এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নাসা, এক বালিকা আর আমজনতার বোকা বনার গল্প

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ৩০ আগস্ট ২০১৯ | ৩১৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ৩০ আগস্ট ২০১৯ ২২:০১388621
  • কিছুদিন আগে আমাদের এক বন্ধু একটা প্রাইজ পেল - খুব খুশী হয়ে সে এক লাইনের একটা ক্যাপসন দিয়ে প্রাইজ পাওয়ার ছবি শেয়ার করল। খুবই আনন্দের কথা! বন্ধুরা সবাই অভিনন্দনের বন্যা বইয়ে দিল। কিন্তু কি আশ্চর্য কথা , কেউ জানতে চাইল না প্রাইজটা সে কেন পেল!

    পুরুলিয়ার কিশোরী অভিনন্দা ঘোষের কপালটা আরো মন্দ। সে প্রাইজটা কেন পেল তা জানা, কিন্তু প্রাইজটা কি পেল সেটা নিয়েই ধোঁয়াশা! আবাপর খবরে (https://www.anandabazar.com/…/purulia-student-got-a-call-fr…) দেখছি হেডিং এ "নাসা’ যাওয়ার ডাক পেল পুরুলিয়ার কিশোরী" লেখা থাকলেও ভিতরে পরিস্কার লেখা শিক্ষামূলক ভ্রমণে যাওয়ার কথা বলা আছে. কিন্তু as usual আমাদের যেমন কেউ প্রাইজ পেলে কেন পেল তা জানার গরজ নেই, তেমনি আমরা হেডিং দেখেই নাচি, ভিতরের খবর পড়ি না।

    একটা কথা পরিষ্কার হওয়া দরকার। একটি কিশোরী সে একটি পরীক্ষায় নিজের কৃতিত্ব দেখিয়েছে, ফলে একটি প্রাইজ পেয়েছে। তার মেধার জোরেই পেয়েছে - নাথিং লেস, নাথিং মোর।

    ব্যস সেটা সেখানেই থেমে যেতে পারত। সে খবরকে যবে থেকে আমরা স্কুলের আর বাড়ির পরিমন্ডলের বাইরে মিডিয়া এবং সোস্যাল মিডিয়ায় আনতে শুরু করেছি সেদিন থেকেই আমরা বাণিজ্যিকিকরণ শুরু করেছি। নাকি শুরুটা অনেক আগেই? স্কুলে যারা ভালো রেজাল্ট করে তারাই শুধু ভালো, তারা স্কুল থেকে বেরোলে মাদের হুমড়ি খেয়ে পড়া তারা কি পড়ছে, কোন বই রেফার করছে এ তো আমাদের শৈশবেও অল্প ছিল। পরে আনন্দমেলা সেই বাজার ধরতে আনল মাসিক ডোজ - অমুক স্কুলের "ফার্স্ট বয় / গার্ল কেমন করে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে "। সেও কিন্তু আশির দশকের গোড়াতেই। বোকা বনার শুরু সেদিনই!

    সেই সেদিনের মিনি-কম্পিটিসন আজ ফুলে ফেঁপে মেগারূপ নিয়েছে- শিক্ষা আজ সবথেকে বড় ব্যবসা- আমরা গার্জেনরাই সেটা তোল্লাই দিয়ে তৈরী করেছি। আমাদের সন্তানের শিক্ষাবাবদ চাহিদা পাড়ার স্কুলে মেটে নি, কারোর মিডিয়ামে সমস্যা তো কারোর ইনফ্রাস্ট্রাকচারে সমস্যা তো কারোর পরিবেশে সমস্যা বা কারোর পড়াশোনার মানে সমস্যা। ফলে আমরা অর্থমূল্যে খরিদ করতে চেয়েছি নিজের চাওয়া।

    এরপর ক্লাস টু থ্রি থেকে তাদের পাঠিয়েছি বিভিন্ন "অলিম্পিয়াড" এ, জানতাম নিশ্চয় যে এগুলো সেই সরকারী অলিম্পিয়াড নয়. তবু পাঠিয়েছি। কখনো প্রাইজ পেলে কি খুশী হয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্টিয়েছি! দ্যাখো আমার মেয়ে বা ছেলে সবার সেরা! আর এই সব বেসরকারী সংস্থাগুলোও দেখেছে এই হল অভিভাবকদের এনগেজ করে রাখার শ্রেষ্ঠ উপায় - ফলে তারা দরাজ হাতে মেডেল বিলিয়েছে , স্কুল স্তরে, জেলা স্তরে, রাজ্য স্তরে , দেশ স্তরে, আন্তর্জাতিক স্তরে! আমাদের ছেলেপুলেরা পেয়েছে আর আমরা গর্বে ফেটে পড়েছি। আমার সন্তানটি সাঁরে জাঁহা সে আচ্ছা! সে জাঁহার ডেফিনিসন যাই হোক না কেন।

    আজকে হঠাৎ সিলভার জোনের বাণিজ্য নিয়ে পড়লে হবে কেন? বোকা আমরা নিজেরা হই, অন্য কেউ করতে পারে না! একটি বাচ্চাকে নাসা থেকে ডাক দিয়েছে শুনেই হাততালিতে ফেটে পড়ি, কেন সেটা জানতে চাই না! বিশেষত জানি যেখানে সে বাচ্চাটি কোন গ্রাউন্ডব্রেকিং গবেষণা করে নি বা কোন যুগান্তকারী পেপার পাবলিশ করে নি। আমরা যদি ভেবে নিয়ে থাকি যে তাকে নিয়ে গিয়ে নাসার রিসার্চ উইংএ ঢোকানো হবে , তাহলে সে ভাবনার দীনতার দায় কার?

    নিজেরা প্রথমে বোকা বনে তারপর এখন "আসল খবর" জেনে যারা রাগে ফুঁসছেন, তাদের বলি যে মেয়েটির মেধার জোরটা কিন্তু তথাকথিত 'নাসা'র ডাক পেয়েও যা ছিল, আজও তাই আছে। অনেক কটু কাটব্য চলছে মেয়েটির পরিবারকে নিয়ে এবং তার মেধাকে নিয়ে। কিন্তু অতজন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রতিযোগিতায় সফলতার কৃতিত্ব তাতে কমে না। এমন নয় যে যারা যারা পরীক্ষায় বসেছে , সবাই এই প্রাইজ পেয়েছে। আর হ্যাঁ নাসায় দেখতে যাওয়ার অনুমতি পাওয়াটা কোন হাতি ঘোড়া ব্যাপার না হলেও এখান(ভারত) থেকে আমেরিকা নিয়ে গিয়ে কজন বাবা মা তাদের সন্তানকে নাসা ট্রিপে নিয়ে যাবেন? আমার জানাশোনার মধ্যে কোন বাবা মা করেছেন বলে তো জানি না! আর সে মেয়ে মহাকাশবিজ্ঞানে আগ্রহী, তার কাছে তো এটা ড্রিম ট্রিপ - তার সেটা অর্জন করার কৃতিত্বকে খাটো করবেন না প্লীজ। আমাদের বুড়োদের তীব্র সমালোচনা কিশোরীটিকে কতখানি হতোদ্যম করতে পারে সেটা আন্দাজ করুন প্রথমে।

    হঠাৎ একদল মানুষ যেভাবে এই খবরটাকে ভুয়ো প্রমাণে ব্যস্ত হয়েছেন, তাতে কেমন সন্দেহ হচ্ছে যে সিলভার জোনের ইস্টার্ণ জোনে ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত কি অন্য প্রতিদ্বন্দ্ধী কারোর চক্ষূশূল হয়েছিল? আমার যতদূর মনে পড়ছে গত বছরও উত্তর বঙ্গের(?) একজনের সিলভার জোনের অলিম্পিয়াডে সাফল্যের খবর কাগজে এসেছিল। অন্য বেসরকারী অলিম্পিয়াড কোম্পানীগুলোর খবর এখানে ততটা দেখি না. অর্থাৎ এরা বাজারে অ্যাগ্রেসিভ প্লেয়ার! সেটাই কি আপত্তির কারণ? তা নাহলে পাড়ার কিডজির নার্সারী স্কুল থেকে সিলভার জোন, এডুকেসনাল ইনিটিয়েটিভ, এসওএফ থেকে ফিটজি, আকাশ, পাথফাইন্ডার , রাইস সবাই এই একই ব্যবসা করছে, এখন তো মায় নেট গেটের ও প্রিপারেসনের কোচিং হয় - কেউই তো ঠিক খয়রাতি করতে বসে নি।

    আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বাণিজ্যিক পরীক্ষাগুলোর সমর্থক। আমার মনে হয় যে কোন ক্লাসে একটি ছাত্রের ক্ষিদে তার সিলেবাসে নাই মিটতে পারে। আমাদের দেশজ শিক্ষায় এমন কোন সিস্টেম নেই যাতে সে ইতিহাসে ক্লাস ফাইভের সিলেবাস পড়লে অঙ্কে ক্লাস এইটের সিলেবাস পড়তে পারে। শান্তিনিকেতনের সে প্রথা আমরা চালাতে দিই নি। ফলে ছাত্র বোর হয়ে যায়। সব অভিভাবকের সেই কেপেবিলিটি থাকে না তাকে অতিরিক্ত গাইডেন্সটা দেওয়ার। সেখানে এগুলো মন্দের ভাল। এর প্রশ্নপত্র সল্ভ করতে গেলে অনেক এডভ্যান্সড টপিক আসে যেগুলো বাচ্চাদের আরো শিখতে সাহায্য করে। এই শেখাটা আমার কাছে জরুরী - পরীক্ষাটা বা রেজাল্টটা নয়। রেগুলার সিলেবাস এই চাহিদাটা মেটাতে পারলে ভালো হত, পারে না - ফলে আমি অর্থমূল্যে সেটা কিনতে পেলে কিনব। আর আমি যেহেতু স্বেচ্ছায় করছি এটা, তাই বোকা বনার প্রশ্নই নেই.

    বোকা না বনতে চাইলে বরং প্রতিরোধ করুন. স্কুল গুলো যখন বাধ্যতামূলক ভাবে এই সব অতিরিক্ত বই কিনতে বলছে, তখন প্রতিবাদ করুন। বা কিনতে বাধ্য হলেও আপনার সন্তানের যদি সেটা না নেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাহলে বইগুলো কিনে এনে শিকেয় তুলে রাখুন. বাচ্চাকে পড়তে জোর করবেন না। আর পরীক্ষার দিন বাচ্চাকে নিয়ে নিরুদ্দেশে বেড়াতে চলে যান. যদি কোন সাবজেক্টের প্রশ্নের ধাঁচ পছন্দ না হয় ( আমার যেমন sof এর সাইবার ওলিম্পিয়াডের প্রশ্ন দেখে ইম্মেটেরিয়াল এন্ড ইরিভ্যালেন্ট লেগেছিল ), সেটাতে সন্তানকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বসতে না করুন। না, বাড়ির দশ কিলোমিটার দূরের স্কুল ছাড়িয়ে পাড়ার সরকারী বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করতে বলি নি, জানি যতই শিক্ষায় বাণিজ্যিকিকরণের বিরুদ্ধে বলুন না কেন আপনি অতটা বোকা নন.

    সে যতই মিডিয়ার খবরের হেডিং দেখেই বিশ্বাস করে ফেলুন না কেন!
  • | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৪২388632
  • কি কান্ড! কিছুই জানতাম না। গুগল করে করে ধরতাই পেলাম।
  • S | ***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০৬388636
  • আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং এই সিলেবাসের বাইরের অতিরিক্ত অন্ক কষার ন্যাকামো নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে। আর এইসব ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলো তো পড়াশুনার দফারফা করছে।

    যাই হোক। আগে ইউপি-বিহারে এই ব্যাপারটা খুব চলতো। ভালো ছেলেপিলেদের একটা পরীক্ষায় বসতে বলতো, আর তারপরে নাসার লোগো ওয়ালা একটা চিঠি আসতো। লোকাল সংবাদ মাধ্যম সেই নিয়ে কয়েকদিন তোলপাড়, পরে জানা যেত এইসবই ভুয়ো। এখন সেই একই মডেল পবে এসেছে। স্বদেশ সিনেমার পর থেকে নাসা নিয়ে ন্যাকামোটা বেড়েছে। নাসার সায়েন্টিস্ট-ইন্জিনিয়াররা যে তেমন খুব বেশি মাইনে পত্তর পায়্না, সেটা বোধয় লোকজন এখনও জানেনা।
  • | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৪৮388637
  • হ্যাঁ নাসা নিয়ে প্রভূত আদেখলামো আছে লোকের। আমি নব্বই দশকের শেষদিকে এক কম্পু ট্রেনিং ইন্স্টিতে চাকরি করতাম, সেখানে একজন এলেন শোনা গেল তিনি নাসা-ফেরত। সে কি সম্মান তাঁর বাপস! এদিকে চালে চলনে সে ব্যক্তি প্রচন্ড অথরিটোরিয়ান টাইপের। কিন্তু সিইও থেকে শুরু করে সবাই গদগদ - আহা নাসা-ফেরত।
    অনেক পরে জেনেছিলাম তিনি নাসাতে কিছু অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পজিশানে ছিলেন। তো তাই নিয়ে অত গদগদ হবার কি আছে বুঝি নি।

    (এই স্বাতী বোধহয় তাঁকে চিনলেও চিনতে পারে, মানে কলকাতার সার্কিটটা তো ছোট)
  • r2h | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৫৯388638
  • এই করে ছেলেমেয়েগুলোর বিড়ম্বনা।
    ক'দিন আগেও কী একটা বেরিয়েছিল, ইওরোপ আর আমেরিকার দুটো ইউনিতে নাকি একসঙ্গে ভর্তি হওয়ার ডাক পেয়েছে, তারপর বেরুলো ভুয়ো।
    খবরের কাগজগুলোও আশ্চর্য দায়িত্ত্বজ্ঞানহীন।
  • স্বাতী রায় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩১388639
  • @দ ইনি কিনি? তবে আমরা বাপু বিদেশ থেকে জাস্ট ইম্মিডিয়েট বস আসলেও আহ্লাদে গলে যাই - পারলে টয়লেট সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দিই ...

    @r2h বিড়ম্বনা বাবা-মা, স্কুল তৈরি করে। আমার মতে। যে যা করে করুক, আমার সন্তানের স্ট্রেংথ- উইকনেস বুঝে আমাকে তাকে গাইড করতে হবে, সেই টুকুই। সে যতটা নিতে পারে, তার বাইরে তাকে চাপই বা দেব কেন? আবার সে যেটা আরও বেশি নিতে পারে, তাকে সেখানে সেই খাদ্য- ই বা দেব না কেন? সবাইকে এক কিসিমের ধরে এক ছাঁচে ফেলতে চাওয়া-টাই চাপ।

    @S "আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং এই সিলেবাসের বাইরের অতিরিক্ত অন্ক কষার ন্যাকামো নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে।" - বলুন না, শুনি একটু। তবে অনুরোধ করব শুধু অতিরিক্ত অন্ক কষার ন্যাকামো না অতিরিক্ত ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য পড়ার ন্যাকামো নিয়েও কথা হোক।

    অবশ্য শুধু সিলেবাসের বাইরে আর কিছু পড়াশোনা না করলে একদিক থেকে ভালো। জীবনে কোন প্রশ্ন তৈরি হবে না। অনেক ছোটবেলায় ছেলে একদিন বাংলা পড়ছে, শুনি বলছে যে বিনয় ঢাকায় লেম্যান কে গুলি করেন। বই নিয়ে দেখি বইতেও লেম্যান লেখা। আমি বোঝালাম ওটা ভুল, ওটা লোম্যান হবে। কিছু রেফারেন্স দেখালাম। বললাম স্কুলে গিয়ে ম্যামকে বলবি বই তে ভুল আছে। পরের দিন স্কুল থেকে ফিরে ছেলে আমাকে বলেছিল, তোমাকে এত গল্পের বই পড়তে কে বলে? একটু কম কম বই পড়লে এই সব ঠিক ভুল নিয়ে মাথা ঘামাতে না! পরে শুনলাম ম্যাম বলেছেন ঠিক হোক, ভুল হোক বইতে যা লেখা আছে, তাই পড়তে হবে। সিলেবাস হি জীবনম।

    শুধু নাসা কেন, আরও অনেক ইন্সটিটিউট নিয়েই আমাদের আদেখলেপনা আছে। তবে ওই দ'র বলা বাল্যান্ট অতিভক্তি টাইপের ব্যাপারটা বাদ দিলে, আমার মনে হয় একটু থাকা ভালো। না হলে বাচ্চাদের জীবনে স্বপ্ন বলে কিচ্ছু থাকবে না। আর সব স্বপ্নকে কি আর মাইনে দিয়ে মাপা যায়? তাহলে তো পৃথিবীতে সব শিক্ষাবিদরাই বা ছোটখাট গবেষকরাই পড়ান/ গবেষণা ছেড়ে কম্মার্সিয়াল লাইনে চলে যেতেন।
  • S | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:১০388640
  • স্বপ্ন শুধুই নাসা নিয়ে? ইসরো নিয়ে নেই কেন? এই ধরনের ফ্রড ইসরো বা ডিআরডিও নিয়ে হয়্না কেন? কেন নাসা? নাসার স্বপ্নের সাথে গবেষণার ইচ্ছের প্রায় কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের দেশে ছেলেপিলেরা সায়েন্স/ইন্জিনিয়ারিং পড়তে যায় কেন? বড় সায়েন্টিস্ট/ইন্জিনিয়ার হওয়ার জন্য? নাকি বাবামায়েদের চাপে? নাকি পাড়ার/চেনাশুনার বাকি ভালো ছেলেপিলেরা সেই লাইনেই গেছে বলে। দেশের বেশিরভাগ ইন্জিনিয়ার অন্য ফিল্ডে ট্রেইন্ড হয়ে শেষে কম্পিউটার কোডিং করতে যায়, কেন? কারণ ঐটাই মোক্ষলাভের (পড়ুন আম্রিগা যাওয়ার) সবথেকে সহজ উপায়। আমাদের দেশে লোকজনের স্বপ্ন? ছেলে আমার প্রচুর মাইনে পাবে আর প্রচুর দহেজ নিয়ে তার বিয়ে দেবো। গরীব দেশের লোক হয়ে সেটা ঠিকই আছে। কিন্তু তার সাথে পড়াশুনার কোনও সম্পর্ক নেই। খুব স্পষ্ট করে লিখলাম, কিছু মাইন্ড করবেন না প্লিজ।

    কতজন ভালো ছেলেকে সাহিত্য, ইতিহাস, আইন, অ্যাকাউন্টেন্সি নিয়ে পড়তে দেখেন? কিছু লোকজন হয়তো এখনও ইকনমিক্স পড়ে। নইলে ক্লাসের প্রথম ১০ জন ছেলের একটাও সোশাল সায়েন্সে যায়্না। কেউ জার্নালিস্ট হয়্না। সেই ঘুরে ফিরে জয়েন্ট, জিয়ারি, গেট। বাবার পয়সা থাকলে ক্যাট, আরো পয়্সা থাকলে জিম্যাট। কেন? ওসব ভুলে যান। কজন পিওর ম্যাথ পড়তে যায়?
  • S | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:১৯388641
  • আর অতিরিক্ত অন্ক কষে কি লাভ হয়? একটু জানাবেন। যে ছেলে সিলেবাসের অন্কই ঠিক করে করতে পারছেনা (নইলে তো ১০০% মার্ক্স পেতো), তাকে কেসিনাগের অন্ক করিয়ে কি লাভ হচ্ছে?

    "তবে অনুরোধ করব শুধু অতিরিক্ত অন্ক কষার ন্যাকামো না অতিরিক্ত ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য পড়ার ন্যাকামো নিয়েও কথা হোক। অবশ্য শুধু সিলেবাসের বাইরে আর কিছু পড়াশোনা না করলে একদিক থেকে ভালো। জীবনে কোন প্রশ্ন তৈরি হবে না।"
    এগুলো আপনার কথা।

    আর সবাই সিলেবাসের বাইরের এত্তো এত্তো বই পড়েও তারপরে জীবনে যে কোনও প্রশ্ন তৈরে হলনা, সে তো সব দেশেই দেখা গেছে। জার্মানির পার ক্যাপিটা বই কন্সাম্পশান ছিলো সবথেকে বেশি, তারপরেও সেখানেই হিটলার ক্ষমতায় আসে। ট্রাম্প, মোদি - সবই তো প্রচুর বই পড়া সোসাইটিরই অবদান। অতেব বই না পড়লে জীবনে কোনও প্রশ্ন তৈরী হয়্না, এটা এলিটিস্ট চিন্তাভাবনা। আর বই পড়লেই মনে অনেক প্রশ্ন ভীড় করে আসে - এটা ভুল ধারনা।
  • ~ | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:১২388642
  • S বর্তমান সিলেবাসকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন একটু জানাক। এই সিলেবাস কারা কীভাবে তৈরি করেছে যদি আমরা জানি। (মানে কে সি নাগ, অমিতাভ গুপ্ত থেকে ধরা যাক ভঞ্জ-গাঙ্গুলী যে সিলেবাসের বাইরে)
    ১০০% মার্ক্স শুধু সিলেবাসের অঙ্ক ঠিক করে করার উপর নির্ভর করে কি? সিলি মিসটেক থেকে স্লো স্পিড, পরীক্ষার দিনের স্পেসিফিক পারফর্ম্যান্স ইত্যাদি বাদে। মানে কনসেপ্টের গুরুদেব জনতাদেরকে চিরকাল দেখে এলাম ১০০% না পেয়েও নমস্য রয়ে গেল গোটা স্কুল কলেজ ইউনি জুড়ে। সিলেবাসের বাইরের বই না পড়ার মানসিকতাও তাদের দেখিনি কখনো। বরং একটা-দুটো লেখকের বই পড়ে চিকীর্ষা মিটত না একেবারেই এমনটাই অবজারভেশন।
  • স্বাতী রায় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৪৫388622
  • আমার দেখা দুনিয়ায় কিন্তু TIFR, ISRO, IISC, DRDO নিয়েও প্রচুর স্বপ্ন দেখেছি। ISRO বাদ দিয়ে আর সব কটি জায়গায় আমাদের পরের প্রজন্মের কিছু বাচ্চা ঢুকেছে বলেও জানি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে। আবার নিজস্ব বিষয়ে গবেষণার সুবিধার জন্য আমেরিকার অফার ছেড়ে ইঊরোপ বা এশিয়ার দেশেও যেতে দেখেছি লোকজনকে। তবে হ্যাঁ ব্যাপারটা নিশ্চয় নিজস্ব মেটেরিয়াল আর আরও কিছু ফ্যাক্টরের উপরও কিছুটা নির্ভর করে। ... আর এটা বলার অর্থ এই নয় যে আপনি যেমনটা বলেছেন তেমনটা আমি দেখে নি। অবশ্যই দেখেছি। অনেককেই দেখেছি। তাদের অনেকেরই ধারণাই নেই তারা আদৌ কেন পড়াশোনা করেছে। আবার এমন ছেলেকেও জানি যে ইঞ্জিনীয়ারিং পাস করে একটা ছোট কম্পানীতে কাজ করতে করতে ছেড়ে দিল কারণ সে প্রাইমারী স্কুলের টিচার হিসেবে আপয়েন্টমেন্ট পেয়েছে - তাকে বাড়ি থেকে বলেছে সরকারী চাকরী ছাড়া উচিত নয়। সে কিন্তু শিক্ষকতা ভালোবেসে ছাড়ে নি। এই সবগুলো নিয়েই জীবন।

    এখন তো জয়েন্ট দিয়েই IISER গুলোতে ভর্তি হতে হয়। সেখানে সিট ফাঁকা পড়ে থাকে বলে শুনি নি। বেশ কিছু পরিচিত বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। চেন্নাই ম্যাথেমেটিক্যাল ইন্সটিটিউটেও চান্স পেলে বর্তে যাবে এমন কিছু জনকে চিনি। CLAT পরীক্ষা দেওয়ার ক্রেজও দেখি। ইংরাজী আর আকাউন্টেন্সিরও বাজার দেখি প্রচুর। বরং মজার কথা দেখি আমার সন্তানদের স্কুলে সায়েন্স পড়া বাচ্চাই সংখ্যায় তুলনায় কম।

    পার ক্যাপিটা বই পড়া শুধু দেখলে হবে না, বই- এর ধরণটাও অবশ্যই বিবেচ্য। তবে মনে হয় জার্মানির পার ক্যাপিটা বই পড়া বেশি ছিল বলেই, জার্মানীকে হিটলার কখনো বিরোধী- শূণ্য করতে পারেন নি।

    আমাদের ব্যাচে একটি ছেলে ছিল - অঙ্কে দারুণ মাথা। হায়ার সেকেন্ডারী পরীক্ষায় আমাদের বছরে কোন একটা পেপার-এ অঙ্কে ভুল ছিল। আমরা সবাই অর্ধেক করে সেসব অঙ্ক ছেড়ে দিলাম। ও অঙ্ক কেন মিলবে না বলে চেষ্টাই করে গেল আর বাকী অঙ্ক সব শেষ করতে পারল না। রেজাল্ট বেরোলে দেখা গেল আমরা যেখানে গাদা গাদা নম্বর পেয়েছি, ও প্রায় তার ৩০% কম পেয়েছে। আজ বত্রিশ বছর আমি সেই বন্ধুকে দেখি নি, তবু আজও জানি ও আমাদের অনেকের থেকে অনেক বড় পন্ডিত ছিল। নম্বর দিয়ে কিছুটা বিচার হলেও পুরোটা হয় না বোধহয়।
  • স্বাতী রায় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৫২388623
  • আর এখন আই সি এস ই বোর্ড বা সিবিএসই বোর্ডে লোকে ১০০% তো পায় ই , আর ক'দিন পরে ১২০% পেলেও আশ্চর্য হব না!
  • S | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:১৮388624
  • অন্কে দারুন মাথা কিন্তু একটা পরীক্ষায় খারাপ করলো - এগুলো সব এক্সেপশনাল কেস। এখনও দুনিয়ার প্রায় সর্বত্রই পরীক্ষার নাম্বারের বিশাল গুরুত্ব। তার নিস্চই কিছু কারণ আছে। পরীক্ষার নাম্বার আর মেধার কোরিলেশান এখনও বেশ ভালই রয়ে গেছে। ব্যক্তিগত এক্সপিও তাই বলছে।
  • S | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩২388625
  • স্কুল লেভেলের কথা জানি। বাম আমলে দেখেছি (এখনও একই রকম হবে বলেই মনে হয়) অন্কের সিলেবাস পাল্টানোর জন্য লোকজন প্রচুর কাজকর্ম করেছিলো। ইউনির অধ্যাপক, কলেজের অধ্যক্ষ, স্কুলের মাস্টারমশাইদের মিলিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে বড় অধ্যাপকদের গাইডেন্স, সকলের মতামত, মাস্টারমশাইদের খাটনির ফলে নতুন সিলেবাস তৈরী হয়। প্রচুর রিভিউর পরে এক্সেপ্ট হয়। সেই অনুযায়ী পর্ষদের নতুন বই লেখা হয় এবং নির্দেশিকা তৈরী হয়। তারপরে জেলায় জেলায়, অন্চলে অন্চলে মাস্টারমশাইদের ডেকে তাদেরকে এই পরিবর্তনের র‌্যাশনাল বোঝানো হয়, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়, এবং ট্রেনিং দেওয়া হয়। এইটুকুই জানি।

    আমার তো উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা, ইংরেজির সিলেবাস দারুন লেগেছিলো। ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট সিলেবাই। ঐসব পড়ার পরেও যদি কারোর সাহিত্য নিয়ে পড়তে ইচ্ছে না হয়, তাহলে পড়াও উচিত নয়।

    নিজে থেকে চারটে বেশি বই পড়া ঠিক আছে। কিন্তু সব সুখ (খেলা, আড্ডা, সিনেমা, আরো কত কি) জলান্জলি দিয়ে বাকিদের দেখে, বাবামায়ের চাপে একগাদা বেশি পড়াশুনা করে কি যে হয় এখনও বুঝিনি।
  • স্বাতী রায় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:০৬388626
  • আরে S, আমি আর আপনি তো তাহলে এক কথাই বলছি - বাবা মা খামোকা যেন এমন কাজ না করেন যাতে ছেলে মেয়েকে সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে বই মুখস্থ করতে না হয়! পড়াটা ভালোবেসে স্বেচ্ছায় যতটুকু নিতে পারে ততটাই তাকে নিতে দেওয়া হোক।

    বাবা মা যেন ঝাঁকের কৈ হয়ে ওর ছেলে অঙ্কে কি বাংলায় ভালো তাই তোকেও হতে হবে বলে জীবন অতিষ্ঠ করে দিল, এদিকে ছেলে ইতিহাস ভালোবাসে, অঙ্ক করতে ভয় পায় - এটা বন্ধ হোক।
  • Ekak | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৩৩388627
  • ১) বাচ্চারা আদৌ কি এইমুহুর্তে ভালোবাসে তা বোঝার মত কোন প্রামান্য সিস্টেম আছে?

    ২) বাচ্চারা যা আজ " ভালোবাসে" টা কালকেও ভালোবাসবে তার কোন নিশ্চয়তা আছে ? বড় হয়ে যদি উল্টে দোষ দেয় ?

    ৩) ভালোবাসা ও ভয় পাওআকে আমরা যেভাবে বাইনরি হিসেবে খাড়া করি এর ভিত্তি কী ?

    ধরা যাক বাচ্চা ফুটবল খেলতে কোট আনকোট ভালোবাসে। আমি তাকে কিছু চুড়ান্ত মার্কুটে সিনিঅরের সঙ্গে নাবিয়ে দিলুম। মার্ধোর বুলিইঙ্গ এর শিকার হলো। ফুটবল ভলোবস ছুটে গেলো !!

    সেম থিঙ্গ হ্যাপেন্স যখন কেও বচ্চাকে অন্কে ইমপ্রপার্লি গাইড করে বা জাস্ট বাই চান্স বচ্চা একবার টেস্ট এ খারাপ করে ,তার্পর সাইকল চল্তেই থাকে।

    তো , এই যে সাধের লাউ টা আম্রা ডুগডুগি বানিয়ে বাজাতে আজকাল ভালবাসি , বাচ্চার পছন্দ বলে, আপ্নাদের কি মনে হয়না, দিস ইজ মোস্টলি , আউআর ঔন সাক্সেস এন্ড ফেইলিঅর টু এক্স্পোজ দেম টুওয়র্ডস আউট্সাইড ঔআর্ল্ড! ?
  • avi | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৪১388628
  • "আমার তো উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা, ইংরেজির সিলেবাস দারুন লেগেছিলো। ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট সিলেবাই। ঐসব পড়ার পরেও যদি কারোর সাহিত্য নিয়ে পড়তে ইচ্ছে না হয়, তাহলে পড়াও উচিত নয়।"
    ক।
  • S | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৫৪388629
  • সেইজন্যই তো মাধ্যমিক অবধি এতো কিছু সাবজেক্ট পড়ানো হলো যাতে ছাত্র চুজ করতে পারে। সাধারণতঃ যে সাবজেক্টে ছেলেপিলেদের ইন্টারেস্ট থাকে সেই সাবজেক্টেই ভালো রেজাল্ট করে।

    যে ছেলের ইকো, স্ট্যাট, ম্যাথ নিয়ে পড়ার কথা সেই ছেলে ছাতার মাথা ইন্জিনিয়ারিং পড়ে যে কার কি লাভ হলো এখনও বুঝিনা। যে ছেলের ভাব সম্প্রসারণে আসল কবিতার থেকেও বেশি কাব্যগুণ রয়েছে, তাকে ডাক্তার বানিয়ে কি লাভ।
  • ধুস | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৫৬388630
  • ইংরেজি বলতে পারব না, তবে বাংলা এমন কিছু ভাল ছিল না। পুরোটাই মেইনস্ট্রীম। বিমূর্ত কনসেপ্ট এর ছিঁটেফোঁটা ছোঁঁয়াচ অবধি বাঁচিয়ে বা একলাইনও ছন্দ না শিখিয়ে এক জেনারেশন সাহিত্যগাম্বাট তৈরি করা হয়েছে।

    সিলেবাস কে কারা কীভাবে তৈরি করছেন এখন জানা আছে। আজকের দিনের কথা বলুন কমরেড বিশ বছর আগের নয়। (তখনও অবশ্য কিছু বিশেষ ছিল না)
  • lcm | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:১৯388631
  • "... কার কি লাভ হলো এখনও বুঝিনা ... "

    এত বোঝাবুঝির কিছু নেই। এই ৫০ টাকা কিলো চালের বাজারে একটু চাকরি-বাকরি করে কোনোরকমে টিঁকে থাকতে গেলে যা যা দরকার সবাই তাই করবে আগে, আগে তো মোটামুটি একটা রোজগারের ব্যব্স্থা চাই। তারপরে না হয় ভাব হবে, বা তার সম্প্রসারণ হবে।
  • স্বাতী রায় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:৪৫388633
  • @Ekak -তো , এই যে সাধের লাউ টা আম্রা ডুগডুগি বানিয়ে বাজাতে আজকাল ভালবাসি , বাচ্চার পছন্দ বলে, আপ্নাদের কি মনে হয়না, দিস ইজ মোস্টলি , আউআর ঔন সাক্সেস এন্ড ফেইলিঅর টু এক্স্পোজ দেম টুওয়র্ডস আউট্সাইড ঔআর্ল্ড! ? - দারুণ লাগল! তবে একটু প্রশ্নও জাগল যে শুধুই কি সেটা? বাচ্চার নিজের পছন্দ- অপছন্দ কি শিশু বয়সে না হলেও কৈশোরে কিছুটা ফুটে বেরোয় না? সে পছন্দ অপছন্দ কিন্তু শুধুই সাকসেস- ফেলিওরের উপর নির্ভর করে না, মানসিক গঠনের ঊপরও নির্ভর করে খানিকটা।
  • S | ***:*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৩388634
  • কিন্তু উচ্চামাধ্যমিকে কি মেইনস্ট্রিমের বাইরে বেড়নো খুব ঠিক হবে? আর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস তো আমার দারুন লেগেছিলো। সঙ্গে বেশ কিছু নতুন কবি-লেখকদেরও নাম জেনেছিলাম। সবকিছুরই অল্প-বিস্তর গন্ধ ছিলো। বাকিটা নিজের উৎসাহে পড়ে নাও।
  • Atoz | ***:*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১২388635
  • তাই তো বলি! এমন অবস্থা ক্যানো? কবিকবি ভাব, ছন্দের অভাব!!!!! ছন্দ শেখায় নি তো! ছন্দ না শিখে, মাত্রা না গুণে, তাল লয় কিছুই না বুঝে কী গন্ডগোলেই না পড়লাম! বেতালা, মাত্রাজ্ঞানহীন, কান্ডজ্ঞানহীন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন