আচ্ছা কেউ সেই কবিতাটি তুলে দেবেন সেই যে দুইটা ভূত গল্প করছিলো। তো তাদের একজন মানুষকে ভয় পায় জেনে অন্যজন বললো মানুষ দেখেছ কখনও? অন্যজন তখন স্বীকার করলো যে সে কোনোদিন মানুষ দেখেনি।
গুরুতেই দিয়েছিলো কেউ। স্যান মনে হয়, প্রিয় কবিতায়। কিন্তু এখন খুঁজে পাচ্ছিনা। পুরো ইনফো না দিলে গুগলেও সাহায্য করবে না।
ধন্যবাদ।
দুইটা ভুতের গল্প
পুরানো নদীর ধারে, শ্যাওড়া গাছের ডালে
ওরা দুই ভুত বসে আছে।
হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ, ল্যাজে ল্যাজ
আহা কি অপরূপ দৃশ্য!
এক জন অপর জনকে জিগায়, হে সখী,
কানাঘোষোয় শুনি, হাওয়ার মধ্যে ফিসফিসানি,
তুমি নাকি মানুষকে ভয় পাও? তা কি সত্যি?
অন্যজন বলে, প্রিয়তম মোর,
অমাবস্যার রাত, অন্ধকার অতি ঘোর।
তাও আমি বসে আছি তোমার পাশে, একটুও ভয় পাইনিকো।
আর কি প্রমান চাই?
অতি চমৎকার কবিতা, হে কবি ডিসেন্দ্র!
তবে কিনা তারাপদ রায়ের লেখা নয়, এইটুকুই।
পেয়েছি কবিতাটা। ভূত ও মানুষ। কিন্তু সেই পাতাগুলো থেকে কপি করতে দিচ্ছেনা। সুযোগ পেলে টুকে রেখে যাবো। ডিসিকে আবারো ধন্যবাদ।
বলতে ভুলে গেছি, ওপরের লেখাটা আমার।
সরি আর :|: কে ধন্যবাদ।
এই যে :|: মহাশয়, এখানে তুলে দিলাম।
"
ভূত ও মানুষ
-তারাপদ রায়
জনৈক ভূত দ্বিতীয় ভূতকে জিজ্ঞাসা করল,
‘আচ্ছা, তুমি মানুষ বিশ্বাস করো,
তুমি মানো যে মানুষ আছে?’
দ্বিতীয় ভূত একটু ভীরু প্রকৃতির,
প্রশ্নটা শোনামাত্র সে শিউরে উঠল,
এদিক-ওদিক দেখে তারপর বলল,
‘এই ভর সন্ধ্যাবেলা এসব কি কথা!’
প্রথম ভূত এবার বলল,
‘তাহলে তুমি মানুষ মানো, মানুষ ভয় করো,
বিশ্বাস করো মানুষ আছে ।’
দ্বিতীয় ভূত কবুল করল,
বিশ্বাস না করে উপায় কি ?
এই তো আজকেই দলে দলে মানুষ
মিছিল করে ময়দানে এলো, সভা করল,
দৈনিক লাখ লাখ মানুষ রাস্তাঘাটে, হাটেবাজারে,
ঘুরছে-ফিরছে, কাজ করছে, কাজ খুঁজছে,
হাসছে- কাঁদছে, ভালবাসছে, ঝগড়া করছে-------
দ্বিতীয় ভূতকে থামিয়ে দিয়ে,
তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে
প্রথম ভূত সরাসরি প্রশ্ন করল,
‘কিন্তু কিভাবে বুঝলে যে ওরা মানুষ ?
ওদের বুকের মধ্যে তলিয়ে দেখেছ,
ওদের ভিতরে মানুষের মন আছে কি না,
মানুষের আত্মা, মানুষের বিবেক আছে কিনা?’
দ্বিতীয় ভূত সতর্কভাবে বলল,
‘তত কাছে যাইনি,
অতটা সাহস হয়নি।’
প্রথম ভূত অবশেষে মোক্ষম কথা বলল,
‘তা হলে পুরোটা না জেনে,
এরপর আর কখনও বলতে যাবেনা,
মানুষ আছে, মানুষ দেখেছি।’
তারাপদ রায়ের কোনো জবাব নেই। এইরকম কবিতা আর কেউ লিখতে পারেন নি।
ধন্যবাদ এবং-অথবা। যখনই চারপাশে তাকাই এই ছত্রদুটি মনে পড়ে যায় -- ভালো মন্দ দুই সময়েই।
‘আচ্ছা, তুমি মানুষ বিশ্বাস করো,
তুমি মানো যে মানুষ আছে?’
"
ওদের বুকের মধ্যে তলিয়ে দেখেছ,
ওদের ভিতরে মানুষের মন আছে কি না,
মানুষের আত্মা, মানুষের বিবেক আছে কিনা?
"
:|:, একটা গল্প আছে জানেন? ঘন অন্ধকার রাত্রে গাড়িতে করে কয়েকজন আসছিলেন। পথে একজন উঠলেন। তারপরে তাঁরা গন্তব্যে এসে পৌঁছলেন, সেখানে একটা বাড়ি, সামনে আলো। এই আলোতে এসে এক ভদ্রলোকের আনন্দে নৃত্য, "পড়েছে পড়েছে, ছায়া তো পড়েছে।" নতুন যিনি উঠেছিলেন, তাঁর ছায়া পড়েছে। তার মানে তিনি ভূত নন। সেই ভদ্রলোক হেসে বললেন, সত্যিই আপনি আমাকে ভূত ভেবেছিলেন নাকি? নৃত্যরত ভদ্রলোক, "বলা যায় না ভাই, কিছুই বলা যায় না। আজকাল কে যে ভূত, কে যে মানুষ" (পুরো আক্ষরিক হল না, তবে গল্পে মোটামুটি এইরকমই একটা ব্যাপার ছিল )