোয় ভর করে। এর সঙ্গে তুলনা করুন যখন মিশেলের ঠোঁট ছুঁচ্ছেন তার শিক্ষক, সেই মুহুর্তে শুধু সাবমিসিভ অনুভূতি পাবেন, ড্রামা নয়। অমিতাভ-র কাজ লার্জার দ্যান লাইফ হয়ে যচ্ছে, এমনকি, ""এক আজনবী""তেও গোটা সিনেমা ছাপিয়ে যায় তার কারুকাজ। কিন্তু মিশেলের বাবা মা, বোন (সবচেয়ে ন্যাচারাল লেগেছে আমার) আর আশেপাশের কোথায় অতিনাটকীয়তা!!
    ঠিক, প্রভূত হলিউডি ছায়ায় ঘিরে রেখেছে ব্ল্যাকের শরীর, কিন্তু সে কোন হলিউড? মনে করুন বচ্চনের দুটি অধুনানির্মিত সিনেমাকে অনুকরণ করে নতুন সিনেমা হচ্ছে বিলেতে। হ্যাঁ বলিউডি গপ্পোকে টুকে হলিউড ছবি করছে। আলো অন্ধকারে এরকমই বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকাই ব্ল্যাকের প্রাপ্য হত। কিন্তু, আছে সেই নিজের সৃষ্টির আঙ্গিকে মুগ্‌ধতা - মিডাসের অভিশাপ। সাদা রঙ কে অবলীলায় ব্যবহার করতে পারা সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় যেমন লোভ দেখান নভিসদের, আর পুড়িয়ে মারেন, ঘোড়ার পিঠে চেপে পিছলে যায় লাগাম থেকে হাত, নিয়ন্ত্রণ - চেন রিঅ্যাকশন থেকে ভূমিষ্ঠ পরমানু বোমা যেন, সভ্যতার হাত ফসকে পারমিসিভনেস সঞ্জাত ফ্রাঙ্কেনস্টাইন STD আর শিশুমাতৃত্বমুখর জেনারেশনেক্সট - ব্ল্যাকও ঝরে যায় বনশালীহেন করতল চুঁয়ে, মুঠিবদ্ধ বিস্ময় রেখে অবশেষ। যে প্রবল অনাদি বার্তায় প্রায় জন্মদাতৃ হাতে হাত রেখে বৃষ্টিছাঁতের ঘ্রাণ নেওয়া, নিমেষের কাটা তার টুঁটি চেপে ধরে। শিশুজন্মের দায় থেকে বার্ধক্যের উত্তরাধিকার প্রসব হয় - হায় অনুপুঙ্খ দাগ কাটে না। একপাক ঘুরে এসে সামারফিল্ডের রোজেট পূর্বজন্মকে স্পর্শ করে না, কেটে যাওয়া দু টুকরো সুতো হাতে দিয়ে প্রেক্ষাগৃহ উগড়ে দেয় দর্শকের ভিড় - অথচ মুখর - আসন্ন পুত্রবধূর ঠোঁট ছোঁয়ার লাল লাল শব্দাবলীতেই!! বনশালী শেষতক ব্যর্থই হলেন কাঁচ বা হীরকসম কেটেকুটে দিতে গলার চৌকাঠে কোনো দগ্‌ধ অনুভূতি।
  • Arijit | 82.39.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401586
  • রিয়েলিজম - সোমনাথ, রিয়েলিজম। অটিস্টিক মেয়ের চরিত্র হলে হাত-পা বেঁকিয়ে পেঙ্গুইনের মতন হাঁটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতাম না। গপ্পোটা তাই কি?

    অনেককাল আগে, টিভিতে কোন সিরিয়ালে লাবণী সরকার একটি অন্ধ মেয়ের অভিনয় করেছিল, একজনের সমালোচনা ছিলো যে অন্ধ মেয়ের চোখে এক্সপ্রেশন ফুটে উঠবে কেন? সেই রিয়েলিজম। আম্মো তাই বলেছিলুম।

    দ্বিতীয়ত, অন্ধরা সাইন ল্যাঙ্গোয়েজে কিভাবে কথা বলে সেটাও একটু রিয়েলিস্টিক হওয়ার দরকার ছিলো - আদপেই তা হয়নি।
  • somnath | 211.28.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401587
  • এটাও চেনা তীর, আপনি শিল্প করুন, দাবি আসবে - এটা কি বাস্তব? আপনি বাস্তব দেখান, থুতু আসবে - কোথায় নয়নসুখ? পেঙ্গুইন শব্দটাও দৈনিক মাইকের তৈরি, অথচ দুটি মাত্র সীনে - যেটুকু স্মৃতি - মিশেলের চলা চক্ষুপীড়ক, বরফবর্ষা রাতে দীর্ঘ অদেখা অমিতাভপ্রাপ্তির প্রৌঢ় দৌড় ও আরেক হঠাৎ কৈশোরতুষারপাত বেলার আগে-পরে চ্যাপলিনপোষ্টারপাশে, শিক্ষকসঙ্গেই। দুবারই সাথে অপ্রয়োজন হয়ে থাকে অবলম্বন - ছাতা বা লাঠি। অন্ধ মেয়েটি অনুভবে কল্পনায় বেয়ে যায় অদৃশ্য পথ। মনে করুন কলেজে ভর্তি হতে আসা নম্র পদচারণার মিশেল, মনে করুন আত্মীয়সঙ্গের মিশেল, শিশু মিশেল - কোথা সে না-উড়াল ডানা সাদাকালো পখির উপমা!! কোনো উত্তেজিত/চ্যাংড়ামো মুহুর্তে সভ্য চলাফেরার ভিক্টোরিয় সংজ্ঞাকে তুড়ি মেরে আমরাও কি করিনি অনুকৃতি? মিশেলের চরিত্র স্বাভাবিক, যে কোনো স্বাভাবিক মানুষের মতোই; স্টিরিওটাইপ সিনেম্যাটিক-আদর্শলভ্য ঋজু, রম্য ও দৃষ্টিনন্দন নয় - সে খেয়ালখুশিতে আনন্দে উচ্ছলতায় এমনকি উচ্চিংড়ে উল্লম্ফনও যোগ করে দেয় পদচারনায়। তো!!
    সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ আমি শিখিনি, প্রচার - অমিতাভ ও রাণী শিখেছে সিনেমাপ্রয়াসে - কিন্তু প্রাচীণ দুপুরটিভির মূকওবধির সংবাদের তুখোড় প্রতিরূপ দেখার আশায় মাল্টিপ্লেক্সের টিকিট কাটি নাই যে!!
    তবু বনশালী ঘেঁটে যান শেষতক - এই ব্যবসা ও আর্ট বাটাবাটি খেলায়। গল্প এসে গ্রাস করে মায়াখেলা, সস্তা সেন্টিমেন্ট-সুড়সুড়িচেষ্টা, সময়ের অভাব শেষ নির্মাণ সম্পূর্ণ করে তুলতে পারে না। শিক্ষকের মিশেলীকরণের ফাঁক বড় চড়া ভাবে চোখে লাগে। তবে রবীন্দ্রজীবনী নির্মাণে তাঁর চরিত্রাভিনেতার জন্য দূরবীন প্রয়োজন যে ঘুঁচেছে তাই বা কম কি?
  • Lyadosh Chandra Mitra | 24.5.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401588
  • ১১৯ মিনিট-এর সেন্টু চপচপে অতিনাটকীয়তা।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401589
  • নয়নসুখ আর রিয়েলিজম পরস্পর বিরোধী নয়। একটা সিনেমার উদাহরণ দিই - নাম বলতে পারলে চকলেট দেবো।

    গ্রামে থাকেন ভদ্রলোক, ট্রেনে হকারি করেন - সাইকেলে চড়ে স্টেশনে যান, দিনের শেষে সেই সাইকেলে বাড়ি ফেরেন। একদিন ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন, গরুর গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরলেন...তারপরে আরো অনেক ঘটনা...

    অন্য যে কোন পরিচালক (আজকের দিনের - বনশালী-টালী ইনক্লুডেড) হলে আহত ভদ্রলোক বাড়ি ফেরার সময় সাইকেলটা ভোগে যেত, এই সিনেমায় সাইকেল এলো গরুর গাড়ির পিছনে চেপে। খুব সামান্য ঘটনা, গোটা সিনেমায় হয়তো এর কোন দাম নেই - কিন্তু পরিচালক এমন একজন যিনি এই সাধারণ জিনিসগুলো মনে রাখেন।

    বল দেখি সোমনাথ - কি সিনেমা, কার পরিচালনা? যে সে চকোলেট নয়, "গুলিয়াঁ" দেবো:-))

    এগারোখানা অস্কার পাওয়া টাইটানিক - গোটা পৃথিবীর লোক দেখে আহা-উহু করতেই ব্যস্ত, কেউ জিজ্ঞেসও করে না, যে গপ্পের শেষে গপ্পো যা দিয়ে শুরু হল সেই হীরেটা কোথায় গেল? মানে যারা ওই ডুবে যাওয়া টাইটানিক থেকে ছবি-টবি তুললো, হীরের খোঁজ করতে গিয়ে, তারা পুরো ভুলে মেরেই দিলো? অথচ, গপ্পের মধ্যেই নায়িকা বলছে যে হীরেটা তার পকেটে ছিলো?

    আচ্ছা সোমনাথ - স্টেজের ডিবেট কম্পিটিশনের মতন করে লিখছিস কেন রে? টুকিসনি তো?
  • khaamkheyaal | 6.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401590
  • সিনেমাটি কি রকম তা নিয়ে ব্যক্তি ভেদে মত পার্থক্য থাকতেই পারে, তবে সিনেমাটির গোড়ায় গলদ আছে। রানী মুখার্জীর চরিত্রটি মূক ছিল। কিন্তু পুরো সিনেমাটিতে তার দ্বারা naration করা হয়েছে! এই গলদ নিয়ে কি করে oscar-র জন্য ভারত থেকে পাঠনো হয় entry হিসেবে?!! আমরা কি এতই বন্ধ্যা দেশে জন্মেছি যে নিজেদের original গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরী করতে পারি না?!
    তবে রিজুর সাথে আমিও এক মত। অমিতাভজীর অভিনয় অসাধারন। তবে মূক-বধির মানুষ মাত্রেই কি হাত-পা বেঁকিয়ে কথা বলবে,হাটঁবে? এই ভ্রান্ত ধারণা সম্বন্ধে সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেবার ভালো সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল এই সিনেমটির মাধ্যমে যা হাতছাড়া করলেন পরিচালক। নাকি নিজেও ঐ ধারণার শিকার?!
  • Riju | 192.55.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401579
  • এই সিনেমা ভীষণ ভাবে পাশ্চাত্য ঘেঁসা, হেলেন কেলার এর কাহিনীর অনুষঙ্গ।কিন্তু বিগ বি আর রাণীর অভিনয় কে সেলাম জানাতেই হয়।রাণীর চরিত্রে হয়তো অতিনাটকীয়তা আছে - সেটা তো চিত্রনাট্য রচয়িতার দোষ (?)। আমাদের মনে রাখতে হবে এটা কোনো প্যারালাল সিনেমা নয় - মেন স্ট্রীমে থেকে পরিচালক এই সিনেমা করার সাহস দেখিয়েছেন।
    আর "প্যারালাল সিনেমা" হলে হয়তো এই সব "গিমিক" এর কথা উঠত না ,আমরা আঁতেল বাঙালী কিনা - সহ্য হয় না যে অমিতাভের মত একজন 'কমার্শিয়াল আর্টিস্ট' অভিনয়ে অনেক ঝানু আর্ট ফিল্মের অভিনেতা কে টেক্কা মারতে পারেন।কিন্তু এটাই বাস্তব।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401592
  • বুড়ি জলে ফেলে দিলো সেটা তো সিনেমায় দেখালো। যারা অতক্ষণ বসে গপ্পো শুনছিলো বুড়ির মুখে (তারা তো হীরে খুঁজতে গিয়েই ওই ছবিটা পেয়েছিলো), তারা বেমালুম ভুলে গেলো কি করে? ইস্পেশ্যালি যখন বুড়ি গপ্পের মধ্যেই বলেছে যে হীরে ওর কাছেই ছিলো...

    আর কার সঙ্গে কার তুলনা কচ্চিস - আমি যে সিনেমাটার কথা বল্লুম সেখানে ওই সাইকেলের কথা কারো মনে থাকারই কথা নয়...ওটায় তো অ্যাকসিডেন্ট হয় নি - ওটা ভদ্রলোকের বাহন ছিলো, তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গেছিলেন। সাইকেল ছিলো ইস্টিশনে...অথচ সিনেমার ডিটেলিং এমনই যে সেই সাইকেলও এলো গরুর গাড়ি চেপে...

    গুলিয়াঁগুলো আমিই খাই, সুমনকে এট্টু ভাগ দেবো...
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401593
  • BTW আমি ব্ল্যাক-কে বাজে বলছি না, বলছি যা প্রচার হয়েছিলো ততটা উঁচুদরের নয়। "চলেব্‌ল" সিনেমা, একবার বসে দেখা যায় - বাস্‌।
  • Somnath | 210.212.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401594
  • বাড়িতে বসে স্টার প্লাসে দেখে মতামত দিও না অরিদা, মনে হয় সিনেমায় বসে একবার দেখলে একটু অন্যরকম মতামত ও দিতে পারো, বিশেষত: যখন আলো-ছায়া-অন্ধকার ক্রমশ: গিলে নিচ্ছে তোমায় আর তুমি ঢুকে যাচ্ছ একটা বাচ্চা মেয়ের বেড়ে ওঠায়; তার স্বপ্নসাজানো-তুলি হাতে ক্রমশ: জাদুকর হয়ে উঠতে থাকা শিল্পীর পটে - এক অলৌকিকে, সেটার হতাশ শেষটুকুই যন্ত্রণায় বিঁধবে তোমায় হয়তো। হলে দেখো। আমিও বলছিনা ওটা দারুণ সিনেমা।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401595
  • সেতো হলে বসে "বর্ডার" দেখলেও মনে হবে ভালো সিনেমা:-)) "বর্ডার" কি ভালো সিনেমা? ওই একবার বসে দেখা যায়...
  • penchi | 84.177.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401596
  • অরিজিত

    আপনার ভালোলাগা সিনিমা গুলোর নাম বলুন না দাদা। সুযোগ পেলি এট্টু দেখতুম যে।।।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401597
  • মূক-বধির মানুষের লড়াই নিয়ে সিনেমায় অনেক ওপরে রাখবো "কোশিশ"-কে, মনে আছে কি? সঞ্জীব কুমার অভিনীত? "ব্ল্যাক"-এ রাণী মুখার্জী অসম্ভব অতিনাটকীয়, পেঙ্গুইনের মতন চলায় বেসিক্যালি অন্ধদের এক অর্থে অপমান করা হয়েছে।
  • Samit | 59.144.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401598
  • প্যারালাল, বেলবটম, ড্রেনপাইপ, বুটকাট - প্যান্ট ও সিনেমার এবম্বিধ সুচিন্তিত শ্রেনীবিভাজনের তত্ব না বুঝিয়াও, ছবিটি দেখিয়া প্রথম যে কথাটি আমার মনে হইয়াছিলো, তাহা হইলো, 'আর যাহা হইক, বৃদ্ধের ধক্‌ আছে! তা না হইলে এ পড়ন্ত বেলায় কেবল দাড়ি ও জোব্বাটি সম্বল করিয়া আসমুদ্রহিমাচল ভারতবর্ষের তাবৎ প্রেক্ষাগৃহ ফাটাইয়া দেওয়া সহজ কথা নহে।"
  • Samit | 59.144.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401599
  • রূপসী রানী মুখার্জি এ ছবিতে বিষ্ময়কর। পর্দা জুড়িয়া তাঁহার কার্যকলাপ দেখিতে দেখিতে আমাদিগের প্রায়শ:ই মনে হইতে থাকে তিনি নেপথ্যের জুরিগনের দিকে চাহিয়া বলিতেছেন "ওরে মিন্‌সের দল, এতেও যদি পেরাইজ না দিস্‌ তো জেনে রাখ তোদের এক দিন কি আমার এক দিন!"
  • samit | 59.144.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401600
  • পরিচালক লীলাময়। ছোটবেলায় দেখিতাম রাঙ্গাপিসিমা, নাড়ু হস্তে হামাগুড়িরত বালগোপালের পূজা করিতে করিতে "ঠাকুরের নীলে বোঝা ভার' বলিয়া কাঁদিয়া কাটিয়া, আপ্লুত হইয়া অশ্রু বিসর্জন করিতেন। ছবিটি দেখিতে দেখিতে আমার অবস্থাও তদ্রূপ হইয়া ওঠে। বালগোপালের লীলাখেলা বুঝিয়া উঠিতে না পারিয়া আমিও রাঙ্গাপিসিমার ন্যায় গলদশ্রু হইয়া ভাবিতে থাকি "ব্যক্তিকেন্দ্রিক একটি কাহিনীকে এইরূপ জীবন হইতে বৃহত্তর ও কাল্পনিক এক পরিপ্রেক্ষিতে রোপণ করিয়া তুমি কি ইঙ্গিত করিতেছ ঠাকুর, বল, বল আজ!!!!' ঠাকুরের শিশুমুখে ভাবান্তর নাই, গোষ্ঠের পথে প্রান্তরে টলমল উদ্দেশ্যহীন পায়ে তিনি খিলি খিলি হাসিতে হাসিতে দৌড়াইয়া বেড়ান। পর্দা জুড়িয়া ভাসিয়া উঠে নিরুদ্দেশ লীলাখেলা, অশ্রু ও পিসিমার ভাববিহ্বল মুখ।
  • tareq | 211.28.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401601
  • আচ্ছা, আমরা যদি এমন ভেবে নিই, ব্ল্যাক হচ্ছে এমন একটি মূক ও বধির মেয়ের গল্প যে কিনা পেঙ্গুইনের মত হাত-পা বেঁকিয়ে হাঁটে, তাহলে কি ছবিটা এতটা খারাপ লাগবে?
    আমার কিন্তু একেবারেই খারাপ লাগেনি। কারন আমার একবারও মনে হয় নি এই ছবির রাণী পৃথিবীর সব বধির মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করছে। সবার এরকম ক্ষমতা থাকে না, কারো কারো থাকে।
    বরাবরই আমার মনে হয়েছে পরিচালক এখানে বিশেষ একটি মেয়ের কথা বলতে চেয়েছেন, আর তার প্রায়-যাদুকর শিক্ষকের কথা।
    পুরো ছবিটা রাণীর কন্ঠে বলে যাওয়াটাকেও অস্বাভাবিক লাগছে না। ঐ শিক্ষকের হাত ধরে ঐ মেয়ে এক সময় ভাবতে, পড়তে ও লিখতে শিখেছিলো। সেই ভাবনাটুকুই রাণীর কন্ঠে অনুদিত হয়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছেছে।
    এর চেয়ে স্বাভাবিক কোন পন্থা কারো জানা আছে কি?
    ব্ল্যাক সব মিলিয়েই খুব ভালো একটি ছবি।
  • adheesha | 193.6.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401602
  • ব্ল্যাক......হ্‌ম্‌ম্‌ম্‌ম

    কি যে বলি। ছবি-টা দেখে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে এসে একটা মুগ্‌ধতায় হাতড়ে হাতড়ে , সাঁতরে সাঁতরে পৌছনোর চেষ্টা করছিলাম মুহূর্তের সেই বাদামখোলার ফাঁকে আটকে থাকা একবিকেলের অথবা আজন্মের নন্দনচত্তরে, কিস্‌লস্কির 'শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট লাভ'।

    দু'টো ছবির গল্পের মধ্যে কোনো সাযুজ্য নেই। একটা হেলেন কেলারের জীবনী অবলম্বনে, আর অন্য-টাকে নকল করে একটা ভয়ংকর হিন্দি ছবি তৈরি হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন আগে।

    অথচ কেন জানি না, যেমন একটা গন্ধ.... একটা সুর.... দু'টো ছবির ছোঁয়া আমাকে একই রকম অনুভুতি দিল, একই তরঙ্গ ।

    ছবি হিসেবে যদি আলোচনা করতে চাই, ব্ল্যাক কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতী নাটকীয়, পাশ্চাত্য-প্রবণ , বহু ক্ষেত্রে অ্যাব্‌সার্ড , প্যাকেজিং-এর জাদু-তে রাজসিক।

    তবে কেন জানি না একধরণের অন্যরকম কম্পন আছে, ক্যামেরার কাজ অসাধারণ , ভিস্যুয়াল চমৎকার।

    তবে ব্ল্যাক-এর সবচেয়ে বড় ম্যাজিক তো ষাট বছরের সেই যুবক, নিজেই এক জাদু বাস্তবতা, সেই মানুষ যিনি বুড়ো হন না।
  • Ishan | 24.166.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401603
  • ওটা শর্ট স্টোরি নয়, অধীশা, শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ।

    আর দাবীটাও মানা গেলনা। কিছুতেই না। ব্ল্যাক আর শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ? কোনো তুলনা হবেনা। হতে পারেনা।
  • Somnath | 128.24.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ০০:০০401591
  • প্রবল টুকছি, অরিদা,
    বিন্দাস, ইন্দাস, চন্দ্রিল টুকে ফাঁক করে দিলুম। ;-))

    টাইটানিকে তো বুড়ি নিজেই শেষ সিনে হীরের নেকলেস ফেলে দিল জলে, রেলিঙে দাঁড়িয়ে - সেই প্রথম দিনের মতো - যখন সামনে অঢেল আকাশ আর পিছনে ডানা হয়ে উড়ছে প্রায় সমবয়সী এক যুবক ...
    সেই স্মৃতিটুকু ছাড়া অবিশ্যি রেলিঙে না চড়লেও চলতো, শেষ দিনে ....

    আর ইয়ে সুভাষ ঘাইও গরুর গাড়িতে চড়িয়েছেন কর্দমাক্ত প্রায়-নায়ক (!) আর তার বিধ্বস্ত গাড়িকে - হ্যাঁ একই গরুর গাড়িতেই দুটোকেই - আহা সিনেমাটায় শারুখ খান ছিল, আর তার নামও তুমি জানো। সেখেনে না ছিল নয়নসুখ না রিয়েলিজম, তো??
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন