এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • ইনগ্মার বার্গম্যান

    a x
    সিনেমা | ১৯ আগস্ট ২০০৭ | ১১০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 65.43.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০০৭ ০৩:৪৩392832
  • গত ৩০শে জুলাই ২০০৭ মারা জান সুইডেনের সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান ৮৯ বছর বয়েসের ইনগ্মার বার্গম্যান। কয়েক ঘন্টার তফাতে মারা যান মিকেলেঞ্জেলো আন্তোনিওনি। সিনেমা জগতের একটা অধ্যায়ের অবসান বলা চলে। আন্তোনিওনি'র প্রতিভা বহুদিন ধরেই স্তিমিত - তাঁর বয়সও অনেক - অথচ বার্গম্যান এই সেদিনও অবধি নাড়িয়ে দিয়ে গেছেন আমাদের। প্রথম বার্গম্যান দেখা শুরু আমার "ক্রাইস অ্যান্ড উইস্পার্স" দিয়ে আর শেষ এই সেদিনের তৈরি -"সারাবান্দ" - যা তাঁর "সিনস্‌ ফ্রম অ্যা ম্যারেজ"এর সিকুয়েল বলা চলে। বার্গম্যানের সিনেমা দেখা আমার কাছে বড্ড বেশি রকমের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা - যতবার দেখেছি, প্রতিবার। এই রকম ভাবে আর কোনো সাহিত্যিক, শিল্পী, পরিচালক, কেউ আমাকে ঘেঁটে দিয়ে যায়নি। কোনো ক্রিটিকাল অ্যানালিসিস সম্ভব না আমার দ্বারা। এখানে থাকুক প্রত্যেকের নিজস্ব বার্গম্যান সফরের গল্প।
    এই চিঠিটি বার্গম্যানের ইয়াহু গ্রুপে পাওয়া:

    dear ingmar, monday 30th of july 2007

    I´m so sad you are gone. no filmmaker ever meant so much to me. I
    have so very special feelings watching your work. in 1993 I moved
    house to a very quite place, because I saw "passion of anna".

    I even tried to learn swedish. I started to spend some of my holidays
    in sweden. in 1994. I visited stockholm and watched "a winter´s tale"
    by shakespeare with pernilla august, under your direction. I bought
    the book in german and learned it by heart, to understand what
    happened on stage. what a wonderful experience.

    I once thanked you in a letter, I hope you received it.

    I even visited faro once in 2004. my girlfriend and me were quite
    close to your house, but not too close, we didn´t want to disturb you.

    I´m even sadder because in august I wanted to record a cd with an
    original composition of mine on it dedicated to you. I wanted to send
    you the cd in autumn. I´m so sad, I didn´t had the chance to
    say "thank you" with a piece of music before. unfortunately you´ll
    never hear it now.

    hopefully I will get the chance to watch all your movies once. I even
    tried to receive svensk tv here in germany. so I had the chance to
    record some originals in swedish. german tv stopped broadcasting your
    movies. I wrote many letters to complain, but with no success. in the
    last years some titles were released on dvd. hopefully more to come.

    I will never forget you.

    ben heit,

    piano player and teacher
  • sgkk | 59.93.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০০৭ ০৩:৫৩392833
  • ঋত্বিক কি অন্য কথা বলতেন?
  • Ishan | 71.239.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০০৭ ০৭:০৯392834
  • ঋত্বিক বার্গম্যানকে দেখতে পারতেননা :-)
  • dri | 129.46.***.*** | ২১ আগস্ট ২০০৭ ০১:৫৬392835
  • যারা বার্গম্যান দেখেননি তারা এইটি অবশ্যই দেখুন।



    যারা দেখেছেন তারাও দেখতে পারেন।
  • `' | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০০৭ ১০:৪২392837
  • যা: , খুব ভুল হয়ে গেছে। মাফ করবেন।
  • `' | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০০৭ ১০:৪২392836
  • দক্ষিণে একমাত্র দোসা আর অন্ধ্র আমিষ সত্য। বাকি সব ওয়াক।
  • `' | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০০৭ ১১:২০392838
  • কিছু কথা বলার আছে। সরাসরি বার্গম্যান নিয়ে নয়। তবে সিনেমা নিয়ে, হয়ত শিল্প নিয়েও।
    আমরা বার্গম্যান দেখি, ফেলিনি, তার্কভস্কি দেখি। দেখে ভালো লাগে। বার্গম্যান সুইডেন এর লোক, ফেলিনি ইটালী, তার্কভস্কি রাশিয়া। প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত তাদের দেশকালধর্মমত সাপেক্ষে গড়ে ওঠে।
    বার্গম্যানের ক্যামেরা চরিত্রের মুখ খুঁটিয়ে দেখে, তাঁর কাছে চরিত্রের ভাঙ্গাগড়া, দু:খ, ক্লেদ, উত্থান পতন মূল উপজীব্য। সঙ্গে থাকে বার্গম্যানের কড়া প্রোটেস্টান্ট চার্চের আবহাওয়ায় বড় হয়ে ওঠা। তিনি ইশ্বরবিশ্বাসী, কিন্তু খুঁজে পাননা তাকে। সন্দিহান হয়ে পড়েন তার অস্তিত্বে। চরিত্রের দিনরাতের তুচ্ছতার মধ্যে খুঁজে নিতে চান ইশ্বরের মহিমময় স্পর্শ।
    ফেলিনির ভাবনা সেখানে নতুন সময়ের নতুন সমাজ নিয়ে। ইটালীর পরিবর্তন নিয়ে। আর সিনেমার নতুন ভাষায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে। দর্শকের সাথে যোগাযোগ করতে চাওয়ার। ফর্ম সেখানে কনটেন্টকেও ছাপিয়ে যায়।

    তার্কভস্কির কাছে জীবন এক আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের পথ। আর শিল্প যদি সেই আধ্যাত্মিক উত্তরণে সাহায্য না করে, তাহলে তা ব্যার্থ। শৈল্পিক চাতুরি কে তীব্র অস্বীকার করে তার্কভস্কির সিনেমা শুধুমাত্র সত্যদর্শন এর শাঁসটুকু নিয়ে বিস্তীর্ণ মাঠে ঢেউ খেলিয়ে যাওয়া হাওয়ার মতো বয়ে যায়।
    সে হাওয়া মুগ্‌ধ করে, ঝিম ধরায়, কিন্তু আমি যে স্পিরিচুয়াল নই, আমি যে প্রোটেস্টান্ট বাপের হাতে মার খাইনি, আমিও কি অনুভব করতে পারবো কি বার্তা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে এইসব অসাধারন দৃশ্যগুলো?
    এরা কি হয়ে উঠেছে দেশজয়ী, কালজয়ী সৃষ্টি? আমাদের কতোটা দায়িত্ব থাকে এদের অনুধাবনের কাজে?
    মেঘে ঢাকা তারা আর Through a glass darkly কি একই অভিঘাত ফেলতে পারে আমাদের মনে?

    এবার বাকীরা বলুন....
  • a x | 4.159.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ০৮:৫৪392839
  • `', অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল এই নিয়ে, কিন্তু সময়ের কিঞ্চিৎ টানানাটানি চলছে, তাই অল্প করেই বলি আমার কি মনে হয়। বার্গম্যান ঈশ্বরবিশ্বাসী কিনা, কিম্বা তার সেই বিশ্বাসের সাথে আমি কতটা একাত্ম বোধ করি তার থেকেও বেশি টানে এই বোধটি, যেটা না পাওয়া থেকে উঠে আসে - এই ক্ষেত্রে ঈশ্বর কে খুঁজে না পাওয়া, ঈশ্বরের নীরবতা, এবং এই খোঁজার পুরো futilityটা। এই না পাওয়ার থেকে যে অসহায়তার ছবিটা তিনি আঁকেন সেটাই আমাকে আকর্ষণ করে। এখানে আমি নাস্তিক কি আস্তিক তাতে আর কিছু যায় আসেনা। কিন্তু শুধু এইটাই তো তার সিনেমাকে ছেয়ে থাকে না, অনেক অব্যক্ত বোধ, ভাবনা যেগুলো সচরাচর আমরা নিজেরা এড়িয়ে যাই, সেগুলোর মুখোমুখি এনে দাঁড় করান তিনি। বার বার ক্লোজ-আপ ব্যবহার বোধহয় এই তথাকথিত "existential crisis" এর সামনে দাঁড় করবার জন্যই। আর প্রোটেস্টান্ট বাপের কথাটা তুলে খুব ভালো করলেন। খুব ইন্টেরেস্টিং লাগে এই দিকটা আমার। দুটি মাত্র বই পড়েছি বার্গম্যানের লেখা - "ম্যাজিক ল্যানটার্ন" আর "সানডে'স চিলড্রেন", যাতে অপূর্ব ভাবে বাবার সাথে বার্গম্যানের সম্পর্কের কথা জানানো আছে। শেষেরটির বোধহয় বার্গম্যানের ছেলে সিনেমাও বানিয়েছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন