এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গান্ধী 'হিন্দ স্বরাজ' ও নূতন কিছু ভাবনা

    অর্জুন
    অন্যান্য | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১০৩৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:১৬388575
  • গান্ধী হিন্দ স্বরাজ ও নূতন কিছু ভাবনা
    -- অভিষেক রায়

    ১৯০৯ সালে ১৩- ২২ নভেম্বর লন্ডন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাহাজে ফেরার পথে গুজরাতি ভাষায় মোহনদাস গান্ধী লিখলেন তার পরবর্তীকালের বিখ্যাত ম্যানিফেস্টো ‘হিন্দ স্বরাজ’। বইটি নানা কারণে ঐতিহাসিক এবং মনে করা হয় গান্ধীর মূল রাজনৈতিক দর্শনের একটি খসড়া। বইটির বিষয়ে একটু পরে আসছি, তার আগে এ বিষয়ে প্রেক্ষাপটটা একটু দেখা দরকার। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একদম সূচনা পর্ব থেকে তিনটে শব্দের সৃষ্টি হল যা আমাদের পরবর্তী পর্যায়ে বিশেষ প্রভাব এনেছিল- স্বরাজ, স্বদেশী, সত্যাগ্রহ। পূর্ণ স্বাধীনতা দাবীরও অনেক আগে এই তিনটে শব্দ জাতীয় চেতনায় এক অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছিল। তিনটে শব্দেরই আপাত দৃষ্টিতে সহজবোধ্য অর্থ হল, ‘স্বরাজ’- স্ব শাসন, ‘স্বদেশী’- দেশীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার এবং সর্বশেষ ‘সত্যাগ্রহ’ যা কিনা সবচেয়ে জটিল এবং গান্ধী তার নিজের মত করে যার অর্থ করেছিলেন ‘আত্মার শক্তি’ এবং পরে তার নির্মিত ‘অহিংসা’ আন্দোলনের মূল মন্ত্র। একটু পর্যালোচনা করে দেখলে দেখা যাবে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী পর্যায়ের সাড়ে চার, পাঁচ দশক আগে এই তিনটে শব্দের উদ্ভব, প্রচলন ও প্রভাব এই আন্দোলনকে সংবদ্ধ করেছিল, তা স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরবর্তী পর্যায়ে অচিরেই তিনটে শব্দ মিলিয়ে গেল জাতীয় অভিধান থেকে।

    ১৯০৯ এ ‘হিন্দ স্বরাজ’ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়ে থেকে আরও অনেক গভীরে যেতে চেয়েছিলেন । গত কয়েক দশকে যখন আমরা পোস্ট কলোনিয়াল (Post colonial) ও ডিকলোনাইজেসন (decolonization) তত্ত্ব নিয়ে নূতন ভাবে ভাবনা চিন্তা করছি, গবেষণা করছি তখন গান্ধীর এই কাল্ট গ্রন্থের বিষয়বস্তু আমাদের বিশেষভাবে আলোচনার জায়গা নিতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণ বিদ্বেষী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন, ভারতে এসে তার রাজনৈতিক কার্যবিধি শুরু হতে তখনও ছয় বছর বাকি কিন্তু বেশ আশ্চর্যভাবেই এই বইয়ে গান্ধী সম্পূর্ণ ভাবে নূতন কিছু মৌলিক প্রশ্ন তুলেছিলেন ‘আত্ম’ এবং সার্বভৌম নৈতিকতা সম্পর্কে তাঁর জিজ্ঞাসা। তখন থেকেই তাঁর কাছে ‘আত্ম’র নোঙর শুধু ‘সত্যে’র কাছে এবং পথ হবে শুধু ‘অহিংসা’ দ্বারা পরিচালিত।

    যারা বইটা পড়েছেন তারা জানেন, বইটা একজন পাঠক ও সম্পাদকের সংলাপ। পাঠক একজন পরাধীন দেশের নাগরিক এবং দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তার বিভিন্ন দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয় কেন্দ্র করে অনেক প্রশ্ন। পাঠকের করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছেন সম্পাদক। তার এই বইয়ে গান্ধী চারটে মূল বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা করেন। বইটির গুজরাতি অনুবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয় কিন্তু ইংরেজি সংস্করণটি আশ্চর্যভাবে নয়। ইংরেজি সংস্করণে গান্ধী লিখলেন ‘Home rule is self rule’ । ‘স্বরাজ’কে তিনি ‘হোম রুল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলছেন ‘অনেকেই চায় ইংরেজদের বাদ দিয়ে ইংরেজি শাসন’। তারা ভারতকে ইংল্যান্ডের মডেলে পরিণত করতে উৎসুক। অর্থাৎ ইংরেজ না থাকলেও তাদের নীতি থেকে যাবে। একে তিনি স্বরাজ বলতে নারাজ ছিলেন।

    দ্বিতীয়ত তিনি বলতে চেয়েছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র পথ অহিংসা। এই অহিংসা শুধুই হিংসাকে প্রতিরোধ করা নয়, এখানে তিনি বলছেন অহিংসা খুব ‘counterproductive’ এবং অহিংসা নীতির কোনও বিকল্প হতে পারেনা। শত্রুকে পরাস্ত করারও সেটা খুব বড় অস্ত্র। পুরো ‘হিন্দ স্বরাজ’ জুড়ে এই অহিংসা নীতির কথা রয়েছে।

    তৃতীয়ত, গান্ধী স্বদেশী নীতি প্রবর্তনের ডাক দিচ্ছেন। এই স্বদেশী প্রবর্তনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হল ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে সমস্ত রকম বাণিজ্য বন্ধ করা। এখানে তিনি তিনি অর্থনৈতিক নির্ভরতার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। ইংরেজ বাণিজ্যের মাধ্যমেই ভারতে আসে এবং ঔপনিবেশিক শক্তি প্রণয়নের এক বিশেষ ক্ষেত্র হল বাণিজ্য। তাই বাণিজ্যকেই বাদ দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।
    পরিশেষে তিনি পাশ্চাত্য সভ্যতার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন পাশ্চাত্য সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতার পরিপন্থী। এই বিষয়টি অবশ্যই জোরদার তর্কের দাবি রাখে। কিন্তু এখানে এটাও ভাবতে হবে ‘হিন্দ স্বরাজ’ লেখার সময়ে পাশ্চাত্যের ঔপনিবেশিক ক্ষমতার পৃথিবী ব্যাপী এক প্রভাবের নেতিবাচক দিকটি সম্পর্কে তিনি সচেতন করতে চেয়েছিলেন। শুধু ভারতে নয়, দক্ষিণ অ্যাফ্রিকাতেও তিনি দেখেছেন ঔপনিবেশিক শক্তির ক্ষমতায়ন যার প্রকট রূপ বর্ণ বিদ্বেষ।

    ভারতীয় সভ্যতার যে আত্মিক সম্পদ তা যে ঔপনিবেশিক শক্তি নষ্ট করে দেবে, যার ছাপ তখন স্পষ্ট ভারতের মানুষের ইংরেজি অনুকরণে সে ব্যাপারে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

    ‘স্বরাজ’ শব্দটা কিন্তু প্রথম রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেছিলেন বাল গঙ্গাধর তিলক (১৮৫৬- ১৯২০)। তাঁর রাজনৈতিক আন্দোলনের মূলমন্ত্রই ছিল ‘স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার। আমাকে তা পেতে হবে’। দুজনের কাছে ‘স্বরাজ’ ‘এল্ফ রুলে’ অর্থাৎ স্বশাসন হলেও, গান্ধীর মতে ছিল ইংরেজদের ক্ষমতার প্রতিস্থাপন কিছু পরিবর্তন করতে পারবেনা । তিনি একদম মৌলিক জায়গায় প্রশ্নটা নিয়ে গিয়েছিলেন ‘আত্ম’ বলতে আমরা কাকে বোঝাচ্ছি আর ‘শাসন’ বলতেই বা কি বুঝি এবং দুজনের পারস্পারিক সম্পর্ক কিসের ভিত্তিতে প্রকাশ পাবে? আজ শতবর্ষেরও বেশ কিছু বছর বাদে ‘হিন্দ স্বরাজ’ বিশ্বব্যাপী ঔপনিবেশিক শক্তির পরাজয়ের কয়েক দশক বাদে, নব্য উপনিবেশবাদ বা বিশ্বায়ণের মধ্যবর্তী পর্যায়ে ‘হিন্দ স্বরাজ’ মূল আলোচনার এক আধুনিক বিষয় হতে পারে। ‘স্বরাজ’ র মূল প্রশ্নের তিনি এক পুনর্নির্মাণ ঘটিয়েছিলেন। ভারত শাসনের অধিকার কার, এই রাজনৈতিক সমস্যা থেকে প্রশ্নটা অনেক গভীরে নিয়ে গিয়েছিলেন নৈতিক আধিপত্যের দিকে।

    আরেকটু খুঁটিয়ে দেখলে উনি এক অসাধারণ স্থানান্তরণ করতে চেয়েছিলেন ব্যক্তি ও তার আত্মরূপকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে। একজন মানুষের অধিকারের বাইরে, একজন প্রজার তার সাম্রাজ্যের বাইরে, একজন নাগরিকের তার জাতির বাইরে, ভারতের রূপ দেওয়া। যেখানে একজন ব্যক্তি ও ভারতের কোনো ভেদ থাকছেনা। ব্যক্তির সার্বভৌমত্ব ও ভারতের সার্বভৌম হওয়া এক বিন্দুতে মিলে যাচ্ছে। গান্ধী এভাবে ভারতের অন্বেষণের সঙ্গে নিজের অন্বেষণকে মিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

    আত্মকে কেন্দ্রে রেখে গান্ধী তার যুক্তিকে ভারতীয় মার্গীয় দর্শনের সামনে দাঁড় করান। ভারতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের লাগাতার সাফল্যে গত ছয় দশকে আমরা গান্ধীর এই আত্নানুসন্ধান নিঃশেষ হতে দেখেছি এবং ভারতীয় গণতান্ত্রিক সংবিধানের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব গুলো যখন প্রকট হয়ে উঠেছে, তখন ‘স্বরাজ’ সম্পর্কে গান্ধীর সাবধানবাণী আমাদের এখন যথেষ্ট ভাবায়।
    অহিংসার প্রশ্নেও গান্ধীর বক্তব্য ছিল নীতির প্রশ্নে যখন বিদ্রোহের জন্ম নেয়, তখন কোনোরকম সশস্ত্রনীতি সেই নৈতিক অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে। সেই জন্যেই ক্রান্তি, আজাদি বা জিহাদি সঙ্গত ভাবে কখনো স্বরাজের মূল লক্ষ হতে পারেনা। দার্শনিক আকীল বিল্গ্রামীর মতে, ‘হিন্দ স্বরাজ’ এ অহিংসার ওপর গান্ধীর ভূমিকাটি ঔপনিবেশিক ভারতের সব রকমের ঔপনিবেশিক আন্দোলনের থেকে স্বতন্ত্রতা দাবী করে। ভারত অনেককাল স্বাধীন তাই স্বরাজও এখন গুরুত্ব হারিয়েছে, কিন্তু আত্ম ও সার্বভৌমের এই পারস্পারিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসা এখনও চলছে।

    নিজের করা তাত্ত্বিক অনুসন্ধানের শিকিভাগও তিনি বাস্তবে তার নিজের আন্দোলনে বাস্তবায়িত করতে পারেননি। তাঁর নিজের আদর্শের থেকে তাঁর ব্যক্তিসত্ত্বা ছাড়িয়ে মহীরুহে পরিণত হয়েছিল। এখানেই হয়ত তাঁর চরম ব্যর্থতা কিন্তু তা বলে তাঁর তাত্ত্বিক অন্বেষণে কোনোভাবে খর্ব করে না, বরং নূতন করে আলোচনার উপাদান জোগায়। স্বাধীনতা পরবর্তী অধ্যায়ে গত সাত দশকে নানা অসাম্য ও বৈষম্য প্রতিরোধী সংগ্রামে বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক মতবাদী আন্দোলনে গান্ধীর স্বরাজ ভাবনার মৌলিক আত্মানুসন্ধান খুব বেশীরকম ভাবেই প্রাসঙ্গিক।
    ২০০৯=এ ‘হিন্দ স্বরাজ’-এর শতবার্ষিকী প্রকাশের সময়ে এই বইকে কেন্দ্র করে বিদ্বমহলে এক প্রবল কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। সারা বিশ্বের দার্শনিক, ইতিহাসবিদ, সমাজতাত্ত্বিক এই বইয়ের জ্ঞানতত্ত্বের পাঠকে নূতন করে উন্মোচন করেছেন। আত্ম ও সার্বভৌমচর্চা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় এ বই এখনও নূতন গবেষণা ও আলোচনার সন্ধান দিতে পারে।

    *আমার এই লেখাটি 'একুশ শতাব্দী' পত্রিকার ২০১৯র বইমেলা সংখ্যায় (বর্ষ ২৩, সংখ্যা ৩-৪, জুলাই- ডিসেম্বর ২০১৮) প্রকাশিত হয়েছিল।

    কিছুদিন আগে গান্ধীর কাস্ট ডিসকোর্স প্রসঙ্গ উঠেছিল। গান্ধী সার্ধ শতবর্ষে তাঁকে নিয়ে কিছু পড়াশোনা করার চেষ্টা করছি। এটা একেবারে প্রাথমিক খসড়া। আমার এই লেখাটি পড়ে মতামত জানালে ভাল লাগবে এবং এই টই গান্ধী সম্পর্কিত অন্যান্য আলোচনার ক্ষেত্র হলে ভাল লাগবে।
  • অর্জুন | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:২৬388586
  • @এলেবেলে, @রঞ্জন-দা @আতোজ @খ @S @dc @sm @I @i @স্বাতী রায় @ঈশান @সৈকত @Tim @Amit এবং আরও অনেকের মতামত জানতে আগ্রহী।
  • গবু | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:২৬388589
  • "দ্বিতীয়ত তিনি বলতে চেয়েছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র পথ অহিংসা। এই অহিংসা শুধুই হিংসাকে প্রতিরোধ করা নয়, এখানে তিনি বলছেন অহিংসা খুব ‘counterproductive’ এবং অহিংসা নীতির কোনও বিকল্প হতে পারেনা। শত্রুকে পরাস্ত করারও সেটা খুব বড় অস্ত্র। "

    এটা কিরকম হলো?
  • এলেবেলে | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৩৩388590
  • হে হে হিন্দ স্বরাজ আসল অথচ টলস্টয় আসলেন না, রাসকিন আসলেন না, সারমন অফ দ্য মাউন্ট আসল না এমনকি সত্যাগ্রহের সংজ্ঞাও জানা গেল না!

    বদলে যা জানা গেল বা যা যা জানা গেল তা হচ্ছে - ১) দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণ বিদ্বেষী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। এবং ২) স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র পথ অহিংসা।

    এ যে কত বড় মিথ্যে তা জানতে গেলে আর সামান্য কিছুদিন ধৈর্য রাখতে হবে ওজ্জুনবাবু।

    আশ্চর্য লাগল ১৯০৯ এ প্রকাশিত রেভারেন্ড ডোকের প্রথম গান্ধী জীবনীর অনুল্লেখ দেখেও।

    যাই হোক, আলোচনা হোক।
  • অর্জুন | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৬388591
  • লেখাটার শেষেই জানিয়েছি 'এটা একেবারে প্রাথমিক খসড়া।'

    @গবু বাবু, নীতিগত ভাবে অহিংসাকে counterproductive মনে করেছেন এবং 'অহিংসা নীতির কোনো বিকল্প' হতে পারেনা' মনে করলেও এ ব্যাপারে একটা contradiction গান্ধীর মধ্যে ছিল। এ নীতি প্রয়োগে তাঁর আন্দোলন গুলোয় তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন।

    @এলেবেলে, এ লেখায় যথেষ্ট ঘাটতি আছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এটা গান্ধীর পূর্ণাঙ্গ জীবনী তো নয় । '১৯০৯ এ প্রকাশিত রেভারেন্ড ডোকের প্রথম গান্ধী জীবনীর' উল্লেখ কেন করব ?

    গান্ধীর 'অহিংসা' 'এ যে কত বড় মিথ্যে' এ তত্ত্বটা আমি মানিনা। তিনি ব্যর্থ সেটা মানি। অপেক্ষায় রইলাম আপনার ব্যাখ্যার ।
  • গবু | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:০৪388592
  • Counter productive - having an effect that is opposite to the one intended or wanted

    https://dictionary.cambridge.org/dictionary/english/counterproductive

    Counter productive কথাটা কি আপনি quote করছেন মোকগা-র লেখা থেকে?

    ঘেঁটে গেলাম।
  • এলেবেলে | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:০৫388593
  • আমার ব্যাখ্যার আগে আপনার লেখা "দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণ বিদ্বেষী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন" বাক্যটার ব্যাখ্যা করুন দিকি।

    দক্ষিণ আফ্রিকাতে গান্ধী নিজে হিংসায় জড়ালেন অথচ আপনি সেটা মানতে চান না? বেশ!

    আর ডোকের কথা বলতে হবে এই কারণে যে গান্ধী আদতে কতটা প্রোপাগান্ডিস্ট ছিলেন তা জানানোর জন্য।
  • গবু | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:০৬388594
  • "অহিংসা খুব ‘counterproductive’ এবং অহিংসা নীতির কোনও বিকল্প হতে পারেনা।" - এক নিঃশ্বাসে এটা কি করে সত্যি হতে পারে?
  • dc | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৯388595
  • ইয়ে আমার গান্ধীর ব্যাপারে কোন মতামত নেই ঃ-)

    তবে এলেবেলেবাবুর এই লাইনটা ভাল্লাগলো না, "হে হে হিন্দ স্বরাজ আসল অথচ টলস্টয় আসলেন না, রাসকিন আসলেন না, সারমন অফ দ্য মাউন্ট আসল না এমনকি সত্যাগ্রহের সংজ্ঞাও জানা গেল না!" আমার মতে খোঁচাখুঁচি না করে আলোচনা করলে বেটার হয়, বিশেষ করে এই বিষয়ে যখন আপনিও আগ্রহী।
  • dc | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩১388576
  • ওটা বোধায় "অহিংসা খুব ‘productive’ (বা effective) হবে, বাক্যটা পড়ে তো তাই মনে হচ্ছে।
  • b | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৫৭388577
  • ডিসি :03 Sep 2019 -- 08:29 PM
    একেবারে ঠিক।
  • এলেবেলে | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:১৬388578
  • @dc এবং @b আমার যে লাইনটা আপনাদের ভালো লাগেনি, সত্যি বলতে সেটা লিখতে আমার নিজেরও ভালো লাগেনি। তবে কিনা খোঁচাখুঁচি আমি আদতেই করব না। বরং এমন আলোচনা করব যে আপনারা তাল সামলাতে পারবেন কি না জানি না! এখানে নয়, এখন নয়। সামান্য দেরি আছে। ততক্ষণ অর্জুন 'দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণ বিদ্বেষী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন' বাক্যটার ব্যাখ্যা করুন।
  • কপিপেস্ট | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫০388579
  • ইয়ে, গুরুর টই কি উইকি কি অন্য লেখা অনুবাদের আখড়া হল ? তা, লিঙ্কটা দিয়ে দিলেই তো হত। নাহলে অন্তত কোটটা করতে হয়। আর হ্যাঁ, অনুবাদ করলেও মানে বুঝে ঠিকঠাক করতে হয়, নইলে ওই আর কি, কাউণ্টার প্রোডাক্টিভ হয়ে যায় :(

    গান্ধী হিন্দ স্বরাজ ও পুরানো কিছু ভাবনা
    - উইকি পেডিয়া এটাল লিখে দিলেই তো হত।

    https://en.wikipedia.org/wiki/Hind_Swaraj_or_Indian_Home_Rule

    Mohandas Gandhi wrote this book in his native language, Gujarati, while traveling from London to South Africa on board SS Kildonan Castle between November 13 and November 22, 1909. In the book Gandhi gives a diagnosis for the problems of humanity in modern times, the causes, and his remedy. The Gujarati edition was banned by the British on its publication in India. Gandhi then translated it into English. The English edition was not banned by the British, who concluded that the book would have little impact on the English-speaking Indians' subservience to the British and British ideas. It has also been translated to French.

    ১৯০৯ সালে ১৩- ২২ নভেম্বর লন্ডন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাহাজে ফেরার পথে গুজরাতি ভাষায় মোহনদাস গান্ধী লিখলেন তার পরবর্তীকালের বিখ্যাত ম্যানিফেস্টো ‘হিন্দ স্বরাজ’। বইটি নানা কারণে ঐতিহাসিক এবং মনে করা হয় গান্ধীর মূল রাজনৈতিক দর্শনের একটি খসড়া। বইটির বিষয়ে একটু পরে আসছি, তার আগে এ বিষয়ে প্রেক্ষাপটটা একটু দেখা দরকার। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একদম সূচনা পর্ব থেকে তিনটে শব্দের সৃষ্টি হল যা আমাদের পরবর্তী পর্যায়ে বিশেষ প্রভাব এনেছিল- স্বরাজ, স্বদেশী, সত্যাগ্রহ। পূর্ণ স্বাধীনতা দাবীরও অনেক আগে এই তিনটে শব্দ জাতীয় চেতনায় এক অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছিল। তিনটে শব্দেরই আপাত দৃষ্টিতে সহজবোধ্য অর্থ হল, ‘স্বরাজ’- স্ব শাসন, ‘স্বদেশী’- দেশীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার এবং সর্বশেষ ‘সত্যাগ্রহ’ যা কিনা সবচেয়ে জটিল এবং গান্ধী তার নিজের মত করে যার অর্থ করেছিলেন ‘আত্মার শক্তি’ এবং পরে তার নির্মিত ‘অহিংসা’ আন্দোলনের মূল মন্ত্র। একটু পর্যালোচনা করে দেখলে দেখা যাবে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী পর্যায়ের সাড়ে চার, পাঁচ দশক আগে এই তিনটে শব্দের উদ্ভব, প্রচলন ও প্রভাব এই আন্দোলনকে সংবদ্ধ করেছিল, তা স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরবর্তী পর্যায়ে অচিরেই তিনটে শব্দ মিলিয়ে গেল জাতীয় অভিধান থেকে।

    ----
    Gandhi's Hind Swaraj takes the form of a dialogue between two characters, The Reader and The Editor. The Reader (specifically identified by the historian S. R. Mehrotra as Dr Pranjivan Mehta) essentially serves as the typical Indian countryman whom Gandhi would have been addressing with Hind Swaraj. The Reader voices the common beliefs and arguments of the time concerning Indian Independence. Gandhi, The Editor, explains why those arguments are flawed and interject his own arguments. As 'The Editor' Gandhi puts it, "it is my duty patiently to try to remove your prejudice."
    যারা বইটা পড়েছেন তারা জানেন, বইটা একজন পাঠক ও সম্পাদকের সংলাপ। পাঠক একজন পরাধীন দেশের নাগরিক এবং দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তার বিভিন্ন দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয় কেন্দ্র করে অনেক প্রশ্ন। পাঠকের করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছেন সম্পাদক।

    ---

    First, Gandhi argues that ‘Home Rule is Self Rule’. He argues that it is not enough for the British to leave only for Indians to adopt a British-styled society. As he puts it, some "want English rule without the Englishman ... that is to say, [they] would make India English. And when it becomes English, it will be called not Hindustan but Englishtan. This is not the Swaraj I want.”

    ইংরেজি সংস্করণে গান্ধী লিখলেন ‘Home rule is self rule’ । ‘স্বরাজ’কে তিনি ‘হোম রুল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলছেন ‘অনেকেই চায় ইংরেজদের বাদ দিয়ে ইংরেজি শাসন’। তারা ভারতকে ইংল্যান্ডের মডেলে পরিণত করতে উৎসুক। অর্থাৎ ইংরেজ না থাকলেও তাদের নীতি থেকে যাবে। একে তিনি স্বরাজ বলতে নারাজ ছিলেন।
    ----

    Gandhi also argues that Indian independence is only possible through passive resistance. In fact, more than denouncing violence, Gandhi argues that it is counter-productive; instead, he believes, “The force of love and pity is infinitely greater than the force of arms. There is the harm in the exercise of brute force, never in that of pity.” This is essential throughout Hind Swaraj.

    দ্বিতীয়ত তিনি বলতে চেয়েছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র পথ অহিংসা। এই অহিংসা শুধুই হিংসাকে প্রতিরোধ করা নয়, এখানে তিনি বলছেন অহিংসা খুব ‘counterproductive’ এবং অহিংসা নীতির কোনও বিকল্প হতে পারেনা। শত্রুকে পরাস্ত করারও সেটা খুব বড় অস্ত্র। পুরো ‘হিন্দ স্বরাজ’ জুড়ে এই অহিংসা নীতির কথা রয়েছে।

    ---
    To exert passive resistance, Gandhi reasons that Swadeshi (self-reliance) be exercised by Indians, meaning the refusal of all trade and dealings with the British. He addresses the English when he states, “If you do not concede our demand, we shall be no longer your petitioners. You can govern us only so long as we remain the governed; we shall no longer have any dealings with you." Gandhi makes an intriguing argument here: if the British want India for trade, remove trade from the equation.

    তৃতীয়ত, গান্ধী স্বদেশী নীতি প্রবর্তনের ডাক দিচ্ছেন। এই স্বদেশী প্রবর্তনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হল ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে সমস্ত রকম বাণিজ্য বন্ধ করা। এখানে তিনি তিনি অর্থনৈতিক নির্ভরতার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। ইংরেজ বাণিজ্যের মাধ্যমেই ভারতে আসে এবং ঔপনিবেশিক শক্তি প্রণয়নের এক বিশেষ ক্ষেত্র হল বাণিজ্য। তাই বাণিজ্যকেই বাদ দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।
    পরিশেষে তিনি পাশ্চাত্য সভ্যতার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন পাশ্চাত্য সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতার পরিপন্থী। এই বিষয়টি অবশ্যই জোরদার তর্কের দাবি রাখে। কিন্তু এখানে এটাও ভাবতে হবে ‘হিন্দ স্বরাজ’ লেখার সময়ে পাশ্চাত্যের ঔপনিবেশিক ক্ষমতার পৃথিবী ব্যাপী এক প্রভাবের নেতিবাচক দিকটি সম্পর্কে তিনি সচেতন করতে চেয়েছিলেন। শুধু ভারতে নয়, দক্ষিণ অ্যাফ্রিকাতেও তিনি দেখেছেন ঔপনিবেশিক শক্তির ক্ষমতায়ন যার প্রকট রূপ বর্ণ বিদ্বেষ।
    -----

    Finally, Gandhi argues that India will never be free unless it rejects Western civilization itself. In the text he is deeply critical of western civilization, claiming, “India is being ground down, not under the English heel, but under that of modern civilization." He speaks about civilization not just in relation to India, though. He argues that “Western civilization is such that one has only to be patient and it will be self-destroyed." It is a profound repudiation. Not only is western civilization unhealthy for India, but western civilization is by its own virtue unhealthy.

    পরিশেষে তিনি পাশ্চাত্য সভ্যতার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন পাশ্চাত্য সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতার পরিপন্থী। এই বিষয়টি অবশ্যই জোরদার তর্কের দাবি রাখে। কিন্তু এখানে এটাও ভাবতে হবে ‘হিন্দ স্বরাজ’ লেখার সময়ে পাশ্চাত্যের ঔপনিবেশিক ক্ষমতার পৃথিবী ব্যাপী এক প্রভাবের নেতিবাচক দিকটি সম্পর্কে তিনি সচেতন করতে চেয়েছিলেন। শুধু ভারতে নয়, দক্ষিণ অ্যাফ্রিকাতেও তিনি দেখেছেন ঔপনিবেশিক শক্তির ক্ষমতায়ন যার প্রকট রূপ বর্ণ বিদ্বেষ।

    ---

    http://www.swaraj.org/whatisswaraj.htm

    On another level, the call for swaraj represents a genuine attempt to regain control of the 'self' - our self-respect, self-responsibility, and capacities for self-realization - from institutions of dehumanization. As Gandhi states, "It is swaraj when we learn to rule ourselves." The real goal of the freedom struggle was not only to secure political azadi (independence) from Britain, but rather to gain true swaraj (liberation and self-rule).

    Gandhi wanted all those who believed in swaraj: (1) to reject and wholly uproot the British raj (rule) from within themselves and their communities; and, (2) to regenerate new reference points, systems, and structures that enable individual and collective self-development.

    আরেকটু খুঁটিয়ে দেখলে উনি এক অসাধারণ স্থানান্তরণ করতে চেয়েছিলেন ব্যক্তি ও তার আত্মরূপকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে। একজন মানুষের অধিকারের বাইরে, একজন প্রজার তার সাম্রাজ্যের বাইরে, একজন নাগরিকের তার জাতির বাইরে, ভারতের রূপ দেওয়া। যেখানে একজন ব্যক্তি ও ভারতের কোনো ভেদ থাকছেনা। ব্যক্তির সার্বভৌমত্ব ও ভারতের সার্বভৌম হওয়া এক বিন্দুতে মিলে যাচ্ছে। গান্ধী এভাবে ভারতের অন্বেষণের সঙ্গে নিজের অন্বেষণকে মিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
  • অর্জুন | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫৫388580
  • @এলেবেলে'র এই স্টাইলের মন্তব্যের সঙ্গে আমি এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ওঁর স্টক সমৃদ্ধ কিন্তু গান্ধী চর্চায় আমি ওই সমৃদ্ধ স্টকের গ্রন্থাদি আমি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার নাও করতে পারি। আর এখানে আলোচনা হোক, ইতিহাসের পরীক্ষা নয়। ''দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণ বিদ্বেষী আন্দোলনে' গান্ধীর 'সক্রিয় ভূমিকা' জানতে হলে গান্ধীর আত্মজীবনী খুব ভাল সোর্স।

    সেটা পছন্দ না হলে লুই ফিশারের 'দ্য লাইফ অব মহাত্মা গান্ধী' আছে। এছাড়াও Ashwin Desai and Goolam H. Vahed র The South African Gandhi: Stretcher‑Bearer of empire' আছে।

    আমার নিজের ব্যক্তিগত ধারণা গান্ধীর জীবনে দক্ষিণ অ্যাফ্রিকা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

    গান্ধী একটি খুব কমপ্লিকেটেড এবং অনেকটাই ডিসপিউটেড এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

    আমি আগেও বলেছি আমার লেখাটায় সীমাবদ্ধ না থেকে আপনারা গান্ধীর জীবন ও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন।
  • এলেবেলে | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:৫২388581
  • // দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণ বিদ্বেষী আন্দোলনে' গান্ধীর 'সক্রিয় ভূমিকা' জানতে হলে গান্ধীর আত্মজীবনী খুব ভাল সোর্স।

    সেটা পছন্দ না হলে লুই ফিশারের 'দ্য লাইফ অব মহাত্মা গান্ধী' আছে।//

    ওই কারণেই আমি ডোকের প্রথম গান্ধী জীবনীর উল্লেখ করেছিলাম! গান্ধীর আত্মজীবনী পুরো ঘাপলায় ভরা। সেখানে বহু কিছু চেপে দেওয়া আছে, পালিশ দেওয়া আছে এবং মিথ্যা পরিবেশন আছে। লুই ফিশার এবং বাকিরা সবাই ডোককে অনুসরণ করেছেন এবং ফেঁসেছেন।

    আমি বইয়ের নাম জানতে চাইনি, দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীর বর্ণবিদ্বেষী আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। এলেবেলে 'ইতিহাসের পরীক্ষা' নেয় বা তার 'এই স্টাইলের মন্তব্যের সঙ্গে আমি এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি' জেনে থাকলে খামোখা আমাকে এখানে আলোচকের লিস্টিতে প্রথমে রাখা কেন বাপু?

    অবিশ্যি যে লেখা @কপিপেস্ট দিয়েছেন এবং সে ব্যাপারে অর্জুন রা অবধি কাড়েননি, সেখানে আমার অতিরিক্ত আলোচনার সময় বা প্রবৃত্তি - কোনোটাই আর অবশিষ্ট নেই।

    বাংলা কথায়, আপনি না জানেন গান্ধীর দক্ষিণ আফ্রিকা পর্ব এবং না জানেন তাঁর হিংসায় জড়িয়ে থাকার ইতিহাস। অহেতুক ধানাইপানাই করে লাভ নেই।
  • অর্জুন | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৯388582
  • সোর্স হিসেবে উইকিপেডিয়া ব্যবহার করা যায়না নাকি তার বাংলা অনুবাদ দেওয়া যায় না?

    Hind Swaraj Or Indian Home Rule বইয়ের ভূমিকাতেই এর ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।

    আমি ভূমিকার বঙ্গানুবাদ অতি অবশ্যই দিয়েছি কিন্তু কনক্লুশন আমার নিজের।
  • মানিক | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:২৬388583
  • আমি গান্ধীকে নিয়ে পড়াশুনো বিশেষ করিনি। তবে কালো আফ্রিকানরা অনেকেই গান্ধীকে বর্ণবিদ্বেষী বলে মনে করেন। কিছুদিন আগে ঘানার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই কারণে গান্ধীর মূর্তি সরানো হয়েছিল।

    নেট খুঁজতে গিয়ে নীচের প্রবন্ধটি পেলাম। এটি নিয়ে কেউ কিছু বললে আমার মত বোকাদের কৌতূহল মেটে।

    https://www.bbc.com/news/world-asia-india-34265882
  • বোকা | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:৫০388584
  • একটা প্রকাশিত লেখা। তাতে কোন রেফারেন্স নেই?
    উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য নেওয়া দোষের কিছু নয়, কিন্তু তথ্যসূত্র হিসেবে উইকিপিডিয়ার উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।।
    এখানে উইকিপিডিয়া থেকে দীর্ঘ অংশ সরাসরি অনুদিত কিন্তু @কপিপেস্ট লিখে না দিলে বহু পাঠকের জানাই হত না।
    এটা এক ধরণের প্লাগিয়ারিজম।
  • আজব তো! | ***:*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:১৩388585
  • অনুবাদ?

    more than denouncing violence, Gandhi argues that it is counter-productive; instead, he believes, “The force of love and pity is infinitely greater than the force of arms.

    এখান থেকে "কনক্লুশন" করা ""এখানে তিনি বলছেন অহিংসা খুব ‘counterproductive’ "" এটা আপনার অনুবাদ মনে হল?
  • Atoz | ***:*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:১৩388587
  • আরো আলোচনা চালান প্লীজ।
  • অভিজিৎ দে | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২০388588
  • লেখাটি পড়ে জানতেই পারলাম না গান্ধীজির মতে স্বরাজ কি,যা তিনি অসহযোগ আন্দোলনের শেষে উল্লেখ করেছেন,কিন্তু তার সমন্ধে ধারণা দেননি বিস্তৃত
  • Aditya Das | 2402:3a80:1f67:dbd6:7106:e772:2adb:***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৩৩739106
  • Thank you so much sir
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন